প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনের তফসিল জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে



জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের তফসিল জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে। এবারও পাঁচটি ধাপে এই নির্বাচন আয়োজন করতে চায় সাংবিধানিক সংস্থাটি।

ইসি সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যে প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা। তবে কিছু কিছু উপজেলায় সীমানা সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় ওইসব উপজেলায় নির্বাচন পরে হবে।

উপজেলা নির্বাচন আয়োজন নিয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ইতিমধ্যে ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে প্রথম ধাপের নির্বাচন আয়োজনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করা হবে। পাশাপাশি গতবারের ন্যায় এবারও দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

ইসির এই অতিরিক্ত সচিব বলেন, নির্বাচন কমিশন সারা বছর কোন না কোন নির্বাচন আয়োজনের মধ্যে থাকে। কিছুদিন আগে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন সম্পূর্ণ হয়েছে। এবার পাঁচটি ধাপে উপজেলা নির্বাচন আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রথম ধাপে কয়টি উপজেলা নির্বাচন হবে সেই বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান তিনি। এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কমিশন সভায়।

তিনি আরও বলেন, সামনে পবিত্র রমজান, তার আগেই প্রথম ধাপের নির্বাচন করা হবে। এরপর বর্ষা মৌসুম থাকায় দ্রুতই পরবর্তী ধাপের নির্বাচনের আয়োজন সম্পূর্ণ করতে চাই।

ইসি সূত্র জানায়, উপজেলা পরিষদ একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকারের বিভাগ। বস্তুত গ্রামীণ জনপদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও জনগণের জীবনমান উন্নয়নের প্রশ্নে উপজেলা পরিষদই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। নির্বাচনে অংশ নিতে চাইলে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের নির্বাচন করতে পদত্যাগ করতে হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান-মেম্বার, জেলা পরিষদের সদস্য, পৌরসভার মেয়র-কাউন্সিলরদের পদত্যাগ করতে হবে। এছাড়া অনেক কলেজ সরকারি হয়েছে কিন্তু সেখানে যারা চাকরি করেন, তারা এখনও সরকারি হননি। তাদেরও উপজেলা পরিষদে নির্বাচন করতে হলে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে হবে।

উপজেলা পরিষদ আইন অনুযায়ী উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখের আগের ১৮০ দিনের মধ্যে ভোট গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

উল্লেখ্য, পরিষদের প্রথম বৈঠক থেকে মেয়াদ শুরু হয়। উপজেলা নির্বাচন সামনে রেখে ইতিমধ্যেই আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেছে। ১৯৮৫ সালে প্রথমবারের মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৯ সালে।

   

নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হওয়ায় দুই ওসিকে প্রত্যাহার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

উপজেলা নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হওয়ায় বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট মডেল থানার ওসি ও জেলার ডিবির ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

ইসির উপসচিব মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠির মাধ্যমে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজির বরাবর এই নির্দেশনা পাঠানো হয়।

ইসি জানায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন-২০২৪ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষে বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আশরাফুল আলম এবং বাগেরহাট জেলার ডিবির ওসি জনাব স্বপন রায়কে খুলনা পুলিশ রেঞ্জে সংযুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সেই সাথে নির্বাচনের সময় পর্যন্ত সংযুক্ত করে উক্ত কর্মকর্তাদ্বয়ের পরবর্তী কোনো কর্মকর্তাকে ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এবং ডিবির ওসি -এর দায়িত্ব প্রদানের জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত প্রদান করেছেন।

;

উপজেলা নির্বাচন: নড়াইলে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নড়াইল
নড়াইলে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ

নড়াইলে নির্বাচনী সরঞ্জাম বিতরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল সদর ও লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কেন্দ্রগুলোতে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি বিতরণ করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে সদর উপজেলার ব্যালট বাক্স,ব্যাগ ও গালা সহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি বিতরণের উদ্বোধন করেন রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শাশ্বত শীল। ৪টি স্টল করে নড়াইল সদর কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসারদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. শামীম আহমদসহ পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা অফিস সূত্রে জানা যায়, নড়াইল সদরের ভোটার সংখ্যা ২লাখ ৪৭ হাজার ৭ শত ৬০ জন। পুরুষ ভোটার ১ লাখ ২০ হাজার ১শত ২৯ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ২১ হাজার ৬৩০ জন। ভোট কেন্দ্র ১০০টি ।

অপরদিকে লোহাগড়া উপজেলার মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ১১ হাজার ২৫৩ জন, পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬ হাজার ৭৬ জন, মহিলা ভোটার ১ লাখ ৫ হাজার ১৭৫ জন। ভোট কেন্দ্র ৯৭ টি।

;

রাজশাহীতে চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৫ জুন চতুর্থ ধাপে রাজশাহীর বাঘা ও চারঘাট উপজেলার ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মির্জা ইমাম উদ্দিন মোট ২২ জন প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ ঘোষণা করেন।

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৪ জন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ৯ জন প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৩ জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে মো. রোকনুজ্জামান (আনারস), মো. লায়েব উদ্দিন (মোটর সাইকেল) প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

বাঘা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মেহেদী হাসান (টিউবওয়েল), আব্দুল মোকাদ্দেস (টিয়া পাখি), কামরুজ্জামান (বই) প্রতীক পেয়েছেন।

বাঘা উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ফাতেমা খাতুন (কলস), ফারহানা দিল আফরোজ (প্রজাপতি), রিনা খাতুন (ফুটবল) প্রতীক পেয়েছেন।

এদিকে চারঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী ২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬ জনের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

চেয়ারম্যান পদে গোলাম কিবরিয়া (ঘোড়া), মো. ফকরুল ইসলাম (আনারস) প্রতীকে নির্বাচন করছেন।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল্লাহ আল মামুন (মাইক), কাজী ফিরোজ আহমেদ (টিয়া পাখি), আশরাফ উদ্দৌলা (তালা), ইলিয়াস সরকার (টিউবওয়েল), ইলিয়াস হোসেন (উড়োজাহাজ), নাজমুল হক (চশমা) প্রতীক পেয়েছেন।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে জান্নাতুল ফেরদৌসী (হাঁস), পারভিন আরা (বৈদ্যুতিক পাখা), আশা খাতুন (সেলাই মেশিন), জমেলা বেগম (প্রজাপতি), তাজমিরা খাতুন (কলস), ময়না খাতুন (ফুটবল) প্রতীক পেয়েছেন।

প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. শাহিনুর ইসলাম প্রামানিক, বাঘা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তরিকুল ইসলাম।

;

গাজীপুরের দুই উপজেলায় ৯৫ ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাজীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাত পোহালেই দ্বিতীয় ধাপে গাজীপুরের শ্রীপুর ও কালিয়াকৈর উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে ভোটকেন্দ্রের সমস্ত মালামাল পৌঁছে গেছে। দুই উপজেলায় মোট ভোট কেন্দ্র রয়েছে ২৭৬টি। এর মধ্যে কালিয়াকৈরে ১২৮টি ও শ্রীপুরে ১৪৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দুটি উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের একটি খসড়া করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে প্রতিটি কেন্দ্রেই পর্যাপ্ত র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশ ও আনসার বাহিনী মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও একাধিক মোবাইল টিম থাকবে নির্বাচনী এলাকায়।

জানা গেছে, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার ১২৮টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে ভোট গ্রহণ। এর মধ্যে ৪৫টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে ভোট কেন্দ্রগুলোর পরিবেশ স্বাভাবিক রাখতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন বিভাগের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এফ এম নাসিম বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে কোনো কেন্দ্রকে আলাদে করে দেখছি না। উপজেলার প্রতিটি কেন্দ্রেই বিশেষভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা প্রস্তুত। আশা করি আগামীকাল একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা উপহার দেব।

অপরদিকে, একই দিনে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় ১৪৮টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হবে। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রার্থিতা করছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলীর ভাই জামিল হাসান দুর্জয়। প্রতিমন্ত্রীর ভাই থাকায় এ উপজেলায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আগে থেকেই নানা সংশয় রয়েছে। এর মধ্যে গত কয়েকদিনে একাধিকবার আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে দুর্জয়ের প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। পরে গত রোববার হাই কোর্টে আপিলের মাধ্যমে প্রার্থীতা ফিরে পান তিনি। যার ফলে উত্তপ্ত শ্রীপুর উপজেলার নির্বাচনী মাঠ। উপজেলায় মোট ১৪৮টি ভোট কেন্দ্রে মধ্যে ৫০টি কেন্দ্রই ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। তবে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আকবর আলী খান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত ফোর্স মাঠে নেমেছে। এছাড়াও সাদা পোশাকেও গোয়েন্দারা কাজ করছে। আমরা আশা করি আগামীকাল অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

;