উপজেলা নির্বাচন: ধামরাইয়ে তিন পদে ১৮ মনোনয়নপত্র জমা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ধামরাইয়ে তিন পদে ১৮ মনোনয়নপত্র জমা

ধামরাইয়ে তিন পদে ১৮ মনোনয়নপত্র জমা

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সাতজন, ভাইস-চেয়ারম্যান পদে ছয়জন ও মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে পাঁচজনসহ তিন পদে মোট ১৮ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

রোববার (২১ এপ্রিল) বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে তারা এ মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া সাতজন হলেন- ধামরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাদ্দেস হোসেন, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও ধামরাই উপজেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সোহানা জেসমিন মুক্তা, সানোড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ধামরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ মাসুদ খান লাল্টু, বালিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক আহাম্মদ হোসেন, ব্যবসায়ী সুধীর চৌধুরী, বিজেপির ধামরাই উপজেলা শাখার সভাপতি সাব্বির হোসেন ও ইট ভাটা ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল লতিফ।

ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া ছয়জন হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুর রহমান খান, ঢাকা জেলা যুবলীগের সদস্য হাফিজুর রহমান, গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি জুয়েল রানা, পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শামিনুর রহমান ও ইমরান খান।

মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া পাঁচজন হলেন- ধামরাই উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফরোজা আক্তার, জয়া হোসেন, সুরাইয়া আক্তার, খোদেজা বেগম, আন্নিসা লাভলী।

ধামরাই উপজেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ জাহিদ হাসান বলেন, রোববার উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র পত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল। অনলাইনে এ প্রার্থীদেরই মনোনয়নপত্র পত্র পেয়েছি।

   

সরাইল উপজেলা নির্বাচনে দুই পোলিং এজেন্টসহ চারজনকে কারাদণ্ড



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন-২০২৪ এ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই পোলিং এজেন্টসহ চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বুধবার (৮ মে) সরাইল উপজেলার কয়েকটি কেন্দ্রে তাদের আটক করে এই সাজা দেয়া হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সেলিম শেখ জানান, গোপন কক্ষে গিয়ে অন্যের ব্যালট পেপারে সিল মারার সময় কাপ-পিরিচ প্রতীকের পোলিং এজেন্ট শাকির মিয়া (৩৯) হাতেনাতে আটক হন। পরে তাকে ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই কেন্দ্রে তালা প্রতীকের পোলিং এজেন্ট মো. হৃদয় মিয়াকে (২৮) ভোটারদের প্ররোচিত করার সময় তাকে ১০ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

এছাড়া ভোট কেন্দ্রের ৪০০ গজের মধ্যে ভোটারদের ভোট দেওয়ার জন্য অন্যায়ভাবে প্ররোচিত করার সময় হাতেনাতে মো. রাকিব হোসেন (২৪) নামের একজনকে সাতদিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

পাশাপাশি সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে অবৈধভাবে জাল ভোট দেওয়ার সময় হাতেনাতে একজনকে আটক করা হয়। আটককৃত ব্যক্তি তামিম মিয়াকে (২৬) দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৭১-চ ধারায় ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। কারাদণ্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার নবীনগর ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তানভীর ফরহাদ শামীম। 

;

ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন, প্রথম ধাপ

সিলেটে ভোটকেন্দ্রে ফটো সাংবাদিকের ওপর হামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪,  হামলায় আহত 'সিলেট প্রতিদিন'-এর ফটো সাংবাদিক রেজা রুবেল

ছবি: বার্তা২৪, হামলায় আহত 'সিলেট প্রতিদিন'-এর ফটো সাংবাদিক রেজা রুবেল

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট সদর উপজেলায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জাল ভোট দিতে গিয়ে এক যুবক আটক হওয়ার পর তার ছবি তুলতে গেলে স্থানীয় নিউজপোর্টালের এক ফটো সাংবাদিকের ওপর হামলা করেছেন এক প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা।

হামলার শিকার হওয়া ওই সাংবাদিকের নাম রেজা রুবেল। তিনি স্থানীয় অনলাইন নিউজপোর্টাল ‘সিলেট প্রতিদিন’-এর ফটো সাংবাদিক এবং বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাংস্কৃতিক এবং ক্রীড়া সম্পাদক। আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

বুধবার (৮ মে) বেলা আড়াইটার দিকে সিলেট সদর উপজেলার ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজাত আলী রফিকের কর্মী ও সমর্থকরা এ হামলা করেন।

আটক হওয়া ওই তরুণের নাম তানজিদ আহমদ (১৯)। তিনি স্থানীয় কান্দিগাঁও এলাকার জসীম উদ্দিনের ছেলে। তাকে প্রিজাইডিং অফিসারের কক্ষে আটক করে রাখা হয়।

জানা যায়, বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে এসে আটক হন তানজিদ আহমদ। এ সময় ‘সিলেট প্রতিদিন’-এর ফটোসাংবাদিক রেজা রুবেল তার ছবি তুলতে গেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুজাত আলী রফিকের কর্মী ও সমর্থকরা তার ওপর চড়াও হয়।

সিলেট সদর উপজেলার ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে এসে আটক হন তানজিদ আহমদ, ছবি- বার্তা২৪.কম 

এসময় ক্রমাগত কিল ঘুষি ও উপর্যুপরি মারপিট করতে থাকলে এক পর্যায়ে সাংবাদিক রেজা রুবের জ্ঞান হারান। পরে উপস্থিত সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন।

এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কেন্দ্রের ভেতরে জাল ভোট দিতে এলে এক যুবককে আটক করে দায়িত্বরত ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

সাংবাদিকের ওপর হামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাইরে কারা কারা হামলা করেছে, সেটা আমার জানা নেই। কেন্দ্রের ভেতরে কোনো ঘটনা ঘটলে সেটার দায় আমি নেবো।

;

অ্যাম্বুলেন্সে এসে ভোট দিলেন ইব্রাহীম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
এম্বুল্যান্সে এসে ভোট দিলেন ইব্রাহীম

এম্বুল্যান্সে এসে ভোট দিলেন ইব্রাহীম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে অ্যাম্বুলেন্সে করে এসে ভোট দেন ইব্রাহীম আলম (৭০) নামে এক ভোটার।

বুধবার (০৮ মে) ভোট শেষ হওয়ার ৫ মিনিট পূর্বে এসে হরিপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। তার বাড়ি হরিপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামে।

ইব্রাহীম আলমের ছেলে রবিউল ইসলাম বলেন, ৬ দিন আগে আব্বা স্ট্রোক করে দিনাজপুর হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। গতকাল কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর শোনলেন কাল ভোট। তিনি বললেন, মরার আগে ভোটটা দিতে চাই। সে কারণে সরাসরি হাসপাতাল থেকে কেন্দ্রে এসে উনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়া হয়েছে।

অ্যাম্বুলেন্সে এসেও ভোট দিতে পেরে খুশির কথা জানালেন ইব্রাহীম।

হরিপুর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রিজাইডিং অফিসার আনোয়ার ইসলাম বলেন, তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ, হাঁটাচলা করতে পারছেন না৷ তবে তিনি স্বাভাবিক রয়েছেন৷ সে কারণে তার সন্তানকে সাথে রেখে তাকে ভোটাধিকার প্রদানের সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

;

উপজেলা নির্বাচন: ফুলগাজীতে ৬ ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ২৫ শতাংশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম ধাপের নির্বাচনে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলায় ভোট গ্রহণ চলছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া ভোটে উপজেলার প্রায় সকল কেন্দ্রেই ভোটার উপস্থিতি শূন্য। জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের দেয়া তথ্যানুযায়ী দুপুর ২টা পর্যন্ত ভোট কাস্টিং হয়েছে ২৫ শতাংশ।

বুধবার (৮ মে) সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় সবকয়টি কেন্দ্র ভোটার শূন্য। সকাল থেকে দুপুর অব্দি সময় গড়ালেও ভোটারহীন ছিল বেশিরভাগ কেন্দ্র। অলস সময় পার করছেন প্রিসাইডিং ও পোলিং অফিসাররা। ইতোমধ্যে বিশৃঙ্খলা ও জাল ভোট দেয়ার অপরাধে ১১ জনকে আটক করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

ভোটাররা বলছেন, এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুই প্রার্থীর মধ্যে সহজ জয়ের পথে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুন মজুমদার। ভোটের আগেই বিজয় নিশ্চিত থাকায় ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে নেই আগ্রহ ও কৌতুহল। নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী থাকলেও তেমন কাউকেই ভোটের মাঠে দেখা যায়নি।

রাকিবুল হক নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, ভোট আসলে আমেজ থাকে আগ্রহ থেকে। ফুলগাজীর নির্বাচন নিয়ে প্রচার প্রচারণা থেকেই কারও তেমন আগ্রহ নেই। সাধারণ মানুষের তো নেই, সাথে প্রার্থীদের ও নেই। কারন হেভিওয়েট কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নেই। যার কারনে ভোট শেষ পর্যায়ে হলেও ভোটাররা উল্লেখযোগ্যহারে কেন্দ্রে আসেননি।

জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার তানভীর আহমেদ জানান, রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী দুপুর ২টা পর্যন্ত ২৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে। উপজেলার সব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাল ভোট দেয়ার চেষ্টার অপরাধে ১১ জনকে আটক করা হয়েছে এবং একারনে কিছু ব্যালট পেপার বাতিল করা হয়েছে।

ফুলগাজী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইসমাত জাহান লিপি বলেন, এখন পর্যন্ত কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উপজেলায় একক প্রার্থী থাকায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে। আর দুইটি পদে ছয়জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ফুলগাজী উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লাখ ৬ হাজার ৫৭১ জন। এর মধ্যে ৫৪ হাজার ৭৬০ জন পুরুষ এবং ৫০ হাজার ৯১১ জন নারী ভোটার রয়েছে। নির্বাচনে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ৩২টি ভোট কেন্দ্রের ২৪৪ বুথে ভোট গ্রহণ চলছে।

;