ফিরছেন সোনালি বেন্দ্রে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সোনালি বেন্দ্রে

সোনালি বেন্দ্রে

  • Font increase
  • Font Decrease

তিন বছর আগে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খরবটি নিশ্চিত করে সকলকে চমকে দিয়েছিলেন তিনি। ক্যারিয়ার, স্বামী, সন্তান ও সংসার ছেড়ে চিকিৎসার জন্য পাড়ি জমিয়েছিলেন নিউইয়র্কে। সেখানেই নিচ্ছিলেন ক্যামোথেরাপি। এমনকী চিকিৎসার প্রয়োজনের নিজের চুল পর‌্যন্ত কেটে ফেলতে হয়েছে তাকে। কিন্তু কোনও কিছুই তাকে আটকে রাখতে পারেনি। সাহস নিয়ে প্রতি মুহূর্তের সঙ্গে মোকাবেলা করেছেন। যার ফল হিসেবে ক্যানসারের মতো মরণব্যাধিকে হারিয়ে দিয়েছেন। কথা হচ্ছে- বলিউড অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রেকে নিয়ে।

চমকপ্রদ তথ্য হলো- শিগগিরই কাজে ফিরতে যাচ্ছেন ক্যানসারজয়ী এই অভিনেত্রী। নাচের প্রতিযোগীতামূলক অনুষ্ঠান ‘ডিআইডি লিটল মাস্টার’র মধ্য দিয়ে কামব্যাক করতে যাচ্ছেন বলিউডের এই অভিনেত্রী। এতে বিচারকের দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে তিন বছর পর কাজে ফিরছেন সোনালি।

সোনালি বেন্দ্রের পাশাপাশি এই অনুষ্ঠানে বিচারকের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যাবে নৃত্যপরিচালক রেমো ডি’সুজা ও মৌনি রয়কে।

এদিকে, নাচের এই প্রতিযোগীতামূলক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সোনালি বেন্দ্রে তিন বছর পর হলেও, পাঁচ বছর পর ছোটপর্দায় ফিরলেন মৌনি রয়।

এরইমধ্যে প্রকাশ পেয়েছে ‘ডিআইডি লিটল মাস্টার’র প্রোমো। যেখানে গোলাপি রঙা পোশাকে সোনালি ও মৌনিকে এবং রেমোকে দেখা গেছে কালো রঙা পোশাকে।

জানা গেছে- ‘ডিআইডি লিটল মাস্টার’ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করবেন জয় ভানুশালি।

আগামী ১২ মার্চ থেকে প্রতি শনি ও রোববার রাত ৯টায় জিটিভিতে প্রচার হবে ‘ডিআইডি লিটল মাস্টার’।

   

চরকিতে চঞ্চল-তানজিকা-নাঈমের ‘কালপুরুষ’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
‘কালপুরুষ’-এর পোস্টার

‘কালপুরুষ’-এর পোস্টার

  • Font increase
  • Font Decrease

একদম বামে নিচের দিকে এক জোড়া রক্তাক্ত পা দেখা যাচ্ছে। প্রথম দেখে বোঝা দায় যার পা সে জীবিত নাকি মৃত। এই পা থেকে খানিকটা দূরে দাঁড়িয়ে আছে একজন কিশোরী ও একজন নারী। তারপর একজন লাল রঙা জ্যাকেট ও চোখে একটু ভিন্ন ধরনের চশমা পরা পুরুষ আছেন চেয়ারে বসে। আর একদম ডানে দাঁড়িয়ে আছেন আরেকজন পুরুষ। তার সামনেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কিছু রক্তের কণা।

যেটার বর্ণনা এতোক্ষণ করা হলো সেটা কোনো ক্রাইম জোনের না। এরকম দৃশ্যের দেখা মিলেছে চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘কালপুরুষ’-এর পোস্টারে। যেটা পরিচালনা করেছেন সালজার রহমান। গতকাল অর্থাৎ ২ মে বিকেলে চরকির অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করা এই পোস্টারটি। চঞ্চল চৌধুরী, এফ এস নাঈম, তানজিকা আমিনকে দেখা যাচ্ছে পোস্টারটি। তাদেরকে সহ এই সিরিজে দেখা মিলবে আরও অসংখ্য অভিনেতা-অভিনেত্রীর।

চরকি ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফিল্ম সিন্ডিকেট প্রায় একই সময়েই তাদের যাত্রা শুরু করে। আর চরকির শুরু থেকেই ‘ঊনলৌকিক’ নির্মাণ দিয়ে পাশে ছিল ফিল্ম সিন্ডিকেট। এ পর্যন্ত বেশ বেশ ভালো ও দুর্দান্ত কিছু কনটেন্ট নির্মাণ করে বাংলাদেশের কনটেন্ট জগতে একটা সাড়া ফেলেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। কিছুদিন আগে বেশ ঘটা করে ঘোষণা দেয়া হয় যে আগামী ৩ বছরে ফিল্ম সিন্ডিকেট চরকির জন্য নির্মাণ করবে ১০টি সিরিজ। সেই অনুযায়ী খুব শীঘ্রই চরকিতে মুক্তি পাবে এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের প্রথম সিরিজ ‘কালপুরুষ’।

‘কালপুরুষ’-এর পোস্টার

পরিচালক সালজার রহমান এর আগে নির্মাণ করেছেন বেশ কিছু জনপ্রিয় মিউজিক ভিডিও, বিজ্ঞাপনচিত্র। তবে ওটিটিতে কাজ এই প্রথমই। সিরিজের আইডিয়া বা গল্পের ধারণা তিনি কীভাবে পেয়েছেন এ প্রশ্নের উত্তরে সালজার বলেন, ‘অনেক আগে পুরানো ঢাকার একটি ওষুধের দোকান গিয়েছিলাম। সেখান থেকে নানা কারণে এই সিরিজের গল্পটা মাথায় আসে। এরপর কোভিডের সময় সিরিজটা লিখেছিলাম। তারপর নানা ঘটনার পর সিরিজটা লেখা শেষ হয়।‘

‘কালপুরুষ’ সিরিজের গল্পটা একদমই নতুন ও ভিন্ন ধারা। দর্শকের জন্য একদম নতুন কিছু নিয়েই হাজির হয়েছেন বলে জানান পরিচালক।

;

বলিউডে অভিষেক লগ্নে আসিফ বললেন, ‘সমূদ্রের মধ্যে আমি সামান্য ডিঙ্গি নৌকা’



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
যশরাজ স্টুডিওতে আসিফ আকবর /  ছবি : ফেসবুক

যশরাজ স্টুডিওতে আসিফ আকবর / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের আধুনিক গানের যুবরাজ বলা হয় আসিফ আকবরকে। দেশের জনপ্রিয় এই শিল্পীর ক্যারিয়ারে যোগ হলো নতুন পালক। এবার তার মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে অভিষেক হতে যাচ্ছে।

গত ২ মে রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তিনি নিজেই এ কথা জানিয়েছেন। ফেসবুক পোস্টে আসিফ লিখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ। মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমার অভিষেক ঘটেছে। প্রিয় বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছি। আল্লাহ মহান। ভালোবাসা অবিরাম।’

যশরাজ স্টুডিওতে আসিফ আকবর /  ছবি : ফেসবুক

এর ঠিক একদিন আগে অবশ্য তিনি কিছুটা রহস্য রেখে আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি কিছু ছবি পোস্ট করে লেখেন, ‘আজকে রেকর্ডিং ছিল বিখ্যাত যশরাজ স্টুডিওতে। এ আর রেহমান স্যারের স্টুডিও দেখে এবং সেখানে কাজ করার সুযোগ পেয়ে মন ভাল হয়ে গিয়েছিল। যশরাজ স্টুডিওতে কাজ করে মনে হচ্ছিলো সমূদ্রের মধ্যে আমি সামান্য ডিঙ্গি নৌকার মত ভেসে আছি। অনেক কথা লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে, পারছিনা, কাজের পরিবেশ আর পেশাদারীত্ব দেখে ইমোশনাল হয়ে গেছি। এই ঘোর কাটতে সময় লাগবে। শুধু এটুকু বলতে পারি - আপনারা দোয়া করেছেন, আপনাদের দোয়া ব্যর্থ হয়নি, ইনশাআল্লাহ ব্যর্থ হতে দিবোনা যতদিন সুস্থ্য থাকি। ভালবাসা অবিরাম।’

যশরাজ স্টুডিওতে আসিফ আকবর /  ছবি : ফেসবুক

এমন সুখবর পেয়ে বাংলা গানের এ যুবরাজের ভক্ত ও শুভাকাঙ্খিরা তাকে শুভ কামনা জানিয়েছেন। আহমেদ শিপন নামে একজন লিখেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। এটা বাংলাদেশের জন্য বড় সম্মানের এবং গর্বের বিষয়।

সুস্ময় কুমার দাস নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘আপনার মতো মহান শিল্পীর জন্য বাংলাদেশ গর্বিত। আরও অনেক দূর এগিয়ে যান। শুভ কামনা রইল সিলেট থেকে। ভালোবাসা অবিরাম।’

যশরাজ স্টুডিওতে আসিফ আকবর /  ছবি : ফেসবুক

আসিফ তার গানের বিষয়ে বিস্তারিত এখনই জানাননি। হয়তো কিছুদিনের পর সবকিছু বিস্তারিত জানা যাবে। তবে কিছু দিন আগেই মুম্বাইয়ে পাড়ি জমিয়েছেন আসিফ আকবর। সম্প্রতি অস্কারজয়ী ভারতীয় সুরকার এ আর রহমানের মুম্বাইয়ের স্টুডিওতে তার গান রেকর্ড হয়।

গত ২৭ এপ্রিল ঢাকা থেকে মুম্বাইয়ে পাড়ি জমান আসিফ। এর আগে ২৪ এপ্রিল লেবাননে একটি গানের শো করেন ‘ও প্রিয়া তুমি কথায়’খ্যাত গায়ক।

যশরাজ স্টুডিওতে আসিফ আকবর /  ছবি : ফেসবুক

এর আগে গেল বছর বলিউডের শ্রেয়া ঘোষালের সাথে গাওয়ার কথা ছিলো তার। যদিও শেষ পর্যন্ত সেসময় তা ঘটেনি। তবে এবার আসিফের সহশিল্পী হিসেবে কি শ্রেয়া ঘোষাল আছেন কিনা, তা জানা সম্ভব হয়নি।

;

দর্শকপ্রিয়তায় সেরা নাটকের তালিকায় "ইতি তোমার আলো"



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
দর্শকপ্রিয়তায় সেরা নাটকের তালিকায় "ইতি তোমার আলো"

দর্শকপ্রিয়তায় সেরা নাটকের তালিকায় "ইতি তোমার আলো"

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যতিক্রমধর্মী গল্প ও সুনিপূণ নির্মাণে দর্শকপ্রিয় নাটকগুলোর একটি হিসেবে বিশেষ আলোচনায় এসেছে নাটক "ইতি তোমার আলো"। সমাজের রুঢ় বাস্তবতা, প্রেম, হতাশা আর সম্পর্কের টানাপোড়েনে সুন্দর গল্পের নাটকটি দর্শক মনে আন্দোলিত করেছে। শহরের অলিগলিতে ঘুরে বেড়ানো কিছু চিরচেনা চরিত্রকে যেন আমরা খুঁজে পাই এই নাটকে। গল্পের শক্ত গাঁথুনি ও প্রতিটি দৃশ্যের আবেগময় সংলাপে মন জুড়ে যায় দর্শকদের। নাটকটি পরিচালনা করেছেন বর্তমান সময়ের প্রতিভাবান তরুণ পরিচালক সেলিম রেজা। নাটকটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য নিয়ে কাজ করেছেন সায়েম খান।

নাটকটি নিয়ে পরিচালক সেলিম রেজা বলেন, "ইতি তোমার আলো" আমার ভাল কাজগুলোর মধ্যে একটি। এই গল্পটি শোনার পরই কেন যেন মনে হয়েছে এটি সমাজ সংসারে সাধারণ মানুষের অসাধারণ গল্প। আমি সায়েম খানের গল্পটি চিত্রায়িত করেছি অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে। কারণ সমাজে একজন পতিতার মাঝেও সুখের সংসারের স্বপ্ন থাকে। মা হওয়ার ইচ্ছা জাগে। পরিস্থিতির স্বীকার হয়ে সেই ইচ্ছার জলাঞ্জলি দিয়ে সে ফিরে যায় তার অন্ধকার জীবনে। এই নাটকটিতে সকল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের অভিনয় ছিল অনবদ্য। বিশেষ করে "আলো" নাম ভূমিকায় অভিনেত্রী প্রিয়ন্তী উর্বির অভিনয় দেখে আমি পরিচালক হিসাবে খুবই অভিভূত।"

নাটক প্রসঙ্গে চিত্রনাট্যকার সায়েম খান বলেন, 'এই নাটকের গল্পটি আসলে চেনা মানুষের অচেনা গল্প। যে গল্পে প্রেম থেকে জেগে উঠে বিরহ। কল্পনার জগতে হারাতে হারাতে বিমোহিত হওয়ার একটা সময়ে মানুষ হতাশার খাদে আটকে আবার ফিরে যায় তার পুরাতন রূপে। আলো চরিত্রটি ঠিক এমনই। নাটকটি নির্মাণে পরিচালক সেলিম রেজাকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। কারণ গল্পটি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তিনি চরিত্রগুলোকে তার নিজের মাঝে ধারণ করেছেন।'

"ইতি তোমার আলো" নাটকটিতে অভিনয় করতে পেরে খুবই উচ্ছ্বসিত হালের দর্শক নন্দিত ব্যস্ত অভিনেত্রী প্রিয়ন্তী উর্বি। তিনি বলেন, 'দর্শক আমার অভিনীত এই নাটকটি খুব ভালভাবে গ্রহণ করেছেন জানতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। এটি আমার জীবনে অভিনয় করা ভাল নাটকগুলির মধ্যে একটি হয়ে রইল। ভাল নাটকে ভূয়সী প্রশংসা পাওয়াই একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রীর জীবনে পরম পাওয়া। তাই "ইতি তোমার আলো" নাটকটি আমার জীবনে স্মরণীয় হয়ে রইল।"

জনপ্রিয় অভিনেতা শাশ্বত দত্ত বলেন, "ইতি তোমার আলো" নাটকে আমি উর্বির বিপরীতে অভিনয় করেছি। দুর্দান্ত একটি গল্প নিয়ে পরিচালক সেলিম রেজা নাটকটি সুচারুভাবে নির্মাণ করেছেন। নাটকটি নিয়ে মানুষের ইতিবাচক আলোচনা আমাকে ভাল গল্পের কাজের প্রতি আগ্রহ আরও এক ধাপ বাড়িয়ে দিল।

প্রিয়ন্তী উর্বি ও শাশ্বত দত্ত ছাড়াও এই নাটকে আরও অভিনয় করেছেন সেজুতি খন্দকার, রিমু রোজা খন্দকার, তানহা ইয়াসমিন ও ইনায়া আজরা।

ফিল্ম ফ্যাক্টরী এর ইউটিউব চ্যানেলে নাটকটি অবমুক্ত করা হয়েছে।

নাটকের লিংকঃ
https://www.youtube.com/watch?v=h0xI5plbLp8&t=2079s

;

শুটিংয়ে যাওয়ার আগের দিন জানতে পারি আমি ‘শ্যামাকাব্য’র শ্যামা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

নীলাঞ্জনা নীলা / ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

২০১৪ সালে লাক্স চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগীতায় বিজয়ীদের একজন হয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু করেন নীলাঞ্জনা নীলা। সেই প্রতিযোগীতার বিচারক ছিলেন সুবর্ণা মুস্তাফা। পরবর্তীতে এই গুণী শিল্পীর প্রযোজিত ছবি ‘গহীন বালুচর’-এর মাধ্যমেই বড়পর্দায় আত্মপ্রকাশ হয় নীলার। আজ (৩ মে) সুবর্ণা মুস্তাফা প্রযোজিত আরেক সিনেমা ‘শ্যামাকাব্য’র নায়িকা হয়ে বড়পর্দায় আসছেন মিষ্টি হাসির নীলা। এই ছবি নিয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ


আপনি কম কাজ করেন, কিন্তু বেছে বেছে ভালো মানের কাজের সঙ্গেই নিজেকে যুক্ত করেন। সেদিক থেকে ‘শ্যামাকাব্য’র নাম ভূমিকায় কাজ করলেন। বিষয়টি নিয়ে আলাদা কোন চাপ অনুভব করছেন?


না না। শুটিং ডাবিং সব শেষে প্রমোশনের সময়ই আমি এই বিষয়টি খেয়াল করেছি। ‘শ্যামাকাব্য’র শ্যামা তো আমিই, তার মানে আমি নাম ভূমিকায় (হাহাহা)।

নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

আপনি পরিচালক বদরুল আনাম সৌদের সিনেমা ও নাটকে বেশকিছু কাজ করেছেন। কিন্তু এই ছবিতে নাকি তিনি আপনাকেই সবশেষে নিয়েছেন। কারণ কী?


আসলে নির্মাতা সৌদ ভাইয়া আমাকে শুরুর দিকে শ্যামা চরিত্রে কল্পনা করতে পারছিলেন না। তার চোখে শ্যামা একটি শ্যাম বর্ণের মেয়ে। মেকাপের সাহায্যে সেটি তিনি করতে চাচ্ছিলেন না। তাই একটি শ্যাম বর্ণের মেয়েকেই খুঁজছিলেন। তারপরও আমাকে অডিশনের সুযোগ দেন। আমি অডিশনে ফেল করি। এরপর তিনি অন্য একজনকে নিয়েছিলেন। পরে কাজে নামার পর দেখা যায়, তিনি চরিত্রটি করতে ফেল করছেন। এরপর আমাকে আবারও ডাকা হয়। যেহেতু গল্পটি ততোদিনে আমার জানা হয়ে গেছে, তাই চরিত্রটি আমি ফিল করতে পারছিলাম। সেটি দেখে একদম আমাকে ছবিটিতে নেয়া হয়। শুটিংয়ে যাওয়ার আগের দিন জানতে পারি আমি ‘শ্যামাকাব্য’র শ্যামা!

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

ছবিটি করার সময় কি মনে হয়েছে, আগে থেকে জানতে পারলে আপনি আরও বেশি প্রস্তুত হতে পারতেন?


হ্যাঁ। আরও সময় পেলে আমি ধীরে ধীরে চরিত্রটি হয়ে উঠতাম, এরপর সেটে যেতাম। যেহেতু সেটি হয়নি, তাই আমাকে শুটিংয়ের সময় এক্সট্রা প্রেসার নিতে হয়েছে। আমি অনেক বেশি ডেডিকেটেড ছিলাম, সর্বোচ্চ দিয়ে চরিত্রটি হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। নির্মাতা, সহশিল্পী থেকে শুরু করে সেটের সবাই আমাকে ভীষণ হেল্প করেছেন। তাছাড়া এই গল্পটি নিয়ে সৌদ ভাইয়া যখন কাজ শুরু করেন, আমি তখন অডিশন দেওয়ার সুবাদে গল্পটি জানতাম। শ্যামা আমি করতে পারব কিনা, সেটি না জানলেও চরিত্রটি নিয়ে নিজের মধ্যে এক ধরনের প্রস্তুতি শুরু করেছিলাম। সবমিলিয়ে ফলাফল যেটা দাঁড়িয়েছে, সেটি খারাপ হয়নি। সৌদ ভাই এমন একজন নির্মাতা, তিনি যদি আমার পারফরমেন্সে সন্তুষ্ট না হতেন তবে দরকার পড়লে শুটিং পিছিয়ে দিতেন। তারপরও ছবির মানের দিকে কম্প্রোমাইজ করতেন না।

নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

‘শ্যামাকাব্য’র গল্প পড়েই এর প্রেমে পড়েছিলেন। আপনার চরিত্র ‘শ্যামা’র কোন দিক আপনাকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করেছে?


‘শ্যামা’র মতো মেয়েকে সচারচর আমরা দেখি না। শ্যামা এমন একটি মেয়ে, যার জীবনে অনেক সমস্যা। কিন্তু তারমধ্যেও সে প্রচন্ড ধীরস্থির। একইসঙ্গে সুন্দরী এবং বুদ্ধিমতী। যার সঙ্গে কথা বলতে সবার আরাম লাগে, একটা স্বস্তির জায়গা পাওয়া যায়। শ্যামা’র এই দিকটিই আমার খুব ভালো লেগেছে।


সব কাজেই চ্যালেঞ্জ থাকে। ‘শ্যামাকাব্য’ করার এমন কোন চ্যালেঞ্চের কথা শোনাবেন?


শুটিংয়ের প্রথম দুই দিন ছিল আমার জন্য সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং। কারণ আমি আগেই জানিয়েছি, এই ছবিতে আমার থাকারই কথা ছিল না। হুট করেই এমন একটি মনস্তাত্ত্বিকভাবে জটিল চরিত্র নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানো সত্যিই চ্যালেঞ্জের বিষয়। আর ছবিটিতে বেশিরভাগ শটই অনেক লম্বা লম্বা। তারওপর সংলাপনির্ভর ছবি এটি। এছাড়া আমার মতো ফর্সা মেয়েকে শ্যাম বর্ণ করার জন্যও এক বিরাট ঝঞ্জাট পোহাতে হয়েছে সবাইকে। একপর্যায়ে আমি নির্মাতাকে বলেই বসি, আমি আসলে পেরে উঠছি না। আমাকে কিছুটা সময় দিন। পরে অবশ্য আমাকে সময় দেওয়া হয়, একদিন মাত্র (হাহাহা)। তারপরও ওই একদিনে অনেকটাই নিজেকে গুছিয়ে নিতে পেরেছিলাম।

সোহেল মণ্ডল ও নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

ছবিতে সোহেল মণ্ডলের বিপরীতে অভিনয় করেছেন। কেমন অভিজ্ঞতা?


সোহেলের সঙ্গে আগেও আমি কাজ করেছিলাম টেলিভিশনের জন্য। সে আসলে খুবই হেল্পফুল। এজন্য আমার তো তাকে ভীষণ পছন্দ। আমাদের বোঝাপড়ার জায়গাটা ভালো। আমারদের কেমেস্ট্রিতো আমার ভালো লেগেছে, দৃঢ় বিশ্বাস দর্শকেরও খুব ভালো লাগবে।

নীলাঞ্জনা নীলা /  ছবি : নূর এ আলম

দর্শকের উদ্দেশ্যে কী বলার আছে?


সবাই হলে গিয়ে সিনেমাটি দেখুন। আমার বিশ্বাস কেউ নিরাশ হবেন না। কারণ এই গল্পে একটা ব্যাপার আছে। সিনেমাটি দেখতে দেখতে মনে হবে একটা বই পড়ছি।

;