প্রখ্যাত গায়ক ও স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কন্ঠযোদ্ধা রফিকুল আলম। আজ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে নতুন একটি দেশের গান উপহার দিয়েছেন তিনি। ‘স্বাধীনতা’ শিরোনামে গানটি লিখেছেন এবং সুর করেছেন প্রয়াত রক লিজেন্ড আইয়ুব বাচ্চু। সংগীতায়োজন করেছেন রফিকুল আলমের ছেলে ফরশিদ আলম, যিনি নিজেও একজন গায়ক, সুরকার এবং বেইস প্লেয়ার।
গানটি স্বাধীনতাকে মহিমান্বিত করার কথা বলে। এ দেশের মানুষের কাছে রক্তের বিনিময়ে কেনা এই স্বাধীনতার মূল্য কতোখানি? সেই প্রশ্নও উঠে এসেছে এই গানে। ‘স্বাধীনতা’ গানটি রফিকুল আলমের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে আজ ২৬ মার্চ সকালে।
রফিকুল আলম আইয়ুব বাচ্চুকে বাংলাদেশের ‘ভ্যান হ্যালেন’ বলে ডাকতেন। গানটি তৈরীর নেপথ্যের কথা জানতে চাইলে রফিকুল আলম বলেন, ‘২০০৫ সালে আমি আর বাচ্চু অন্য একটি কাজ করছিলাম। কাজের ভেতরেই বার বার একসাথে একটা গান করার কথা ঘুরে ফিরে আসছিল। অনেক আলোচনার পর হঠাৎ বাচ্চু একদিন নিজের গলায় গানটি গেয়ে আমাকে রেকর্ড করার কথা বলে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে গানটা করা হয়নি। এরপর তো বাচ্চুর হঠাৎ চলে যাওয়াটাও অনেক কষ্টের ছিল।’
বাবার সাথে এই প্রথম কোন গানের কাজ করলেন ফারশিদ। তিনি বলেন, “আইয়ুব বাচ্চুর কম্পোজিশনে ওয়েস্টার্ন এবং ইস্টার্ন গানের স্বাদ সবসময় সমানভাবে বিদ্যমান থাকে। কিন্তু এই গানে উনি তা করেননি। যেহেতু আমার বাবা গানটি গাইছেন, তাই ওয়েস্টার্ন দিকটা উনাকে কম ভাবতে হয়েছে। ফলে আমার জন্য কাজটা কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ আমিও ওয়েস্টার্ন ধাঁচের মিউজিক নিয়েই বেশি চর্চা করি। তারপরও চেষ্টার ত্রুটি ছিল না। আশা করি গানটির প্রতি সুবিচার করতে পেরেছি। খুব ভালো লাগত যদি একবার যদি আইয়ুব বাচ্চুকে গানটি শোনাতে পারতাম।’
রফিকুল আলম বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত প্লেব্যাক গায়ক। পণ্ডিত হরিপদ দাসের কাছে তার হাতেখড়ি। অনেক বিখ্যাত সঙ্গীতপরিচালকদের সাথে কাজ করেছেন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র ছিল তার যাত্রাপথের একটি মাইলফলক। সে সময়ে তিনি গণসঙ্গীত ও একক কন্ঠে গেয়েছেন। অনেক কালজয়ী গান গেয়েছেন, যার মধ্যে ‘মোদের গরব মোদের আশা’ ছিল অন্যতম।
জনপ্রিয় লাক্স তারকা ফারিয়া শাহরিন। দীর্ঘদিনের অভিনয় ক্যারিয়ারে সুঅভিনয় নিয়ে দর্শকের হৃদয় জয় করেছেন। স্পষ্ঠভাষী হিসেবেও আলাদা পরিচিতি রয়েছে এই গ্ল্যামার গার্লের। তার অভিনীত ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ ধারাবাহিকের অন্তরা চরিত্রটি তরুণ প্রজন্মের কাছে দারুণ জনপ্রিয়।
চার বছর প্রেমের সম্পর্ক শেষে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মাহফুজ রায়ানের সঙ্গে বাগদান হয় লাক্স তারকা ফারিয়া শাহরিনের। এরপর গত বছরের জুলাইয়ের বিয়ের খবর জানান তিনি। আর আজ বিশ্ব মা দিবসের সকালে ফারিয়া জানান, তিনি নিজেই মা হতে যাচ্ছেন।
ফারিয়া তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বিসমিল্লাহ। হ্যাপি মাদারস ডে টু মি’। ফারিয়ার কাছ থেকে এমন খবর পেয়ে বিনোদন অঙ্গনে তার বন্ধু-শুভাকাঙ্ক্ষীরা অভিনন্দন ও শুভকামনা জানিয়েছেন।
২০০৭ সালে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্সআপ হয়েছিলেন ফারিয়া। একটি মুঠোফোন কোম্পানির ‘কথা দিলাম’ প্যাকেজের বিজ্ঞাপনচিত্র তার পরিচিতি বাড়িয়ে দেয়। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও।
বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক তারকাদের নিয়ে হবে ফোবানা সম্মেলন : অন্তর শোবিজ
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
বাংলাদেশের শোবিজ কালচারকে বিশ্বের দরবারে সম্মানের সঙ্গে তুলে ধরার অন্যতম প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত ‘ফোবানা সম্মেলন’। এই সম্মেলনের এক্সক্লুসভি ইভেন্ট পার্টনার হিসেবে বিগত ১২ বছর যাবত সম্পৃক্ত বাংলাদেশের স্বনামধণ্য অর্গানাইজেশন ‘অন্তর শোবিজ’।
প্রায় প্রতি বছরের মতো এবারও যুক্তরাষ্ট্রে আয়োজিত হতে যাচ্ছে এই সম্মানজনক কালচারাল অ্যাসোসিয়েশন। আগামী ৩০ আগস্ট থেকে আমেরিকায় শুরু হচ্ছে ৩ দিনের ফেডারেশন অব বাংলাদেশী এসোসিয়েশন ইন নর্থ আমেরিকা, ফোবানা সম্মেলন।
অন্তর শোবিজের চেয়ারম্যান স্বপন চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ব বাঙালীর এক মহামিলন মেলার নাম ফোবানা সম্মেলন। উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত বাঙালীদের কাছে এক আবেগ ও অনুভূতির নাম। আগামী ৩০ ও ৩১ আগস্ট এবং ১ সেপ্টেম্বর হোটেল হিলটন, ওয়াশিংটন ডিসি, গেইতিজবারগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ৩৮তম ফোবানা কনভেনশন।’
এবারের কনভেনশনেও উপস্থিত থাকবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের খ্যাতমিান তারকাসহ বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বাংলাদেশী বিজনেস পারসনদের জন্য রয়েছে আমেরিকাসহ সারা পৃথিবী থেকে আগত বিজনেস পারসনদের সাথে ওপেন ডিসকাশন, বিজনেস আইডিয়া শেয়ার ও বিজনেস এক্সচেঞ্জের অবাধ সুযোগ।পুরো কনভেনশন জুড়ে মিউজিকাল কনসার্ট, ফ্যাশন শো, সেমিনার, কমেডি শো, ট্রেড ফেয়ার বুক ফেয়ার, বাংলাদেশী ফিল্ম ফেস্টিভালের আয়োজন থাকছে।
রাজধানীবাসী সবচেয়ে যে বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তিতে থাকেন তা হলো ঢাকার রাস্তার ‘জ্যাম’। এই বিষয়কে উপজীব্য করে এবার এক ধুম ধাড়াক্কা গান নিয়ে হাজির জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী জাকিয়া সুলতানা কর্ণিয়া। দুদিন আগেই ছিল এই তারকার জন্মদিন। এসব নিয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা কলেছেন তিনি। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ
আপনার এবারের জন্মদিনটি কেমন কাটলো?
জন্মদিন ছিল কয়েকদিন আগেই। প্রতিবারের মতো এবারও কাছের মানুষজন, আমার ভক্ত-দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছি। এবার জন্মদিনের আগেই ‘ঢাকাতে জ্যাম’ মিউজিক ভিডিওটি প্রকাশ করেছি। এটা বলতে গেলে আমার পক্ষ থেকে দর্শকদের জন্য জন্মদিনের ট্রিট ছিল।
গত ৩ মে আপনার ‘ঢাকাতে জ্যাম’ মুক্তি পেয়েছে। এই কয়দিনে কেমন সাড়া পেলেন?
আসলে মুক্তির আগেই কিন্তু গানটির বেশ হাইপ ছিল। কারণ এটি কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল ও স্টেজে গেয়েছিলাম। তখন থেকেই দর্শক গানটির ভিডিওর লিংক চাইতো। সেই চাওয়া পূরণ করার জন্যই মিউজিক ভিডিও করা। আর সেটি পেয়ে দর্শকরাও বলছেন, তারা এটি আগেও খুঁজেছেন। এই অল্পদিনে আমি সত্যিই দারুণ রেসপন্স পেয়েছি। মিউজিক ভিডিওটি সবাই খুব উপভোগ করছে। সবচেয়ে মজা পেয়েছি সবাই যখন আমাকে বলছে, আরে আপনি তো ঢাকাতে আরও বেশি জ্যাম লাগিয়ে দিলেন (হাহাহা)!
এ গানে আপনার পরা লেহেঙ্গা নিয়ে খুব চর্চা হচ্ছে। কোন চিন্তা থেকে লেহেঙ্গাটা করা?
আপনি ঢাকার কথা চোখ বন্ধ করে চিন্তা করুন, সে চিত্রগুলো দেখতে পাবেন তারমধ্যে প্রথমেই আসবে ঢাকার রাস্তার লম্বা জ্যাম। আর সেই জ্যামে সারি সারি রঙিন হুডওয়ালা রিকশা! রিকশা আমাদের দেশের কালচারাল হেরিটেজের অংশও বটে। সেই চিন্তা থেকেই ‘ঢাকাতে জ্যাম’ গানে রিকশা মোটিফের পোশাক পরতে চেয়েছিলাম। পরে অতোশত না ভেবে সরাসরি যেখানে রিকশার হুড বানায় সেখানে গিয়ে মেটারিয়েল কিনে এনে তা কেটে দর্জি দিয়ে সেলাই করে ল্যাহেঙ্গা বানিয়ে ফেলেছি। যে জুতাটা পরেছিলাম সেটিরও মজার গল্প আছে। ফেলে দেব বলে ভেবেছিলাম, পরে সেটিকেই নতুন আদল দিয়ে এই গানে ব্যবহার করেছি। আমরা যে সাসটেইবল ফ্যাশনের কথা বলি, এই গানে আমি প্রকৃত অর্থেই সেটি করতে পেরেছি! আমার আইডিয়াটা গানের আমেজের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়েছে। এজন্যই হয়ত সবাই এতো পছন্দ করছে।
এ ভিডিওতে নায়িকাদের মতো পারফর্ম করেছেন? শুটিং অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
শুধু মিউজিক ভিডিও নয়, স্টেজে গাইতে গেলেও আমি পারফর্ম করতে পছন্দ করি। আর এ গানটিও এমনিতেই এনার্জিটিক। ফলে এখানে যেমন পারফর্ম ডিমান্ড করে আমি সেভাবেই করার চেষ্টা করেছি। তবে গানটি খুব বড় ছিল বলে একা অতোখানি পারফর্ম করতে চাইনি। তাই আমার সঙ্গে দুজন পেশাদার মডেল কাস্ট করেছি। একজন নবাগত চিত্রনায়ক শিশির সরদার, অন্যজন নাফিজা নুসরাত। তারা দারুণ পারফর্ম করেছেন।
আর শুটিং করেছি রাজধানীর গুলশান চৌরাস্তার মোড়ে, তেজগা মেইন রোডে এবং মিরপুরের সুন্দর সাজানো গোছানো একটি গলিতে। ভীষণ গরমের মধ্যে এমন জমকালো পোশাক পরে মেইন রোডে শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা কেমন বুঝতেই পারছেন। তবে বাংলাদেশ পুলিশের অনুমতি নিয়ে কাজটি করেছি বলে তারা আমাকে ভীষণ সহায়তা করেছেন। নয়ত এভাবে মেইন রোডে শুটিং করা সম্ভব হতো না। দুদিন শুটিং করে পুরো কাজ শেষ করেছি।
ব্যয়বহুল ভিডিওটি নিজের আয়োজনে করে নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেল ‘কর্ণিয়া’তে প্রকাশ করেছেন। চ্যানেলটি তুলনামূলক নতুন। রেভিনিউ উঠে আসার ব্যাপারটায় একটু চাপ হয়ে গেল না?
হ্যা, এটা সত্যি যে এই মিউজিক ভিডিওটি বেশ ব্যয়বহুল। তবে আমি নিজের চ্যানেলে দিয়েছি বলে কোন চাপ অনুভব করছি না। কারণ, শুধুমাত্র রেভিনিউ তুলে আনার জন্য গান করি না। আমি শিল্পী, আমার কাজই হলো শৈল্পিক স্বত্তাকে তৃপ্ত করা। সেদিক বিবেচনায় এই গানটি একটি বড় আয়োজনের ভিডিও ডিমান্ড করছিল। এজন্য কাজটি এভাবে করেছি। ফাইনাল যে আউটপুট আমি পেয়েছি তাতে খুব খুশি। দর্শক পছন্দ করছে, এজন্য সব কষ্ট সার্থক মনে হচ্ছে।
শাকিব খান আপনাকে অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সম্প্রতি এমন একটি খবর এসেছে গণমাধ্যমে। এ প্রসঙ্গে কি বলবেন?
প্রথমেই বলে নিতে চাই, শাকিব খান সরাসরি আমাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন এমনটি নয়। তাছাড়া যে প্রস্তাবটি আমি তার ছবিতে কাজ করার জন্য পেয়েছিলাম, সেটি কোন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় নয়। প্রথমে তার একটি সিনেমায় (অবশ্যই ছবিটির নাম এখন আর বলতে চাই না) একটি গান গাওয়ার প্রস্তাব পাই। সেটি পাওয়াটা স্বাভাবিক। বেশ রিদমিক গান ছিল সেটি, আমি যে ধরনের গান বেশি করি আর কি। ফলে সিনেমা সংশ্লিষ্টরা আমাকেই অনুরোধ করেন, সেই গানের ভিডিওতে যেন আমি পারফর্ম করি। কিন্তু সে সময় আসলে নিজেকে বড়পর্দায় দেখার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। এজন্য তাদের বিনয়ের সঙ্গে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দিই। পরে অবশ্য সেই গানটিও আর আমার গাওয়া হয়নি!
মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেত্রী সুষমা সরকার। বেছে বেছে ভালো গল্প ও চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি অভিনয় শুরু করেন মেধাবী নির্মাতা তুহিন হোসেনের পরিচালনায় মাছরাঙা টেলিভিশনের ধারাবাহিক নাটক ‘ক্যাম্পাস’-এ। এরইমধ্যে ধারাবাহিকটি সময়ের অন্যতম আলোচিত নাটকের তকমা পেয়েছে।
আগামী ১৩ মে নাটকটি ১০০ পর্ব অতিক্রম করবে। দর্শকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কাস্টিং ও গল্পে আসছে নতুন নতুন চমক। ১০০ পর্বের পর থেকে গল্পের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে যুক্ত হবে সালহা খানম নাদিয়া, সাজু খাদেমসহ আরো অনেকে।
নাটকটি ১০০ পর্ব পর্যন্ত পৌঁছানোর আনন্দ উদযাপনের জন্য আজ (১১ মে) রাতে নাটকের অভিনেতা, অভিনেত্রী ও কলাকুশলীদের নিয়ে এক আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে।
নির্মাতা তুহিন হোসেন জানান, ‘নাটকটি দর্শকমহলে দারুন সাড়া ফেলেছে। গত বছর ১৭ ডিসেম্বর নাটকটি সম্প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকে শোবিজসহ সর্বমহলের দর্শকের কাছে নাটকটি আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে।’
পরিচালকের ভাষ্যমতে, ক্যাম্পাসের গল্পটি সর্বশ্রেনীর দর্শককে ভাবাবে। আর সে কারণেই এই গ্রহনযোগ্যতা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।
সুষমা সরকার বলেন, ‘আমি ধারাবাহিকে অভিনয় করতে গেলে খুব বাচ-বিচার করি। কারণ ধারাবাহিকে অভিনয় করলে সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিন পর্দায় উপস্থিত থাকতে হয়। তা দর্শকের চোখে পড়েই যায় কোন না কোন সময়। কাজটি যদি ভালো না হয় তাহলে সুনাম নষ্ট হওয়ার ভয়ও তাই বেশি। তাছাড়া আজকাল ধারাবাহিক নাটকের ধারাবাহিকতা থাকে না। সেদিক থেকে ‘ক্যাম্পাস’-এ কাজ করাটা আমার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। নির্মাতা খুব সুন্দরভাবে গল্পটি টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।’
এ ধারাবাহিকে সুষমার চরিত্রটিও বেশ মজার। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন আবেদনময়ী শিক্ষিকার ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। খানিকটা বলিউডের ‘ম্যায় হু না’ সিনেমার সুস্মিতা সেনের চরিত্রের মতো। শিক্ষকরা তো বটেই, ছাত্ররাও তার প্রেমে পাগল। ছাত্রের ভূমিকায় পাভেল আর শিক্ষিকার ভূমিকায় সুষমার রসায়ন পছন্দ করেছে দর্শক।
নাটকটিতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, চাষী আলম, আহসান হাবিব নাসিম, মিহি আহসান, শিবলী নোমান, নাইমা আলম মাহা, ফরহাদ বাবু ও আরো অনেকে। নাটকটি চিত্রায়িত হয়েছে রাজাশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী ও ঢাকার বিভিন্ন নয়নাভিরাম স্থানে। নাটকটি রচনা করেছেন আওরঙ্গজেব।