ঈদে চঞ্চলের মুখোমুখি চঞ্চল!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ওটিটি কনটেন্ট ‘মনোগামী’ ও ‘রুমি’তে চঞ্চল চৌধুরী

ওটিটি কনটেন্ট ‘মনোগামী’ ও ‘রুমি’তে চঞ্চল চৌধুরী

  • Font increase
  • Font Decrease

ক’দিন পরই ঈদুল ফিতর। সেই আনন্দ উৎসব আরও বেশি রাঙিয়ে নিতে নতুন কাজের পসরা সাজাচ্ছেন শোবিজ তারকারা। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।

এখনও পর্যন্ত খবর অনুসারে, এবারের ঈদুল ফিতরে প্রায় এক ডজন ছবি মুক্তি পাবে বড় পর্দায়। তবে শেষমেশ সংখ্যাটা অর্ধেকে নেমে আসতে পারে বলে অনুমান করছেন সিনেবাসীরা। এর বাইরে টিভি পর্দায় থাকছে নতুন নাটক-টেলিফিল্মের জোয়ার। প্রায় ছয়’শ নাটক প্রচার হবে বলে জানা গেছে।

এদিকে সিনেমা-টিভির পাশাপাশি ওটিটি প্ল্যাটফর্মও এখন প্রভাবশালী জায়গা করে নিয়েছে। দর্শক নতুন ওটিটি কনটেন্টের জন্য মুখিয়ে থাকে। এবারের ঈদে তাই একাধিক প্ল্যাটফর্মেই আসছে বিভিন্ন সিনেমা-সিরিজ। এর মধ্যে আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে হইচই-এর সিরিজ ‘রুমি’ ও চরকি’র সিনেমা ‘মনোগামী’। মজার ব্যাপার হলো, দুটি কনটেন্টের মূল তারকা চঞ্চল চৌধুরী। ফলে ঈদের ওটিটি অঙ্গনে তিনিই যেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী!

‘মনোগামী’ নির্মাণ করেছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এটি চরকির মিনিস্ট্রি অব লাভ প্রকল্পের তৃতীয় সিনেমা। এতে চঞ্চলের সঙ্গে অভিনয় করেছেন গায়িকা জেফার। এটি জেফারের প্রথম ছবি। এছাড়া চঞ্চলের পুত্র শুদ্ধকেও দেখা যাবে ছবিটিতে। চাঁদরাতে অর্থাৎ ঈদের আগের রাতেই ছবিটি মুক্তি পাবে।

‘মনোগামী’তে জেফার ও চঞ্চল

এই ছবি নিয়ে চঞ্চলের বক্তব্য এরকম, “মনোগামী’র চিত্রনাট্য পড়ার পর রাত একটা-দেড়টার দিকে আমি ফারুকী ভাইকে একটা মেসেজ দিয়েছিলাম যে, আপনার জীবনের সমস্ত ঘটনা এভাবে লিখে দিলেন! আর সেখানে আমাকে দাঁড় করিয়ে দিলেন! এই গল্পের মধ্যে জীবন, বাস্তবতা, লুকোচুরি, যাই বলেন না কেন; যে কথাগুলো আমরা আসলে স্বীকার করি না, সেই সব বিষয় আছে। আবার এর সঙ্গে আনন্দ, টুইস্টও আছে।”

অন্যদিকে ‘রুমি’ বানিয়েছেন ভিকি জাহেদ। এই প্রথম চঞ্চলকে নিয়ে কোনও প্রজেক্ট নির্মাণ করলেন তিনি। ফলে দুজনের ভক্তরাই আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে কাজটি দেখার জন্য।

এই সিরিজে একজন অন্ধ গোয়েন্দার চরিত্রে অভিনয় করেছেন চঞ্চল। এটি নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমি আগে বিভিন্ন সিরিজে যেসব চরিত্রে হাজির হয়েছি, রুমি তার চেয়ে একেবারে আলাদা। এ কারণে আমি অনেক বেশি উচ্ছ্বসিত। আমি তো কখনও অন্ধের চরিত্রে সেভাবে অভিনয় করিনি। প্রায় পনেরো বছর আগে টিভি নাটকে করেছিলাম। তবে সে সময়ের অভিজ্ঞতা ছিল ভিন্ন। এখন নিশ্চয়ই আরও বেশি ম্যাচিওর হয়েছি। তার ওপর ভিকির মতো নির্মাতার সঙ্গে কাজ করলাম। সেটার সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতার সমন্বয়ের চেষ্টা করেছি। আশা করছি ভালো লাগবে দর্শকের।’

‘রুমি’তে চঞ্চল চৌধুরী

জানা গেছে, চঞ্চলের সঙ্গে ‘রুমি’তে আরও আছেন আব্দুন নূর সজল, রিকিতা নন্দিনী শিমু প্রমুখ। এটি মুক্তি পাচ্ছে ১০ এপ্রিল।

মুক্তির পর কোন কাজটি দর্শক বেশি গ্রহণ করে, সেটা এখনও বলা মুশকিল। তবে চঞ্চলের প্রত্যাশা ভিন্ন ধাঁচের দুটি কাজই দর্শকের ভালোবাসা পাবে।

   

প্রথমবার প্রকাশ্যে নুসরাতের তিন বছরের ছেলে



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
নুসরাতের কোলে ছেলে ইশান / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

নুসরাতের কোলে ছেলে ইশান / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা নুসরাত জাহান। অভিনয় ক্যারিয়ারের বাইরেও প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদ, রাজনীতি নানা কারণে সারা বছর আলোচনায় থাকেন তিনি।

নিখিল জৈনের সঙ্গে বিচ্ছেদ না হতেই জনপ্রিয় চিত্রনায়ক যশ দাশগুপ্তর সঙ্গে প্রেমে জড়ান নুসরাত। এর এক বছর পর ২০২১ সালে প্রথম সন্তানের মা হন তিনি। সেই সন্তানের মুখ এতোদিনেও কেউ দেখতে পারেনি। কারণ ছেলে ইশানকে জন্মের পর ক্যামেরার সামনে আনেননি এই অভিনেত্রী। মা দিবসে প্রথম সামনে এল ইশানের ছবি।

নুসরাতের কোলে ছেলে ইশান / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

সাদা টি শার্ট পরে মুখে আঙুল দিয়ে মায়ের কোলে বসা ছোট্ট ইশান। ছেলে হুবহু বাবার ফটোকপি, এমনটাই বলছেন নেটিজেনরা। কেক কেটে মা এবং ছেলের সঙ্গে মা দিবস পালন করেছেন নুসরাত।

এর আগে ৫ মে অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিকের ছেলের জন্মদিনে উপস্থিত ছিলেন নুসরাত ও তার ছেলে ইশান। সেখানে ক্যামেরায় ধরা পড়লেও ইশানের চেহারা ঠিকভাবে বোঝা যাচ্ছিল না। তবে এবার প্রথম ঠিকঠাক দেখা গেল তার মিষ্টি মুখখানা।

নুসরাতের কোলে ছেলে ইশান / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

করোনা লকডাউন চলাকালীন ২০২১ সালে জানা যায় নুসরাত অন্তঃসত্ত্বা। সেই সময় পিতৃপরিচয় নিয়ে ওঠে প্রশ্ন। কারণ তখনও স্বামী নিখিল জৈনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়নি নুসরাতের।

যেই আলোচনা থামিয়ে দেন যশ। পুরো সময়ই অভিনেত্রীর পাশে ছিলেন অভিনেতা। এমনকি জন্ম সনদেও বাবার নাম হিসেবে যশের নাম লেখেন নুসরাত।

;

মা দিবসে মাতৃত্ব নিয়ে মনীষার দুঃসহ স্মৃতি



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মনীষা কৈরালা / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

মনীষা কৈরালা / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

  • Font increase
  • Font Decrease

ভালোবেসে ২০১০ সালে বিয়ে করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা। মাত্র দুই বছর পরই ভেঙে যায় সেই সংসার। সেই ভাঙনের মধ্যে মহাপ্রলয় হয়ে আসে ঘাতক ক্যানসার!

২০১২ সালে ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত হন মনীষা। মরণঘাতী এই রোগ থেকে সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা খুব কম। সেই সৌভাগ্যবানদের একজন মনীষা। দুই বছরের চিকিৎসায় জীবনে নতুন সুযোগ পান তিনি। কিন্তু সেই ক্যানসার তার কাছ থেকে চিরতরে কেড়ে নিয়েছে মা হওয়ার সামর্থ্য। গতকাল বিশ্ব মা দিবসেই সেই দুঃসহ স্মৃতির কথা সামনে আনেন এই নায়িকা।

মনীষা কৈরালা / ছবি : ইন্সটাগ্রাম

যদিও বিষয়টি নিয়ে এখন আর আক্ষেপ নেই মনীষার। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে কিছু অপূর্ণতা আছে। আসলে বড় হতে হতে আমরা অনেক বাস্তবতা মেনে নিই। এমন অনেক স্বপ্ন আছে, যেগুলো পূরণ হবে না জানি এবং সেটা মেনে নিয়েই সুখ খুঁজে নিতে হবে। মাতৃত্ব সেরকমই একটা স্বপ্ন। ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়া এবং মাতৃত্বের সক্ষমতা হারিয়ে ফেলা আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল। কিন্তু মনকে বুঝিয়ে নিয়েছি আমি। নিজেকে বুঝিয়েছি, যা হবার হয়েছে; এখন বরং নিজের যা আছে, তা নিয়েই জীবন সাজানো শ্রেয়।’

‘হীরামান্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার’ সিরিজে দুর্দান্ত অভিনয় করেছেন মনীষা

মনীষা আরও বলেন, ‘আমি দত্তক নেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম, আমি খুব দ্রুত দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে যাই, অনেক চাপ অনুভব করি। এসব দিক বিবেচনা করে দত্তক নেওয়ার চিন্তা বাদ দিয়েছি। আমার বৃদ্ধ বাবা-মা আছেন, তাদের চোখের মণি আমি। তাদের কাছে আমিই গোটা পৃথিবী। এখন তাই প্রায়ই কাঠমাণ্ডু চলে যাই, তাদের সঙ্গে সময় কাটাই এবং এটা আমার ভীষণ ভালো লাগে।’

মনীষা এখন সঞ্জয়লীলা বানসালি পরিচালিত নেটফ্লিক্সের সিরিজ ‘হীরামান্ডি : দ্য ডায়মন্ড বাজার’-এ দুর্দান্ত অভিনয়ের জন্য আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন।

‘হীরামান্ডি’তে মনীষা ছাড়াও অভিনয় করেছেন সোনাক্ষী সিনহা, রিচা চাড্ডা, অদিতি রাও হায়দারি, শারমিন সেহগাল, সানজিদা শেখ, ফারদিনসহ বেশকিছু তারকা

তথ্যসূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

;

ফেরার মতো ফিরছেন আফরান নিশো!



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আফরান নিশো /  ছবি : ফেসবুক

আফরান নিশো / ছবি : ফেসবুক

  • Font increase
  • Font Decrease

ছোটপর্দায় বিচিত্র চরিত্রে তাক লাগিয়ে মহসমারোহে বড়পর্দায় অভিষেক ঘটে আফরান নিশোর। ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমা দিয়ে রীতিমত সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন ছোটপর্দার এই সুপারস্টার!

এতো বড় সফল একটি সিনেমা উপহার দেওয়ায় সবাই ভেবেছিলেন একের পর এক দারুণ সব ছবিতে দেখা মিলবে এই মেধাবী অভিনেতার। কিন্তু তেমনি হয়নি! ‘সুড়ঙ্গ’ মুক্তি পেয়েছিল গত বছর কোরবানির ঈদে। এক বছর হতে চলল, এতোদিনে তার নতুন ছবির কোনো খবর শোনা যায়নি তার!

অনেকের প্রশ্ন ছিলো, তবে কি এক সিনেমা করেই নিজেকে গুটিয়ে নিলেন নিশো? ভক্ত অনুরাগীরাও ছিলেন দ্বন্দ্বে! তুমুল হিট ছবি দিয়ে অভিষেকের পরও প্রিয় তারকাকে কি তারা বড়পর্দায় দেখবেন না?

সব প্রশ্নের জবাব এলো এবার! নিশো আবারও বড়পর্দায় ফিরছেন! যার একটা নয়, দুটো সিনেমা ঘোষণা এলো! দুটি ছবিই বড় আয়োজনে নির্মিত হওয়ার খবরও জানা গেল!

আফরান নিশো /  ছবি : ফেসবুক

ভারতীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসভিএফ ও বাংলাদেশের আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট যৌথভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সঙ্গে আছে চরকি। তাদের উদ্যোগে বর্তমানে মেগাস্টার শাকিব খানের ‘তুফান’ ছবির শুটিং চলছে। নতুন খবর হচ্ছে, সম্প্রতি এসভিএফ এবং আলফা আইয়ের সঙ্গে জোড়া সিনেমায় চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন নিশো।

এর আগে তিনি এই প্রডাকশন দুটির সঙ্গে ‘সুড়ঙ্গ’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। আলফা-আই এবং এসভিএফ-এর দাবি, তাদের এই যৌথ উদ্যোগ বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।

তবে নিশোর এই দুই ছবির পরিচালক কে, কারা অভিনয় করবেন, কবে শুটিং হবে এবং কবে মুক্তি পাবে সে ব্যাপারে এখনই কিছু জানায়নি এসভিএফ ও আলফা আই।

জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশো আবার পর্দায় ফেরার ব্যাপারে বেশ উৎসাহ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘যে কোনো সৃষ্টিশীল কাজের সাফল্যের জন্য সময়টা খুবই প্রয়োজন। সিনেমার অপরিহার্য বিষয় হচ্ছে সকল ক্ষেত্রের সঠিক সমন্বয়। সমন্বয় যতটা ভালো হবে, সিনেমা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা ততটাই বেড়ে যায়। সে জন্য তো সময় দিতেই হবে। সময় দেয়া আর নেয়ার মাঝেই তো ভালো সিনেমা। তাই মাঝে মাঝে হারিয়ে থাকা প্রয়োজন। তবে এই হারিয়ে থাকা মানে হারিয়ে যাওয়া নয়, এই হারিয়ে থাকা মানে সমন্বয়, তৈরি হওয়া, প্রস্তুত হওয়া। হারিয়ে থাকা যেমন নিখোঁজ সংবাদের আভাস দেয়, তেমনি খুঁজে পাবার আগ্রহ সৃষ্টি করে। অনেক নিখোঁজের মাঝে আমি খোঁজ পেয়েছি এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট এর। যারা আমার সঙ্গে দুটি সিনেমার চুক্তি সম্পন্ন করেছেন। তারা আমাকে এবং আমি তাদেরকে খুঁজে পেয়েছি, আমি আনন্দিত।’

আফরান নিশো /  ছবি : ফেসবুক

এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের চেয়ারম্যান মহেন্দ্র সোনি বলেছেন, ‘আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের সাথে আমাদের নতুন উদ্যোগে আফরান নিশোকে ফিরিয়ে আনতে পেরে আমরা রোমাঞ্চিত। তার প্রতিভা এবং কাজ নিঃসন্দেহে আমাদের চলচ্চিত্রগুলোকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’

আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার শাকিল বলেন, ‘আফরান নিশোর বড় পর্দায় ফিরে আসা এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড-এর জন্য একটি রোমাঞ্চকর অধ্যায়ের সূচনা করেছে। আমাদের আসন্ন চলচ্চিত্রগুলোতে তিনি যে অভিনয় কারিশমা দেখাবেন তা দর্শকদের সামনে উন্মোচনের অপেক্ষায় রয়েছি।’

জানা যায়, দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম এই চলচ্চিত্র দুটির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও আসন্ন চলচ্চিত্রগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য এখনও গোপন রাখা হয়েছে, তবে খুব দ্রুতই এক জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে বিস্তারিত জানাবেন এসভিএফ আলফা-আই এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেড।

আফরান নিশো /  ছবি : ফেসবুক

;

আলেয়া বেগমের সুরে গাইলেন তার কন্যা ইন্নিমা



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আলেয়া বেগম ও তার কন্যা ইন্নিমা রোশনী

আলেয়া বেগম ও তার কন্যা ইন্নিমা রোশনী

  • Font increase
  • Font Decrease

‘কোক স্টুডিও বাংলা সিজন ২’-এর সুপারহিট গান ‘কথা কইও না’ দিয়ে সারা দেশের মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছেন আলেয়া বেগম। গুণী এই শিল্পী এবার নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হলেন। এবার তিনি গানে কণ্ঠ না দিয়ে গানের সুর করলেন। মজার বিষয় হলো, তার সুর করা গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন তারেই কন্যা ইন্নিমা রোশনী। 

মায়ের সুরে মেয়ের কন্ঠে নতুন গানটি নিয়ে এলো টাইম জোন নিবেদিত ‘লিভিং রুম সেশান’। গতকাল ১২ মে বিশ্ব মা দিবসের সন্ধ্যায় ইউটিউবে গানটি প্রকাশ করে সংগীতের এ নতুন প্লাটফর্ম। ‘মায়ের আঁচল’ শিরোনামের গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন পাভেল আরিন। গানের কথা লিখেছেন মোয়াজ্জেম হোসেন।

ইন্নিমা রোশনীর মা-ই কেবল শিল্পী নয়, তার বাবাও একজন গুণী শিল্পী। তিনি বাউল আবুল সরকার। মামার লেখা গানটি মায়ের মুখে ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছেন ইন্নিমা। গানটি বড় ভাইও কন্ঠে তুলে নিয়েছিলেন। সবাই ভুলে গেলেও গানটি মনে মনে গুনগুন করতেন ইন্নিমা। গান কাভার করে ইউটিউবে জনপ্রিয়তা অর্জন করলে একসময় মায়ের কাছে এ গানটিও আবদার করে বসেন মেয়ে। তার কন্ঠে এ গানটি শুনে মুগ্ধ হন সংগীতপরিচালক পাভেল আরিন। তার স্টুডিওতে আমন্ত্রণ পান ইন্নিমা। গানটিও স্থান পায় লিভিং রুম সেশানে।

‘লিভিং রুম সেশান’-এ পাভেল আরিন ও ইন্নিমা রোশনী

সংগীত জীবনের শুরুতেই মিউজিকের এত বড় প্লাটফর্মে সুযোগ পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত তিনি। ইন্নিমা বলেন, ‘গানটি শুনে আমার বাবা কেঁদেছেন। মাও দারুণ খুশি। এত সুন্দর ও সিম্পল মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট এ গানটি তৈরি করেছেন পাভেল ভাই যাতে গানটা আরও শ্রুতিমধুর হয়ে গেছে। আমি সত্যিই খুশি মা দিবসে মাকে এমন একটা উপহার দিতে পেরে। লিভিং রুম সেশানের প্রতিও আমার কৃতজ্ঞতা।’

গানের শুদ্ধতা ও মানের প্রতি যত্নশীল এ সংগীত পরিচালক জানালেন, ‘ইন্নিমার কণ্ঠে গানটি যখন শুনি আমার মনে হয়েছে মাকে নিয়ে লেখা আমাদের গানগুলোর মাঝে এ গানটি একটি বিশেষ জায়গা করে নিতে পারে। মায়ের প্রতি এমন নিবেদন কথা ও সুরে সত্যিই অনবদ্য। ইন্নিমাও প্রতিশ্রুতিশীল একজন শিল্পী। মা দিবসে মায়েদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে আমাদের এ সামান্য উদ্যোগ।’

;