বন্ধুত্বটা হারিয়ে যায় নি : পুতুল ও রেজা দম্পতি



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
রেজা ও পুতুল দম্পতি /  ছবি : শেখ সাদী

রেজা ও পুতুল দম্পতি / ছবি : শেখ সাদী

  • Font increase
  • Font Decrease

সাজিয়া সুলতানা পুতুল ও সৈয়দ রেজা আলী- বন্ধু থেকে এখন দম্পতি। দুজনেই মাল্টি ট্যালেন্টেড। গান লেখেন, সুর করেন, কম্পোজিশন করেন এবং গান গেয়ে থাকেন। একসঙ্গে সুরের সাগরে ভাসছেন তারা। সদা হাসিমুখ এই দুই শিল্পীর রসায়নও বেশ মজার। আজ তাদের তৃতীয় বিবাহবার্ষিকী। দাম্পত্যের নানা বিষয় নিয়ে বার্তা২৪.কমের মুখোমুখি হয়েছেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাসিদ রণ


তৃতীয় বিবাহবার্ষিকীতে মনের মধ্যে কী অনুভব হচ্ছে?


সৈয়দ রেজা আলী : আমাদের তিন বছরের অ্যানিভার্সারি, না?

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : বিশ্বাস করা কঠিন! কিন্তু আসলেই তিন বছর।

সৈয়দ রেজা আলী : সাথে আমাদের একটা মেয়েও (গীতলিনা) আছে।

কন্যা গীতলিনাকে নিয়ে পুতুল ও রেজা দম্পতি /  ছবি : শেখ সাদী

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : হ্যাঁ। সেটি বাড়তি পাওয়া! একেবারে ভরা করোনার মধ্যে আমাদের বিয়েটা হয়। একেবারে ঘরোয়াভাবে। যেদিন বিয়ে হয় দুপুরবেলা আমার শাশুড়ি মায়ের তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে সন্ধ্যায় বিয়ে হয়। কারণ, তারপর দিন থেকে লকডাউন শুরু হয়। একটা বিচ্ছিন্নতা শুরু হবে সেই ভাবনা থেকেই তিনি চেয়েছিলেন বিয়ে দিয়ে বউ ঘরে তুলে নেবেন সেদিনই।

সৈয়দ রেজা আলী : সবচেয়ে মজার বিষয় ছিল, সাধারনত বিয়ে করতে জামাই যায় শশুর বাড়ি। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে উল্টো হয়েছিল। পুতুল ও তার পরিবার এসেছিল আমাদের বাড়িতে। সেখানেই বিয়ে হয় (হাহাহা)।

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : আমার ঠিকানা বদলে গেল সেই থেকে। এখন আমরা একসঙ্গে ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।

রেজা ও পুতুল দম্পতি /  ছবি : শেখ সাদী

আপনারা একে অন্যকে ‘তুই’ সম্বোধন করেন। এর পেছনের কারণ কী?


সৈয়দ রেজা আলী : আসলে আমরা তো আগে থেকেই বন্ধু ছিলাম। বন্ধুদের তো তুই তুকারি সম্পর্ক। আর আমরা কখনো স্বামী-স্ত্রী হবো সেটি তো ভাবিনি তখন। সেই যে সম্পর্ক, বিয়ের পর তা আর বদলায়নি। এজন্যই তুই করে ডাকতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : হ্যা। বন্ধুত্বের খাতিরে আমার আসা যাওয়া ছিল রেজাদের বাড়িতে। তার বাবা-মা আমাকে ভালোভাবে জানতেন। আমিও তাদের জানতাম। আমরা একসঙ্গে গানের কাজ করতাম। একপর্যায়ে বাবা মায়ের পক্ষ থেকেই আমাদের বন্ধুত্বকে বিয়েতে রূপান্তরিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। এখন মনে হয়, তারা ঠিক কাজটাই করেছেন। রেজার মতো জীবনসঙ্গী আমি পেয়েছি, এটা সত্যিই আরামের।

পুতুল /  ছবি : শেখ সাদী

বিবাহবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একে অন্যকে কোন উপহার দিয়েছেন কী?


(সমস্বরে) অবশ্যই। বছরে একটা দিন আসে, উপহার না দিলে কী হয় (হাহাহা)!

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : আমার কাছে রেজার চাওয়া থাকে মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্ট জাতীয় কিছু। যদিও আমি চেষ্টা করি তা না দিতে। কারণ সে সারা বছরই ওগুলো কিনতে থাকে। তাই অন্যকিছু দিয়েছি গত দুই বছর। কিন্তু এবছর সে বলেছে, না আমার মিউজিক্যাল কিছু হলেই ভালো হয়। পরে তাকে একটি গীটারের প্যাডেল দিয়েছি। যতোবার সে ব্যবহার করবে আমার কথন মনে পড়বে!

সৈয়দ রেজা আলী : আমি এখনো দিইনি। সবটা এখনই বলে দেব? সারপ্রাইজ থাকাই ভালো।

কন্যা গীতলিনাকে নিয়ে রেজা ও পুতুল দম্পতি /  ছবি : শেখ সাদী

কাজের জায়গায় পরস্পরকে কিভাবে সাপোর্ট করেন?


(সমস্বরে) আমরা একে অপরের কাজকে সম্মান করি। তাই কেউ যাতে কারও জন্য বিরক্ত না হয় সেদিক খেয়াল রাখি। এমনকি যার কাজটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ থাকে তাকে কাজের মধ্যেই থাকতে দেই। সে সময় আমাদের মেয়েকে অন্যজন টেক কেয়ার করি।


দুজন শিল্পী হওয়ায় একসঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে কোন বিড়ম্বনা তৈরী হয় কী?


সৈয়দ রেজা আলী : না, আমরা একে অন্যের ব্যাপারে জাজমেন্টাল নই। সবচেয়ে বড় কথা আমরা একে অন্যকে স্পেস দিই। সেটা কাজ হোক বা একান্তে কিছু মি টাইম কাটানো হোক। কারণ আমাদের একে অন্যের ব্যক্তিত্ব, মেধা কিংবা এথিক্যাল জায়গায় প্রচন্ড সম্মানবোধ রয়েছে। তবে এটা ঠিক যে, যেহেতু দুজনই ক্রিয়েটিভ কাজের সঙ্গে যুক্ত ফলে আমরা তো একে অপরের কাজ কিছুটা হলেও বুঝি। তাই আমরা কেউ কিছু তৈরী করলে সবার আগেই একে অপরকেই দেখাই। এবং কোন সাজেশন আসলে সেটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে থাকি।

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : বিড়ম্বনা তো হয় না। বরং লাভ হয়েছে আমার। দেখা গেল কেউ বলল, একটা গানের ভয়েস দিতে হবে, স্টুডিওতে আসুন। আমি যদি বিশেষ পরিস্থিতির মধ্যে থাকি, তাহলে বলি যে, আপনি কি আমাকে মিউজিক্যাল ট্র্যাক টা পাঠাবেন? আমি ভয়েসটা রেকর্ড করে পাঠাচ্ছি। পরে সেটা রেজার ওপর চাপিয়ে দিই। ও শত ব্যস্ত থাকলেও আমাকে এক ফাঁকে ভয়েসটা রেকর্ড করে দেয়।

নিজের ব্যান্ডদল ‘ব্রহ্মপুত্র বাংলাদেশ’-এর সদস্যদের সঙ্গে রেজা

তৃতীয় বিবাহবার্ষিকীতে নিজের কাছে এবং একে অপরের কাছে কী প্রত্যাশা রয়েছে?


সৈয়দ রেজা আলী : আমি সত্যি স্টুডিওটা হওয়ার পর কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকি। এটা অবশ্য পুতুলেরই চাওয়া ছিল। আমার বাবা বিয়ের পর পুতুলকে বলেছিলেন, ‘কি চাও তুমি?’ ও বলেছিল, ‘বাবা, আমাদের একটা স্টুডিও করে দেন।’ তবে এ বছর চেষ্টা করব আমার স্ত্রী, কন্যা ও পরিবারকে আরও বেশি সময় দিতে। আর নিজের কাছে প্রত্যাশা হলো আমি একটি ইন্সট্রুমেন্টাল অ্যালবাম করছি। সেটি যতো সুন্দরভাবে প্রকাশ করা যায় সেই চেষ্টা করব।

সাজিয়া সুলতানা পুতুল : আমার ক্ষেত্রেও গান নিয়ে সব চাওয়া পাওয়া। কারণ গান আ ব্যক্তিজীবন আমাদের মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। রেজার কাছে আমারও প্রত্যাশা ওর ইন্সট্রুমেন্টাল অ্যালবামটা যেন এ বছর ঠিকঠাকভাবে প্রকাশ করতে পারে। কারণ এটা ওর অনেক বড় একটি স্বপ্ন ও সাধনার কাজ। আর নিজের কাছে প্রত্যাশা হলো আমাদের কন্যা এখন থেকে একটু একটু পড়তে পারে। আমরা চাই এই সময়ে তাকে আরও সময় দিয়ে সঠিকভাবে গড়ে তুলতে।

   

‘ক্যাম্পাস’-এর আবেদনময়ী শিক্ষিকা হয়ে ১০০ পর্বে সুষমা



মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
সুষমা সরকার / ছবি : নূর এ আলম

সুষমা সরকার / ছবি : নূর এ আলম

  • Font increase
  • Font Decrease

মঞ্চ, টেলিভিশন এবং চলচ্চিত্রের গুণী অভিনেত্রী সুষমা সরকার। বেছে বেছে ভালো গল্প ও চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায় তাকে। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি অভিনয় শুরু করেন মেধাবী নির্মাতা তুহিন হোসেনের পরিচালনায় মাছরাঙা টেলিভিশনের ধারাবাহিক নাটক ‘ক্যাম্পাস’-এ। এরইমধ্যে ধারাবাহিকটি সময়ের অন্যতম আলোচিত নাটকের তকমা পেয়েছে।

আগামী ১৩ মে নাটকটি ১০০ পর্ব অতিক্রম করবে। দর্শকের চাহিদার কথা মাথায় রেখে কাস্টিং ও গল্পে আসছে নতুন নতুন চমক। ১০০ পর্বের পর থেকে গল্পের টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে যুক্ত হবে সালহা খানম নাদিয়া, সাজু খাদেমসহ আরো অনেকে।

সুষমা সরকার / ছবি : নূর এ আলম

নাটকটি ১০০ পর্ব পর্যন্ত পৌঁছানোর আনন্দ উদযাপনের জন্য আজ (১১ মে) রাতে নাটকের অভিনেতা, অভিনেত্রী ও কলাকুশলীদের নিয়ে এক আড্ডার আয়োজন করা হয়েছে।

নির্মাতা তুহিন হোসেন জানান, ‘নাটকটি দর্শকমহলে দারুন সাড়া ফেলেছে। গত বছর ১৭ ডিসেম্বর নাটকটি সম্প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকে শোবিজসহ সর্বমহলের দর্শকের কাছে নাটকটি আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠে।’

সুষমা সরকার / ছবি : নূর এ আলম

পরিচালকের ভাষ্যমতে, ক্যাম্পাসের গল্পটি সর্বশ্রেনীর দর্শককে ভাবাবে। আর সে কারণেই এই গ্রহনযোগ্যতা তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।

সুষমা সরকার বলেন, ‘আমি ধারাবাহিকে অভিনয় করতে গেলে খুব বাচ-বিচার করি। কারণ ধারাবাহিকে অভিনয় করলে সপ্তাহের প্রায় প্রতিদিন পর্দায় উপস্থিত থাকতে হয়। তা দর্শকের চোখে পড়েই যায় কোন না কোন সময়। কাজটি যদি ভালো না হয় তাহলে সুনাম নষ্ট হওয়ার ভয়ও তাই বেশি। তাছাড়া আজকাল ধারাবাহিক নাটকের ধারাবাহিকতা থাকে না। সেদিক থেকে ‘ক্যাম্পাস’-এ কাজ করাটা আমার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। নির্মাতা খুব সুন্দরভাবে গল্পটি টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।’

‘ক্যাম্পাস’ ধারাবাহিকের দৃশ্যে পাভেল ও সুষমা

এ ধারাবাহিকে সুষমার চরিত্রটিও বেশ মজার। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন আবেদনময়ী শিক্ষিকার ভূমিকায় দেখা যাচ্ছে। খানিকটা বলিউডের ‘ম্যায় হু না’ সিনেমার সুস্মিতা সেনের চরিত্রের মতো। শিক্ষকরা তো বটেই, ছাত্ররাও তার প্রেমে পাগল। ছাত্রের ভূমিকায় পাভেল আর শিক্ষিকার ভূমিকায় সুষমার রসায়ন পছন্দ করেছে দর্শক।

নাটকটিতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, চাষী আলম, আহসান হাবিব নাসিম, মিহি আহসান, শিবলী নোমান, নাইমা আলম মাহা, ফরহাদ বাবু ও আরো অনেকে।
নাটকটি চিত্রায়িত হয়েছে রাজাশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী ও ঢাকার বিভিন্ন নয়নাভিরাম স্থানে। নাটকটি রচনা করেছেন আওরঙ্গজেব।

শুটিংয়ের ফাঁকে অভিনেতা রওনক হাসান ও নির্মাতা তুহিন হোসেন
;

সোহেল আরমানের সিনেমায় ইরফান সাজ্জাদ, আইশা ও সোহেল মন্ডল



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সোহেল আরমান, আইশা খান, ইরফান সাজ্জাদ ও সোহেল মন্ডল

সোহেল আরমান, আইশা খান, ইরফান সাজ্জাদ ও সোহেল মন্ডল

  • Font increase
  • Font Decrease

সোহেল আরমান প্রায় তিন দশক ধরে শোবিজে কাজ করছেন। একাধারে তিনি নাট্যকার, পরিচালক, গীতিকার ও অভিনেতা। ২০১৫ সালে দেশ সেরা নায়ক শাকিব খান ও আফসানা আরা বিন্দুকে জুটি করে নির্মাণ করেন ক্যারিয়ারের প্রথম চলচ্চিত্র ‘এই তো প্রেম’। মুক্তিযুদ্ধের গল্পে নির্মিত প্রথম চলচ্চিত্রটি সেসময় দর্শকমহলে বেশ সাড়া ফেলে। সিনেমাটির ‘হৃদয়ে আমার বাংলাদেশ’ ও ‘আমি তোমার মনের ভিতর’ শিরোনামের গান দুটি আজও মানুষের মুখে মুখে। দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘ভ্রমর’র বাকি থাকা ৪০ শতাংশ কাজ অচিরেই শেষ করতে চান এই নির্মাতা।

মাঝে বড় পর্দায় নির্মাণে বিরতি থাকলেও শিগগিরই ক্যারিয়ারের তৃতীয় চলচ্চিত্রের নির্মাণ কাজ শুরু করতে যাচ্ছেন সোহেল আরমান। সিনেমার নাম ‘সংবাদ’। এতে অভিনয় করবেন এ সময়ের দর্শকপ্রিয় তিন অভিনয়শিল্পী ইরফান সাজ্জাদ, আইশা খান ও সোহেল মন্ডল। আগামী সপ্তাহে সিনেমাটির মহরতের মাধ্যমে বিস্তারিত জানাবেন ছবি সংশ্লিষ্টরা।

ইরফান সাজ্জাদ ও সোহেল আরমান

বড় পর্দায় বিরতি কেন জানতে চাইলে ‘এই তো প্রেম’খ্যাত নির্মাতা বলেন, ‘আমি কখনো সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তা করে কাজ করি না। প্রয়োজনে কাজ কম করব তবে, দর্শক মনে গেঁথে যাবে এমন কিছু করার চেষ্টা থাকে সবসময়। আশা করছি, দর্শক দারুণ কিছু পেতে যাচ্ছেন।’

সিনেমার গল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘গল্পটা অনেক পুরনো, ১৮৭২ সালের। সে সময়ের জমিদার বাড়ির একটি হারানো গল্পে এটি নির্মিত হবে। তবে প্রেমের নয়, একটা গ্রামের গল্প। জমিদার বাড়ির চুরি যাওয়া গল্প যেটা পেয়েছি এক সাংবাদিকের মাধ্যমে। আপাতত এটুকুই। বাকিটুকু খুব শিগগিরই সংবাদ সম্মেলন করে জানাব।’

ইরফান সাজ্জাদ বলেন, ‘অনেক দিন পর নতুন সিনেমায় যুক্ত হয়েছি। একেবারে নতুন একটি চরিত্রে দেখা যাবে আমাকে। জমিদারদের শাসন ও শোষণ তুলে ধরা হলেও এ সময়ের দর্শকদের কথা চিন্তা করে নির্মাণ করা হবে সিনেমাটি। গল্পটি আমার অনেক বেশি ভালো লেগেছে। চ্যালেঞ্জিং একটি চরিত্র। আশা করছি, সবার পছন্দ হবে।’

সোহেল আরমানের সেলফিতে পাত্র-পাত্রীরা

আইশা খান বলেন, ‘আমি খুবই এক্সাইটেড সোহেল আরমান ভাইয়ের নির্দেশনায় কাজ করব। কারণ তিনি এরইমধ্যে নির্মাতা হিসেবে নিজেকে চিনিয়েছেন। আশা করি, তার নির্মাণের মধ্যে দিয়ে দর্শক ভালো কিছু পেতে যাচ্ছে। আর আমার চরিত্রে চমক আছে, যা সিনেমাটি মুক্তি পেলে দর্শক দেখতে পারবে।’

সোহেল মন্ডল বলেন, ‘এটি একটি সম্পর্কের গল্প। এর আগে এ ধরনের চরিত্রে কাজ করিনি। সোহেল আরমান ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করার জন্য মুখিয়ে আছি। এই মুহূর্তে চরিত্র নিয়ে কিছু বলা যাবে না। এটা দর্শকদের জন্য চমক থাকবে।’

দীর্ঘ ক্যারিয়ারে প্রায় পাঁচ শতাধিকেরও বেশি নাটক নির্মাণ করেছেন সোহেল আরমান। ভয়েস টুডের ব্যানারে নির্মিতব্য সিনেমাটির গল্প লেখার পাশাপাশি প্রযোজনা করছেন এন এ খোকন। সিনেমাটির চিত্রনাট্য করেছেন সোহেল আরমান নিজেই। আগামী ১ জুন শুরু হয়ে ১৩ জুন পর্যন্ত প্রথম লটের শুটিং চলবে বলে জানান নির্মাতা। একই মাসের ২১ জুন থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত একটানা কাজ করে শেষ হবে সিনেমার পুরো দৃশ্য ধারণ।

;

এবার সামনে এলো ‘তুফান’-এ শাকিব-মিমির রসায়ন



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
‘তুফান’-এর নতুন পোস্টারে শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী

‘তুফান’-এর নতুন পোস্টারে শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী

  • Font increase
  • Font Decrease

‘তুফান’র টিজার প্রকাশ করে রীতিমতো চমক লাগিয়ে দিয়েছেন ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান। দেড় মিনিটের সেই ঝলক মাত্র এক দিনেই কোটি ভিউয়ের রেকর্ড গড়েছিল। দর্শক-সমালোচক সকলে নির্বিবাদে বলছিলেন, এমন বিধ্বংসী অবতারে ঢালিউড নবাবকে আগে দেখা যায়নি।

উচ্ছ্বাস নিয়ে ‘তুফান’র টিজার শেয়ার করেছেন সংশ্লিষ্ট সকলেই। কেবল একজন ছিলেন নির্বিকার। তিনি ছবির নায়িকা মিমি চক্রবর্তী। তার নীরবতা দেখে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, নায়িকা কি টিমের ওপর অভিমান করেছেন?

মিমি চক্রবর্তী

অনেকের ধারণা, ‘তুফান’র প্রথম পোস্টারে কেবল শাকিব খানকে দেখানো হয়েছে। এরপর প্রথম টিজারেও নায়িকাদের রাখা হয়েছে বঞ্চিত, আড়ালে। সে কারণেই হয়ত অভিমান করেছেন মিমি। যদিও আরেক নায়িকা মাসুমা রহমান নাবিলা পেশাদার ভূমিকাই পালন করছেন শুরু থেকে। অবশেষে গত ৯ মে মিমি ‘তুফান’র টিজার শেয়ার করেন নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। 

শেষমেশ সামনে এলেন ‘তুফান’-এর মিমি। আজ (১১ মে) সকালে উন্মুক্ত করা পোস্টারে দেখা যায়, সাদা শার্ট আর কালো ব্লেজারে শাকিব খান। তার লম্বা চুল, মুখভর্তি ছোট দাড়ি, মলিন চাহনি। অন্যদিকে তার বুকে হাত রেখে প্রেমিকার ভঙ্গিমায় দাঁড়িয়ে মিমি; পরনে মেরুন ঝলমলে টপ। পোস্টারের ক্যাপশনে মিমি লিখেছেন, ‘বড় পর্দায় আসছে তুফান। এই নিন অফিসিয়াল তুফানি পোস্টার।’

অন্যদিকে একই পোস্টার শেয়ার দিয়ে শাকিব খান লিখেছেন, “বড় পর্দায় ‘তুফান’ আনতে চলেছে এই জুটি!”


প্রকাশের পর থেকে দ্বৈত পোস্টারটি সাড়াও পাচ্ছে বেশ। মাত্র এক ঘণ্টায় শাকিব-মিমির ফেসবুক পেজ মিলিয়ে এর রিঅ্যাকশন সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৫০ হাজার! অর্থাৎ দর্শকের মাঝে ‘তুফান’র ঝড় অব্যাহত থাকছে নতুন এই পোস্টারেও।

‘তুফান’-এর নতুন পোস্টারে শাকিব খান ও মিমি চক্রবর্তী

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রযোজনায় বড় বাজেটে নির্মিত হচ্ছে ‘তুফান’। এরইমধ্যে ছবির সিংহভাগ শুটিং শেষ হয়ে গেছে বলে জানালেন নির্মাতা রাফী। ছবিটি প্রযোজনা করছে ঢাকার আলফা আই, চরকি ও কলকাতার এসভিএফ।

;

‘আমার দেহখান’খ্যাত গায়ক পিয়ালের মৃত্যু, বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক



বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
গায়ক ও গিটারিস্ট আহসান তানভীর পিয়াল

গায়ক ও গিটারিস্ট আহসান তানভীর পিয়াল

  • Font increase
  • Font Decrease

আত্মপ্রকাশের অল্প সময়ের মধ্যেই স্বকীয় বৈশিষ্ট্য দিয়ে পরিচিতি গড়ে তুলতে সক্ষম হয় তরুণ প্রজন্মের ব্যান্ড ‘অড সিগনেচার’। বিশেষ করে ব্যান্ডটির গায়ক ও গিটারিস্ট আহসান তানভীর পিয়ালের কণ্ঠে ‘আমার দেহখান’ গানটি বিশেষ শ্রোতাপ্রিয়তা অর্জন করে। কিন্তু এই উঠতি সময়েই ব্যান্ডটি খেলো বিশাল ধাক্কা। সড়ক দুর্ঘটনার কবলে গোটা ব্যান্ডের সদস্যরা। নিহত হয়েছেন ভোকালিস্ট পিয়াল। 

খবরটি ব্যান্ডের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, “সিলেট যাওয়ার পথে নরসিংদী পাচদোনা ড্রিম হলিডে পার্কের সামনে ‘অড সিগনেচার’র গাড়ি মারাত্মক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। এতে ব্যান্ডের সকল সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়। ড্রাইভার সালাম আর ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য আহাসান তানভীর পিয়াল এই দুর্ঘটনায় নিহত হন। বাকিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।”

অড সিগেনেচার ও পিয়াল (ডানে)

জানা গেছে, শনিবার (১১ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ‘অড সিগনেচার’র মাইক্রোবাসের সঙ্গে হানিফ পরিবহণের একটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান পিয়াল (২৩) ও সালাম (৪৩)। নরসিংদী ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস হোসেনও বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। মাইক্রোবাসে থাকা ‘অড সিগনেচার’র বাকি তিন সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা এখন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এদিকে দুর্ঘটনা ও পিয়ালের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে দেশের মিউজিক আঙিনায়। ভক্ত-শ্রোতা থেকে শুরু করে শিল্পীরাও শোকে স্তব্ধ। ‘শিরোনামহীন’র ভোকাল শেখ ইশতিয়াক বলেছেন, ‘কোনোভাবেই মানতে পারছি না!’।

গায়ক ও গিটারিস্ট আহসান তানভীর পিয়াল

২০১৭ সালে আত্মপ্রকাশ করেছিল ‘অড সিগনেচার’। অল্প সময়ের মধ্যেই তরুণ প্রজন্মের কাছে ব্যান্ডটি গ্রহণযোগ্যতা পায়। তাদের ‘আমার দেহখান’ গানটি অন্তর্জালে বিপুল জনপ্রিয়। এছাড়া ‘প্রস্তাব’, ‘দুঃস্বপ্ন’, ‘মন্দ’ শিরোনামের গানগুলোও সাড়া পেয়েছে।

প্রসঙ্গক্রমে আরেকটি ঘটনা মনে করিয়ে দেওয়া। ২০০৫ সালের ২০ এপ্রিল চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ফিরছিল সেই সময়ের তুমুল জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘ব্ল্যাক’। পথেই সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হন তাহসান-জন-জাহানেরা। এতে তাদের সতীর্থ সাউন্ড ইঞ্জিনিয়ার ইমরান আহমেদ চৌধুরী মুবিন মারা যান এবং গুরুতর আহত হন বেজ গিটারিস্ট মিরাজ ও ড্রামার টনি। সেই ঘটনার পরই মূলত ‘ব্ল্যাক’র ছন্দপতন হয়। সদস্যরা দলছুট হয়ে একক শিল্পী হিসেবে কাজ শুরু করেন।

একই রাতে মঞ্চে ব্ল্যাক

দীর্ঘ দুই দশক পর শনিবার (১০ মে) রাতে ফের ‘ব্ল্যাক’র চিরচেনা সদস্যরা একত্রে মঞ্চে উঠেছেন, পারফর্ম করেছেন। সেই রাতেই কিনা আরেকটি ব্যান্ড দুর্ঘটনার কবলে, বাংলার পথে!

;