গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন বিশ্ববিখ্যাত মার্কিন গায়ক ও বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার স্বামী নিক জোনাস। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও আপলোড করে নিজেই অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন নিক। সঙ্গে জানালেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা হয়েছে তার। ফলে আগামী কয়েকটা কনসার্টে তিনি অংশ নিতে পারবেন না। ভিডিওতে অনুরাগীদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন এই গায়ক।
ইনস্টাগ্রাম ভিডিওতে নিক জোনাস বলেন, ‘খুব একটা খুশির খবর দেব না আপনাদের। কেননা কয়েক দিন ধরে আমার গলা দিয়ে আওয়াজ বের হচ্ছে না। গলা প্রচণ্ড ব্যথা। যত দিন এগোচ্ছে, গলার অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে। শরীরে জ্বর ও ব্যথা আছে। সত্যি খুব খারাপ অবস্থা যাচ্ছে। ডাক্তার বলেছেন কিছুদিন বিশ্রামে থাকতে। তাই কনসার্ট আপাতত বাতিল করলাম।’
কয়েক মাস আগে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে মুম্বাই এসেছিলেন নিক জোনাস। মুম্বাইয়ের লোলাপালোজায় পারফর্ম করেছিল নিক ব্রাদার্স। পারফরম্যান্সে মেতে উঠেছিল গোটা মুম্বাই।
উল্লেখ্য, নিকের সঙ্গে ২০১৮ সালে সম্পর্কে জড়ান প্রিয়াঙ্কা। অল্প সময়েই প্রিয়াঙ্কাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন নিক। বিয়ে করতে দেরি করেননি প্রিয়াঙ্কাও। ভারতে এসেই বিয়ে সেরেছেন অভিনেত্রী। রাজস্থানের উমেদ ভবনে জমকালো আয়োজন হয়। সেখানেই হিন্দু ও খ্রিষ্টান রীতি মেনে নিককে বিয়ে করেন তিনি। বিয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান প্রিয়াঙ্কা। ২০২২ সালে জন্ম হয় প্রিয়াঙ্কা ও নিক জোনাসের মেয়ে মালতী মেরি চোপড়া জোনাসের।
এর মধ্যে একাধিক হলিউড ছবিতে অভিনয় করেছেন। এই মুহূর্তে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ব্যস্ত আছেন ইলিয়া নাইশুলারের পরিচালনায় ‘হেডস অব স্টেট’ সিনেমা নিয়ে। সিনেমায় আরও অভিনয় করছেন ইদ্রিস এলবা ও জন সিনা। ফারহান আখতারের পরিচালনায় ক্যাটরিনা কাইফ ও আলিয়া ভাটের সঙ্গে ‘জি লে জারা’ সিনেমায়ও দেখা যাবে প্রিয়াঙ্কাকে। এ ছাড়া এবারের অস্কারে মনোনয়ন পাওয়া তথ্যচিত্র ‘টু কিল আ টাইগার’-এর নির্বাহী প্রযোজক হিসেবেও রয়েছেন প্রিয়াঙ্কা।
কানের রেড কার্পেটে এবার চার নায়িকাকে নিয়ে হাজির ভাবনা!
মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পী আশনা হাবিব ভাবনা জানেন কিভাবে তার প্রথম কান যাত্রা অর্থবহ করা যায়। তাই সিনেমা দেখা, বিশ্বের বিভন্ন দেশের চলচ্চিত্রকার ও তারকাদের সঙ্গে কথা বলাসহ নিজের পোশাকেও রেখেছেন বুদ্ধিদীপ্ততা।
তার প্রতিদিনের পোশাক আলাদা আলাদা কারণে স্পেশ্যাল হয়ে উঠেছে। প্রথম দিন তিনি হাজির হন আন্তর্জাতিক তারকাদের মতো লম্বা টেলওয়ালা গাউনে। এর পরদিন ঢাকার কাক’কে পোশাকে উপস্থাপন করেন। তৃতীয় ঢাকাই জামদানির সঙ্গে রিকশা পেইন্টের মোটিফে তৈরী ব্লাউজ পরে নজর কাড়েন। এর পরদিন তিনি বেছে নেন দেশিয় বেনারসি শাড়ি কেটে তৈরী ভিন্নধর্মী গাউন।
আর আজ প্রকাশ হয়েছে ভাবনার কান উৎসবের পঞ্চম দিনের সাজ। এটিও একটি বিশেষ কারণে নেটিজেনদের আগ্রহ কেড়ে নিয়েছে। ভাবনা এবার কালো অলসোল্ডার গাউনে হাজির হয়েছেন রেড কার্পেটে। পোশাকের কাটিং-প্যাটার্ণে আলাদা স্বকীয়তা না থাকলে নজর কেড়েছে পোশাকের দামান অংশের কাজ।
সেখানে ফুলেল নকশার মাঝে মাঝে স্টোন দিয়ে কিছু লেখা চোখে পড়ছে। একটু ভালো করে খেয়াল করলেই দেখা যাবে তাতে লেখা চারটি নাম- ববিতা, সুবর্ণা মুস্তাফা, মেরিল স্ট্রিপ ও অড্রে হেপবার্ন।
এই নাম চারটি নিয়ে আলাদা করে বুঝিয়ে বলার কিছুই নেই। সিনেমাপ্রেমী প্রত্যেকে এই চারটি নামের সঙ্গে বহুকাল ধরে পরিচিতি। এমনকি চারজনই সবার প্রিয় নারী তারকা। দুজন বাংলাদেশের, দুজন হলিউডের।
এই চারজন ভাবনারও খুব প্রিয় অভিনেত্রী। তাই তাদের সম্মান দেখানোর জন্যই কানের মতো প্রসিদ্ধ মঞ্চে ভাবনা তার পোশাকে নামগুলো খোদাই করেছেন। পোশাকটি ডিজাইন করে দিয়েছেন তার ছোট বোন অদিতি।
হঠাৎই এক ঝড় কেড়ে নিয়েছে বলিউড তারকা কার্তিক আরিয়ানের মামা-মামিকে! গত ১৩ মে বেলা তিনটা নাগাদ মুম্বাই ও এর সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎ ধেয়ে এসেছিল ধূলিঝড়। সেদিন আকস্মিক এ ঘটনা কেড়ে নিয়েছে ১৬ জনের প্রাণ।
এই ঝড়ের তান্ডবে একটি বিলবোর্ড হঠাৎই ভেঙে পড়ে। ঘটনাটি ঘটেছিল মুম্বাইয়ের ঘাটকোপর এলাকার একটি পেট্রলপাম্পের কাছে। কার্তিক আরিয়ানের মামা-মামি মনোজ চ্যান্সোরিয়া (৬০) আর তার স্ত্রী অনিতা (৫৯) গাড়ির জ্বালানি নিতে সেই পেট্রলপাম্পে এসেছিলেন। আর তখনই প্রবল ঝড় শুরু হয়। চ্যান্সোরিয়া দম্পতি তখন গাড়ির মধ্যেই ছিলেন। ঝড়ের দাপটে বিলবোর্ডটি ভেঙে পড়ে চ্যান্সোরিয়া দম্পতির গাড়ির ওপর। ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
জানা গেছে যে চ্যান্সোরিয়া দম্পতি মধ্যপ্রদেশের জবলপুরে নিজেদের বাড়িতে ফিরছিলেন। তারা ভিসাসংক্রান্ত কাজে মুম্বাইয়ে এসেছিলেন। চ্যান্সোরিয়া দম্পতির ছেলে যশ যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। ছেলের কাছে যাবেন বলে ভিসার কাজে মুম্বাইয়ে এসেছিলেন তারা। মনোজ ও অনিতার আকস্মিক মৃত্যুর খবরে গোটা পরিবার শোকাহত।
চ্যান্সোরিয়া দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল দুর্ঘটনার ৫০ ঘণ্টা পর। তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে মুম্বাইয়ের সাহার শ্মশানে। কার্তিক আরিয়ানসহ গোটা পরিবার শ্মশানে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, বিশালাকার এই বিলবোর্ড অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। দেশের সবচেয়ে বড় হোর্ডিং হিসাবে লিমকা বুক অব রেকর্ডসে স্থান পাওয়ার জন্য এটি লাগানো হয়েছিল। এই হোর্ডিং লাগিয়েছিল ইগো প্রাইভেট লিমিটেড।
মুম্বাই পুলিশ এই সংস্থার নির্দেশক ভাবেশ ভিন্ডেকে অবৈধ হোর্ডিং মামলায় গ্রেপ্তার করেছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সূত্রে জানা গেছে, মনোজ চ্যান্সোরিয়া অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল জেনারেল।
এদিকে, কার্তিক আরিয়ানের ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’ ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে। কার্তিকের নিজের শহর মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে এক বড়সড় অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ‘চান্দু চ্যাম্পিয়ন’ ছবির ট্রেলার মুক্তি পাচ্ছে আজ। পরিবারের এই চরম বিপর্যয়ের সময়েও কার্তিক কাজের প্রতি অবিচল। অনেকে এই অনুষ্ঠান বাতিল করার কথা বলেছিলেন। কিন্তু কার্তিক নিজের প্রতিশ্রুতি থেকে সরতে চাননি। তার কথায়, এই ছবির সঙ্গে অসংখ্য মানুষের ঘাম-রক্ত জড়িয়ে আছে। তাই তাদের প্রতি অন্যায় করা হবে বলে মনে করেন অভিনেতা।
কানে রুনা লায়লা ও আরিফিন শুভকে নিয়ে যা বললেন নাসিরুদ্দিন শাহ
বিনোদন ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিনোদন
দক্ষিণ ফ্রান্সে সাগরপাড়ের শহর কানে চলছে পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন এবং প্রভাবশালী কান চলচ্চিত্র উৎসবের ৭৭তম আসর। লম্বা অভিনয় ক্যারিয়ারে অনবদ্য সব চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও সেখানে এবারই প্রথমবার হাজির হয়েছেন ভারতীয় কিংবদন্তি অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ।
উৎসবে চতুর্থ দিনে নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনীত ‘মন্থন’ সিনেমাটি প্রদর্শিত হয়েছে ‘কান ক্লাসিকে’। চার যুগ আগে অভিনয় করেছিলেন ‘মন্থন’ সিনেমায়। সেটি ছিল নাসিরুদ্দিন শাহ অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র। গুজরাটের দুগ্ধখামারীদের ওপর কর্পোরেট আগ্রাসন ঘিরে বর্ষীয়ান নির্মাতা শ্যাম বেনেগালের ধ্রুপদি এই সিনেমাকে সম্মান জানিয়ে এই বিভাগে ঠাঁই দিয়েছে উৎসব কর্তৃপক্ষ।
এই শ্যাম বেনেগালই নির্মাণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’। প্রসঙ্গক্রমে সে কথা তুললে বাংলাদেশি সাংবাদিকদের নাসিরুদ্দিন শাহ্ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু বায়োপিক ছবিটি আমি দেখেছি। খুবই ভালো ছবি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বলতে হয়, শ্যাম বেনেগালের ছবিটি ব্যাপকভাবে প্রদর্শিত হয়নি। কিন্তু আমি মনে করি, মূল চরিত্রে যিনি অভিনয় করেছেন (আরিফিন শুভ) তিনি দারুণ করেছেন। আমি ছবিটি উপভোগ করেছি। ছবিটি দারুণ ইনফরমেটিভ, ইন্টারেস্টিং এবং নাটকীয়।’
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রযোজনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীনির্ভর ‘মুজিব : একটি জাতির রূপকার’ সিনেমা গেল বছরের ১৩ অক্টোবর দেশেজুড়ে মুক্তি পেয়েছে।
নাসিরুদ্দিন শাহ্ শুধু শুভ’র প্রশংসাই করেননি। বাংলাদেশে দু’বার মঞ্চে পারফর্ম করতে এসেছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ। সেই স্মৃতি রোমন্থন করে তিনি বলেন, ‘ঢাকার দর্শকরা চমৎকার। আমার সবচেয়ে আনন্দ লেগেছে রুনা লায়লাজির সঙ্গে দেখা করে।’
সবশেষে বাংলা ভাষা জানেন কিনা বলতেই নাসিরুদ্দিন শাহ বলেন, ‘আমি তোমাকে ভালোবাসি।’
শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ‘মন্থন’ (১৯৭৬) চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হয় গত শুক্রবার পালে দে ফেস্টিভ্যাল ভবনের বুনুয়েল থিয়েটারে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে। এর প্রদর্শনীতে নাসিরুদ্দিন শাহ ছাড়াও ছিলেন তার স্ত্রী বর্ষিয়ান অভিনেত্রী রত্না পাঠক শাহ, ‘মন্থন’-এর নায়িকা স্মিতা পাতিলের পরিবার, প্রযোজক এবং ভারতের ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের পরিচালক শিবেন্দ্র সিং দুঙ্গারপুর।
ভারতের বৃহত্তম দুগ্ধ উন্নয়ন আন্দোলন তথা শ্বেত বিপ্লবের পটভূমিতে তৈরি হয় ‘মন্থন’। এটি ছিল ভারতের প্রথম গণঅর্থায়নে নির্মিত চলচ্চিত্র। দেশটির গুজরাট রাজ্যের ৫ লাখ কৃষক ছবিটি নির্মাণে ২ রুপি করে দান করেন। ভার্গিস কুরিয়েনের দুগ্ধ সমবায় আন্দোলনে অনুপ্রাণিত ‘মন্থন’। ছবিটির অন্যতম গল্পকার তিনি।
ভার্গিস কুরিয়েনের বিলিয়ন লিটার আইডিয়া তথা অপারেশন ফ্লাড ভারত দুধের ঘাটতির দেশ থেকে বিশ্বের বৃহত্তম ও শীর্ষ উৎপাদনকারীতে পরিণত হয়েছে। তার শ্বেত বিপ্লবের কর্মপন্থা বিশ্বের বৃহত্তম কৃষি উন্নয়ন কর্মসূচি হিসেবে পরিচিত। ভারতের ডেইরি অ্যাসোসিয়েশন ২০১৪ সাল থেকে এই কীর্তিমানের জন্মদিনকে জাতীয় দুগ্ধ দিবস হিসেবে পালন করছে। ভারত সরকারের কাছ থেকে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ, পদ্মশ্রী, কৃষিরত্ন পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন দেশে অনেক সম্মাননায় ভূষিত করা হয় তাকে। ২০১২ সালে ৯০ বছর বয়সে পরলোকগমন করেন তিনি।
হিন্দি ভাষায় নির্মিত ২ ঘণ্টা ১৪ মিনিটের ‘মন্থন’ দেখিয়েছে গ্রামীণ ক্ষমতায়নকে কেন্দ্র করে কাল্পনিক আখ্যানের মাধ্যমে শ্বেত বিপ্লবের উৎপত্তি। এতে আরও অভিনয় করেছেন গিরিশ কারনাড, অমরিশ পুরি, কুলভূষণ খারবান্দা, মোহন আগাসে, অনন্ত নাগ, রাজেন্দ্র যশপাল, আভা ঢুলিয়া, সাধু মেহের ও অঞ্জলি পায়গানকার।
৪৮ বছরের পুরনো ‘মন্থন’ ছবির প্রিন্ট পুনরুদ্ধার করেছে ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশন। এর ৩৫ মিলিমিটার মূল নেগেটিভ সংরক্ষিত ছিলো এনএফডিসিতে (ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র সংগ্রহশালা)। পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে কাজ করেছেন পরিচালক শ্যাম বেনেগাল, চিত্রগ্রাহক গোবিন্দ নিহালানি, চেন্নাইয়ের প্রসাদ করপোরেশনের প্রাইভেট লিমিটেডের পোস্ট–স্টুডিওস এবং ইতালির লি’মাজিন রিত্রোভাতা ল্যাবরেটরি। অর্থায়নে সহযোগিতা করেছে ভার্গিস কুরিয়েনের গড়া প্রতিষ্ঠান গুজরাট কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন লিমিটেড। ফিল্ম হেরিটেজ ফাউন্ডেশনে সংরক্ষিত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত ৩৫ মিলিমিটার প্রিন্ট থেকে শব্দ ডিজিটালে রূপান্তর করা হয়েছে।
১৯৭৭ সালে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে সেরা পূর্ণদৈর্ঘ্য কাহিনিচিত্র এবং সেরা চিত্রনাট্যকার (বিজয় টেন্ডুলকার) স্বীকৃতি জিতেছে ‘মন্থন’। ভারত থেকে অস্কারে পাঠানো হয় এই ছবি। এতে ‘মেরো গাম কথা পারে’ গানের জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা গায়িকা বিভাগে পুরস্কার জয় করেন প্রীতি সাগর।
বাবার পথে হেঁটেই ভারতীয় বাংলার জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী এবং অভিনেত্রী হয়ে ওঠেন মোনালি ঠাকুর। একাধারে কাজ করেছেন বলিউডেও। সঙ্গীত ও অভিনয় শিল্পী শক্তি ঠাকুরের মেয়ে হিসেবে পরিচিত হলেও, মোনালির জীবনের অনুপ্রেরণার এক বিশেষ অংশ ছিলেন তার মা। অবশেষে নাড়ির বন্ধনে আবদ্ধ সম্পর্ক ছিন্ন করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন গায়িকার মা মিনতি ঠাকুর।
শুক্রবার (১৭ মে) মায়ের মৃত্যু খবর দিলেন মোনালি ঠাকুরের বড় বোন মেহুলি ঠাকুর। কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। দু’টো কিডনিই বিকল হয়ে গিয়েছিল, তাই ডায়ালাইসিস চলছিল। কোলকাতার এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রায় এক মাস ধরে। এপ্রিলের শেষে দিকে ভর্তি হওয়ার পর তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছিল।
মায়ের অবস্থা বিশেষ ভালো নয় আগেই জানিয়েছিলেন মোনালি। বৃহস্পতি তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, মায়ের অবস্থা দিন দিন শোচনীয় হয়ে উটছে। মায়ের সঙ্গে ছোটবেলার এক ছবি শেয়ার করেন তিনি। সাথে লেখেন, ‘কঠিন পরিস্থিতিতে কীভাবে লড়াই করব মা? এই একাকিত্ব, এই যন্ত্রণা। বড্ড অসহায় লাগছে।
কিন্তু এবার সময় এসেছে। তাঁকে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করে নেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাকে। তৈরি হতে হবে! আমার মাকে শান্তি দাও ঈশ্বর এবং আমাকে সাহায্য করো... এখন মাকে ছাড়া আমার জীবনটাই বা কী ভাবে কল্পনা করব? আর নিজেকে ঠিক রাখতে পারছি না।’
২২ দিন টানা চিকিৎসাধীন ছিলেন মিনতি। ১৮ দিনই ছিলেন লাইফসাপোর্টে। শেষে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করে নেওয়ার মতো কঠিন সিদ্ধান্তও নিতে হয়। তখন অক্সিজেন লেভেলও ছিল কম, ৫১ তে। মৃত্যু নিশ্চিত জেনে বাধ্য হয়েই তাই এরকম পদক্ষেপ নেয় ঠাকুর পরিবার। ঠিক একদিন পরই দেহ ত্যাগ করলেন তিনি।
কয়েক বছর আগেই করোনার সময় বাবা শক্তি ঠাকুরকে হারিয়েছিলেন মেহুলি-মোনালি। ২০২০ সালের অক্টোবরে পরপারে চলে যান তিনি। এবার মাকেও হারিয়ে অভিভাবকহারা হলেন তারা।