দক্ষিণ এশিয়া: মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক অঞ্চল



ড. মাহফুজ পারভেজ,অ্যাসোসিয়েট এডিটর,বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃৃহীত

ছবি: সংগৃৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

'মন ভালো নেই' সমস্যা মানুষের জীবনে আসতেই পারে। জীবনের কোনও না কোনও পর্যায়ে এই সমস্যা নানা জনের ক্ষেত্রে দেখা দেয়। সমস্যাটি সাময়িক হলে ভালো। নইলে বিপদ!

'মন ভালো নেই' স্থায়ী হয়ে ডিপ্রেশন হতে পারে। যাকে অবসাদ, হতাশা, চিত্তচাঞ্চল্য ইত্যাদি নানা নামে ডাকা হয়। কোনও ঘটনা বা পরিস্থিতি, যেমন শোক, দুর্ঘটনা, অপ্রাপ্তি ইত্যাদিতে যেমন ডিপ্রেশন হয়, তেমন শরীরবৃত্তীয় কারণেও ডিপ্রেশন হতে পারে। বয়ঃসন্ধিতে, গর্ভাবস্থায় শরীরবৃত্তীয় পরিবর্তনের জেরে ডিপ্রেশন বা এমন ধরনের সমস্যা হয়।

শরীরবৃত্তীয় ক্ষেত্রের সমস্যার জন্য মানসিক অবসাদ তৈরি হলে সাধারণত হরমোনের সমস্যাকে এজন্য দায়ী করা হয়। শরীরে নানা ধরনের হরমোন আছে। যেগুলো স্নায়ুর মধ্যে তথ্য আদানপ্রদান করে। শরীরের কাজ চালাতে সাহায্য করে। কিছু হরমোন মেয়েদের বেশি থাকে। কিছু হরমোন পুরুষের বেশি থাকে। এসব হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হলে, অর্থাৎ কমবেশি-তারতম্য হলে শারীরিক ও মানসিক সমস্যা প্রকট হয়।

বডি ব্যালেন্স, মুড ইমব্যালেন্স, স্মরণশক্তি, যৌনসক্ষমতা, আচরণগত নানা সমস্যা তখন মানুষকে আক্রান্ত করে। ডায়াবেটিসও মূলত হরমোনের সমস্যা থেকে তৈরি হয়।

মানুষের শরীরের একাধিক গ্রন্থি বা গ্ল্যান্ড থেকে হরমোন নিঃসরণ হয়। টিউমার, ক্যান্সার ইত্যাদির কারণে গ্রন্থি আক্রান্ত হলে হরমোন প্রবাহ কম বা বেশি হয়। কখনও শরীরে ভিটামিন-ডি কম থাকলেও ক্যালসিয়াম আহরণ ও হরমোন নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত হয়, যার ফলে 'মন ভালো নেই' বা অবসাদ বাড়ে। নেশা ও মাদকের অত্যাসক্তিতেও হরমোন সমস্যা হওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে পরিবেশগত-পরিস্থিতিগত কিংবা শরীরবৃত্তীয় সমস্যা, যে কারণেই মানসিক সমস্যা বা অবসাদ সৃষ্টি হলে দ্রুততার সঙ্গে চিকিৎসা করা দরকার। কারণ দীর্ঘমেয়াদে এমন সমস্যা থাকলে তা ক্রনিক ও স্থায়ী হয়ে মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বিপন্ন করতে পারে। জীবনে সামনের দিকে চলার গতি হারিয়ে যেতে পারে কিংবা বিপুল সম্ভাবনাময় জীবন নেতিবাচক অন্ধকারে নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে।

এমন আশঙ্কা স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা করছেন। কারণ, অতি-প্রতিযোগিতার দ্রুতলয় জীবনে মানুষের মধ্যে চাপ বাড়ছে, তাতে মানসিক গণ্ডগোল দেখা দিচ্ছে। আবার অতি-যান্ত্রিক ও পরিবেশ হানিকর পরিস্থিতির কারণে খাদ্য ও পুষ্টি পেতে সমস্যা হচ্ছে। শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মতো গ্ল্যান্ড আক্রান্ত হচ্ছে এবং এর ফলে হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়ে শারীরিক-মানসিক সমস্যার কারণেও অবসাদ বাড়ছে মানুষের মধ্যে।

বিশ্বের ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্য সমস্যার মধ্যে এখন অবসাদ স্থান পেয়েছে সামনের কাতারে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই এই সমস্যাটি দিনে দিনে প্রকট হচ্ছে।

বিভিন্ন গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের নিরিখে বলা হচ্ছে, বর্তমান একবিংশ শতকের পৃথিবীতে দ্রুত বাড়ছে যান্ত্রিকতা ও আধুনিকতা। এরই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের জীবনের সংগ্রাম, চাহিদা ও টার্গেট। সেইসঙ্গে বাড়ছে নানা অপ্রাপ্তি, হতাশা ও মানসিক অশান্তি। মানসিক অসুস্থতা ক্রমশ ঘিরে ধরছে বর্তমান পৃথিবীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবন।

গবেষণায় উন্নত-অগ্রসর দেশের চেয়ে দক্ষিণ এশিয়াকে চিহ্নিত করা হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক অঞ্চল হিসাবে। কারণ, পরিসংখ্যানের দিক থেকে বিশ্বে মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যাপূর্ণ দেশের তালিকায় সবার উপরে রয়েছে দক্ষিণ এশিয়া। আর বিশ্বের সবচেয়ে ডিপ্রেসড দেশ হয়েছে ভারত।

ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা) বা হু-এর করা একটা সমীক্ষায় এমনই একটা তথ্য উঠে এসেছে। ভারতের পরেই স্থান চীন এবং আমেরিকার। স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতেই সবচেয়ে বেশি মানসিক অসুস্থতার ঘটনাগুলো ঘটে। শুধু তাই নয়, ভারতের মোট জনসংখ্যার ৬.৫ শতাংশ অত্যন্ত সিরিয়াস মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এবং তাঁদের মধ্যে অধিকাংশেরই বয়স কম।

বিশ্বে এত মানসিক অসুস্থতার ঘটনা যেখানে ঘটে, সেখানকার চিকিৎসার ব্যবস্থা কীরকম? হু-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে বর্তমানে মাত্র ৫০০০ মনোবিদ এবং ২০০০ মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। যা রোগী অনুপাতে অনেকটাই কম। যার ফলে, সঠিক চিকিৎসা থেকে অনেককেই বঞ্চিত হতে হয়।

তাছাড়াও কাউন্সিলিং, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিক্যাল চিকিৎসা, হরমোন ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো অনেক পিছিয়ে। এবং এসব দেশেই আবার ব্যক্তিগত-পারিবারিক সমস্যা, সামাজিক নিরাপত্তা ইত্যাদির অভাব প্রকট। খুন, ধর্ষণ, সন্ত্রাস, হাইপারটেনশনের প্রকোপ প্রবলতর। ফলে সামনের দিনগুলোতে অবসাদ ও অন্যান্য সাইকো-ফিজিক্যাল বা শরীরবৃত্তীয়-মনোঃসমস্যা এ অঞ্চলে তীব্রভাবে আঘাত হানবে বলে বিশেষজ্ঞদের আশংকা।

   

অকালে আম পাকে!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
অপরিপক্ক পাকা আম / ছবি: পিক্সাবে

অপরিপক্ক পাকা আম / ছবি: পিক্সাবে

  • Font increase
  • Font Decrease

‘বৈশাখে তোর রূদ্র ভয়াল,

কেতন ওড়ায় কালবৈশাখী!

জষ্ঠি মাসে বনে বনে

আম কাঠালের হাট বসে কি...’

রবিঠাকুরের কলমে রচিত এ পংক্তি যেন, কেবল কাগজের উপর কালিতে সাজানো কিছু শব্দ নয়। বাংলা বছরের প্রথম ঋতুর সকল বৈশিষ্ট্য খুব অল্প ভাষায় সুসজ্জ্বিত করে গানের রূপে সামনে আনেন বিশ্বকবি।

দিন গুনতে গুনতে বছরের প্রথম মাসটি অনায়াসে কেটে গেল। চলছে জৈষ্ঠ্য মাস। ভয়ংকর কাল বৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হওয়ার আশঙ্কাকে পাশ কাটিয়ে; জৈষ্ঠ্যের পাকা আম, জাম, কাঁঠাল, লিচুই যেন গ্রীষ্মের আসল আনন্দ।  

গ্রীষ্মের পরিপূরক হলো আম। আম পছন্দ নয়, এমন মানুষটি খুঁজে পাওয়া দায়! এজন্যই আমকে বলে ফলের রাজা। ত্যক্ত-বিরক্ত করা গরমেও পাকা টসটসে আমের সুঘ্রাণই যেন আনন্দের স্বস্তি। তবে সে আনন্দেও বালি ঢেলে দেয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। ভোজন-রসিক মানুষরা সারা বছর অপেক্ষা করে থাকে রসে টসটসে তাজা ফলের স্বাদ আস্বাদনের জন্য। অনেক ভোক্তদের সেই অপেক্ষা বৃথা হয়ে যায় অপরিপক্ক ফলের কারণে।

অনেক ব্যবসায়ী অতিরিক্ত লাভের আশায় রাসায়নিক উপাদান ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করে আম পাকানোর চেষ্টা করে। আম যখন কাঁচা অবস্থায় থাকে তখন এর মধ্যে সাইট্রিক এসিড ম্যালিক এসিড, টারটারিক এসিড থাকে। এ কারণে আমের হাইড্রোজেন আয়নের ঋণাত্মক ঘনমাত্রার লগারিদম মান খুব কম হয়, ফলে আম অম্লধর্মী হয়। এছাড়া কাঁচা অবস্থায় আমে উচ্চ ওজনের পেকটিনের মজুদ বেশি থাকে।

অপরিপক্ক পাকা আম

সাধারণত প্রাকৃতিকভাবে পাঁকার সময় এই পেকটিনের ওজন কমতে থাকে। আমের মধ্যকার ভিটামিন ‘সি‘ কালক্রমে বদলে ভিটামিন ‘এ’ তে রূপান্তরিত হয়। একই সঙ্গে ক্লোরোফিল পরিবর্তিত হয়ে গ্লোবুলার ক্রোমোপ্লাস্টে রূপান্তরিত হয়। অ্যান্থোসায়ানিন পিগমেন্ট ফিনাইলপ্রোপানয়েডের সেকেন্ডারি মেটাবোলাইটসের  উপসি্থতি বাড়তে থাকে।(‘বিজ্ঞানচিন্তা’র তথ্যমতে) এই কারণে কাঁচা আমের সবুজ রঙ পরিবর্তন হয়ে লালচে-হলুদাভাব বর্ণ ধারণ করে। এভাবে পাকার ফলে আম হয় সুস্বাদু। আমের মৌ মৌ গন্ধ চারদিকে ছড়িয়ে যায়।

তবে ক্যালসিয়াম কার্বাইড (CaC2)  এর প্রয়োগের কারণে আমের মধ্যে পরিবর্তন আসে। এর মধ্যে থাকা (৮০থেকে৮৫ভাগ) ক্যালসিয়ামের কারণে আমের অম্লত্ব নষ্ট হতে শুরু করে। অম্ল-ক্ষারের প্রশমনের কারণে আমের মধ্যে থাকা ম্যালিক এসিড ও সাইট্রিক এসিডের পরিমাণ কমতে থাকে। তাই কাঁচা অবস্থাতেই আমের রঙ পরিবর্তন হতে শুরু করে।

আমের ভিটামিন বি১ পানিতে দ্রবনীয়। আমের আর্দ্র অংশের সঙ্গে ক্যালসিয়াম কার্বাইড বিক্রিয়া করে অ্যাকটেলিন গ্যাস উৎপন্ন করে। এতে আম অসময়েই পাক শুরু করে। সামগ্রিকভাবে আমের রাসায়নিক পরিবর্তন না ঘটলেও বাহ্যিকভাবে রঙের পরিবর্তনের কারণে দেখলে মনে হয় আম পেকেছে। এই অপরিপক্ক আম খেলে কেবল রুচি ও ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, তাই নয়! শরীরের জন্যও অনেক বেশি ক্ষতিকর হতে পারে।

;

সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি পেল 'বিড়াল'!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে 'ম্যাক্স' নামের একটি বিড়ালকে সম্মানসূচক ‘ডক্টরেট অব লিটারেচার’ বা ডি. লিট উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। দেশটির ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ছাত্রদের স্নাতক অনুষ্ঠানে বিড়ালটিকে এই সম্মানসূচক ডিগ্রি দেওয়া হয়। তবে সেই অনুষ্ঠানে বিড়ালকে আমন্ত্রণ জানানোর নিয়ম না থাকায় উপস্থিত ছিল না ম্যাক্স। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুষ্ঠানে বিড়ালটি উপস্থিত ছিল না। তাই বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডোর কাছে খুব শিঘ্রই এই ডিগ্রি পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।   

বন্ধুসুলভ এই বিড়ালটিকে তার ইঁদুর শিকারের দক্ষতা বা অতিরিক্ত ঘুমানোর জন্য নয় বরং তার সহচার্যের জন্যই স্বীকৃতি দিয়েছে।   বিড়ালটিকে এই ডিগ্রিতে ভূষিত করা হয়। ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটির ক্যাসেলটন ক্যাম্পাস।

ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সম্মানসূচক ডি. লিট উপাধি পেল 'বিড়াল'!

বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি ফেসবুক পোস্টের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, ম্যাক্স দ্য ক্যাট, অনেক বছর ধরেই ক্যাসেলটন পরিবারের একজন আদুরে সদস্য। ভারমন্ট স্টেট ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসের প্রবেশদ্বারের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া রাস্তায় পাশেই বসবাস করে এক পরিবার। বিড়ালটি সেই পরিবারেরই পোষা।

বিড়ালের মালিক অ্যাশলে ডো বলেন, ‘বিড়ালটি ঠিক করেছে সে ক্যাম্পাসে যাবে। এরপর থেকেই সে কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আড্ডা দিতে শুরু করে। আর শিক্ষার্থীরাও তাকে আদর করতে শুরু করে।’

বিড়ালটি প্রায় চার বছর ধরে ক্যাম্পাসে আসা যাওয়া করছে। বিড়ালটিকে পথের ধারে শুয়ে থাকতে দেখলেই সবাই তার সঙ্গে সেলফি নেয়।

এমনকি সাবেক ছাত্ররাও যখনই ক্যাম্পাসে আসেন তারা তখনই বিড়ালটির খোঁজ নিতে তার মালিক ডো-এর কাছে যান। ডো তাদের কাছে বিড়ালটির মা হিসেবেই বেশি পরিচিত।

;

৯৩ বছর বয়সে বৃদ্ধের অবিশ্বাস্য কর্মকাণ্ড



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বৃদ্ধ জন স্টারব্রুক

বৃদ্ধ জন স্টারব্রুক

  • Font increase
  • Font Decrease

শৈশবে খেলা, কৈশরে পড়ালেখা, যৌবনে চাকরি, মধ্যবয়সে সংসার, বৃদ্ধবয়সে একটা মাথা গোজার ঠাঁই খুঁজে অবসরে সময় কাটিয়ে দেওয়া। কপাল খারাপ থাকলে বিছানাতেই শোয়া বা আধশোয়া থেকে মৃত্যুর দিন গোণা। সাধারণত এভাবেই মানুষের জীবন কেটে যায়। অনেকে আবার মধ্যবয়সের পরেই নানারকম রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। অথবা শরীরকে বিভিন্ন রোগের আবাসস্থল বানিয়ে দুর্বল হয়েই বেঁচে থাকেন। তবে খড়ের গাদায় সূচের মতো দু-একজন থাকে যারা একেবারেই ব্যতিক্রম। তেমনভাবেই আলোচনায় এসেছেন ৯৩ বছরের এক বৃদ্ধ।  তার ব্যতিক্রমী জীবনযাপনের ধারাই আলোড়ন সৃষ্টি করেছে যুসমাজে।     

যুক্তরাজ্যের বাসিন্দা জন স্টারব্রুক। তিনি একজন ওয়াটার পোলো খেলোয়াড়। এটি মূলত পানির মধ্যে বাস্কেটবলের মতো একধরনের খেলা। এইখেলার সাথে কুস্তি খেলারও কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে। জনের বর্তমান বয়স ৯৩ বছর। এই বয়সেও যথেষ্ট সুস্থ এবং সবল তিনি। সমবয়েসীদের যেখানে সোজা হয়ে দাঁড়াতেও ২ জনের সহায়তা লাগে, সেখানে এখনো ম্যারাথনে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। পাশাপাশি বেশ দক্ষ সাঁতারুও বটে! ৮০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সাঁতার কাটা অব্যাহত রেখেছেন তিনি।

প্রায় শতাব্দি ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধের এমন কারিশমা দেখে চোখ ছানাবড়া হবার উপক্রম। জন মূলত একজন সাঁতারু। পেশাগতভাবে না হলেও অনেক ছোটবেলা থেকেই তিনি সাঁতার কাটেন তিনি। দেশের সম্মানজনক অনেপ্রতিযোগীতায় একাধিক বার চ্যাম্পিয়নের খেতাবও জেতেন। চাকরি করেছেন ‘ব্রিটিশ আর্মি মেডিক্যাল কর্পস’-। সেখানেও সাঁতারের দক্ষতার কারণে তার বেশ সুনাম ছিল।   

ম্যারাথনে দৌড়াচ্ছেন ৯৩ বছরের জন

তবে সাঁতারের পাশাপাশি এখন ম্যারাথেনেও অংশগ্রহণ করেছেন জন। ৫২ টির বেশি ম্যারাথনের দৌড় শেষ করেছেন তিনি। জানালেন এই বয়সেও তার এমন চ্যালেঞ্জিং সব কাজের অভিজ্ঞতা। সুস্থতা ধরে রাখার রহস্যও ফাঁস করলেন সকলের কাছে। ব্রিটিশ নাগরিক জন বন্ধুদের কাছে ‘দ্য লিজেন্ডনামেই পরিচিত। একই নামে তাকে আখ্যায়িত করছে ব্রিটিশ গণমাধ্যমগুলো

জন স্টারব্রুক জানান, তিনি এখনো সপ্তাহের ৬ দিনই জিমে যাতায়াত করেন। বিশেষ কোনো খাদ্যাভাস নেই তার। খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি রাখতে পছন্দ করেন- এই যা। তাছাড়া প্রতিদিন সকালে পোরিজ খান তিনি। তবে তিনি কখনো ধূমপান করেননি। অ্যালকোহলও খুব সীমিত পরিমাণে সেবন করতেন। মূলত এই বয়সেও এটা সবল থাকার পেছনে বংশ পরম্পরায় পাওয়া নিজের জীন আসল কারণ- বিশ্বাস করেন জন।

কারণ যাই হোক, প্রানবন্ত এই বৃদ্ধ বিশ্ববাসীকে অবাক করেছে। তার মতোই দৃঢ় মানসিকতা ধরে রাখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন যুবক-যুবতীরা।

তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

;

প্রশ্ন আর উত্তর যেন পরস্পরের সাংঘর্ষিক!



ফিচার ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রশ্ন থাকে এক আর তার উত্তর হয় ভিন্ন। এমন উত্তরপত্রের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই দেখা যায়। এবার এমনই এক উত্তরপত্রের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে ভাইরাল হয়েছে। যা দেখে রীতিমতো সবাই অবাক! তবে এই ঘটনার জন্ম দেওয়া দেশটি বাংলাদেশ নয়, প্রতিবেশী দেশ ভারতের একটি হিন্দি পরীক্ষায় ঘটেছে এমন কাহিনী।

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রকাশিত ভিডিওতে পরীক্ষার্থীর এমন উত্তর দেখে শিক্ষককেও হাসতে দেখা যায়। 

ভিডিওটি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করা হয়েছে @n2154j অ্যাকাউন্টের একটি আইডি থেকে।

ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একটি প্রশ্ন ছিল এমন, সংযুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণ (যৌগিক ব্যঞ্জনবর্ণ) কী? এই প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষার্থীটি একটি খাদ্য রূপক দিয়ে উত্তর দিল: "মাটার পনির এবং সব মিশ্র সবজি একত্রিত একটি খাবার।"

আরেকটি প্রশ্ন ছিল "অতীত কাল কাকে বলে?" এর উত্তরে ওই পরীক্ষার্থি লিখেছে, "যখন অতীত আমাদের অতীতের আকারে আসে, তখন তাকে অতীত কাল বলা হয়।"

ভিডিও অনুযায়ী আরও একটি প্রশ্ন ছিল "বহুবচন কাকে বলে?" এর উত্তরে সে লিখেছে "যে পুত্রবধূ তার শ্বশুরবাড়ির কথা শোনে তাকে বহুবচন বলে।"

শিক্ষার্থীটির এমন উত্তর শুনে হাসিতে ফেটে পড়েন শিক্ষক। এমন উত্তরগুলোকে শিক্ষক ভুল হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। যদিও এমন উত্তরের জন্য তাকে পুরোপুরি হতাশ করা হয়নি। তাকে ১০ মার্কের মধ্যে ৫ নম্বর দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষক পরে তার উত্তরপত্রে লিখে দিয়েছিলেন, এই ৫ মার্ক তোমার মস্তিষ্কের জন্য, ছেলে।

ভিডিওটি দেখে সবাইকে হাসির ইমোজি দিতে দেখা যায়। সম্পূর্ণ নম্বর না পাওয়ায় অনেকেই যুক্তি দিয়ে লিখেছেন, ছাত্রটি তার কৌতুক প্রতিভার জন্য পূর্ণ নম্বর পাওয়ার যোগ্য।

তবে এমন ঘটনা নিয়ে অনেকেই সন্দেহ প্রকাশ করে বলেছেন, ছাত্র এবং শিক্ষকের হাতের লেখা সন্দেহজনকভাবে একই রকম।

অন্য এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, "প্রশ্ন এবং উত্তর একই হাতের লেখা"। 

;