আদালতের নির্দেশে পাসপোর্ট জমা দিলেন বলসোনারো



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাজিলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর পাসপোর্ট জমা নিয়েছে। আল জাজিরা জানিয়েছে, আদালতের নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) পাসপোর্ট জমা দের এই কট্টর ডানপন্থী নেতা।

সরকার উৎখাতের চেষ্টায় ব্রাজিলের বিভিন্ন সরকারি ভবনে সমর্থকদের দিয়ে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় গত বছরের জানুয়ারিতে বলসোনারো ও তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তল্লাশি চালায় দেশটির পুলিশ।

দেশটির ফেডারেল পুলিশ জানিয়েছে, তারা ৩৩টি তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেছে। এ সময় চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তাদের সবার বিরুদ্ধে অভ্যুত্থান চেষ্টার অপরাধে তদন্ত চলছিল।

মূলত ২০২৩ সালের ৮ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ, পার্লামেন্ট ও সুপ্রিম কোর্ট ভবনে বলসোনারোর সমর্থকদের তাণ্ডবের কারণে তল্লাশি অভিযান-পরোয়ানার এসব ঘটনা।

সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি আলেকজান্দ্রে দে মোরায়েস এসব তল্লাশি অভিযানের নির্দেশ দিয়েছেন। সেই সঙ্গে তিনি সন্দেহভাজন কয়েকজনকে সরকারি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন।

এ ছাড়া সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের পাসপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন বিচারপতি আলেকজান্দ্রে। এরপরই বলসোনারোর পাসপোর্ট জমা নেওয়া হয়।

বলসোনারোর আইনজীবী ও উপদেষ্টা ফাবিও ওয়াজনগার্তেন এক্সে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে জানান, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও ডানপন্থী রাজনীতিক জইর বলসোনারোর পাসপোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।

যদিও বলসোনারো বরাবরই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার দাবি, ঘটনার সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ছিলেন। হামলায় তিনি জড়িত নন।

ফোলহা দে সাও পাওলো সংবাদপত্রের সাংবাদিককে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলসোনারো বলেন, তিনি অবিরাম নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন।

চারজন সাবেক জেনারেলের বিরুদ্ধেও তল্লাশি অভিযান চালানো হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন বলসোনারোর আমলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ওয়াল্টার বারগা নেত্তো ও বলসোনারোর উপদেষ্টা অগাস্তো হেলেনো।

এ ছাড়া বলসোনারোর লিবারেল পার্টির (পিএল) প্রধান ভ্লাদিমির কস্তা নেতোর বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হয়েছে।

এদিকে ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর, এসব অভিযানে এখন পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজন সেনা কর্মকর্তা। অন্যজন ফিলিপ মার্টিনস। তিনি বলসোনারোর আন্তর্জাতিকবিষয়ক সাবেক উপদেষ্টা।

   

ইন্দোনেশিয়ায় বন্যায় ৩৪ জন নিহত, নিখোঁজ ১৬



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে আকস্মিক বন্যায় অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১৬ জন।

রোববার (১২ মে) দেশটির একজন দুর্যোগ কর্মকর্তার বরাতে সংবাদমাধ্যম দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।

সুমাত্রা দুর্যোগ সংস্থার মুখপাত্র ইলহাম ওয়াহাব এএফপিকে বলেছেন, শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় পশ্চিম সুমাত্রা প্রদেশের দুইটি জেলায় কয়েক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টির কারণে বন্যা ও পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ৩৪ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও ১৮ জন। এছাড়াও ১৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। বন্যা ও পাহাড় ধসের কারণে হাজার হাজার মানুষ হুমকির মুখে পড়েছেন।

তিনি বলেন, নিখোঁজদের উদ্ধারে স্থানীয় উদ্ধারকারী, পুলিশ, সেনা এবং স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করছে।

;

গুয়েতমালায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে ভবন ধস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্য আমেরিকার দেশ মেক্সিকোর সীমান্ত লাগোয়া গুয়েতেমালার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। এতে অঞ্চলটির বেশ কিছু ভবন ধসে পড়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। 

স্থানীয় সময় রোববার (১২ মে) ভোরের দিকের এই ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা এএফপি'র এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, স্থানীয় সময় রোববার ভোর ৫টা ৩৯ মিনিটের দিকে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত লাগোয়া সান মার্কোস প্রদেশে ৬ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল সান মার্কোস বিভাগের উপকূল থেকে ৯০ কিলোমিটার (৫৫ মাইল) দূরে প্রশান্ত মহাসাগরে। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়েছে ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ কিলোমিটার গভীরে।

দেশটির কর্তৃপক্ষ বলেছে, ক্যারিবিয়ান এবং কোকোস টেকটোনিক প্লেনের পাশাপাশি স্থানীয় ভূতাত্ত্বিক ত্রুটির কারণে গুয়েতেমালার প্রায় ৯০ শতাংশ এলাকা ‍ভূমিকম্প প্রবণ।

এর আগে, ১৯৭৬ সালে দেশটিতে সাড়ে ৭ মাত্রার শক্তিশালী এক ভূমিকম্প আঘাত হানে। স্মরণকালের ভয়াবহ ওই ভূমিকম্পে দেশটিতে ২৩ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

 

;

গাজায় নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়াল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলা হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধে ফিলিস্তিনি নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ছাড়াল। এর মধ্যে ১৫ হাজারই হলো শিশু। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা ৩৫ হাজার ৩৪ জনে পৌঁছেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ৭৮ হাজার ৭৫৫ জন।

রোববার (১২ মে) গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদুল এজেন্সি, কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরাসহ বেশি কিছু সংবাদমাধ্যম এ তথ্য জানিয়েছে । 

দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলের হামলায় ৬৩ জন নিহত এবং ১১৪ জন আহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এখনো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা রয়েছেন। যেহেতু গাজার উদ্ধারকারীদের কাছে ভারী সরঞ্জাম নেই। সে কারণে তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয় না।

সংঘাতের সাত মাসেরও বেশি সময় ধরে অঞ্চলটিতে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের সংকটে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

এর আগে ইসরায়েলের এমন কর্মকাণ্ডকে আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) 'গণহত্যা' বলে উল্লেখ করেছে। সংস্থাটি এই ধরনের কাজ বন্ধ করতে এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

এদিকে দক্ষিণ আফ্রিকা গত শুক্রবার আইসিজেকে দক্ষিণের শহর রাফাহ থেকে ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। যেখানে প্রায় ১৫ লাখ বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

 

;

আফগানিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহতের সংখ্যা ৩০০ ছাড়াল



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে আকস্মিক বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১৫ জনে। এতে আহত হয়েছেন আরও এক হাজার ৬০০ জন। দেশটির বাঘলান প্রদেশে গতকাল শুক্রবার ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

রোববার (১২ মে) দেশটির তালেবান সরকারের শরণার্থী বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। 

এ ঘটনায় আরও অনেকেই নিখোঁজ রয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এর আগে গতকাল শনিবার দেশটির স্বরাষ্ট্র বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে ২০০ জন নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়েছিল।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন বাঘলান প্রদেশের শেখ জালাল গ্রাম এবং সাল শহরের বাসিন্দারা। শুধুমাত্র বাঘলানি জাদিদ জেলাতেই এক হাজার ৫০০টি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং শতাধিক লোক নিহত হয়েছেন।

এর আগে তালেবান সরকারী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বন্যায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত ৬২ জন মারা গেছেন।

তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে বলেছেন, ‘আমাদের শত শত নাগরিক এই বিপর্যয়কর বন্যায় মারা গেছে।’ তবে তিনি কোনো সংখ্যা উল্লেখ করেননি।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে তিনি জানিয়েছেন, ডজন ডজন মানুষ মারা গেছে। আফগানিস্তান জুড়ে একাধিক প্রদেশে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে, উত্তর তাখার প্রদেশের কর্মকর্তারা শনিবার 20 জনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।

চার দশকের যুদ্ধে বিধ্বস্ত দেশটিতে গত বছরও বন্যায় কয়েক শ মানুষ মারা গেছে। দেশটির অর্থনৈতিক সক্ষমতা খুব বেশি না হওয়ায় দুর্যোগ মোকাবিলা বা প্রশমনের বিষয়টি দেশটির জন্য খুবই সুদূর পরাহত।

;