সেনেগালের নতুন প্রধানমন্ত্রী ওসমান সোনকো



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সেনেগালের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বাসিরু দিওমায়ে ফায়ে দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ওসমান সোনকোকে নিয়োগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

ওসমান আফ্রিকার এই দেশটির দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনের অগ্রনায়ক বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে তিনি নতুন প্রেসিডেন্টের একজন ঘনিষ্ঠ মিত্র ও অন্যতম সমর্থক হিসেবে পরিচিত।

তিনি সেনেগালের বিদায়ী সরকারের একজন কঠোর সমালোচকও ছিলেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ পাওয়ার পর ওসমান বলেন, মন্ত্রিসভার নতুন সদস্যদের তালিকা তিনি প্রেসিডেন্টকে দিয়েছেন। তার অনুমোদন পেলেই পূর্ণাঙ্গ সরকার গঠন করা হবে।

৪৯ বছর বয়সি এই সোনকো আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ফায়ের কাঁধে এখন কঠিন দায়িত্ব। এই কঠিন সময়ে তাকে একা ছেড়ে দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।’

এর আগে মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) সেনেগালের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ৪৪ বছর বয়সি ফায়ে।

এর পর প্রথম আদেশে তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে ওসমানকে নিয়োগ দেন।

প্রেসিডেন্ট পদে ম্যাকি সলের স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন ফায়ে। ম্যাকি সল ১২ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি তার শাসনকাল তৃতীয় মেয়াদে টেনে নিতে চেষ্টা করবেন, এমন শঙ্কার অবসান ঘটে ফায়ের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে।

প্রসঙ্গত, কয়েক মাস ধরে অনিশ্চয়তায় কেটেছে সেনেগালবাসীর। তবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ও গত সপ্তাহের নির্বাচনে তরুণ ও প্রতিষ্ঠানবিরোধী ফায়ের বিজয় দেশবাসীর মধ্যে স্বস্তির অনুভূতি এনেছে যে পরিবর্তন ঘটছে।

নির্বাচনের মাত্র ২০ দিন আগেও ফায়ে কারাবন্দী ছিলেন।

   

মালদ্বীপ থেকে সব সেনা ফিরিয়ে নিয়েছে ভারত



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঁধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যেই ভারত আজ শুক্রবার (১০ মে) তাদের সবশেষ সৈন্যটিকে নিজেদের দেশে ফিরিয়ে নিয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রন্দির জয়সওয়াল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।

তিনি জানান, মালদ্বীপের তিনটি পরিদর্শন বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এসব সৈন্য দেশটিতে অবস্থান করছিল। এসব সৈন্যদের ফিরিয়ে সেখানে প্রযুক্তিগত বেসামরিক কর্মীদের নিয়োগ করা হবে। 

এর আগে গত বছরের নভেম্বরে ক্ষমতায় এসে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজু তার দেশ থেকে সব বিদেশি সৈন্য প্রত্যাহার করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।

পরে দুই দেশের মধ্যে গঠনমূলক বৈঠকের পরে ১০ মে'র মধ্যে মালদ্বীপ থেকে তাদের সামরিক কর্মীদের সরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছিল।

এর আগে গত মঙ্গলবারের মধ্যে ৫১ জন সৈন্য প্রবালদ্বীপের দেশটি থেকে ভারতে ফিরে আসে।

 

;

ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের বিরোধী যুক্তরাষ্ট্র : ব্লিঙ্কেন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েল রাফাহ সীমান্ত ক্রসিং দখল করার পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন বৃহস্পতিবার (৯ মে) মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছেন, ‘গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের বিরোধীতা করে যুক্তরাষ্ট্র।’

রয়টার্স জানিয়েছে মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌকরির সঙ্গে টেলিফোনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বক্তব্য পুনরুল্লেখ করে ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘জো বাইডেন বলেছেন রাফাহতে বড় সামরিক অভিযান এবং গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করার ইসরায়েলি পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্র সমর্থন করে না।’

ব্লিঙ্কেনের ওই বক্তব্য নিশ্চিত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারও।

মিলার বলেছেন, ‘রাফাহ ক্রসিং পুনরায় চালু করার জন্য এবং অবিলম্বে প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তার অব্যাহত প্রবাহের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ব্যক্ত করেছেন ব্লিঙ্কেন।’

ব্যাপক জন ঘনত্বের রাফাহ শহরে ভয়ঙ্কর স্থল অভিযানের হুমকি দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গত মঙ্গলবার ঘোষণা করেন যে, রাফাহ ক্রসিংয়ে ইসরায়েলের পতাকা উত্তোলন করেছে তার সেনারা। হামাসের কাছ থেকে মিশরে প্রাথমিক সীমান্ত চৌকি দখলের ঘটনা এটি।

অর্ধ বছরের যুদ্ধের পর ১৪ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি রাফাহতে আশ্রয় নিয়েছে এবং ইসরায়েল শহরটির পূর্ব দিক থেকে সরে যাওয়ার আদেশ জারি করেছে।

এ ছাড়াও অনেক ডানপন্থী ইসরায়েলি হামাস শাসিত গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরিত করার বিষয়ে পরিকল্পনা করছে।

এই ধরনের সিদ্ধান্ত ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং সেইসঙ্গে আরব দেশগুলোর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

বিশ্লেষকরা ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের সৃষ্টির পর উদ্বাস্তুদের সংখ্যা বৃদ্ধির সামঞ্জস্য রেখে আরেকটি বড় বাস্তুচ্যুতির আশঙ্কা করছে।

ব্লিঙ্কেন তার আলোচনায় জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে মিশরের মধ্যস্থতার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।

মার্কিন ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি এর আগে বলেছিলেন, কায়রো আলোচনায় ব্যাপকভাবে জড়িত সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসেছেন।

;

যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বল এখন ইসরায়েলের কোর্টে : হামাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস শুক্রবার (১০ মে) বলেছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিতে তাদের প্রতিনিধি দল কাতারের উদ্দেশ্যে কায়রো ছেড়েছে।

রয়টার্স জানিয়েছে হামাস আরো বলেছে, ‘বল এখন সম্পূর্ণরূপে ইসরায়েলের কোর্টে।’ যুদ্ধবিরতির আলোচনায় মধ্যস্থতাকারী প্রতিনিধিদলটি কায়রো থেকে দোহায় যাত্রা করেছে।

এদিকে, যথারীতি মধ্যস্থতাকারীদের উন্থাপিত প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং প্রস্তারে বেশ কয়েকটি বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।

হামাস অন্যান্য ফিলিস্তিনি উপদলের কাছে এক বার্তায় বলেছে, তারা চুক্তিটি বিবেচনা করছে। সে অনুযায়ী বল এখন পুরোপুরি দখলদারদের কোর্টে।

মিশরের রাষ্ট্রপরিচালিত সংবাদমাধ্যম আল-কাহেরা নিউজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) জানিয়েছে, উভয় শিবিরের প্রতিনিধিরা গাজা উপত্যকায় সাত মাসের যুদ্ধে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে দুই দিনের আলোচনার পর কায়রো ছেড়েছে।

অন্যদিকে একটি উচ্চপর্যায়ের মিশরীয় সূত্রের বরাত দিয়ে আল-কাহেরা আরো জানিয়েছে, মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য মধ্যস্থতাকারীরা দুই পক্ষের দৃষ্টিভঙ্গি কাছাকাছি আনার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

হামাস গত সোমবার বলেছিল, তারা মধ্যস্থতাকারীদের উন্থাপিত যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে। গোষ্ঠীটি তখন বলেছিল, একটি ‘স্থায়ী যুদ্ধবিরতির লক্ষ্যে চুক্তিতে গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী প্রত্যাহার, যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের প্রত্যাবর্তন ও ইসরায়েলে আটক ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তির বিনিময়ে হামাসের হাতে আটক ইসরায়েসি জিম্মিদের মুক্তির বিষয়টিও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।

একই সময়ে নেতানিয়াহুর কার্যালয় প্রস্তাবটিকে ইসরায়েলের মূল দাবি থেকে অনেক দূরে বলে অভিহিত করে। তবে তার সরকার কায়রোতে আলোচকদের পাঠাবে বলে জানিয়েছে।

ইসরায়েল দীর্ঘদিন ধরে একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিরোধীতা করে আসছে। তারা জোর দিয়ে বলেছে, তাদেরকে অবশ্যই হামাসকে সম্পূর্ণরুপে নির্মূল করতে হবে।

;

জাপান সফরে যাচ্ছেন সৌদি যুবরাজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাপান সফরে যাবেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। রয়টার্স জানিয়েছে, যুবরাজ সালমান জাপানে ২০ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত অবস্থান করবেন।

এই সফরে তিনি জাপানের সম্রাট এবং প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন বলে শুক্রবার (১০ মে) জানিয়েছে টোকিও।

উল্লেখ্য যে, জাপানের প্রধান জ্বালানি তেল সরবরাহকারী দেশএই সৌদি আরব এবং দেশটির সার্বভৌম সম্পদ তহবিল পাবলিক ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড জাপানের গেমিং জায়ান্ট নিন্টেন্ডো কোম্পানির বিদেশী বৃহত্তম শেয়ার হোল্ডারে পরিণত হয়েছে।

সৌদির সার্বভৌম সম্পদ তহবিল এখন কিয়োটোভিত্তিক গেম কোম্পানির ৮.৩ শতাংশের মালিক।

নামের আদ্যক্ষরের কারণে সংক্ষেপে ‘এমবিএস’ নামে পরিচিত সৌদি আরবের ডি-ফ্যাক্টো এই নেতার ২০১৯ সালের পর এটিই প্রথম জাপান সফর।

তিনি সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এবং তার দেওয়া ভোজ সভায় যোগ দেবেন। তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গেও বৈঠক করবেন।

বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে জাপান সরকারের মুখপাত্র ইয়োশিমাসা হায়াশি সাংবাদিকদের বলেন, ‘কিশিদা দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা ও মধ্যপ্রাচ্য এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় নিয়ে বিস্তৃত পরিসরে আলোচনার পরিকল্পনা করবেন।’

৩৮ বছর বয়সি যুবরাজ সালমান ২০১৭ সালে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে সৌদি আরবে জাপানের গেমিং খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছেন।

২০২২ সালে যুবরাজ এ খাতে ৩৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

;