আইসিসির গ্রেফতারের শঙ্কায় আতঙ্কে নেতানিয়াহু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় থামছে না ইসরায়েলের আক্রমণ। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর নির্দেশে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। বিশ্বজুড়ে চলমান আন্দোলনকে তোয়াক্কা করছে না ইসরায়েল সেনাবাহিনী। অন্যদিকে, ফিলিস্থিনপন্থী বিশ্বনেতাদের ডাকেও কানে আঙুল দিয়ে বসে আছে তেল আবিব।

আন্তর্জাতিক আইনকে অমান্য করে নির্বিচারে চালানো হচ্ছে হত্যা, নির্যাতন ও ধ্বংসযজ্ঞ। নারী-শিশুসহ তিলে তিলে শেষ করা হচ্ছে অবরুদ্ধ অঞ্চলটিকে। অন্যদিকে ইসরায়েলের এমন কর্মকাণ্ডেও কিছু করতে পারছে না বিশ্ব।

তবে এবার জানা যাচ্ছে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে শনিবার (২৭ এপ্রিল) এমনটাই বলা হয়েছে। দ্যা নিউ আরব অনুসারে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের বরাত দিয়ে মারিভ পত্রিকা জানিয়েছে, আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানার আশঙ্কায় অত্যন্ত চাপে এবং আতঙ্কের মধ্যে আছেন নেতানিয়াহু।

শুধু নেতানিয়াহু নন, তার বিশিষ্ট কিছু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধেও এই গ্রেফতারি নোটিশ আসতে পারে বলে ইসরায়েলের মিডিয়ায় প্রতিবেদন প্রকাশ পেয়েছে।

ইসরায়েলের মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং আর্মি চিফ অব স্টাফ হার্জি হালেভির নাম সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে। সেই সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য সিনিয়র সরকারী কর্মকর্তারা এ সপ্তাহে তেল আবিবে জরুরি বৈঠক করেছেন।

এরই মধ্যে গ্রেফতারি পরোয়ানা ঠেকাতে নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক বন্ধুদের, বিশেষ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন। কখন গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে, তা স্পষ্ট নয় এবং এই ধরনের তথ্য প্রকাশ করা আদালতের জন্য আদর্শ নয়।

তবে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানার আশঙ্কা প্রথম বৃহস্পতিবার মার্কিন ট্যাবলয়েড নিউইয়র্ক পোস্টে ব্রিটিশ-ইসরাইলপন্থী ভাষ্যকার ডগলাস মারে একটি মতামতের অংশে প্রচার করেছিলেন।

মারে লিখেছেন, কয়েকদিনের মধ্যে ওয়ারেন্ট জারি হতে পারে। এতে নেতানিয়াহু অবিলম্বে বিচারের মুখোমুখি হবেন না। তবে এটি প্রধানমন্ত্রীর জন্য বিশ্বমঞ্চে একটি বড় ধাক্কা এবং ইসরায়েলের মিত্র ও আইসিসি সদস্যদের ওপর কাজ করার জন্য চাপ সৃষ্টি করবে।

এর আগে শুক্রবার এক এক্সবার্তায় নেতানিয়াহু লিখেছেন, ‘ইসরায়েলের সহজাত ও আত্মরক্ষার অধিকার খর্ব হয়, আইসিসির এমন কোনো প্রচেষ্টা আমার নেতৃত্বে এ দেশটি মেনে নেবে না। মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র গণতন্ত্র ও বিশ্বের একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্রের সামরিক কর্মকর্তাদের জব্দ করার হুমকি আপত্তিজনক। আমরা এর কাছে কখনো মাথা নত করব না।’

গাজায় হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের জন্য এ ধরনের ওয়ারেন্টের অর্থ কী হবে, তা নিয়ে সিনিয়র ইসরায়েলি কর্মকর্তারা উদ্বিগ্ন বলে জানা গেছে।

ইসরায়েলের চ্যানেল ১৩ সম্প্রচারকারী কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছে, তারা বিশ্বাস করেন ট্রাইব্যুনাল জুনিয়র সেনাদের পরিবর্তে নীতিনির্ধারকদের টার্গেট করবে।

   

নির্বাচনে সুবিধা পেতে চীনা পণ্যে উচ্চ শুল্ক আরোপ বাইডেনের!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচনের আগে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে ইলেকট্রিক গাড়িসহ চীনের একাধিক পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

মঙ্গলবার (১৪ মে) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের ইলেকট্রিক গাড়ি, কম্পিউটার চিপস ও মেডিকেল পণ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ উপকরণ আমদানিতে নতুন করে শুল্ক আরোপ করেছে বাইডেন প্রশাসন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে নিজের জনপ্রিয়তা বাড়াতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। কর্মকর্তারা এই ঘোষণা দেওয়ার সময় সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বাণিজ্য নীতিরও সমালোচনা করেন।

চলতি বছরই ইলেকট্রিক গাড়ির ওপর শুল্কের হার প্রায় চার গুণ বেড়ে ১০০ শতাংশ হতে যাচ্ছে। সেমিকন্ডাক্টরের ওপর শুল্ক আগামী বছরে বর্তমান ২৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশ হতে যাচ্ছে।

চীনকে 'প্রযুক্তির আদানপ্রদান, বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পত্তি ও উদ্ভাবনের' ক্ষেত্রে বাণিজ্য বৈষম্য দূর করতে বাধ্য করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে হোয়াইট হাউস।

এর আগে, ট্রাম্প প্রশাসনের সময় ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্যিক রেষারেষির অংশ হিসেবে ৩০ হাজার কোটি ডলারের পণ্যে শুল্ক বসান তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার ১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার মূল্যমানের পণ্যে বাড়তে যাচ্ছে শুল্ক।

মার্কিন পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র ২০২৩ সালে চীন থেকে ৪২৭ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে। আর দেশটি চীনে ১৪৮ বিলিয়ন ডলার রফতানি করেছে।

হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যাডভাইজার লেল ব্রেইনার্ড বলেন, চীন কম দামে পণ্য রফতানি করে বিশ্ববাজারে নিজেদের প্রভাব বজায় রাখছে। যা অন্যায় ও অন্যায্য।

নতুন শুল্ক আরোপের বিষয়ে বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) নীতিমালার লঙ্ঘন করে একপাক্ষিক শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্তের প্রতি নিন্দা জানাচ্ছে।

বেইজিংয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন জানান, চীন 'তাদের বৈধ অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় সব ধরনের উপযুক্ত ব্যবস্থা নিবে।

;

চলতি সপ্তাহে চীন সফর যাচ্ছেন পুতিন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের নেতা শি জিনপিংয়ের আমন্ত্রণে চলতি সপ্তাহে চীন সফর করবেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। খবরটি রয়টার্সকে মঙ্গলবার (১৪ মে) নিশ্চিত করেছে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

খবর মোতাবেক আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার বেইজিংয়ে থাকবেন পুতিন।

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং বলেছেন, মাত্র ছয় মাসের মধ্যে এটি হবে রাশিয়ার নেতার দ্বিতীয় চীন সফর এবং গত মার্চে পুনর্নির্বাচনের পর প্রথম বিদেশ সফর।

বিশ্লেষকদের মতে, যেহেতু পশ্চিমারা ইউক্রেন আক্রমণের জন্য নিষেধাজ্ঞার জালে রাশিয়ার অর্থনীতিকে আটকে ফেলার চেষ্টা করছে, সেহেতু একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক লাইফ লাইন হিসাবে চীনের উপর ক্রমবর্ধমান হারে নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে মস্কো।

অন্যদিকে, মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে যেকোনো সমালোচনাকে প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং। বিনিময়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে রাশিয়ার গ্যাসের চালানসহ বিশাল প্রাকৃতিক সম্পদ সস্তায় ভোগ করছে চীন।

কার্নেগি রাশিয়া ইউরেশিয়া সেন্টারের পরিচালক আলেকজান্ডার গাবুয়েভ এএফপিকে বলেছেন, ‘রাশিয়া চায় চীন তাদেরকে সমর্থন করার জন্য আরও কিছু করুক, যা চীন করতে অনিচ্ছুক। কারণ, তারা পশ্চিমের সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে ঝুঁকিতে ফেলতে চায় না।’

ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকে চীন ও রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য বেড়েছে এবং মস্কোর আক্রমণের কখনো নিন্দা করেনি বেইজিং।

কিন্তু, মস্কোকে সহায়তা করে এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ওয়াশিংটন নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর গত মার্চ এবং এপ্রিলে রাশিয়ায় চীনা রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে।

সিএনএ-এর একজন সিনিয়র রিসার্চ সায়েন্টিস্ট এলিজাবেথ উইশনিক এএফপিকে বলেছেন, ‘চীনা ব্যাঙ্কগুলো উদ্বিগ্ন। কারণ, তারা বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞাগুলি এড়াতে চাইছে। অবশ্যই প্রধান চীনা ব্যাংকগুলো দেশীয়ভাবে বর্তমান অর্থনৈতিক অসুবিধার কারণে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে চাইবে।’

বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন, চলতি সপ্তাহের শি-পুতিন বৈঠকে বেশ কিছু চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে এবং বাণিজ্য বাড়ানোর অঙ্গীকার করা হবে।

বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়ান নেতা পুরোপুরি জানেন যে, বেইজিং মস্কোকে সমর্থন করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। কারণ, চীনা নীতিনির্ধারকরা মার্কিন নেতৃত্বাধীন বিশ্ব ব্যবস্থার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ মিত্র।

;

রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ফের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।

এনডিটিভি জানিয়েছে, বছর খানেক আগে এক নৃত্যশিল্পী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির ওই অভিযোগ দায়ের করেন লালবাজার থানায়। সম্প্রতি ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে কলকাতা পুলিশ।

এর আগে রাজভবনের এক অস্থায়ী নারী কর্মচারী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছিলেন, যা নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি।

সূত্রের খবর, রাজভবনের ভেতরে শ্লীলতাহানির অভিযোগের অনেক আগেই এই অভিযোগটি জমা পড়েছিল।

জি নিউজ জানিয়েছে, ২০২৩ সালের জুন মাসে নয়াদিল্লির এক হোটেলে রাজ্যপাল বোস তার শ্লীলতাহানি করেছেন বলে অভিযোগ করেন এক ওডিশি নৃত্যশিল্পী।

তার অভিযোগ, রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশনা করার জন্য ওই নৃত্যশিল্পীকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। নয়াদিল্লির এক বিলাসবহুল হোটেলে তার জন্য রুম বুক করা হয়েছিল। রাজ্যপালের এক আত্মীয় ওই বুকিং করেছিলেন বলে দাবি করেন ওই নৃত্যশিল্পী।

অভিযোগকারীর ভাষ্যমতে, গত বছর ৫ এবং ৬ জুন শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছিল। কলকাতায় ফিরে ওই নৃত্যশিল্পী লালবাজার থানায় রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।

কিন্তু সংবিধান অনুযায়ী, সাংবিধানিক পদে থাকা কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে পুলিশ কোনও রকম তদন্ত করতে পারে না। তাই লালবাজার অভিযোগকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

সেই তদন্ত রিপোর্টই নবান্নের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছে জমা দিয়েছে পুলিশ। তবে মুখবন্ধ খামে দেওয়া রিপোর্টে কী আছে, তা জানা যায়নি।

;

দলের সভাপতির পদ ছাড়লেন শাহবাজ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বড় ভাই নওয়াজ শরিফের সক্রিয় রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের পথ সুগম করতে দলীয় প্রধানের পদ ছাড়লেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

জি নিউজ জানিয়েছে, শাহবাজের দপ্তর থেকে সোমবার (১৪ মে) ঘোষণা করা হয়েছে, পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজের (পিএমএল-এন) সভাপতি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি।

এর আগে পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজকে ফের দলের সভাপতি করার দাবি জানিয়ে সম্প্রতি একটি প্রস্তাব পাশ করে পিএমএল-এন পাঞ্জাব শাখা।

পিএমএল-এনের পাঞ্জাব শাখার প্রধান রানা সানাউল্লা জানান, শাহবাজ প্রধানমন্ত্রী পদের দায়িত্ব নেওয়ার পরে সংগঠনের হাল ধরার জন্য নওয়াজই উপযুক্ত ব্যক্তি।

সম্প্রতি, পাকিস্তানের ক্ষমতাসীন জোটের বড় শরিক পিএমএল-এনের ভেতরে অন্তঃদ্বন্দ্বের একাধিক খবর প্রকাশ্যে এসেছে। এই পরিস্তিতিতে চলতি সপ্তাহেই নওয়াজ দলের দায়িত্ব নিতে পারেন বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বেহিসেবি সম্পত্তি, পানামা পেপার্সে দুর্নীতিগ্রস্তদের তালিকায় নাম থাকাসহ একগুচ্ছ অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে নওয়াজকে বরখাস্ত করে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট।

সেই সময় দলের প্রেসিডেন্ট পদও ছাড়তে হয় তাকে। তার বিরুদ্ধে বিচারে সাজাও শোনায় সুপ্রিম কোর্ট। এমত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ইংল্যান্ড চলে যান নওয়াজ এবং চার বছর সেখানেই স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকেন।

পাকিস্তানে নির্বাচনে তার দল ক্ষমতাসীন জোটের বড় শরিক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পরে নওয়াজের বিরুদ্ধে দুর্নীতির সকল অভিযোগ প্রত্যাহার করা হয়।

নওয়াজের কন্যা মরিয়ম বর্তমানে পিএমএল-এনের সবচেয়ে শক্ত ঘাঁটি পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

;