‘এ সপ্তাহে নেতানিয়াহুর গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে আইসিসি’



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজা উপত্যকায় যুদ্ধাপরাধ পরিচালনা ও মানবিকতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশ দেওয়ার অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্ত এবং ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করতে পারে নেদার‌ল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)।

ইসরায়েলের সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি।

সম্ভাব্য সেই পরোয়ানা এড়াতে কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা এরই মধ্যে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে বলেও জানান ওই সরকারি কর্মকর্তা।

সত্যিই চলতি সপ্তাহে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও অন্যান্য ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলতি সপ্তাহেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যু করা হচ্ছে কিনা প্রসঙ্গে আইসিসির কাছে জানতে চাইলে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের পরিস্থিতি নিয়ে একটি মুক্ত ও অবাধ তদন্ত পরিচালনা করছি। এই কাজের সুবিধার্থে যে কোনো পদক্ষেপ আমাদের নিতে হতে পারে; কিন্তু যেহেতু এটি তদন্তাধীন বিষয়, তাই এ প্রসঙ্গে এখনই বিস্তারিত কিছু বলার সুযোগ নেই।’

২০১৪ সালে হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ২০১৭ সালে তার তদন্ত শুরু করেছিল আইসিসি। পরে করোনা মহামারির কারণে তদন্তে বাধা পড়ে। মহামারির ধাক্কা কেটে যাওয়ার পরও তা আর শুরু হয়নি।

কিন্তু গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের হামলা ও তার জেরে গাজায় অভিযান শুরুর পর সেই তদন্ত ফের পুনরুজ্জীবিত করে আইসিসি। গত ডিসেম্বরে গাজা-ইসরায়েল সীমান্ত ঘুরে গেছেন আইসিসির শীর্ষ প্রসিকিউটর করিম খান। সেই সফরে পুরনো সেই তদন্ত ফের শুরুর তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেছিলেন, ‘এবারের তদন্ত হবে গতিশীল, কঠোর এবং পুরোপুরি সাক্ষ্যপ্রমাণ নির্ভর।’

ইসরায়েল কিংবা যুক্তরাষ্ট্র- দুই দেশের কোনোটিই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বীকৃতি দেয় না। আইসিসি যদি সত্যিই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে, তাহলে ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্রে নেতানিয়াহু কিংবা ইয়োয়াভ গ্যালান্তের গ্রেফতার হওয়ার কোনো আশঙ্কা নেই।

তবে ইউরোপের দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন আইসিসিকে স্বীকৃতি দেয়। তাই পরোয়ানা জারি হলে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত ও আইডিএফের সামরিক কর্মকর্তাদের ইউরোপের দেশগুলোসহ বিশ্বের অনেক দেশেই সফর বন্ধ করতে হবে। কারণ পরোয়ানা বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত সেসব দেশে গেলে গ্রেফতার হওয়ার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।

   

ইসরায়েল-হামাস নেতাদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে যা বলল চীন



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) আইসিসির প্রধান কৌঁসুলি করিম খান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু আর হামাসের নেতা ইয়াহিয়া সিনওয়ারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন। সোমবার তিনি এ ঘোষণা দেন।

এই ঘটনা নিয়ে চীন বলেছে, তাদের প্রত্যাশা ইসরায়েল ও হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা চাওয়ার পর আইসিসি তার ‘বস্তুনিষ্ঠ’ অবস্থান বজায় রাখবে।

এদিকে আবেদনে বলা হয়, ইসরায়েলে হামাসের হামলা এবং এর ধারাবাহিকতায় গাজায় চলমান যুদ্ধে সংঘটিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে এ আবেদন করা হয়েছে।

ফিলিস্তিনি জনগণের সম্মিলিত শাস্তি বন্ধের আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, আশা করা যায় আইসিসি তার উদ্দেশ্যমূলক ও নিরপেক্ষ অবস্থান সমুন্নত রাখবে এবং আইন অনুযায়ী তার ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।

সোমবার আইসিসির প্রসিকিউটর করিম খান বলেন, ৭ অক্টোবরের হামলা ও গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধে সংঘটিত কথিত অপরাধের জন্য তিনি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু, প্রতিরক্ষা প্রধান গ্যালান্ট এবং হামাস প্রধান সিনওয়ারসহ তিন নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির অনুরোধ করেছেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদনে  যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইতালি নিন্দা জানিয়েছে। 

তবে ফ্রান্স তার পশ্চিমা মিত্রের সাথে দ্বিমত প্রকাশ করে বলেছে, আইসিসির ‘স্বাধীনতার’ প্রতি তাদের সমর্থন রয়েছে।

;

লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সিরিয়ার ফার্স্ট লেডি আসমা আল-আসাদের লিউকেমিয়া ধরা পড়েছে। রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২১ মে) খবরটি নিশ্চিত করেছে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের কার্য্যালয়।

বাশার আল-আসাদের কার্য্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্টের স্ত্রীর বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেওয়ায় নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার এ্যাকুট মাইলয়েড লিউকেমিয়া ধরা পড়ে।

ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, সংক্রমণ প্রতিরোধে ফার্স্ট লেডি আসমা এখন একটি বিশেষ চিকিৎসা প্রোটোকল মেনে চলবেন এবং অস্থায়ীভাবে সকল ব্যস্ততা থেকে দূরে থাকবেন।

এ্যাকুট মাইলয়েড লিউকেমিয়া হল অস্থি মজ্জা এবং রক্তের এক রকমের আক্রমনাত্মক ক্যান্সার।

প্রসঙ্গত, আসমা আল-আসাদের এর আগে স্তন ক্যান্সার ধরা পড়েছিল। তার এই রোগ নির্ণয়ের এক বছর পরে ২০১৯ সালের আগস্টে জানিয়েছিলেন যে, তিনি এখন সম্পূর্ণ রোগ মুক্ত।

২০০০ সালে তৎকালীন নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদকে বিয়ে করার আগে তিনি একজন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকার ছিলেন।

তারপর থেকে তিনি নানা জনকল্যানকর কাজ করেছেন। কিন্তু, তার বিরুদ্ধে ব্রিটিশ শিক্ষা এবং পশ্চিমা শৈলী ব্যবহার করার চেষ্টা করার অভিযোগ রয়েছে।

;

রাইসির মৃত্যুতে ইরানের একাংশে উল্লাস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির রহস্যজনক মৃত্যুতে ইরানের একপ্রান্তে যখন শোকের ছায়া; অন্যদিকে উল্লাসে ফেটে পড়েছে আরেক অংশ। রীতিমতো আতশবাজি ফাটিয়ে উৎসবে মেতেছে ইরানি নারীবাদী ও রাইসি বিরোধীদের একাংশ।

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় যখন তেহরান ও মাশহাদের রাস্তায় প্রার্থনার জন্য জড়ো কয়েক হাজার মানুষ তখন কয়েকটি এলাকায় রীতিমতো উৎসব শুরু করে মানুষ। এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে হাস্যরসাত্মক পোস্ট দিতে থাকেন অনেকে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা যায় তেহরানের এক ব্যক্তি বলছেন, ‘রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের সুখবরটি আসুন উদ্‌যাপন করি। যদিও এ ধরনের উৎসব বন্ধ করতে এরই মধ্যে মাঠে নেমে পড়েছে ইরানের ইসলামী বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর সদস্যরা।’

ইরানের বিভিন্ন স্থানে রাইসির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে উৎসবের কারণ জানাতে গিয়ে সাংবাদিক ও বিশ্লেষক জোনাথন হ্যারনওফ ইরান ইন্টারন্যাশনালকে বলেন, ‘একজন সংরক্ষণশীল নেতা ছিলেন রাইসি। এর পাশাপাশি কঠিন বিচারব্যবস্থা প্রয়োগের মাধ্যমেই তিনি নিজের আসন পাকাপোক্ত করেছেন। হাজারো বন্দির প্রাণ গেছে তার হাতে। আর এ কারণেই তাকে তেহরানের কসাই ডাকা হয়।’

কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি নিহতের ঘটনা মনে করিয়ে দেন বেশ কয়েকজন নারীবাদী। এ কারণে তারা আজকের দিনটিকে ‘বিশ্ব হেলিকপ্টার দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছেন।

এ সময় অনেককে নাচতে দেখা যায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা ইরানিদেরও আনন্দ প্রকাশ করতে দেখা যায়। এর মধ্যে লন্ডনের কয়েকটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এ ছাড়া ইরান সরকারের রোষাণলে পড়ে যারা দেশ ছেড়েছেন, তারা উল্লাস করছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল বলছে, ইব্রাহিম রাইসি ইরানের একজন ধর্মীয় ‘কট্টরপন্থি’ নেতা ছিলেন। ইরানে বাক স্বাধীনতাকে ধ্বংস করা এবং নারীদের জন্য কঠোর ‘হিজাব আইন’ প্রয়োগ করার মতো পদক্ষেপ নেওয়ার অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে।

;

রাইসির মৃত্যুতে ইরানের পররাষ্ট্রনীতির কোনো পরিবর্তন হবে না



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির নিহত হওয়ার ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও সংঘাত চলছে।

বিশ্লেষকদের মতে, রাইসির মৃত্যুতে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। তবে পররাষ্ট্রনীতির কোন পরিবর্তন হবে না বলেই বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

তারা বলছেন, দেশটির চূড়ান্ত কর্তৃত্ব সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অধীন। তাই রাইসির মৃত্যুতে দেশটির রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিতে কর্তৃপক্ষ কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবে। কিন্তু বৈদেশিক নীতিগত কোনো পরিবর্তন হবে না।

রয়টার্স জানিয়েছে বিশ্লেষকরা আরো মনে করছেন, ইরানের প্রেসিডেন্টের আকস্মিক মৃত্যুতে সেখানে ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি হবে, যার সুবিধা নিতে ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিরা কৌশল শুরু করবেন।

রাইসির মৃত্যুকে ইরানের ক্ষমতাশালী কর্মকর্তারা একটি বড় সুযোগ হিসেবে দেখবেন। তারা নিজেদের ক্ষমতার কাঠামোকে আরও পোক্ত করতে এতোদিন এমনই একটি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন। রাইসির আকস্মিক মৃত্যু তাই খামেনির জন্য বড় ধরনের পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াতে পারে।

উল্লেখ্য, ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে রবিবার (১৯ মে) হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির আবদোল্লাহিয়ানসহ আরও সাতজন নিহত হন।

ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের আলী ভায়েজ বলেছেন, ‘রাইসির মৃত্যুতে এমন একজন উত্তরসূরি আবির্ভূত হতে পারেন, যিনি রাইসির মতোই রক্ষণশীল এবং রাষ্ট্রীয় নীতির প্রতি অনুগত।’

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ তিনি আরো বলেছেন, ‘পররাষ্ট্রনীতিতে সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা এবং ইসলামিক রিভ্যুউলিশনারি গার্ড তাদের কৌশলগত আধিপত্য বজায় রাখবে।’

জিন জাওরেস ফাউন্ডেশনের ইরান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ফরিদ ভাহিদ বলেছেন, ‘সর্বোচ্চ নেতার খুব ঘনিষ্ঠ হওয়ায় রাইসির জন্যে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সহজ ছিল। ইরানী রক্ষণশীলরা এখনও এমন কাউকে খুঁজে নেবেন যিনি বেশি সমস্যার কারণ হবেন না।’

যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ইউনাইটেড এগেইনস্ট নিউক্লিয়ার ইরানের (ইউএএনআই) নীতি পরিচালক জ্যাসন ব্রোডস্কি বলেন, ‘ইরানের প্রেসিডেন্ট মূলত আজ্ঞা বাস্তবায়নকারী, সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী নন। তাই ইরানের নীতি ও সেই নীতিগুলোর মৌলিক বিষয় একই থাকবে।’

ইসরায়েলের রাইচম্যান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অরি গোল্ডবার্গ বলেন, ‘রাইসি ইরানের সর্বোচ্চ নেতার হয়ে কাজ করতেন। তিনি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দূর্বল গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নির্বাচিত ছিলেন।’

গোল্ডবার্গের মতে, এখন খামেনিকে দেখাতে হবে, তিনি এই পরিবর্তনের সময় দেশকে কীভাবে সামলান।

ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা জিউইশ ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি অব আমেরিকার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মাইকেল মাকোভস্কি বলেন, ‘ইরান এখন নিজের বিষয় সামলাতে বেশি ব্যস্ত থাকবে। অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে বেশি যুক্ত হয়ে পড়বে। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ঘিরে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিও জটিল হবে।’

উল্লেখ্য, ইরানের সংবিধান অনুযায়ী খামেনির আস্থাভাজন হিসেবে অন্তর্বন্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবার। সর্বোচ্চ ৫০ দিনের মধ্যে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজনের সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা আছে।

এখন সর্বোচ্চ নেতার অনুমতি নিয়ে ইরানের বিচার বিভাগের প্রধান, পার্লামেন্টের স্পিকার ও ভাইস প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে গার্ডিয়ান কাউন্সিল নির্বাচন আয়োজনের ব্যবস্থা করবে।

তবে নির্বাচনে যিনিই আসুন তাতে ইরানের নীতির তেমন কোন পরিবর্তন না হওয়ার কথাই বলছেন সবাই।

এ প্রেক্ষিতে ভাহিদ আরো বলেন, ‘ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র বা তার পারমাণবিক কর্মসূচির প্রতি ইরানের পররাষ্ট্রনীতিতে আমূল পরিবর্তন হবে যদি শাসন ক্ষমতার পরিবর্তন হয়।’

তিনি বলেন, ‘রাইসির মৃত্যু কিছু সূক্ষ্মতা, কিছু পার্থক্য আনতে পারে, তবে যতদিন নেতা জীবিত থাকবেন এবং গার্ডরা সেখানে থাকবেন তেমন কোনও বড় পরিবর্তন আশা করা উচিত নয়।’

;