তিন সেনার মৃত্যুর জবাবে রাফাহতে ইসরায়েলের হামলা, নিহত ১৯



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলে হামাসের রকেট হামলার জবাবে রাফাহতে পাল্টা হামলা চালানো হয়েছে। ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ১৯ জন নিহত হয়েছেন।

এর আগে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানায়, দক্ষিণাঞ্চলীয় গাজা উপত্যকার রাফাহ সীমান্তের কাছে হামাসের একটি সশস্ত্র শাখার রকেট হামলায় তাদের তিন সেনা নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৬ মে) বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, হামলাটি ক্রসিং এবং এর আশপাশের এলাকায় ইসরায়েলি বাহিনীর একটি দলকে লক্ষ্য করে চালানো হয়েছে। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, দক্ষিণ গাজার রাফাহতে ১০টি প্রজেক্টাইল নিক্ষেপ করা হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, আহত ১২ জন সেনার মধ্যে তিনজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। হামাসের সশস্ত্র শাখাটি রকেট হামলার দাবি করার পর ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ক্রসিং বন্ধ করে দেয়। ওই ক্রসিং দিয়ে গাজায় ত্রাণ সহায়তা সরবরাহ করা হচ্ছিল। মিশর সীমান্তের কাছে অবস্থিত রাফাহ শহরে ১০ লাখের বেশি ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন।

এদিকে হামাসের হামলার পর রাফার একটি বাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে তিনজন নিহত এবং আরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে ফিলিস্তিনি চিকিৎকররা নিশ্চিত করেছেন।

সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র পিটার লার্নার বলেন, দ্রুত গতিতে হামাসের হামলার জবাব দিয়েছে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী। তারা ধেয়ে আসা রকেটগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এটি আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে একটি অত্যন্ত গুরুতর ঘটনা। এটা অগ্রহণযোগ্য এবং এই ঘটনার তদন্ত চলছে। সেখানে ঠিক কী ঘটেছে তা খতিয়ে দেখবে বিমানবাহিনী। ওই এলাকায় অবস্থানরত ভারী যন্ত্রপাতি, ট্যাঙ্ক এবং বুলডোজার পাহারা দেওয়ার সময় সৈন্যদের ওপর হামলা চালানো হয়।

এদিকে রাফাহ ক্রসিং থেকে হামলা চালানোর ঘটনাকে উল্লেখ করে হামাস গাজায় বেসামরিক জনগণকে মানব ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলেছে ইসরায়েল। তবে হামাস এসব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মধ্যরাতের ঠিক আগে রাফাহ শহরের আরেকটি বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এক শিশুসহ নয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১৯ জন প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

   

যুক্তরাষ্ট্রকে কিমের হুঁশিয়ারি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জল ও আকাশ সীমায় গোয়েন্দা বিমান আর জাহাজ পাঠিয়ে যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়া মিলে সার্বভৌমত্বে আঘাতের চেষ্টা করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে উত্তর কোরিয়া।

দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন উভয় দেশকে অভিযুক্ত করে বলেন, তাদের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড উত্তর কোরিয়ার জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং দেশের নিরাপত্তাকে গুরুতরভাবে লঙ্ঘন করে।

রোববার (২৬ মে) উত্তর কোরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা কেসিএন জানায়, আকাশ ও জলসীমায় গোয়েন্দা বিমান ও জাহাজ পাঠিয়ে সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্নের চেষ্টা চালিয়েছে অভিযুক্ত দেশ দুটি।

ওয়াশিংটন ও সিউল যদি নিকট ভবিষ্যতে বাড়াবাড়ি করে তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পিয়ংইয়ং। 

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, ১৩ থেকে ২৪ মে এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র তাদের কৌশলগত পর্যবেক্ষণকারী বিমানের মধ্যে অন্তত ১৬টি কোরীয় উপদ্বীপের ওপর উড়িয়েছে। আর কোস্টগার্ডের টহল কার্যক্রম বাড়িয়ে সামরিক উত্তেজনা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে সিউল।

উত্তর কোরিয়ার আকাশসীমা লক্ষ্য করে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রোপাগাণ্ডামূলক বেলুন ওড়ানোরও সমালোচনা করেছেন প্রতিরক্ষা সংশ্লিষ্টরা। এমন কর্মকাণ্ডকে কিম প্রশাসন চিহ্নিত করেছে বিপজ্জনক ও উসকানিমূলক হিসেবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান আগ্রাসন মোকাবিলায় জাপান, যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলো এই অঞ্চলে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। এরইমেধ্যে পিয়ংইয়ং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা এবং গোয়েন্দা উপগ্রহ উৎক্ষেপণ বিশ্বকে আরও উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

;

রাফাহ শিবিরে হামলা: জীবন্ত পুড়ে ৩৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজার রাফাহ শহরের একটি পরিকল্পিত নিরাপদ অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের শরণার্থী শিবিরের একটি তাঁবুতে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় কমপক্ষে ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অনেকেই নারী ও শিশু।

আল জাজিরা জানিয়েছে, হামলার পর তাঁবুতে আগুন ধরে যায়। এতে অনেকে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।

এছাড়া তাল-আস-সুলতান এলাকাতেও হামলা হয়েছে। সবমিলিয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ইসরাইলি বাহিনী জাবালিয়া, নুসেইরাত এবং গাজা সিটিসহ অন্যান্য এলাকায় উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রে বোমাবর্ষণ করেছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব হামলায় কমপক্ষে ১৬০ জন নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহারকারী হামাস যোদ্ধাদের টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। আগুন লাগার সময় বেসামরিক লোকজন আহত হয়েছে বলেও স্বীকার করেছে ইসরাইল। তবে মারা যাওয়ার কথা উল্লেখ করেনি তারা।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি।

;

পাপুয়া নিউগিনিতে ভূমিধস: মাটি চাপায় ২ হাজারের বেশি মানুষ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ পাপুয়া নিউগিনি জাতিসংঘকে জানিয়েছে, দেশটির এঙ্গা প্রদেশের কাওকালামসহ কয়েকটি গ্রামে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনায় ২ হাজারেরও বেশি মানুষ জীবিত সমাহিত হয়েছে। 

সোমবার (২৭ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি। মূলত দিন দুয়েক আগের ওই ভূমিধসে কাওকালাম গ্রামটি প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে প্রবল ভূমিধসে ২ হাজারেরও বেশি লোক চাপা পড়েছে বলে পাপুয়া নিউগিনি সোমবার (২৭ মে) জাতিসংঘকে অবহিত করেছে। মূলত একটি চিঠিতে দেশটি জাতিসংঘকে এই তথ্য জানায় এবং সেই চিঠির একটি অনুলিপি এএফপির হাতে এসেছে।

পাপুয়া নিউ গিনির জাতীয় দুর্যোগ কেন্দ্র রাজধানী পোর্ট মোরেসবিতে অবস্থিত জাতিসংঘের অফিসকে বলেছে, ‘ভূমিধসে ২ হাজারেরও বেশি লোক জীবিত সমাহিত হয়েছে এবং এই ভূমিধস বড় ধরনের ধ্বংসযজ্ঞের সৃষ্টি করেছে।’

এর আগে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পাপুয়া নিউগিনির যে ভূমিধস হয়েছে, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রদেশের ৬টিরও বেশি গ্রাম। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কাওকালাম গ্রামটি।

;

গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের জেগে উঠার আহ্বান হামাসের



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজায় ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর গণহত্যার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিদের জেগে উঠার ডাক দিয়েছে স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি দখলদার বাহিনী রাফাহ শহরের একটি পরিকল্পিত নিরাপদ অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের একটি তাঁবুতে বোমা হামলা চালিয়ে অন্তত ৩৫ জনকে হত্যা করেছে। এরপরই এমন আহ্বান জানাল সংগঠনটি।

ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আলজাজিরা জানিয়েছে, হামলায় কমপক্ষে ৩৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের অনেকেই নারী ও শিশু।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, হামলার পর তাঁবুতে আগুন ধরে যায়। এতে অনেকে আগুনে পুড়ে মারা গেছে।

এছাড়া তাল-আস-সুলতান এলাকাতেও হামলা হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনী জাবালিয়া, নুসেইরাত এবং গাজা সিটিসহ অন্যান্য এলাকায় উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রে বোমাবর্ষণ করেছে। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব হামলায় কমপক্ষে ১৬০ জন নিহত হয়েছেন।

এদিকে হামাস বলেছে, ফিলিস্তিনিদের অবশ্যই গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফাহতে ইসরায়েলি বাহিনীর ‘গণহত্যার’ বিরুদ্ধে জেগে উঠতে হবে এবং প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

টিআরটি ওয়ার্ল্ড জানিয়েছে, ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠনটি রোববার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রোববার সন্ধ্যায় উদ্বাস্তু ফিলিস্তিনিদের তাঁবুতে অপরাধী দখলদার সেনাবাহিনী যে ভয়ঙ্কর গণহত্যা চালিয়েছে, তার প্রেক্ষিতে আমরা পশ্চিম তীর, জেরুজালেম, অধিকৃত অঞ্চল এবং বিদেশে অবস্থানরত আমাদের জনগণকে জেগে উঠার এবং চলমান গণহত্যার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার আহ্বান জানাই।’

তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহারকারী হামাস যোদ্ধাদের টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। আগুন লাগার সময় বেসামরিক লোকজন আহত হয়েছে বলেও স্বীকার করেছে ইসরায়েল। যদিও নিহতের বিষয়ে তারা কিছু বলেনি।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি। হতাহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

;