মিথ্যার মহামারি ছড়াচ্ছেন মোদি : কংগ্রেস



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেস অভিযোগ করে বলেছে, তাদের দলকে আক্রমণ করে রামমন্দির নিয়ে মেরুকরণের রাজনীতি করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার তারই জবাব দিতে চায় দলটি।

হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, কংগ্রেসের পক্ষে দলটির কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (‌কমিউনিকেশন)‌ জয়রাম রমেশ বলেছেন, ‘অযোধ্যার রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তা চ্যালেঞ্জ করার কোনও পরিকল্পনা নেই কংগ্রেসের। সুপ্রিম কোর্টের রায়কে সম্মান ও শ্রদ্ধা করে কংগ্রেস।’

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণায় রামমন্দির ইস্যুতে কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন মোদি। মধ্যপ্রদেশের ধার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির নির্বাচনী সভায় মোদি বলেন, ‘কংগ্রেসের লক্ষ্য বাবরি মসজিদের খোলা তালা এনে রামমন্দিরে ঝুলিয়ে দেওয়া।’

মোদি আরও বলেন, ‘কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী রামমন্দির নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যাবেন।’

জয়রাম রমেশ বলেন, ‘আশির দশকে রাজীব গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময়ে ফৈজাবাদ জেলা আদালতের নির্দেশ মেনে অযোধ্যার বাবরি মসজিদের তালা খুলে রামলালার পুজোর ব্যবস্থা করেছিল উত্তর প্রদেশ সরকার। পরবর্তী সময়ে রামমন্দির আন্দোলন ওই ঘটনারই রেশ বলে মনে করেন সবাই। এখন এই রামমন্দির লোকসভা নির্বাচনের ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, যেটাকে লালন-পালন করেছে বিজেপি।’

এখন কংগ্রেসকে আক্রমণ করে রামমন্দির নিয়ে মেরুকরণের রাজনীতি করেছেন মোদি বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

কংগ্রেস জানিয়েছে, ‘বিজেপি-ই প্রথম আদালতের হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিল। আর পরে নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করে এবং সুপ্রিম কোর্টের ভূমিকা মেনে নেয়। ১৯৯২ সালে করসেবকদের হামলায় বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরেও আদালতের নির্দেশে চালু ছিল ক্যানভাসের ছাউনির অস্থায়ী কাঠামোতে রামলালার পুজা পাঠ।’

কংগ্রেস আরও জানিয়েছে, এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণা করার পরে অযোধ্যার সেই বিতর্কিত জমিতে নির্মিত হয় রামমন্দির। ২০২৪ সালের ২২ জানুয়ারি সেই মন্দিরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সম্প্রতি হয়েছে রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠা।

আর মধ্যপ্রদেশের ওই সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কংগ্রেস যাতে বাবরি মসজিদের তালা এনে রামমন্দিরে ঝোলাতে না পারে সেটা নিশ্চিত করতেই বিজেপিকে ৪০০ আসনে জেতাতে হবে।’‌

পাল্টা জবাবে জয়রাম রমেশ কটাক্ষ করে বলেন, ‘‌মিথ্যার মহামারি ছড়াচ্ছেন মোদি। তার সমগ্র রাজনৈতিক জীবন অসত্যে নিহিত।’‌

   

খোঁজ মেলেনি রাইসির, চলছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের পর কয়েক ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ানের খোঁজ পাওয়া যায়নি।

তাদের সন্ধান পেতে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় চলছে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

রবিবার (১৯ মে) আজারবাইজান সীমান্তবর্তী এলাকায় একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন।

সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা। পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছেছে।

বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারে ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এ প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লা আলি খামেনির মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে–হাশেম ছিলেন।

দুর্ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরও বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্ত করতে না পারায় তাদের জীবিত উদ্ধার করা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইরানের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, ‘আমরা এখনো আশাবাদী। তবে দুর্ঘটনাস্থল থেকে যেসব খবর আসছে তা খুবই উদ্বেগজনক। বৈরী আবহাওয়া ও তীব্র কুয়াশা উদ্ধারকারীদের দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথ জটিল করেছে।’

দেশটির আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ওই এলাকায় সোমবার রাত পর্যন্ত বৈরী আবহাওয়া থাকতে পারে। স্থানীয় আবহাওয়া দপ্তরের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টার যেখানে বিধ্বস্ত হয়েছে সেখানে রাতভর বৃষ্টি ও ভারী কুয়াশা থাকতে পারে। সোমবার পর্যন্ত এমন আবহাওয়া থাকতে পারেও বলে জানান তিনি।

বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির অবস্থান শনাক্তে সময় প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমাদ ভাহিদি। তিনি বলেছেন, ‘অনেকগুলো উদ্ধারকারী দল নিখোঁজ হেলিকপ্টারের সন্ধানে অভিযান চালাচ্ছে। তবে হেলিকপ্টারটি কোথায় বিধ্বস্ত হয়েছে তা জানতে সময় প্রয়োজন। কারণ, সেখানে আবহাওয়া পরিস্থিতি খুবই বৈরী। বৃষ্টির পাশাপাশি তীব্র কুয়াশাও রয়েছে। এতে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।’

উদ্ধার অভিযানে যুক্ত কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে ৪০টি উদ্ধারকারী দল। উদ্ধারকারীদের সঙ্গে অ্যাম্বুলেন্স ও ড্রোনও রয়েছে। জরুরি সেবা বিভাগের কর্মী, পুলিশ ও ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সদস্যরাও তল্লাশি অভিযানে যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দেশটির সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি।

তাবরিজ থেকে নির্বাচিত ইরানের একজন সংসদ সদস্য আহমাদ আলি রেজা বেইগি জানিয়েছেন, উদ্ধারকারীরা বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির অবস্থান এখনো শনাক্ত করতে পারেননি। ভারী বৃষ্টি ও কুয়াশা তাদের উদ্ধারকাজকে কঠিন করে তুলেছে।

ইরানের সংবাদমাধ্যম তাসনিম জানিয়েছে, হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ার খবর জানা যায় হেলিকপ্টার থেকে আসা একটি জরুরি ফোনকলে। হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে থাকা কর্মকর্তারাই ওই ফোনকল করেছিলেন। তবে কথা শেষ হওয়ার আগেই সংযোগটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের খবর পাওয়ার পরই শুরু হয় ব্যাপক তল্লাশি অভিযান। তবে এখনো হেলিকপ্টারের খোঁজ পাওয়া যায়নি। বৃষ্টি ও কুয়াশার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।

ইরানের সংবাদ সংস্থা ফারস্‌ জানিয়েছে, রাতের অন্ধকারে দুর্গম ওই পাহাড়ি এলাকায় মাত্র পাঁচ মিটার দূরেও কিছু দেখা যাচ্ছে না। এতে করে উদ্ধারকর্মীরা ব্যাপক জটিলতার মুখে পড়েছেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জরুরি বৈঠক করেছেন দেশটির মন্ত্রিসভার সদস্যরা। বৈঠক শেষে ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কয়েকজন মন্ত্রী তাবরিজে গেছেন। উদ্ধার অভিযান ত্বরান্বিত করতে দুর্ঘটনাস্থলে গেছেন আইআরজিসি প্রধান হোসেইন সালামি। আইআরজিসির বিভিন্ন পর্যায়ের কমান্ডার, মন্ত্রী ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।

ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে সৌদি আরব, রাশিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার ও ইরাকসহ আরও অনেক দেশ। উদ্ধার অভিযানে সহায়তা করতে ৩২ সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল পাঠিয়েছে তুরস্ক। এসব উদ্ধারকর্মী পাহাড়ে উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য বিশেষভাবে দক্ষ।

;

রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সন্ধান মিলেছে



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির সন্ধান পাওয়া গেছে বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

আল জাজিরা জানিয়েছে, উদ্ধার ও অনুসন্ধান দলগুলো বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটির সন্ধান পেয়েছে। তবে, ওই প্রতিবেদনে হেলিকপ্টারের আরোহী প্রেসিডেন্ট রাইসি ও অন্য কর্মকর্তাদের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।

এদিকে, হেলিকপ্টারটির উদ্ধার অভিযানে অংশ নেওয়া ইরানের রেড ক্রিসেন্টের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এখনও উদ্ধার অভিযান চলছে। স্থানীয় কিছু সংবাদমাধ্যম বিধ্বস্ত হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়া গেছে বলে অসমর্থিত তথ্য প্রকাশ করেছে।

জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ানের বরাতে দেশটির রাষ্ট্রয়াত্ত টেলিভিশনের এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, হেলিকপ্টার খুঁজে পাওয়ার কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।

রবিবার (১৯ মে) ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে পাহাড়ি এলাকায় বিধ্বস্ত হয়।

ওই হেলিকপ্টারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন।

;

ইরানকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত যেসব দেশ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার রবিবার (১৯ মে) বিধ্বস্ত হওয়ার পর ইরানের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে সৌদি আরব বলেছে, ইরানের জন্য প্রয়োজনীয় যেকোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তারা।

আরব নিউজ জানিয়েছে, সৌদির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, উদ্বেগের সঙ্গে এই বিধ্বস্তের ঘটনা পর্যবেক্ষণ করছে রিয়াদ।

এদিকে ইরাক সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রেড ক্রিসেন্ট এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে অনুসন্ধান মিশনে প্রতিবেশী ইরানকে সহায়তা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম ইরনা জানিয়েছে, রবিবার প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি একটি দুর্ঘটনায় নিখোঁজ হওয়ার পর ইরানের অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দলগুলো কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়ে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করছে।

ইরনা আরও জানিয়েছে, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশে তাকে বহনকারী হেলিকপ্টারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর রাইসির জন্য শঙ্কা বেড়ে যায়।

অন্যদিকে, কাতারও বলেছে যে, ইরানের অনুসন্ধান প্রচেষ্টার জন্য তারা সব ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ইরানের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি খুঁজে বের করার প্রচেষ্টায় সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, অনুসন্ধান ও উদ্ধার কার্যক্রমে সব ধরণের সহায়তা প্রদানের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলেছে, তারা ইরানকে হেলিকপ্টার অনুসন্ধানে সহায়তা করার জন্য তাদের দ্রুত প্রতিক্রিয়া ম্যাপিং পরিষেবা সক্রিয় করেছে।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে লিখেছেন, ‘নিখোঁজ হেলিকপ্টারটির সন্ধানে এবং ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দিতে প্রস্তুত রাশিয়া।’

;

রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বিগ্ন মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার বিধ্বস্তের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট রাইসির আজকের হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবরে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এই সঙ্কটের সময়ে ইরানি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছি এবং প্রেসিডেন্ট ও তার সফর সঙ্গীদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছি।’

আর আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফও এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ‘মাননীয় প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসির হেলিকপ্টার সম্পর্কে ইরান থেকে দুঃখজনক সংবাদ শুনেছি। প্রচণ্ড উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছি সুসংবাদের জন্য, যে সব ঠিক আছে। আমাদের প্রার্থনা এবং শুভকামনা মাননীয় প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং সমগ্র ইরানী জাতির সঙ্গে রয়েছে।’

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের এক মুখপাত্র বলেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধস্ত হওয়ার প্রতিবেদনগুলো যুক্তরাষ্ট্র পর্যবেক্ষণ করছে।

হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে এ বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।

এদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিও নিখোঁজ হেলিকপ্টারটি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা আশা করি, আল্লাহ মহামান্য প্রেসিডেন্ট ও তার সঙ্গীদের জাতির কাছে ফিরিয়ে দেবেন। সকলকে তাদের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করতে হবে। ইরানি জাতির উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয়।’

এ সময় সরকারি কর্মকর্তাদের প্রশাসনে বিঘ্ন না ঘটানোর আহ্বান জানান খামেনি।

;