ইসরায়েলে ৬০টিরও বেশি রকেট ছুড়েছে হিজবুল্লাহ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

লেবাননের পূর্বে ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলার প্রতিশোধ হিসেবে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ইসরায়েলের সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য ৬০টিরও বেশি রকেট নিক্ষেপ করেছে দেশটির ইরান-সমর্থিত গ্রুপ হিজবুল্লাহ।

রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্ত অঞ্চলে ইসরায়েল এবং হামাসের মিত্র হিজবুল্লাহ’র মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই গুলি বিনিময় চলছে।

গ্রুপটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা ইসরায়েল-অধিভুক্ত গোলান হাইটসে বেশ কয়েকটি ইসরায়েলি সামরিক অবস্থানে ৬০টিরও বেশি কাতিউশা রকেট ছুড়েছে।

পূর্ব লেবাননের বালবেক এলাকায় বুধবার রাতে ইসরায়েলি শত্রুদের আক্রমণের জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে গ্রুপটি।

এর আগে বৃহস্পতিবার লেবাননের রাষ্ট্র পরিচালিত মিডিয়া বালবেক এলাকায় ইসরায়েলের বিমান হামলার খবর জানায়।

লেবাননের সরকারি ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি (এনএনএ) জানিয়েছে, ‘পূর্ব লেবাননের পর্বতশ্রেণীর উপকণ্ঠের শহরটি মধ্যরাতে পাঁচবার শত্রু আক্রমণের শিকার হয়েছিল।’

এনএনএ আরও জানিয়েছে, ইসরায়েলের হামলায় এক বেসামরিক নাগরিক সামান্য আহত হয়েছে।

হিজবুল্লাহর ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় হিজবুল্লাহ’র একটি সামরিক ক্যাম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, হিজবুল্লাহর ক্ষেপণাস্ত্র প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত সন্ত্রাসী লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল বিমান হামলা চালানো হয়েছে।’

উল্লেখ্য, বেকা উপত্যকার বালবেক এলাকাটিতে সিরিয়ার সীমান্তবর্তী হিজবুল্লাহর ঘাঁটি রয়েছে।

   

শেষ মুহূর্তে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে গাজা যুদ্ধ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধবিরতি চুক্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে চাওয়ার ঘোষণার মধ্যে মারাত্মক যুদ্ধে কাঁপছে ফিলিস্তিনি ভূখন্ড।

যদিও মধ্যপ্রাচ্য সফর সমাপ্ত করে শীর্ষ মার্কিন কূটনীতিক এন্টনি ব্লিঙ্কেন বুধবার (১২ জুন) বলেছেন, গাজা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে একটি যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তির চুক্তি এখনো সম্ভব।

এরই মধ্যে হামাসের মিত্র লেবাননের ইরান-সমর্থিত প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ উত্তর ইসরায়েলে রকেট হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর একজন সিনিয়র কমান্ডার নিহত হওয়ার একদিন পর তারা এই হামলা চালালো।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের গাজা যুদ্ধবিরতি রোডম্যাপ বাস্তবায়নের জন্য সফরের শেষ পর্যায়ে দোহায় পৌঁছে ব্লিঙ্কেন বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চুক্তিটি সম্পন্ন করতে আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করবে।

হামাস গত মঙ্গলবার মধ্যস্থতাকারী কাতার এবং মিশরের কাছে তাদের সংশোধনী জমা দিয়েছে এবং ব্লিঙ্কেন বলেছেন, প্রস্তাবিত সংশোধনীর কিছু সমর্থনযোগ্য এবং কিছু গ্রহনযোগ্য নয়।’

হামাসের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ওসামা হামদান বলেছেন, তারা একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সানাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার চেয়েছেন। এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ এবং আরব শক্তিগুলোর অনুমোদিত তিন-পর্যায়ের পরিকল্পনায় ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতি, জিম্মি-বন্দী বিনিময় এবং গাজার আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত পুনর্গঠন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জেক সুলিভান বলেছেন, হামাসের অনেক দাবি অপ্রত্যাশিত নয়।’

ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ইসরায়েল এই পরিকল্পনার পেছনে ছিল, তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং তার সরকারের উগ্র ডানপন্থী সদস্যরা এই চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেছে। তারা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে সমর্থন করেনি।

এদিকে নেতানিয়াহুর কার্যালয় বলেছে, দেশটির উত্তরের (লেবানন) পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং জিম্মি মুক্তির ইস্যুতে হামাসের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার আলোকে বুধবার একটি নিরাপত্তা মূল্যায়ন বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে।

ব্লিঙ্কেন আশা প্রকাশ করেছেন, চুক্তির মতপার্থক্যগুলোর নিরসন করা যেতে পারে। তিনি বলেন ‘আমাদের দেখতে হবে আগামী দিনে সেই ফাঁকগুলো পূরণ করা যায় কি না।’

বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ব্লিঙ্কেনকে ইসরায়েলের ওপর সরাসরি চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানিয়েছে হামাস।

হামাস বলেছে, ‘তিনি ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের চুক্তির বিষয়ে কথা বলে চলেছেন। কিন্তু, আমরা কোনো ইসরায়েলি কর্মকর্তাকে এ বিষয়ে কথা বলতে শুনিনি।’

অন্যদিকে, রক্তক্ষয়ী গাজা যুদ্ধ এখন নবম মাসে চলে এসেছে। লেবাননের সঙ্গে ইসরায়েলের উত্তর সীমান্তে সহিংসতা তীব্র হয়েছে।

লেবাননের একটি সামরিক সূত্র বলেছে, গত মঙ্গলবার একটি ইসরায়েলি হামলায় হিজবুল্লাহর এক কমান্ডারকে হত্যা করা হয়েছে। গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল এবং হিজবুল্লাহর মধ্যে প্রায় প্রতিদিন গুলি বিনিময় হচ্ছে।

বুধবার হিজবুল্লাহ প্রায় ১৫০টি রকেট এবং ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর ইসরায়েলে আছড়ে পড়ে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, এতে আগুনের খবর পাওয়া গেছে কিন্তু কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

হিজবুল্লাহ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর উপর একটি ড্রোন হামলাসহ আরও ১০টিরও বেশি হামলার দাবি করেছে।

;

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়েছে বিশ্বের ১২ কোটি মানুষ : জাতিসংঘ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

যুদ্ধ, সহিংসতা এবং নিপীড়নের কারণে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১২ কোটি মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছে বলে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জানিয়েছে জাতিসংঘ।

ক্রমবর্ধমান বাস্তুচ্যুত মানুষের এই সংখ্যাকে বিশ্বের রাষ্ট্র সমুহের বিনুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ হিসাবে চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, বিশ্বব্যাপী জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতি ফের আগের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। গাজা, সুদান এবং মিয়ানমারের মতো জায়গায় সংঘাতের ফলে আরও বেশি লোক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে যে, বিশ্বব্যাপী বাস্তুচ্যুত জনসংখ্যা এখন জাপানের মোট জনসংখ্যার সমতুল্য।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ব্যাপক বাস্তুচ্যুতির একটি বড় ধরনের কারণ হলো সংঘাত।’

ইউএনএইচসিআর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গত বছরের শেষে ১১৭.৩ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং এপ্রিলের শেষের দিকে সংখ্যাটি আরও বেড়ে যায়। বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ১২ কোটি মানুষ বাস্তুচ্যুত অবস্থায় বসবাস করছে।

সংস্থাটি আরও বলেছে, সংখ্যাটি এক বছর আগের ১১ কোটি থেকে বেড়েছে এবং টানা ১২ বছর ধরে বেড়ে চলে আসছে। নতুন এবং পরিবর্তনশীল সংকটের সংমিশ্রণ এবং দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলোর সমাধানে ব্যর্থতার কারণে ২০১২ সাল থেকে বর্তমান সময়ে এটি প্রায় তিনগুণ বেড়েছে।

গ্র্যান্ডি এএফপি’কে বলেন, আট বছর আগে যখন তিনি চাকরি নিয়েছিলেন তখন উচ্চ স্থানচ্যুতির পরিসংখ্যানে তিনি হতবাক হয়েছিলেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ইউএনএইচসিআর গত বছর ২৯টি দেশে ৪৩ বার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে, যা কয়েক বছর আগে ছিল তার চার গুণেরও বেশি।

গ্র্যান্ডি বিশেষ করে উল্লেখ করেছেন যে, আন্তর্জাতিক আইনের সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে যখন সংঘাত পরিচালিত হয়, তখন প্রায়শই তা বাস্তুচ্যুতিতে শক্তিশালী অবদান রাখে।

গ্র্যান্ডি স্বীকার করেছেন যে, আন্তর্জাতিক আইন না মানার প্রবণতা কমার আশা বর্তমানে কম বলেই মনে হচ্ছে।

তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমি দেখতে পাচ্ছি যে, আন্তর্জাতিক ভূ-রাজনীতিতে পরিবর্তন না হলে বাস্তুচ্যুতির চিত্রটি ক্রমাগত বাড়তে থাকবে।’

জাতিসংঘের বৃহস্পতিবারের প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, ২০২৩ সালের শেষে ১১৭.৩ মিলিয়ন বাস্তুচ্যুতদের মধ্যে ৬৮.৩ মিলিয়ন লোক তাদের নিজের দেশে অভ্যন্তরীণভাবেই বাস্তুচ্যুত হয়েছিল। শরণার্থী এবং অন্যান্যের আন্তর্জাতিক সুরক্ষার প্রয়োজনের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৩.৪ মিলিয়নে বেড়েছে। সকল শরণার্থী এবং অন্যান্য অভিবাসী ধনী দেশে যায় এমন ধারণার বিরুদ্ধে ইউএনএইচসিআর।

সংস্থাটির মতে, অধিকাংশ শরণার্থীকে তাদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ৭৫ শতাংশ নিম্নে ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে বসবাস করে, যেগুলো সম্মিলিতভাবে বিশ্বের আয়ের ২০ শতাংশেরও কম উৎপাদন করে।

২০২৩ সালের পর থেকে সুদানের প্রতিদ্বন্ধী দুই জেনারেলের মধ্যে যুদ্ধ দেশটির ৯০ লাখেরও বেশি লোককে বাস্তুচ্যুত করেছে। ২০২৩ সালের শেষে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ সুদানিকে বাস্তুচ্যুত করেছে।

গ্র্যান্ডি প্রতিবেশী চাদে পালিয়ে আসা অনেকের দিকে ইঙ্গিত করেছেন, যারা গত ১৪ মাসে প্রায় ৬ লাখ সুদানিকে আশ্রয় দিয়েছে।

গ্রান্ডি এএফপি’কে বলেছেন, ‘প্রতিদিন শত শত মানুষ একটি বিধ্বস্ত দেশ থেকে বিশ্বের অন্যতম দরিদ্র দেশে পাড়ি দিচ্ছে।’

গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো এবং মিয়ানমারে গত বছর ভয়ঙ্কর লড়াইয়ের কারণে আরও লক্ষাধিক মানুষ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

বর্তমানে গাজায় জাতিসংঘের অনুমান ১৭ লাখ মানুষ, যা মোট জনসংখ্যার ৭৫ শতাংশ, তারা ৮ মাস আগে শুরু হওয়া যুদ্ধের কারণে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

ইউএনএইচসিআর অনুমান করেছে যে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসনের পর থেকে ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য প্রায় সাড়ে ৭ লাখ মানুষ গত বছর দেশের অভ্যন্তরে নতুনভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

সেখানে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ মোট ৩৭ লাখ অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত লোক নিবন্ধিত হয়েছে।

ইউক্রেনীয় শরণার্থী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা ২ লক্ষ ৭৫ হাজার থেকে বেড়ে ৬০ লক্ষে দাঁড়িয়েছে।

সংস্থাটি বলেছে, সিরিয়ায় বিশ্বের সবচেয়ে বড় বাস্তুচ্যুতির ঘটনা ঘটেছে। সেখানে ১৩ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষ জোরপূর্বক দেশের ভিতরে এবং বাইরে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

;

আর্জেন্টিনার সিনেটে বাজেট সংস্কার বিল পাস, বাইরে বিক্ষোভ



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনায় বাজেট সংস্কারের প্রস্তাব পাসকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১২ জুন) দেশটির উচ্চ কক্ষ সিনেটে বিলটি পাস হওয়ার পর বিক্ষোভকারীরা সিনেট ভবনের সামনে জড়ো হতে থাকেন। এসময় তারা পেট্রোল বোমা ও পাথর নিক্ষেপ করলে পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের মাঝে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে বিক্ষোভকারীদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সংস্কার বাজেটে সরকারি পেনশন ও শ্রম অধিকারসহ নাগরিক সুবিধা হ্রাসের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে। বিক্ষোভের সময় দেশটির রাজধানী বুয়েনস আয়ার্সে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা বড় ধরনের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

বাজেট সংস্কারের প্রস্তাব পাসের ফলে আর্জেন্টিনার লাখ লাখ নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে দাবি করছেন বিক্ষোভকারীরা।

সংস্কার বাজেট বিলের প্রস্তাব করেন আর্জেন্টিনার ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলেই। দেশটির ভঙ্গুর অর্থনীতিকে জাগ্রত করতে মূলত তিনি এ সংস্কার চাচ্ছেন।

তবে দেশটির বিরোধীদল, শ্রম সংগঠন এবং বিভিন্ন সামাজিক সংস্থা তার এই সংস্কার প্রস্তাবের বিরোধিতা করছে।

প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের এ সংস্কার প্রস্তাবটি সিনেটে সমান সমান (৩৬-৩৬) ভোটে আটকে ছিল। পরে ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক্টোরিয়া ভিয়ারুয়েল তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করে প্রস্তাবটি পাস করান।

;

গাজায় ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধা’র ঝুঁকিতে ৮ হাজার শিশু: ডব্লিউএইচও



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর নির্মম হামলায় মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে গাজা। গত আট মাস ধরে চলমান এই হামলা এখনো অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি সেনারা। এতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৮ হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। পাশাপাশি তীব্র খাদ্যসংকট ও মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে অবরুদ্ধ গাজায়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম ঘেব্রেইসুস সতর্ক করে বলেছেন, গাজায় ‘বিপর্যয়কর ক্ষুধা’ ও ‘দুর্ভিক্ষের মতো পরিস্থিতি’ তৈরি হয়েছে। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এ অঞ্চলে খাদ্য সরবরাহ থাকলেও যাদের প্রয়োজন তারা পর্যাপ্ত এবং পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার পাচ্ছে না।

তিনি বলেন, গাজায় চলমান সংঘাতে এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ৬৯৪ শিশু নিহত হয়েছে। ১৭ হাজারেরও বেশি শিশু তাদের বা-মাকে হারিয়েছে। পর্যাপ্ত খাদ্য এবং অপুষ্টিতে ভুগছে পাঁচ বছরের কম বয়সী আরও ৮ হাজারের বেশি শিশু।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এ তথ্য প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।


গাজার একজন সরকারি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে আল-জাজিরা জানায়, গাজার খাদ্য ঘাটতি এখন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে, বেশিরভাগ খাদ্যপণ্য এখন ফুরিয়ে গেছে।

গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৭ হাজার ২০২ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৮৫ হাজার ফিলিস্তিনি নাগরিক। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ইসরায়েলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১৩৯ জনে।

;