সৌদি আরবে বিকিনি পরেই হাঁটলেন মডেলরা!



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রক্ষণশীলতার বেড়াজাল থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছে সৌদি আরব। দেশটিতে নারীদের পোশাক-পরিচ্ছদ নিয়ে বিধি-নিষেধও উঠছে ধাপে ধাপে।

এ বছর প্রথম মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায়ও সৌদির এক মডেলকে দেখা গেছে। বোরখা খুলে বিকিনি পরেই র‌্যাম্পে হেঁটেছিলেন ২৭ বছরের রুমি আলকাহতানি।

মিন্ট জানিয়েছে, এবার এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছে পুরো বিশ্ব। সেটা হলো, এই প্রথম সেই দেশে বিকিনি পরেই ফ্যাশন শো’তে হাঁটেছেন মডেলরা।

সৌদিতে শুক্রবার (১৭ মে) রেড সি ফ্যাশন উইকের দ্বিতীয় দিন ছিল। আর সেখানেই এই বিপ্লব ঘটেছে বলে জানা গেছে। সেন্ট রেজিস রেড সি রিসর্টের সুইমিং পুলের পাশেই আয়োজন করা হয়েছিল সেই ফ্যাশন শো’র।

ওই ফ্যাশন শো’র ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, মরক্কোর পোশাক ডিজাইনার ইয়াসমিনা কাঞ্জলের তৈরি রং-বেরঙের বিকিনিতে একে একে হেঁটে চলছেন সুন্দরী মডেলরা।

মডেলদের কারও কাঁধ ছিল উন্মুক্ত, কারও বক্ষখাঁজ স্পষ্ট। তবে, বিকিনি পোশাক পরলেও অনেক মডেলই ক্যামেরাবন্দি হয়েছেন মাথা ঢেকে। খানিকটা হিজাবের মতো করেই মাথায় স্কার্ফ বাঁধতে দেখা গেছে তাদের।

সৌদির মাটিতে প্রথমবার বিকিনি পরিয়ে মডেলদের হাঁটানো নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন ইয়াসমিনাও। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “সৌদি আরব নিঃসন্দে অত্যন্ত রক্ষণশীল একটি দেশ। এই দেশে পা রেখেই বুঝেছিলাম বিকিনি ফ্যাশন শো’র দিনটি এই দেশের ইতিহাসে লেখা হবে। রক্ষণশীল সংস্কৃতির কথা মাথায় রেখেই আমরা রুচিশীল বিকিনিগুলোর নকশা করেছি। এই ফ্যাশন শো’তে অংশ নিতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি।’’

   

চীনে বন্যা-ভূমিধসে নিহত ৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ গুয়াংডংয়ের মেইঝৌ শহরে ব্যাপক বর্ষণ, বন্যা ও ভূমিধসে ৫ জন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
সোমবার (১৭ জুন) চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এছাড়া বন্যা-ভূমিধসের ফলে জঞ্জাল ও ধংস্তূপের তলায় আটকা পড়েছেন অন্তত ১৩ জন মানুষ। তাদের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে এখনও কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। ঘনবসতিপূর্ণ গুয়াংডং প্রদেশে রোববার থেকে শুরু হয় বর্ষণ।

জঞ্জাল সরানো, নিখোঁজদের সন্ধান ও আটকে পড়াদের উদ্ধারে চীনের দুর্যোগ মোকাবিলা দপ্তর মেইঝৌ শহরে ১০ হাজার উদ্ধারকর্মী পাঠিয়েছে।

গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চরম প্রতিকূল আবহাওয়া সহ্য করছেন চীনের লোকজন। ব্যাপক তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো, অন্যদিকে টানা বর্ষণ ও তার জেরে সৃষ্ট বন্যা-ভূমিধসে নাকাল হচ্ছে দক্ষিণাঞ্চলীয় বিভিন্ন প্রদেশ।

;

ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে নিহত ১১



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভূমধ্যসাগরের দক্ষিণ ইতালি উপকূলে দুটি নৌকা ডুবে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই দুই ঘটনায় ৬০ জনের বেশি মানুষ এখনো নিখোঁজ।

জার্মান দাতব্য সংস্থা রিসকিউশিপ জানিয়েছে, সোমবার (১৭ জুন) ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের কাছে তারা একটি ডুবন্ত কাঠের নৌকা থেকে ৫১ জনকে উদ্ধার করেছেন। এ সময় নৌকার নিচের ডেকে ১০ জনের মরদেহ পাওয়া গেছে।

সংস্থাটি বলছে, বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের সোমবার সকালে ইতালীয় কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তরের পর তাদের তীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে মৃতদের ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে নেয়া হয়েছে।

জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) এবং জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে, নৌকাটি লিবিয়া থেকে যাত্রা করেছিল। এতে সিরিয়া, মিসর, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের অভিবাসীরা ছিলেন। তবে কোন দেশের কত যাত্রী ছিলেন, তা জানানো হয়নি।

একই দিনে পৃথক আরেক নৌকাডুবির ঘটনায় ৬০ জনের বেশি মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২৬ জনের মতো শিশু রয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দক্ষিণ ইতালির ক্যালাব্রিয়ার উপকূল থেকে প্রায় ১২৫ মাইল দূরে এই ঘটনা ঘটে। মেডেসিনস সানস ফ্রন্টিয়েরস (এমএসএফ) নামে একটি সংগঠন এই তথ্য জানিয়েছে।

এই ঘটনায় ১২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তবে তাদের সবাইকে তীরে নেয়ার পর একজন মারা যান বলে জানিয়েছে ইতালীয় কোস্টগার্ড।

ভূমধ্যসাগর বিশ্বের সবচেয়ে প্রাণঘাতী মাইগ্রেশন রুট হিসেবে পরিচিত। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, ২০১৪ সাল থেকে এই রুটে ২৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি অভিবাসী মারা গেছে বা নিখোঁজ হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি

;

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্টকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন মোদি



আন্তর্জাতিক ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মালদ্বীপের ভারতীয় হাই কমিশন এক এক্সবার্তায় নিশ্চিত করেছে এ তথ্য। এই অভিনন্দন বার্তা দুই দেশের অতীতের তিক্ততাকে পাশ কাটিয়ে ভালো সম্পর্কের আভাস দিচ্ছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা সেই বার্তায় ভারতীয় দূতাবাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ভারতের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মালদ্বীপের সম্মানিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জুকে উষ্ণ অভিনন্দনবার্তা দিয়েছেন। বার্তায় তিনি কোরবানির ত্যাগ, সহানুভূতি এবং ভাতৃত্বের ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলেছেন, একটি শান্তিপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বিশ্ব গড়ে তুলতে এসব ইতিবাচক দিক খুবই জরুরি। ভারতেও যে এই উৎসব যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে উদযাপিত হয়, তা ও উল্লেখ করেছেন তিনি।’

প্রসঙ্গত, মালদ্বীপে একসময় ভারতের সেনা ঘাঁটি ছিল। ২০২৩ সালের অক্টোবরে প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ভারতকে মালদ্বীপ থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার আহ্বান জানান চীনপন্থী মুইজ্জু।

তারপর চলতি বছরের শুরুর দিকে মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফরের ছবি প্রকাশের পর টানাপোড়েন শুরু হয় ভারত এবং মালদ্বীপের মধ্যে। অনলাইনে তীব্র বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন ভারত ও মালদ্বীপের নেটিজেনরা। ভারতের নেটিজেনরা দেশীয় পর্যটকদের মালদ্বীপ বয়কটের ডাক দেন।

পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশ্যে কটুক্তির অভিযোগে নিজ মন্ত্রিসভার তিন সদস্যকে বরখাস্ত করেন মুইজ্জু। সম্প্রতি ১৮ তম নির্বাচনে বিজয় উপলক্ষ্যে নরেন্দ্র মোদিকে অভিনন্দনও জানিয়েছে মুইজ্জু।

;

দার্জিলিংয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় নিহত ৮, আহত ২৫



আন্তর্জাতিক ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: এনডিটিভি

ছবি: এনডিটিভি

  • Font increase
  • Font Decrease

পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে ৮ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (১৭ জুন) সকালে আসামের শিলচর থেকে ট্রেনটি কলকাতার শিয়ালদহে যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ির রাঙ্গাপানি স্টেশন এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিল। পেছন থেকে একটি মালবাহী ট্রেন সেটিকে ধাক্কা দেয়। এতে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের দুটি বগি লাইনচ্যুত হয়। মালবাহী ট্রেনটির একটি বগি যাত্রীবাহী ট্রেনের ওপরে উঠে যায়।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে এখনো বিস্তারিত জানা যায়নি। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চিকিৎসক ও বিপর্যয় মোকাবিলা দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।

সামাজিক মাধ্যম এক্সের এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘দার্জিলিং জেলার ফাঁসিদেওয়া এলাকায় এইমাত্র একটি মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে জানতে পেরে মর্মাহত হয়েছি। কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে একটি মালবাহী ট্রেন ধাক্কা দিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। ডিএম, এসপি, ডাক্তার, অ্যাম্বুলেন্স ও বিপর্যয় দলগুলো দ্রুত ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। উদ্ধার, পুনরুদ্ধার ও চিকিৎসাসহায়তার জন্য কাজ শুরু হয়েছে।’

দার্জিলিং ভ্রমণের জন্য অনেক পর্যটক কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস ব্যবহার করেন। গত কয়েক দিন ধরে কলকাতা ও দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের কারণে অনেকে স্বস্তির জন্য দার্জেলিংয়ের পাহাড়ি এলাকা ভ্রমণ করছেন। এরই মধ্যে এ দুর্ঘটনা ঘটল।

এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল অতিক্রম করে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ধাক্কা দেয়। ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের দল ও অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব দিল্লির রেলওয়ে ওয়াররুম থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গেছে।

তবে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের পেছনের অংশে কার্গো ভ্যান থাকায় হতাহতের সংখ্যা কমেছে। গার্ডের কোচ ও যাত্রী বগিগুলো সামনের দিকে ছিল।

;