হজরত রাসূলুল্লাহ সা.-এর সামাজিক ও মানবীয় চরিত্র



মাওলানা আবদুল জাব্বার, অতিথি লেখক, ইসলাম
নবী মুহাম্মদ সা.-এর অনুসরণেই আমাদের মুক্তি নিহিত, ছবি: সংগৃহীত

নবী মুহাম্মদ সা.-এর অনুসরণেই আমাদের মুক্তি নিহিত, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার হজরত স্ত্রী খাদিজা (রা.) কে হেরা পাহাড়ে ঘটে যাওয়া অহি ও জিবরাইল সংক্রান্ত ঘটনাগুলো উল্লেখপূর্বক ভয়ার্ত কণ্ঠে বলেন, ‘আমি আমার জীবন সম্পর্কে আশঙ্কা করছি।’ হজর খাদিজা (রা.) সান্তনা দিয়ে বলেন, ‘আল্লাহর শপথ! তা কখনও হতে পারে না, তিনি (আল্লাহতায়ালা) আপনাকে অপদস্থ করবেন না। ১. আপনি আত্মীয়তার বন্ধন সংরক্ষণ করেন, ২. আপনি দুস্থ মানুষের বোঝা হালকা করেন, ৩. নিঃস্বদের আহার করান, ৪. অতিথিদের সেবা করেন ও ৫. সত্যের পথে নির্যাতিতদের সাহায্য করেন।’ –সহিহ বোখারি

এগুলো হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সম্পর্কে হজরত খাদিজা (রা.)-এর উক্তি। তিনি নবী করিম (সা.)-এর প্রথম স্ত্রী। উম্মতের মধ্যে প্রথম ঈমান আনয়নকারী, জগতের শ্রেষ্ঠতম চার রমণীর অন্যতম। তিনি তার সব ধনসম্পদ রাসূলের কদমে উৎসর্গ করেছেন। রাসূলের সব ছেলেমেয়ে তার গর্ভে জন্মলাভ করেন। অহি লাভের পর রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অস্থিরতায় তিনি সান্তানা দিয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

একজন স্ত্রীর মন্তব্য স্বামীর ব্যাপারে খুবই প্রণিধানযোগ্য। কারণ সুখে-দুঃখে, দিনে-রাতে, সকালে-বিকেলে, রাগ-বিরাগে সর্বাবস্থায় নিবিড়ভাবে স্বামীকে দেখার সুযোগ পান তিনি। আর যদি স্ত্রী হন অতীব বিচক্ষণ, সচেতন ও জ্ঞান ও প্রজ্ঞাসম্পন্ন তবে তো কথাই নেই। যে মুহাম্মদকে মক্কাবাসী পূর্বেই আল আমিন বলে ঘোষণা দিয়েছে, নবুওয়তপূর্ব জীবনে বর্বতার মধ্যে সভ্য, অশ্লীতার মধ্যে পরিচ্ছন্ন, পুঁতিগন্ধময়ের মধ্যে সৌরভ, অন্ধকারের মধ্যে আলো হিসেবে দেখছেন। তারপরও সবার প্রশংসার চেয়ে খাদিজার উক্তি বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

হাদিসে হজরত খাদিজা (রা.) আরও বলেছেন, ‘আপনি আত্মীয়তার বন্ধন সংরক্ষণ করেন।’ এর বাস্তবতা আমরা নবী জীবনের পরতে পরতে দেখতে পাই। এ সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনাও হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। নবুওয়তের ঘোষণা দেয়ার পরও তিনি এ বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়েছেন। কোরআনে কারিমেও আত্মীয়তার সম্পর্ক বজায় রাখার বিষয়ে বহু আয়াত নাজিল হয়েছে।

কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, যার নামে তোমরা অধিকার দাবি করো আর সতর্ক থাকো আত্মীয়তার অধিকার ও সম্পর্কের বিষয়ে, নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের ওপর তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখেন।’ -সূরা নিসা: ০১

হাদিসে নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘সাবধান! রক্ত সম্পর্কের আত্মীয়তা ছিন্নকারীরা জান্নাতে যাবে না।’ –সহিহ বোখারি

আজকের সমাজে ভাইয়ে-ভাইয়ে, পিতা-পুত্রে, চাচা-জেঠাদের সঙ্গে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক নেই বরং নিকটাত্মীয়রা যেন অন্যদের চেয়েও বেশি শত্রু। সামান্য কারণে ঝগড়া-বিবাদ লেগে যায় এবং তা চলতে থাকে বছরের পর বছর। এই সময়ে রক্তের সম্পর্ক রক্ষা ও আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করা সুস্থ সমাজ ব্যবস্থার জন্য জরুরি।

হজরত খাদিজা (রা.) আরও বলেন, ‘আপনাকে দেখেছি সারাজীবন দুর্বল ও বঞ্চিতদের বোঝা বহন করতে।’ অথচ বাস্তবতা হলো- সমাজের বেশিরভাগ মানুষ দুর্বল ও অবহেলিত। তারা ন্যূনতম মৌলিক অধিকার ভোগ করতে পারে না। এই শ্রেণির লোকেরা সবসময় স্বল্পসংখ্যক সুবিধাভোগীর হাতে নিপীড়িত হয়। স্বয়ং নবী মুহাম্মদ (সা.) তাদের অন্তর্ভুক্ত। সোনার চামচ মুখে নিয়ে তিনি জন্মগ্রহণ করেননি। তিনি সামান্য অর্থের বিনিময়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত মক্কাবাসীর বকরি চরিয়েছেন। ইমাম বোখারি (রহ.) এমন একটি হাদিসও উল্লেখ করেছেন। আর আল্লাহতায়ালা এমন কোনো নবী পাঠাননি, যিনি রাখাল ছিলেন না। আমরা ইতিহাস থেকে জানতে পারি, বেশিরভাগ নবী শ্রমজীবী ছিলেন। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) সারাজীবন এতিম, বেওয়ারিশ ও মিসকিনদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে রেখেছিলেন। তিনি এতটুকু বলেছেন, আমার উম্মতের বেশিরভাগ মানুষ গোলাম, শ্রমজীবী ও এতিম হবে। তাদের বোঝা হালকা করার জন্য নিয়োজিতরা জান্নাতি।

কিন্তু আজকের সমাজে কী দেখি? মানুষ কিভাবে জালেমদের অত্যাচারে নির্বাক ও নিথর হয়ে অশ্রুবিসর্জন করছেন।

হজরত খাদিজা (রা.) হাদিসে আরও বলেন, ‘আপনি তো নিঃস্বদের আহারের ব্যবস্থা করেন, আপনি নিরন্ন মানুষের মুখে খাবার তুলে দেন, আপনি বিবস্ত্রদের কাপড় দেন, আল্লাহতায়ালা অবশ্যই আপনার কল্যাণ করবেন।

‘দরিদ্র, নিঃস্ব ও বুভুক্ষুরা আল্লাহর পরিবারের সদস্য’ বলে হাদিসে বলা হয়েছে। ইরশাদ হয়েছে হাদিসে কুদসিতে, আল্লাহ বলবেন কিয়ামতে- ‘হে বনি আদম! আমি ক্ষুধার্ত হয়ে তোমার নিকট গিয়েছিলাম তোমরা আমাকে খাবার দাওনি, লোকেরা বলবে তুমিতো আহার করো না, কিভাবে তোমায় আহার করাবো? আল্লাহ বলবেন, ক্ষুধার্তকে খাবার দান করা হলে আমাকে খাদ্য দেওয়া হতো।’ –সহিহ মুসলিম

হজরত ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, আমি রাসূলের জবানে শুনেছি, তিনি বলেছেন, ‘তারা মুমিন নয়, যারা প্রতিবেশীকে ক্ষুধার্ত রেখে আহার করে।’ মিশকাত

নবী মুহাম্মদ (সা.) প্রতিবেশীদের খবর না নিয়ে, আসহাবে সুফফার লোকদের আহারের ব্যবস্থা না করে খাবার মুখে দেননি।

এখন তো বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ দু’বেলা আহার করতে পারে না, বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে লাখ লাখ মানুষ। তাদের মুখে অন্ন ও পরিধানের বস্ত্র ও আর্তের চিকিৎসার জন্য আমাদের উদ্যোগী হতে হবে। রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর কর্মনীতি কী ছিল? আমরা কোথায়, কী করছি, কোন ইবাদাতের মধ্যে জান্নাত খুঁজছি- এসব চিন্তা করতে হবে। মনে রাখতে হবে, মানবতার সেবায়ই রয়েছে, আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি।

হজরত খাদিজা (রা.) আরও বলেন, ‘আপনি অতিথির সেবা করেন।’ কাবা শরীফ মক্কায় অবস্থিত বিধায় হাজার হাজার বছর থেকে কাবাকেন্দ্রিক বিভিন্ন এলাকা ও জনপদ থেকে তীর্থযাত্রীরা ভিড় জমাতো। কোরাইশ পৌত্তলিকেরা বিদেশিদের জীবন সম্পদ লুণ্ঠনের উৎসব করত বিশেষ করে হজ মৌসুমে। যদিও জাতিগতভাবে আরবিরা অতিথিপরায়ণ কিন্তু অসৎদের আর মূল্যবোধের বালাই থাকে না।

নবী মুহাম্মদ (সা.) বাল্যকাল থেকে অসহায় বিদেশি ও অতিথিদের সহায়-সম্পদ লুণ্ঠনের দৃশ্য দেখে আসছিলেন। হিলফুল ফুজুল সংগঠন সৃষ্টির উদ্দেশ্যও ছিল সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও বিদেশিদের নিরাপত্তা দেওযা।

নবী করিম (সা.) হাদিসে ইরশাদ করেছেন, ‘কেউ যদি আল্লাহ ও পরকালের ওপর ঈমান আনে, সে যেন অতিথির সেবা করে।’ –সহিহ বোখারি

‘সত্যের পথে নির্যাতিতদের আপনি সাহায্য করেন’ হজরত খাদিজা (রা.)-এর এই উক্তিটিও বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। হক ও ন্যায়ের পথে যারা যে যুগেই চলতে চেয়েছে, নিষ্ঠুর সমাজ তাদের চলার পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে। তাদেরকে জুলুম-নিপীড়ন নির্যাতনের বিষাক্ত কাঁটা মাড়িয়ে চলতে হয়েছে। কোরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমি তোমাদেরকে (মুমিনদের) ভয়-ভীতি, ক্ষুধা, ধনসম্পদ, জীবন ও ফসলের ক্ষতি দ্বারা অবশ্যই পরীক্ষা করব, তুমি ধৈর্যশীলদেরকে সুসংবাদ দাও, যারা যেকোনো বিপদ-মুসিবতে বলে আমরা আল্লাহর কাছ হতে এসেছি এবং তারই নিকট ফিরে যাব।’ -সূরা বাকারা: ১৫৫

বস্তুত নবী মুহাম্মদ (সা.)-এর সামাজিক ও মানবীয় চরিত্র যা হজরত খাদিজা (রা.) বর্ণনা করেছেন, এগুলো উম্মতের জন্য শিক্ষা ও গ্রহণী বিষয়।

সুতরাং আমাদেরকে সমাজের অবহেলিত, নিপীড়িত মজলুমদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। দরিদ্র্য সীমার নিচে রয়েছে কোটি কোটি মানুষ। তাদেরকে সমাজের মূলস্রোতে আনতে চেষ্টা করতে হবে। নিরন্নদের মুখে অন্ন তুলে দিতে হেব। এগুলোকে ইবাদত মনে করতে সম্পাদন করতে হবে।

সেই সঙ্গে দেশি-বিদেশি অতিথি, পরিচিত-অপরিচিত সবার প্রতি সহযোগিতা ও সহমর্মিতার হাত বাড়াতে হবে। এটা মানবতার পরম শিক্ষা।

   

জিলকদ মাসে যেসব আমল করবেন



মুফতি উমর ফারুক আশিকী
জিলকদ মাসের আমল, ছবি: সংগৃহীত

জিলকদ মাসের আমল, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুরু হয়েছে জিলকদ মাস। এ মাস সম্মানিত ও মহিমান্বিত মাসসমূহের একটি। হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, হজরত আবু বকরাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আল্লাহ যেদিন আসমান ও জমিন সৃষ্টি করেছেন, সেদিন হতে সময় যেভাবে আবর্তিত হচ্ছিল আজও তা সেভাবে আবর্তিত হচ্ছে। বারো মাসে এক বছর। এর মধ্যে চারটি মাস সম্মানিত। জিলকদ, জিলহজ ও মহররম। তিনটি মাস পরস্পর রয়েছে। আর একটি মাস হলো- রজব-ই-মুযারা। যা জমাদিউল আউয়াল ও শাবান মাসের মাঝে অবস্থিত। -সহিহ বোখারি : ৩১৯৭

হাদিসে বর্ণিত মুযারা একটি সম্প্রদায়ের নাম। ‘আরবের অন্যান্য সম্প্রদায় হতে এ সম্প্রদায়টি রজব মাসের সম্মান প্রদর্শনে অতি কঠোর ছিল। তাই এ মাসটিকে তাদের দিকে সম্বন্ধ করে হাদিসে রাজাবু মুযারা বলা হয়েছে।

জিলকদ মাসে হজরত মুসা (আ.) তুর পাহাড়ে অবস্থান করেন
বনী ইসরাইলকে তাদের নাফরমানির কারণে ‘তিহ’ উপত্যকায় চল্লিশ বছর পর্যন্ত আটকে রাখা হয়। সে সময় তারা নবী হজরত মুসা (আ.)-এর কাছে দাবি করে, আপনি আমাদেরকে আসমানি কিতাব এনে দিন, যে কিতাবে আমাদের জীবনযাপনের নীতিমালা লেখা থাকবে। তখন হজরত মুসা (আ.) আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করলেন, যার ফলে আল্লাহতায়ালা হজরত মুসা (আ.)-কে তুর পাহাড়ে এসে ত্রিশ দিন অবস্থান করতে বলেন। তবে বিশেষ কোনো কারণে এ সময়কে বাড়িয়ে চল্লিশ দিন করা হয়।

আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি মুসার জন্য ত্রিশ রাতের মেয়াদ স্থির করেছিলাম (যে, এ রাতসমূহে তুর পাহাড়ে এসে অবস্থান করবে)। তারপর আরও দশ দ্বারা তা পূর্ণ করি। এভাবে তার প্রতিপালকের নির্ধারিত মেয়াদ চল্লিশ রাত হয়ে গেল।’ -সুরা আরাফ : ১৪২

ইবনে কাসির (রহ.) এ আয়াতের ব্যাখ্যায় বলেন, অধিকাংশ তাফসিরকারের মত হলো, ‘ত্রিশ দিন জিলকদ মাস আর বাকি দশ দিন হলো- জিলহজের দশ দিন।’

জিলকদ মাসেই নবী কারিম (সা.) উমরা পালন করেন
জিলকদ মাসের একটি ফজিলত হলো, ‘হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) যত উমরা আদায় করেছেন, তার সবগুলোই ছিলো- জিলকদ মাসে। তবে একটা উমরা ব্যতীত। যা তিনি হজের সঙ্গে আদায় করেছিলেন।’

উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) জিলকদ ব্যতীত অন্যমাসে কোনো উমরা করেননি। -সুনানে ইবনে মাজাহ : ২৯৯৭

হাদিসটির অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) জিলকদ ব্যতীত অন্যকোনো মাসে উমরা করেননি। তিনি তিনবার উমরা করেছেন। -মুসনাদে আহমাদ : ২৫৯১০

এ মাসের আমল
যখন কোনো সময়কে অন্য সময়ের তুলনায় কিছু বৈশিষ্ট্য দেওয়া হয়, এর উদ্দেশ্য হয় সময়টিতে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগি করে কাটানো এবং গোনাহ থেকে নিজেকে দূরে রাখা। যদিও সবসময়েরই আমল হলো, গোনাহের কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখা। তবুও ফজিলতপূর্ণ দিনগুলোকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া এবং আমলের পরিধি বাড়িয়ে দেওয়া। কেননা আল্লাহতায়ালা জিলকদসহ চারটি সম্মানিত মাস সম্পর্কে বলেন, ‘বারো মাসের মধ্যে চারটি মাস মর্যাদাপূর্ণ। এটিই সহজ-সরল দ্বীন। সুতরাং তোমরা এ মাসসমূহের মধ্যে নিজেদের প্রতি জুলুম করো না।’ -সুরা তওবা : ৩৬

বর্ণিত আয়াতে সম্মানিত মাসে নিজের প্রতি জুলুম করতে নিষেধ করা হয়েছে। এখানে জুলুমের অর্থ কি? হজরত আবদুর রহমান ইবনে যায়েদ ইবনে আসলাম (রহ.) বলেন, ‘জুলুম বলা হয়, আল্লাহর নাফরমানিতে লিপ্ত হওয়া এবং তার হুকুম না মানা।’ -তাফসিরে তাবারি : ১১/৪৪৩

জুলুম তথা আল্লাহর আনুগত্য বর্জন এবং তার অবাধ্যতায় জড়িত হওয়া সবসময়ই নিষিদ্ধ। তবে জিলকদ মাসে জুলুম করা বেশি ভয়াবহ। সুতরাং মুমিন-মুসলমানের উচিৎ সর্বাত্মকভাবে এই মাসগুলোতে গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করা।

জিলকদা মাসের আরও একটি গুরুত্বপুর্ণ আমল হলো, রোজা রাখা। এ বিষয়েও হাদিসে বর্ণনা রয়েছে। বাহিলিয়্যাহ গোত্রীয় ‘মুজিবা’ নামের এক নারী থেকে তার পিতা অথবা চাচার সূত্রে বর্ণিত। একদা তিনি (পিতা অথবা চাচা) হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে দেখা করতে আসলে নবী কারিম (সা.) তার আমলের ব্যাপারে বেশ কিছু কথা বলেন। তখন তাকে নবী কারিম ( সা.) বলেন, ‘তুমি হারাম মাসগুলোতে রোজা রাখো এবং রোজা বর্জনও করো। তুমি হারাম মাসগুলোতে রোজা রাখো এবং রোজা বর্জনও করো। তুমি হারাম মাসগুলোতে রোজা রাখো এবং রোজা বর্জনও করো। এ কথা বলে তিনি তিনটি আঙ্গুল একত্র করার পর তা ফাঁক করে দিলেন।’ -সুনানে আবু দাউদ : ২৪২৮

যেহেতু জিলকদ অতি সম্মানিত মাস। তাই এ মাসে অধিক পরিমাণে ইবাদত-বন্দেগি করে আল্লাহর সান্নিধ্য লাভে সচেষ্ট হওয়া কাম্য। রাব্বে কারিম আমাদের তওফিক দিন। আমিন।

;

চলতি হজেই যাত্রীরা পাবেন উড়ন্ত ট্যাক্সি সেবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
এয়ার ট্যাক্সি হজযাত্রাকে করবে আরও মসৃণ, ছবি: সংগৃহীত

এয়ার ট্যাক্সি হজযাত্রাকে করবে আরও মসৃণ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরব হজযাত্রীদের জন্য প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাড়াচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হজ ও উমরাকে করেছে অনেক সহজ। সেই ধারাবাহিকতায় এবার জেদ্দা থেকে মক্কা পর্যন্ত হজ ও উমরা পালনকারীরা উড়ন্ত ট্যাক্সিযোগে (এয়ার ট্যাক্সি) যাতায়াত করতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) মদিনায় অবতরণ করা চলতি হজ মৌসুমের প্রথম হজযাত্রীদের স্বাগত জানানোর সময় এ তথ্য জানান সৌদি আরবের পরিবহন ও লজিস্টিক বিষয়ক মন্ত্রী সালেহ আল জাসের।

তিনি বলেন, ‘পরিবহবন ব্যবস্থার চরম উন্নতির পর উড়ন্ত ট্যাক্সির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীতে পরিবহন ব্যবস্থায় এ সেবা দিতে অনেক বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। এ ধরনের পরিবহন পরিচালনায় প্রযুক্তি ও উপযুক্ত পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি। এবারের হজ মৌসুমে এমন পরিবহন পরীক্ষামূলক চলবে।’

গত বছর সৌদি আরবের পরিবহন মন্ত্রী আল জাসের হজ মৌসুমে উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিচালনার কথা জানিয়েছিলেন।

তখন তিনি বলেছিলেন, উড়ন্ত ট্যাক্সি সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা সামনে রেখে ১০০টি লিলিয়াম জেট কেনার চুক্তি করেছে সৌদি আরবের এয়ারলাইনস সাউদিয়া। জার্মান ইলেকট্রিক ভার্টিক্যাল টেক অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ইভিটিওএল) বিমান কিনবে সংস্থাটি।

সাউদিয়া গ্রুপের করপোরেট কমিউনিকেশনের পরিচালক আবদুল্লাহ আল শাহরানি বলেন, ‘জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর থেকে মসজিদে হারামের কাছে মক্কা হোটেল ও অন্য পবিত্র স্থানগুলোর মধ্যে ওমরা পালনকারীদের যাতায়াত মসৃণ করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

উড়ন্ত ট্যাক্সি মূলত ছোট বাণিজ্যিক বিমান, যা চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট এলাকায় ফ্লাই করে। ইভিটিওএল এয়ার ট্যাক্সি সর্বোচ্চ চার থেকে ছয়জন যাত্রী বহন করতে পারবে।

পরিবেশবান্ধব এসব বিমান সবোর্চ্চ ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে যাতায়াত করতে সক্ষম।

;

রেকর্ড সংখ্যক হজযাত্রীর প্রত্যাশা, ভয় কঠোর আইন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিগত ৫৫ বছরের ইতিহাসে ২০১২ সালে সর্বাধিক ৩১ লাখ ৬১ হাজার ৫৭৩ জন মানুষ পবিত্র হজ পালন করেন। যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হজ ছিল। অন্যদিকে করোনা মহামারির পর ২০২৩ সালে হজপালন করেছিলেন ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫ জন পুরুষ ও নারী। যার মধ্যে বিদেশির সংখ্যা ১৬ লাখ ৬০ হাজার ৯১৫ ও সৌদি আরবের হাজির সংখ্যা ১ লাখ ৮৪ হাজার ১৩০ জন। এবার এখনও ঘোষণা দেওয়া হয়নি, তবে রেকর্ড সংখ্যক হজযাত্রী হজ পালন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌদির জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৪ জুন থেকে শুরু হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা। তবে চন্দ্রোদয় সাপেক্ষে হজের আনুষ্ঠানিকতা একদিন এগোতে বা পেছাতে পারে। চলতি ২০২৪ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ হজ করতে সৌদিতে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর দেশটির অভ্যন্তরে এ বছর হজ করতে পারেন অন্তত ১০ লাখ মানুষ। এই ৩০ লাখ মানুষকে যথাযথ পরিষেবা প্রদানের চূড়ান্ত প্রস্তুতির পর্যায় পার করছে সৌদির বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা সংস্থা।

অনুমতি ছাড়া হজ করলে জেল-জরিমানা
অবৈধ উপায়ে হজপালন রোধে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সৌদি আরব। এ বছর অনুমতি ছাড়া হজ করলে বা হজবিষয়ক কোনো নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে ১০ হাজার সৌদি রিয়াল (দুই লাখ ৯২ হাজার ৭৯৪ টাকা) জরিমানা ধার্য করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আরব নিউজের খবরে বলা হয়, সৌদি আরবের নাগরিক, বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের কেউ মসজিদে হারামের আশপাশের এলাকা, হজের স্থান, আল-রুসাইফা এলাকার হারামাইন স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্ধারিত সময়ে হজবিষয়ক নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ধরা পড়লে ১০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে।

আগামী ২-২০ জুন হজ মৌসুমে নির্দেশনা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে এ জরিমানা প্রযোজ্য হবে। এ সময়ে নিয়ম লঙ্ঘনকারী বাসিন্দাদের তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং সৌদি আরবে পুনরায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। তা ছাড়া এ নির্দেশনা বারবার লঙ্ঘন করলে পুনরায় ১০ হাজার সৌদি রিয়াল (২ লাখ ৯২ হাজার ৭৯৪ টাকা) জরিমানা করা হবে।

সৌদি বার্তা সংস্থা আরও জানায়, বিনা অনুমতিতে হজ করে হজবিষয়ক নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন করে ধরা পড়লে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল (১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭২ টাকা) জরিমানা করা হবে এবং ব্যবহৃত গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হবে।

তা ছাড়া পরিবহন করা মানুষের সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জরিমানার পরিমাণ আরও বাড়বে। আর নির্দেশনা লঙ্ঘনকারী প্রবাসী হলে সাজাভোগের পর তাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

নুসুক কার্ড ছাড়া মিনা-আরাফা ও মুজদালিফায় প্রবেশ নিষিদ্ধ
সৌদি আরবে হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য ‘নুসুক’ স্মার্ট কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হজযাত্রী অথবা হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কিংবা শ্রমিক যারাই মাশায়েরে মুকাদ্দাসায় (মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাত) প্রবেশ করতে চান, সবার জন্যই তা বাধ্যতামূলক।

মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এবং ফেইসবুক পেজে ধারাবাহিক পোস্টে বলেছে যে, ‘নুসুক’ স্মার্ট কার্ড নিয়মিত এবং অনিয়মিত হজযাত্রীদের মাঝে পার্থক্য করতে পারে। সুতরাং যার কাছে কার্ডটি থাকবে না, তার পক্ষে মাশায়েরে মুকাদ্দাসায় (মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাত) প্রবেশ করা সম্ভব হবে না।

গত সপ্তাহে, সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় ‘নুসুক’ স্মার্ট কার্ডের উভয় সংস্করণ মুদ্রিত ও ডিজিটাল কপি উদ্বোধন করেছে। মুদ্রিত কপি হজযাত্রী বহন করবে এবং ফোনের ক্যামেরা ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল কার্ডের কোড স্ক্যান করে তাতে প্রবেশ করা যাবে।

হজ সম্পর্কে সৌদি আরবের বিভিন্ন নির্দেশনা

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, কার্ডটিতে অনেকগুলো পরিষেবা রয়েছে, যা হজযাত্রীদের জন্য তাদের হজের কার্যাবলী পালন করা সহজ করবে। কারণ এটি তাদের সহজভাবে চলাফেরা করতে এবং দলবদ্ধভাবে হজ কার্যক্রম সম্পাদনের সময়-সূচির ব্যাপারে নির্দেশনা-সতর্কতাবলী প্রাপ্তিতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে তারা তাদের জন্য প্রদত্ত যাবতীয় সেবা-পরিষেবার মান মূল্যায়ন এবং অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

বহু দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পেজে হজ ব্যবস্থাপনায় সেবা প্রদানের নামে ভূয়া বিজ্ঞপ্তিদাতা জাল হজ এজেন্সিগুলোর খপ্পরে না পড়ার জন্য মন্ত্রণালয় পুনঃরায় সতর্ক করেছে।

মন্ত্রণালয় আরও গুরুত্বারোপ করেছে যে, কেবলমাত্র সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যু করা হজ ভিসা লাভের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন দেশের হজ অফিসগুলোর মাধ্যমে কিংবা হজ মিশন নেই- এমন দেশগুলোতে ‘নুসুক হজ’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হজব্রত পালন করার জন্য আসা যাবে।

হাজিরা পাবেন ২২ বোতল করে জমজম
সৌদি আরবের একটি কোম্পানি জানিয়েছে, আসন্ন হজ মৌসুমে হাজিদের মধ্যে তারা জমজম পানির চার কোটি বোতল বিতরণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আল জামেজিমাহ নামের এই কোম্পানিটির বোর্ড মেম্বার ইয়াসের সুসু বলেছেন, এ বছর প্রত্যেক হাজির জন্য ২২ বোতল পানি বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, হাজিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে সেগুলো দেওয়ার জন্য একটি ডিজিটাল পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন তারা।

যার মধ্যে রয়েছে একটি বারকোড সেবা। যেটি বোতলের ওপর প্রদর্শিত থাকবে। এটির মাধ্যমে পানির অর্ডার এবং সেগুলো সরবরাহ করা হবে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হবে বলে বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সিকে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। হাজিদের মধ্যে এসব পানির বোতল যেন সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা যায় সেজন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের মূল কার্যক্রম হবে মক্কা শহরের কেন্দ্রীয় অঞ্চল ও মক্কার প্রবেশ ও বের হওয়ার পয়েন্টগুলোতে।

;

মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ

ভিসা হয়নি ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্প থেকে হজযাত্রায় বাংলাদেশি হজযাত্রীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্প থেকে হজযাত্রায় বাংলাদেশি হজযাত্রীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হজযাত্রীদের ভিসা করার জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদনের জন্য বাড়ানো সময় শেষ হচ্ছে শনিবার (১১ মে)। কিন্তু এখনও ভিসা হয়নি ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে।

বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনও ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সি আশা করছে, আজকের মধ্যেই বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলেও দুই-একদিনের মধ্যে তা করার সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না- এমনটি হওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

চলতি হজ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। ইতোমধ্যে হজযাত্রার ফ্লাইট শুরু হয়েছে এবং ৫ হাজার ১৮২ জন হজযাত্রী সৌদি আরব গমন করেছেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৪ সনের পবিত্র হজ ১৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এবার বেসরকারি হজযাত্রীরা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত ২৫৯টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন। হজযাত্রীদের সৌদি আরব যাত্রার শেষ ফ্লাইট ১০ জুন আর প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন।

;