হজযাত্রীদের নতুন রুট, ৩৫ মিনিটে জেদ্দা-মক্কা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
মক্কা-জেদ্দা মহাসড়ক

মক্কা-জেদ্দা মহাসড়ক

  • Font increase
  • Font Decrease

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে বহুবিধ উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর অন্যতম হলো- জেদ্দা-মক্কা সড়ককে মহাসড়কে রূপান্তর করা। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের কাজ ৭০ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে। সড়কটি আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসড়কে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়েছে। এটি জেদ্দা বিমানবন্দরকে মসজিদে হারামের সঙ্গে সংযুক্ত করবে।

আট লেনের এই যুগান্তকারী অবকাঠামো বাস্তবায়িত হলে, হজযাত্রীদের ভ্রমণে সময় বাঁচবে এবং ভ্রমণ আরো নিরাপদ হবে।

শুধু এই সড়ক নির্মাণ নয়, সৌদি আরব হজযাত্রী, ওমরাহ পালনকারী এবং ভ্রমণকারীদের জন্য জন্য আরও নানাবিধ সুবিধা দিতে প্রস্তুত।

জেদ্দা-মক্কা সরাসরি সড়কটি জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আগত ওমরাহ যাত্রীদের আরাম, নিরাপত্তা ও সময় কম ব্যয়ের প্রতি লক্ষ্য রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ভ্রমণের সময়কে কমিয়ে মাত্র ৩৫ মিনিটে নিয়ে আসবে।

সৌদি ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য ওমরাহ যাত্রীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করা। এটি অর্জনের জন্য সৌদি আরব মক্কার মসজিদে হারামের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ করেছে। ওমরাহ পরিষেবা প্রদানকারীদের লাইসেন্স সম্প্রসারিত করেছে, ওমরাহ ভিসার বরাদ্দ ও সময় বাড়িয়েছে এবং পর্যটক ও দর্শনার্থীদের ওমরাহতে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়ার জন্য প্রবিধান প্রণয়ন করেছে। এছাড়া সৌদি নাগরিকরা এখন অন্যদেশে তাদের পরিচিতদের ওমরাহ পালনের আমন্ত্রণ জানাতে পারছে।

জেদ্দা-মক্কা সরাসরি সড়ক শুধুমাত্র হজযাত্রীদের ভ্রমণের সুবিধার জন্যই নয়। বরং এটি সামগ্রিক সড়ক ও পরিবহন পরিষেবার উন্নতির জন্য, যার ফলে গড় ভ্রমণের সময় হ্রাস পাবে। এই আধুনিক হাইওয়েতে প্রতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার গতিতে যানবাহন চলতে পারবে।

   

চলতি হজেই যাত্রীরা পাবেন উড়ন্ত ট্যাক্সি সেবা



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
এয়ার ট্যাক্সি হজযাত্রাকে করবে আরও মসৃণ, ছবি: সংগৃহীত

এয়ার ট্যাক্সি হজযাত্রাকে করবে আরও মসৃণ, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সৌদি আরব হজযাত্রীদের জন্য প্রতিনিয়ত নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা বাড়াচ্ছে। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার হজ ও উমরাকে করেছে অনেক সহজ। সেই ধারাবাহিকতায় এবার জেদ্দা থেকে মক্কা পর্যন্ত হজ ও উমরা পালনকারীরা উড়ন্ত ট্যাক্সিযোগে (এয়ার ট্যাক্সি) যাতায়াত করতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) মদিনায় অবতরণ করা চলতি হজ মৌসুমের প্রথম হজযাত্রীদের স্বাগত জানানোর সময় এ তথ্য জানান সৌদি আরবের পরিবহন ও লজিস্টিক বিষয়ক মন্ত্রী সালেহ আল জাসের।

তিনি বলেন, ‘পরিবহবন ব্যবস্থার চরম উন্নতির পর উড়ন্ত ট্যাক্সির এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামীতে পরিবহন ব্যবস্থায় এ সেবা দিতে অনেক বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। এ ধরনের পরিবহন পরিচালনায় প্রযুক্তি ও উপযুক্ত পরিবেশ সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি। এবারের হজ মৌসুমে এমন পরিবহন পরীক্ষামূলক চলবে।’

গত বছর সৌদি আরবের পরিবহন মন্ত্রী আল জাসের হজ মৌসুমে উড়ন্ত ট্যাক্সি পরিচালনার কথা জানিয়েছিলেন।

তখন তিনি বলেছিলেন, উড়ন্ত ট্যাক্সি সার্ভিস চালুর পরিকল্পনা সামনে রেখে ১০০টি লিলিয়াম জেট কেনার চুক্তি করেছে সৌদি আরবের এয়ারলাইনস সাউদিয়া। জার্মান ইলেকট্রিক ভার্টিক্যাল টেক অফ অ্যান্ড ল্যান্ডিং (ইভিটিওএল) বিমান কিনবে সংস্থাটি।

সাউদিয়া গ্রুপের করপোরেট কমিউনিকেশনের পরিচালক আবদুল্লাহ আল শাহরানি বলেন, ‘জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ বিমানবন্দর থেকে মসজিদে হারামের কাছে মক্কা হোটেল ও অন্য পবিত্র স্থানগুলোর মধ্যে ওমরা পালনকারীদের যাতায়াত মসৃণ করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’

উড়ন্ত ট্যাক্সি মূলত ছোট বাণিজ্যিক বিমান, যা চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট এলাকায় ফ্লাই করে। ইভিটিওএল এয়ার ট্যাক্সি সর্বোচ্চ চার থেকে ছয়জন যাত্রী বহন করতে পারবে।

পরিবেশবান্ধব এসব বিমান সবোর্চ্চ ২৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্বে যাতায়াত করতে সক্ষম।

;

রেকর্ড সংখ্যক হজযাত্রীর প্রত্যাশা, ভয় কঠোর আইন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র মক্কা, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিগত ৫৫ বছরের ইতিহাসে ২০১২ সালে সর্বাধিক ৩১ লাখ ৬১ হাজার ৫৭৩ জন মানুষ পবিত্র হজ পালন করেন। যা ইতিহাসে সবচেয়ে বড় হজ ছিল। অন্যদিকে করোনা মহামারির পর ২০২৩ সালে হজপালন করেছিলেন ১৮ লাখ ৪৫ হাজার ৪৫ জন পুরুষ ও নারী। যার মধ্যে বিদেশির সংখ্যা ১৬ লাখ ৬০ হাজার ৯১৫ ও সৌদি আরবের হাজির সংখ্যা ১ লাখ ৮৪ হাজার ১৩০ জন। এবার এখনও ঘোষণা দেওয়া হয়নি, তবে রেকর্ড সংখ্যক হজযাত্রী হজ পালন করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সৌদির জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১৪ জুন থেকে শুরু হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা। তবে চন্দ্রোদয় সাপেক্ষে হজের আনুষ্ঠানিকতা একদিন এগোতে বা পেছাতে পারে। চলতি ২০২৪ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ২০ লাখেরও বেশি মানুষ হজ করতে সৌদিতে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর দেশটির অভ্যন্তরে এ বছর হজ করতে পারেন অন্তত ১০ লাখ মানুষ। এই ৩০ লাখ মানুষকে যথাযথ পরিষেবা প্রদানের চূড়ান্ত প্রস্তুতির পর্যায় পার করছে সৌদির বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা সংস্থা।

অনুমতি ছাড়া হজ করলে জেল-জরিমানা
অবৈধ উপায়ে হজপালন রোধে কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে সৌদি আরব। এ বছর অনুমতি ছাড়া হজ করলে বা হজবিষয়ক কোনো নির্দেশনা লঙ্ঘন করলে ১০ হাজার সৌদি রিয়াল (দুই লাখ ৯২ হাজার ৭৯৪ টাকা) জরিমানা ধার্য করেছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আরব নিউজের খবরে বলা হয়, সৌদি আরবের নাগরিক, বাসিন্দা ও দর্শনার্থীদের কেউ মসজিদে হারামের আশপাশের এলাকা, হজের স্থান, আল-রুসাইফা এলাকার হারামাইন স্টেশনসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্ধারিত সময়ে হজবিষয়ক নির্দেশনা লঙ্ঘন করে ধরা পড়লে ১০ হাজার সৌদি রিয়াল জরিমানা করা হবে।

আগামী ২-২০ জুন হজ মৌসুমে নির্দেশনা লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে এ জরিমানা প্রযোজ্য হবে। এ সময়ে নিয়ম লঙ্ঘনকারী বাসিন্দাদের তাদের দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এবং সৌদি আরবে পুনরায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। তা ছাড়া এ নির্দেশনা বারবার লঙ্ঘন করলে পুনরায় ১০ হাজার সৌদি রিয়াল (২ লাখ ৯২ হাজার ৭৯৪ টাকা) জরিমানা করা হবে।

সৌদি বার্তা সংস্থা আরও জানায়, বিনা অনুমতিতে হজ করে হজবিষয়ক নির্দেশনা লঙ্ঘনকারীদের পরিবহন করে ধরা পড়লে ছয় মাস পর্যন্ত কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার সৌদি রিয়াল (১৪ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭২ টাকা) জরিমানা করা হবে এবং ব্যবহৃত গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হবে।

তা ছাড়া পরিবহন করা মানুষের সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জরিমানার পরিমাণ আরও বাড়বে। আর নির্দেশনা লঙ্ঘনকারী প্রবাসী হলে সাজাভোগের পর তাকে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

নুসুক কার্ড ছাড়া মিনা-আরাফা ও মুজদালিফায় প্রবেশ নিষিদ্ধ
সৌদি আরবে হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবার প্রত্যেক হজযাত্রীর জন্য ‘নুসুক’ স্মার্ট কার্ড বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। হজযাত্রী অথবা হজ ব্যবস্থাপনা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কিংবা শ্রমিক যারাই মাশায়েরে মুকাদ্দাসায় (মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাত) প্রবেশ করতে চান, সবার জন্যই তা বাধ্যতামূলক।

মন্ত্রণালয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এবং ফেইসবুক পেজে ধারাবাহিক পোস্টে বলেছে যে, ‘নুসুক’ স্মার্ট কার্ড নিয়মিত এবং অনিয়মিত হজযাত্রীদের মাঝে পার্থক্য করতে পারে। সুতরাং যার কাছে কার্ডটি থাকবে না, তার পক্ষে মাশায়েরে মুকাদ্দাসায় (মিনা, মুজদালিফা ও আরাফাত) প্রবেশ করা সম্ভব হবে না।

গত সপ্তাহে, সৌদি হজ ও উমরা মন্ত্রণালয় ‘নুসুক’ স্মার্ট কার্ডের উভয় সংস্করণ মুদ্রিত ও ডিজিটাল কপি উদ্বোধন করেছে। মুদ্রিত কপি হজযাত্রী বহন করবে এবং ফোনের ক্যামেরা ব্যবহারের মাধ্যমে ডিজিটাল কার্ডের কোড স্ক্যান করে তাতে প্রবেশ করা যাবে।

হজ সম্পর্কে সৌদি আরবের বিভিন্ন নির্দেশনা

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে যে, কার্ডটিতে অনেকগুলো পরিষেবা রয়েছে, যা হজযাত্রীদের জন্য তাদের হজের কার্যাবলী পালন করা সহজ করবে। কারণ এটি তাদের সহজভাবে চলাফেরা করতে এবং দলবদ্ধভাবে হজ কার্যক্রম সম্পাদনের সময়-সূচির ব্যাপারে নির্দেশনা-সতর্কতাবলী প্রাপ্তিতে সহায়তা করবে। পাশাপাশি এর মাধ্যমে তারা তাদের জন্য প্রদত্ত যাবতীয় সেবা-পরিষেবার মান মূল্যায়ন এবং অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।

বহু দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন পেজে হজ ব্যবস্থাপনায় সেবা প্রদানের নামে ভূয়া বিজ্ঞপ্তিদাতা জাল হজ এজেন্সিগুলোর খপ্পরে না পড়ার জন্য মন্ত্রণালয় পুনঃরায় সতর্ক করেছে।

মন্ত্রণালয় আরও গুরুত্বারোপ করেছে যে, কেবলমাত্র সৌদি আরবের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ইস্যু করা হজ ভিসা লাভের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন দেশের হজ অফিসগুলোর মাধ্যমে কিংবা হজ মিশন নেই- এমন দেশগুলোতে ‘নুসুক হজ’ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে হজব্রত পালন করার জন্য আসা যাবে।

হাজিরা পাবেন ২২ বোতল করে জমজম
সৌদি আরবের একটি কোম্পানি জানিয়েছে, আসন্ন হজ মৌসুমে হাজিদের মধ্যে তারা জমজম পানির চার কোটি বোতল বিতরণের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। আল জামেজিমাহ নামের এই কোম্পানিটির বোর্ড মেম্বার ইয়াসের সুসু বলেছেন, এ বছর প্রত্যেক হাজির জন্য ২২ বোতল পানি বরাদ্দ করা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, হাজিদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে সেগুলো দেওয়ার জন্য একটি ডিজিটাল পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন তারা।

যার মধ্যে রয়েছে একটি বারকোড সেবা। যেটি বোতলের ওপর প্রদর্শিত থাকবে। এটির মাধ্যমে পানির অর্ডার এবং সেগুলো সরবরাহ করা হবে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের সর্বোচ্চ মান বজায় রাখা হবে বলে বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সিকে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। হাজিদের মধ্যে এসব পানির বোতল যেন সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা যায় সেজন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের মূল কার্যক্রম হবে মক্কা শহরের কেন্দ্রীয় অঞ্চল ও মক্কার প্রবেশ ও বের হওয়ার পয়েন্টগুলোতে।

;

মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ

ভিসা হয়নি ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্প থেকে হজযাত্রায় বাংলাদেশি হজযাত্রীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্প থেকে হজযাত্রায় বাংলাদেশি হজযাত্রীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হজযাত্রীদের ভিসা করার জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদনের জন্য বাড়ানো সময় শেষ হচ্ছে শনিবার (১১ মে)। কিন্তু এখনও ভিসা হয়নি ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে।

বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনও ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সি আশা করছে, আজকের মধ্যেই বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলেও দুই-একদিনের মধ্যে তা করার সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না- এমনটি হওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

চলতি হজ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। ইতোমধ্যে হজযাত্রার ফ্লাইট শুরু হয়েছে এবং ৫ হাজার ১৮২ জন হজযাত্রী সৌদি আরব গমন করেছেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৪ সনের পবিত্র হজ ১৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এবার বেসরকারি হজযাত্রীরা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত ২৫৯টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন। হজযাত্রীদের সৌদি আরব যাত্রার শেষ ফ্লাইট ১০ জুন আর প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন।

;

ফুল, খেজুর ও উপহার দিয়ে হজযাত্রীদের বরণ করছে সৌদি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফুল, খেজুর ও উপহার দিয়ে হজযাত্রীদের বরণ করছে সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

ফুল, খেজুর ও উপহার দিয়ে হজযাত্রীদের বরণ করছে সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরব গমন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্থানসহ বেশ কয়েকটি দেশের হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) হজপালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছালে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ফুল দিয়ে স্বাগত ও উপহার দিয়ে বরণ করে নেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। এর আগে বিভিন্ন দেশের প্রথম ফ্লাইটের হজযাত্রীদের ফুল, খেজুর, জমজমের পানি ও উপহার দিয়ে বরণ করে নেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ।

গালফ নিউজের খবরে জানানো হয়েছে, কয়েকটি স্থল বন্দর, নৌ বন্দর এবং দেশটির ছয়টি শহরের প্রধান ছয়টি বিমানবন্দর দিয়ে হজযাত্রীরা সৌদি আরব প্রবেশ করতে পারবেন। তবে বেশিরভাগ হজযাত্রী জেদ্দা কিংবা মদিনা বিমান বন্দর দিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করছেন বলে জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগ।

খবরে বলা হয়, এ বছর সৌদি আরবের জেদ্দা, মদিনা, তায়েফ, রিয়াদ, ইয়ানবু, দাম্মামসহ মোট ছয়টি শহরের বিমানবন্দরে হাজিদের বরণ করা হবে। তা হলো- জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দর, তায়েফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রিয়াদের কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইয়ানবু শহরের প্রিন্স আবদুল মুহসিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং দাম্মামের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

সৌদি আরবের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের পবিত্র হজ মৌসুমে সাত হাজার সাত শ ফ্লাইটে ৩৪ লাখ আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।

সৌদির বিমানবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মাতারাত হল্ডিং কোম্পানি জানিয়েছে, সৌদি আরবের ছয়টি বিমানবন্দরের ১৩টি টার্মিনালে হজযাত্রীদের বরণ করা হবে।

বিমানবন্দরের ২১ হাজার কর্মকর্তা হাজিদের প্রয়োজনীয় সেবা দেবেন। তা ছাড়া হজযাত্রীদের জন্য সবগুলো বিমানবন্দরে ‘পেসেঞ্জার উইদাউট এ ব্যাগ’ পরিষেবা চালু থাকবে। আর যাত্রীরা নিজ বাসস্থান থেকে ফ্লাইটের সময়ের ২৪ ঘণ্টা আগেই লাগেজ পাঠাতে পারবে।

এদিকে সৌদি মালিকানাধীন বিমান সংস্থা সৌদিয়া জানিয়েছে, এবারের হজ মৌসুমে সারাবিশ্ব থেকে যাত্রীদের পরিবহনে ১২ লাখের বেশি আসনের ১৫০টি বিমান বরাদ্দ করা হয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ থেকে এবার ৮৫ হাজার ২৫৭ জন বাংলাদেশি হজ পালন করতে পারবেন। তাদের মধ্যে চার হাজার ৫৬২ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি ৮০ হাজার ৬৯৫ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজপালন করবেন।

;