অস্তিত্বে জড়ানো আল আকসা ও ফিলিস্তিন



আহমদ কবীর খলীল, অতিথি লেখক, ইসলাম
আল আকসা, ফাইল ছবি

আল আকসা, ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকদিন আগে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ফিলিস্তিন বিষয়ে ‘হুরমতে আকসা’ কনফারেন্সে শায়খুল ইসলাম আল্লামা তাকি উসমানী খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বক্তব্য দেন। বক্তব্যে তিনি বিশ্বের মুসলিম নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন-

... কখনও এমন কিছু মুহূর্ত আসে, যখন হিম্মত ও সাহ‌সিকতার সা‌থে পদ‌ক্ষেপ নি‌তে হয় এবং ত‌্যাগের স‌র্বোচ্চ পারাকাষ্ঠা দে‌খি‌য়ে স‌ঠিক সিদ্ধান্ত নি‌য়ে সামনে এগুতে হয়। য‌দি সেই সম‌য়ে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয়, তাহলে শত শত বছর তার জন্য কঠিন মাশুল দিতে হয়।

আমি ম‌নে ক‌রি, এখন সেই ঐতিহাসিক যুগস‌ন্ধিক্ষণ আমরা অতিক্রম কর‌ছি। আপনারা সক‌লে অবগত আছেন যে, সমগ্র ইসলামি বিশ্ব, মর‌ক্কো থে‌কে নিয়ে ইন্দো‌নে‌শিয়া পর্যন্ত প‌শ্চিমা দাসবৃ‌ত্তির শিকার। আমরা যে গোলামী জীবনযাপন কর‌ছি; এটা কি কেউ অস্বীকার করতে পারবেন? সর্বক্ষে‌ত্রেই চল‌ছে এ গোলামী; অর্থনী‌তি বলেন আর সমরনী‌তি কিংবা রাজনী‌তি; সবখানেই। এ গোলামীর শেষ কোথায়? অথচ মর‌ক্কো থে‌কে ইন্দো‌নে‌শিয়া পর্যন্ত সমগ্র মুস‌লিম এলাকায় আল্লাহতায়ালা যে প্রাকৃ‌তিক সম্পদ দান ক‌রে‌ছেন, তা আর কাউকে দেন‌নি। তাছাড়া মুস‌লিম উম্মাহ পৃ‌থিবীর কেন্দ্রস্থ‌লে অব‌স্থিত। তা‌দের হা‌তে সেসব বিস্তৃত মরুঅঞ্চল র‌য়ে‌ছে, তা দ্বারা তারা সমগ্র দ‌ুনিয়া নিয়ন্ত্রণ কর‌তে পা‌রতো। সু‌য়েজ খাল তা‌দের হা‌তে। এডেন উপসাগর তা‌দের হা‌তে। দু‌নিয়ার সব‌চে‌য়ে বে‌শি তরল সোনা তথা তেলসম্পদ তা‌দের হা‌তে। তারপ‌রেও কেন তা‌দের‌কে গোলা‌মির জীবন কাটা‌তে হ‌বে? এর কারণ কি?

কারণ এক‌টিই, যা নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ব‌লে গে‌ছেন, মুসলমান অধিক হওয়ার পরেও খড়কুটোর মতো ‌ভে‌সে যা‌বে। কারণ, তারা জীবন‌কে বে‌শি ভা‌লোবাস‌বে, মৃত‌্যু‌কে ভয় কর‌বে এবং জিহাদ ফী সা‌বি‌লিল্লাহকে প‌রিত‌্যাগ কর‌বে। আজ আমা‌দের সুরতহাল সেটাই জানান দি‌চ্ছে।

দুই. বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন সবাই অবগত আছেন যে, এই সময়ে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের ওপর কী পরিমাণ অমানবিকতা চলছে! সেখানে নারী, শিশু এমনকি আহত ও অসুস্থ লোকেরাও নির্বিচারে দখলদার ইসরায়েলি জালেমদের আক্রমণে আক্রান্ত হচ্ছে। জালেমরা কোনো বাচবিচার ছাড়াই যেখানে-সেখানে বোমা ফেলছে। এমনকি হাসপাতাল, তাঁবু, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, উপাসনালয় ও আশ্রয়কেন্দ্র কোনো কিছুই বাদ যাচ্ছে না; বরং সব কিছুই জালেমদের তাণ্ডবের লক্ষ্যস্থলে পরিণত হয়েছে। যা পৃথিবীর সব আইনে মানবতাবিরোধী জঘন্য অপরাধ হওয়া সত্বেও জালেমরা তার কোনো পরোয়া করছে না।

তাদের এই অমানবিকতার বিরুদ্ধে পৃথিবীর বিবেকবানরা জোড়ালো প্রতিবাদ অব্যাহত রাখলেও তারা এই জঘন্য অপরাধ কর্ম থেকে বিরত হচ্ছে না। যদিও আমরা বিশ্বাস করি এটা জালেমদেরকে চূড়ান্ত ধ্বংসের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে।

ইতোমধ্যে বিশ্ববাসীর সামনে যা পরিস্কার হতে চলেছে, তা হলো- জালেম ইসরায়েলিদের ধ্বংস খুব একটা দূরে নয়। কারণ চলমান যুদ্ধ বিশ্ব জনমতকে ইসরায়েলের প্রতিপক্ষে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে এবং বিশ্ববাসী এই জালেম দখলদার বাহিনী ও তাদের মদদদাতা আমেরিকার বিরুদ্ধে ফুঁসে ওঠছে; এটা অব্যাহত থাকলে একসময় জালেমরা সামান্য আশ্রয়ের জায়গা খুঁজে পাবে না- ইনশাআল্লাহ।

গত সাত অক্টোবর থেকে দখলদার ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনি মুজাহিদদের মধ্যে চলমান সময়ের সবচেয়ে ভয়ংকর যুদ্ধ শুরু হয়। চলমান এই যুদ্ধ বিশ্ব পরিস্থিতিকে সম্পুর্ণ উলট-পালট করে দেয়।

যুদ্ধ শুরু হওয়ার প্রথম দিন থেকেই আমেরিকার নেতৃত্বে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলের পাশে দাঁড়ায় এবং সর্বাত্মক সহযোগিতা অব্যাহত রাখে। অপরদিকে মজলুম ফিলিস্তিনিদের পাশে কেউ দাঁড়ায়নি! আরব রাষ্ট্রগুলো মৌখিকভাবে ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বললেও সরাসরি সহযোগিতায় এগিয়ে আসেনি কেউ। জাতিসংঘ নামের গোয়ালঘর থেকে ইসরায়েলের পাশবিকতার বিরুদ্ধে কিছু আওয়াজ আসলেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ এখনও আসেনি। এরপরও ফিলিস্তিনের মজলুম মানুষের জন্য গাজার মুজাহিদরা সংগ্রাম অব্যাহত রেখেছেন এবং আল্লাহর সাহায্যে এখনও তারা দুর্বার প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছেন।

জালেম ইসরায়েলিরা নিরীহ সাধারণ মানুষদেরকে নির্বিচারে হত্যা করছে তবে গাজার মুজাহিদরা ইসরায়েলি জালেম বাহিনীকে একের পর এক জাহান্নামে নিক্ষেপ করছে। মুজাহিদরা সুযোগ পাওয়া সত্বেও একজন নিরীহ সাধারণ মানুষকে হত্যা করেনি এবং করবেও না।

এসব চিত্র সামনে আসার কারণে বিশ্ববাসীর সামনে চলমান এই যুদ্ধ পরিস্কার করে দিয়েছে; আমেরিকা ও পশ্চিমাদের মুখে মানবতার বুলি শুধু প্রতারণা। কারণ তারা সত্যিকার অর্থে মানবিক হলে কখনও এই ইসরায়েলি অমানবিকতার পক্ষ নিতো না। সুতরাং বিশ্ববাসীর উচিত হলো, জালেম ইসরায়েলি বাহিনী এবং তাদের মদদদাতাদের বিরুদ্ধে এখনই সোচ্চার হওয়া।

এই যুদ্ধ আরও পরিস্কার করে দিয়েছে যে, আরবের শাসকরা তাদের ক্ষমতা ও বিলাসিতার মোহে নিজেদের আত্মমর্যাদা হারিয়ে ফেলেছে, তাদের কাছে আর মুসলমানদের জান-মাল ও ইসলামের নিদর্শনগুলো নিরাপদ নয়। তারা মুসলিম জনপদ শাসন করার যোগ্যতা রাখে না। তাছাড়া এই যুদ্ধ বিশ্বের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে থাকা খাঁটি মুমিন আর কপট মুনাফেকদের আলাদা করে দিয়েছে।

বিশ্ব মুসলিমের সামনে আজকে পরিস্কার হয়ে গিয়েছে যে, মজলুম মুসলমানদের মুক্তি একমাত্র রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনাদর্শে পরিচালিত জেহাদের মধ্যে নিহিত। কারণ, দখলদার ইসরায়েলি জালেমদের সামনে অস্ত্রের ভাষা ছাড়া কোনো ভাষাই কার্যকর নয়।

চলমান যুদ্ধে বিশ্বের মুসলিম শাসকগোষ্ঠীর উপর সবচেয়ে নৈতিক দায়িত্ব ছিল, ফিলিস্তিনের মুজাহিদদের সাহায্য করা; কিন্তু তারা রহস্যজনক নিরব ভূমিকা পালন করছে! এহেন পরিস্থিতিতে মুসলিম জনসাধারণের ওপর দ্বায়িত্ব হলো, তারা যেন শাসকগোষ্ঠীকে চাপ দিয়ে মজলুম ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াতে বাধ্য করে।

তিন. মসজিদে আকসা আমাদের হৃদয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ফিলিস্তিন আমাদের অস্তিত্বের সঙ্গে জড়িত। আকসার পবিত্র ভূমি একমাত্র মুমিনদের জন্য সংরক্ষিত। আল্লাহর দুশমন অভিশপ্ত জায়নবাদী ইহুদিদের হাত থেকে মসজিদে আকসা ও তার পবিত্র ভূমিকে রক্ষা করা আমাদের ঈমানি দ্বায়িত্ব। সেই দ্বায়িত্ব আদায়ে সচেষ্ট ফিলিস্তিনের মুসলমান ও মুজাহিদদেরকে আমরা আন্তরিক মোবারকবাদ জানাই। আমরা আমাদের সাধ্য থেকে তাদের পাশে দাঁড়ানোকে নৈতিক ও ঈমানি দ্বায়িত্ব মনে করি।

দোয়া করি, আল্লাহতায়ালা যেন তাদেরকে গায়েবি সাহায্য দান করেন এবং বিশ্ব মুসলিমকে তাদের পাশে একত্রিত করে দেন। আমিন।

লেখক : শিক্ষক, জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা, সিলেট।

   

মেয়াদ শেষ হচ্ছে আজ

ভিসা হয়নি ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
হজ ক্যাম্প থেকে হজযাত্রায় বাংলাদেশি হজযাত্রীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

হজ ক্যাম্প থেকে হজযাত্রায় বাংলাদেশি হজযাত্রীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হজযাত্রীদের ভিসা করার জন্য দ্বিতীয় দফায় আবেদনের জন্য বাড়ানো সময় শেষ হচ্ছে শনিবার (১১ মে)। কিন্তু এখনও ভিসা হয়নি ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর।

ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হজ বুলেটিন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। বুলেটিনে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫৩ হাজার ৮৯৯ হজযাত্রীর ভিসা হয়েছে।

বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, এ বছর সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনা মিলিয়ে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। সেই হিসাবে এখনও ৩৭ শতাংশ হজযাত্রীর ভিসা হয়নি।

তবে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও হজ এজেন্সি আশা করছে, আজকের মধ্যেই বেশিরভাগ হজযাত্রীর ভিসা সম্পন্ন হয়ে যাবে। অল্প কিছু বাকি থাকলেও দুই-একদিনের মধ্যে তা করার সময় পাওয়া যাবে। তাই ভিসা জটিলতায় কেউ হজে যেতে পারবেন না- এমনটি হওয়ার সুযোগ নেই।

এর আগে ২৯ এপ্রিলের মধ্যে ভিসা সম্পন্ন করতে নির্দেশনা দিয়েছিল ধর্ম মন্ত্রণালয়। এরপর ৭ মে পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ভিসা আবেদনের সময় বাড়িয়ে ১১ মে করা হয়। এ সময়ের মধ্যে হজযাত্রীর ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সংশ্লিষ্ট এজেন্সিকে দায়-দায়িত্ব বহন করতে হবে বলে জানিয়েছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

চলতি হজ মৌসুমে বাংলাদেশ থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ৫৬২ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এজেন্সির মাধ্যমে ৮০ হাজার ৬৯৫ জনসহ মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজ করতে যাবেন। ইতোমধ্যে হজযাত্রার ফ্লাইট শুরু হয়েছে এবং ৫ হাজার ১৮২ জন হজযাত্রী সৌদি আরব গমন করেছেন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৪ সনের পবিত্র হজ ১৬ জুন অনুষ্ঠিত হবে। এবার বেসরকারি হজযাত্রীরা ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত ২৫৯টি হজ এজেন্সির মাধ্যমে হজের কার্যক্রম সম্পন্ন করছেন। হজযাত্রীদের সৌদি আরব যাত্রার শেষ ফ্লাইট ১০ জুন আর প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ২০ জুন।

;

ফুল, খেজুর ও উপহার দিয়ে হজযাত্রীদের বরণ করছে সৌদি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফুল, খেজুর ও উপহার দিয়ে হজযাত্রীদের বরণ করছে সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

ফুল, খেজুর ও উপহার দিয়ে হজযাত্রীদের বরণ করছে সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরব গমন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্থানসহ বেশ কয়েকটি দেশের হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) হজপালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছালে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ফুল দিয়ে স্বাগত ও উপহার দিয়ে বরণ করে নেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। এর আগে বিভিন্ন দেশের প্রথম ফ্লাইটের হজযাত্রীদের ফুল, খেজুর, জমজমের পানি ও উপহার দিয়ে বরণ করে নেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ।

গালফ নিউজের খবরে জানানো হয়েছে, কয়েকটি স্থল বন্দর, নৌ বন্দর এবং দেশটির ছয়টি শহরের প্রধান ছয়টি বিমানবন্দর দিয়ে হজযাত্রীরা সৌদি আরব প্রবেশ করতে পারবেন। তবে বেশিরভাগ হজযাত্রী জেদ্দা কিংবা মদিনা বিমান বন্দর দিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করছেন বলে জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগ।

খবরে বলা হয়, এ বছর সৌদি আরবের জেদ্দা, মদিনা, তায়েফ, রিয়াদ, ইয়ানবু, দাম্মামসহ মোট ছয়টি শহরের বিমানবন্দরে হাজিদের বরণ করা হবে। তা হলো- জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দর, তায়েফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রিয়াদের কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইয়ানবু শহরের প্রিন্স আবদুল মুহসিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং দাম্মামের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

সৌদি আরবের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের পবিত্র হজ মৌসুমে সাত হাজার সাত শ ফ্লাইটে ৩৪ লাখ আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।

সৌদির বিমানবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মাতারাত হল্ডিং কোম্পানি জানিয়েছে, সৌদি আরবের ছয়টি বিমানবন্দরের ১৩টি টার্মিনালে হজযাত্রীদের বরণ করা হবে।

বিমানবন্দরের ২১ হাজার কর্মকর্তা হাজিদের প্রয়োজনীয় সেবা দেবেন। তা ছাড়া হজযাত্রীদের জন্য সবগুলো বিমানবন্দরে ‘পেসেঞ্জার উইদাউট এ ব্যাগ’ পরিষেবা চালু থাকবে। আর যাত্রীরা নিজ বাসস্থান থেকে ফ্লাইটের সময়ের ২৪ ঘণ্টা আগেই লাগেজ পাঠাতে পারবে।

এদিকে সৌদি মালিকানাধীন বিমান সংস্থা সৌদিয়া জানিয়েছে, এবারের হজ মৌসুমে সারাবিশ্ব থেকে যাত্রীদের পরিবহনে ১২ লাখের বেশি আসনের ১৫০টি বিমান বরাদ্দ করা হয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ থেকে এবার ৮৫ হাজার ২৫৭ জন বাংলাদেশি হজ পালন করতে পারবেন। তাদের মধ্যে চার হাজার ৫৬২ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি ৮০ হাজার ৬৯৫ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজপালন করবেন।

;

শুক্রবার থেকে জিলকদ মাস শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শুক্রবার থেকে জিলকদ মাস শুরু হবে, ছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার থেকে জিলকদ মাস শুরু হবে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। শুক্রবার (১০ মে) থেকে জিলকদ মাস গণনা শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায়, শুক্রবার (১০ মে) থেকে ১৪৪৫ হিজরি সালের পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু হবে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ওয়াকফ প্রশাসক আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন খাঁ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহকারী পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি আদনান মুহাম্মাদ সানী, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফিত মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

সিএসবিআইবি-বিআইবিএমের যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিএসবিআইবি-বিআইবিএমের যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত, ছবি: সংগৃহীত

সিএসবিআইবি-বিআইবিএমের যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশ (সিএসবিআইবি) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর যৌথ উদ্যোগে ৫ দিনব্যাপী ‘প্রিন্সিপলস অব ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন্স ইন ব্যাংকিং প্রডাক্টস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স শেষ হয়েছে।

সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশের অফিসার (আইটি) ইমরান জাবেরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিআইবিএম ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত কোর্সটি ৫ মে শুরু হয়ে ৯ মে শেষ হয়। কোর্সের কোঅর্ডিনেশনের দায়িত্বে ছিলেন ড. মো. মহব্বত হোসেন ও মাকসুদা খাতুন।

কোর্সের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন- সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ডের ইনচার্জ (প্রশাসন) সৈয়দ সাখাওয়াতুল ইসলাম, একাডেমিক অ্যাডভাইজার ও বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মহব্বত হোসেন এবং বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক মাকসুদা খাতুন।

কোর্সের সমাপনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন- সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল মো. আবদুল্লাহ শরীফ, বোর্ডের ইনচার্জ (প্রশাসন) সৈয়দ সাখাওয়াতুল ইসলাম, বিআইবিএমের প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক মো. আলমগীর এবং সেন্ট্রাল শরিয়া বোর্ডের একাডেমিক অ্যাডভাইজার ও বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মহব্বত হোসেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ১৬টি প্রতিষ্ঠান (সোনালী ব্যাংক পিএলসি, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, রূপালী ব্যাংক পিএলসি, পূবালী ব্যাংক পিএলসি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি, আল-আরাফাহ্ ইসলামি ব্যাংক পিএলসি, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, মেঘনা ব্যাংক পিএলসি, ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি) থেকে মোট ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

;