৪৬৬ বছরের পুরোনো কুসুম্বা মসজিদ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
কুসুম্ব মসজিদ, ছবি : বার্তা২৪.কম

কুসুম্ব মসজিদ, ছবি : বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্থানীয়দের কাছে মসজিদটি কালাপাহাড় নামে পরিচিত হলেও দেশব্যাপী পরিচয় কুসুম্ব মসজিদ নামে। এটি নওগাঁ জেলা শহর থেকে প্রায় ৩৪ কিলোমিটার পশ্চিমে মান্দা উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের পশ্চিম পাশে কুসুম্বা গ্রামে অবস্থিত।

মসজিদের প্রবেশদ্বারে বসানো ফলকে মসজিদের নির্মাণকাল লেখা রয়েছে হিজরি ৯৬৬ সাল(১৫৫৮-১৫৬৯খ্রিষ্টাব্দ)। সুলতান গিয়াস উদ্দিন বাহাদুর শাহের রাজত্বকালে সুলতান সোলায়মান নামে এক ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেন। যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ ফুট ৬ ইঞ্চি এবং প্রস্থ প্রায় ৪৪ ফুট ৬ ইঞ্চি। দুই সারিতে ৬টি গোলাকার গম্বুজ রয়েছে। কালো পাথর দিয়ে নির্মিত এই মসজিদটি প্রায় ৪৬৪ বছরের ইতিহাস বহন করে। মসজিদের গায়ে রয়েছে লতাপাতার নকশা। মসজিদটি আয়তাকার এবং এতে রয়েছে তিনটি বে এবং দুটি আইল।

মসজিদের ভেতরে উত্তর-পশ্চিম কোনের স্তম্ভের ওপর একটি উঁচু আসন আছে। ধারণা করা হয়, এই আসনে বসেই তৎকালীন কাজী-বিচারকরা এলাকার বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দিতেন ও বিচার কাজ পরিচালনা করতেন।

মুসলিম স্থাপত্যের অপূর্ব নিদর্শন নওগাঁর কুসুম্বা মসজিদ। ছয় গম্বুজবিশিষ্ট মূল্যবান কালো পাথর দিয়ে নির্মিত মসজিদটি প্রায় ৪৬৪ বছরের ইতিহাস বহন করে। পাঁচ টাকার কাগজের নোটে এ মসজিদের ছবি মুদ্রিত আছে। প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন জেলাসহ বিদেশি পর্যটকরা মসজিদটি দেখতে আসেন। বছরের দুই ঈদে প্রচুর দর্শনার্থীদের সমাগম হয়।

ঐতিহাসিক এই মসজিদকে কেন্দ্র করে গত কয়েক বছর থেকে সেখানে গড়ে উঠেছে দোকানপাট। এটি জেলার অন্যতম ঐতিহাসিক পর্যটনকেন্দ্র। যেখানে দূরদূরান্ত থেকে প্রতিদিন পর্যটকরা দেখতে আসেন। মসজিদটিকে ঘিরে পর্যটন শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

কুসুম্বা মসজিদ চত্বরের ডান পাশে বাক্স আকৃতির একটি কালো পাথর আছে। কথিত আছে, জনৈক কৃষক হালচাষের সময় তার জমিতে ওই পাথরটি পায়। পাথরটি লাঙ্গলের ফলার আঘাতে কিছুটা ভেঙে যায়। পাথরটি জমি থেকে তুলে এনে রাস্তার পাশে রাখা হয়। উদ্ধারকৃত পাথরের গায়ে তোগড়া হরফে আরবি লিপি রয়েছে। ‘আল মালিকু মা হুমম মোকাররামা আবুল মোজাফফর হোসেন শাহ বিন সৈয়দ আশরাফ আল হোসেন। অর্থাৎ তিনি শাসক যিনি পরাক্রমশালী ও সম্মানের অধিকারী সৈয়দ আশরাফ আল হোসেনের ছেলে আবুল মোজাফফর হোসেন শাহ।’

এ থেকে বোঝা যায়, পাথরখণ্ডটি হুসেন শাহের স্মৃতিবিজড়িত। মসজিদের কিছু সংস্কারের প্রয়োজন মনে করছেন স্থানীয়রা।

কুসুম্বা মসজিদ, ছবি : বার্তা২৪.কম

মসজিদের সামনে রয়েছে বিশাল এক দিঘি। কথিত আছে, দিঘির তলদেশে পারদমিশ্রিত থাকায় পানিতে কচুরিপানা বা অন্যকোনো আগাছা জন্মে না। দিঘিতে নামার জন্য দুটি দৃষ্টিনন্দন সিঁড়ি রয়েছে। দিঘির হৃদয় শীতল করা পানিতে দর্শনার্থীরা হাত-মুখ ধুয়ে দূর করেন ক্লান্তি। দিঘির হৃদয় শীতল করা পানিতে অজু করেন মুসল্লিরা। স্থানীয়রা দিঘিতে গোসল করেন।

কুসুম্বা মসজিদের মোয়াজ্জিন মাওলানা ইসরাফিল আলম বলেন, মসজিদে নিয়িমিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জামাত হয়। মসজিদে মেহরাব রয়েছে তিনটি, যার সবগুলো কালো পাথরের তৈরি। মেহরাবে আঙ্গুরগুচ্ছ ও লতাপাতার নকশা খোদিত। মসজিদে নারীদের নামাজ পড়ার আলাদা ব্যবস্থা রয়েছে। মসজিদের উত্তর-পূর্ব কোনাংশে মহাকালের স্বাক্ষী একটি তেঁতুল গাছ। মসজিদে সামনে রয়েছে প্রায় ৭৭ বিঘা আয়তনের একটি দিঘি। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১ হাজার ২৫০ ফুট এবং প্রস্থ প্রায় ৯শ ফুট। দীঘিটি সুগভীর এবং স্বচ্ছ জলরাশি।

নওগাঁ সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় পুরাতন যেসব মসজিদ রয়েছে সবগুলো একই আদলে এবং একই সময়ে তৈরি করা হয়েছিল। বর্তমানে দেশে সরকারি কোনো দপ্তর বা স্থাপনা তৈরি হলে যেমন একই আদলে হচ্ছে। ঠিক তেমনি ওই সময়ে মধ্যযুগে কুসুম্বা মসজিদের ক্ষেত্রেও হয়েছিল। তার অবয়ব এবং গঠন শৈলী তাই প্রমাণ করে।

বদলগাছী পাহাড়পুর বৌদ্ধ বিহারের কাস্টোডিয়ান ফজলুল করিম আরজু বলেন, কুসুম্বা মসজিদ প্রত্নত্বত্ত অধিদপ্তরের সংরক্ষিত পুরাকৃতি। যেখানে প্রতিদিন বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা ঘুরতে আসেন। বিশেষ করে ছুটির দিনগুলোতে ভিড় বেশি হয়। প্রাচীন আদল ঠিক রেখে সংস্কারসহ পর্যটক কিভাবে বাড়ানো যায় সে বিষয়ে কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান তিনি।

   

ফুল, খেজুর ও উপহার দিয়ে হজযাত্রীদের বরণ করছে সৌদি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফুল, খেজুর ও উপহার দিয়ে হজযাত্রীদের বরণ করছে সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

ফুল, খেজুর ও উপহার দিয়ে হজযাত্রীদের বরণ করছে সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরব গমন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্থানসহ বেশ কয়েকটি দেশের হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) হজপালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছালে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ফুল দিয়ে স্বাগত ও উপহার দিয়ে বরণ করে নেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। এর আগে বিভিন্ন দেশের প্রথম ফ্লাইটের হজযাত্রীদের ফুল, খেজুর, জমজমের পানি ও উপহার দিয়ে বরণ করে নেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ।

গালফ নিউজের খবরে জানানো হয়েছে, কয়েকটি স্থল বন্দর, নৌ বন্দর এবং দেশটির ছয়টি শহরের প্রধান ছয়টি বিমানবন্দর দিয়ে হজযাত্রীরা সৌদি আরব প্রবেশ করতে পারবেন। তবে বেশিরভাগ হজযাত্রী জেদ্দা কিংবা মদিনা বিমান বন্দর দিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করছেন বলে জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগ।

খবরে বলা হয়, এ বছর সৌদি আরবের জেদ্দা, মদিনা, তায়েফ, রিয়াদ, ইয়ানবু, দাম্মামসহ মোট ছয়টি শহরের বিমানবন্দরে হাজিদের বরণ করা হবে। তা হলো- জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দর, তায়েফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রিয়াদের কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইয়ানবু শহরের প্রিন্স আবদুল মুহসিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং দাম্মামের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

সৌদি আরবের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের পবিত্র হজ মৌসুমে সাত হাজার সাত শ ফ্লাইটে ৩৪ লাখ আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।

সৌদির বিমানবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মাতারাত হল্ডিং কোম্পানি জানিয়েছে, সৌদি আরবের ছয়টি বিমানবন্দরের ১৩টি টার্মিনালে হজযাত্রীদের বরণ করা হবে।

বিমানবন্দরের ২১ হাজার কর্মকর্তা হাজিদের প্রয়োজনীয় সেবা দেবেন। তা ছাড়া হজযাত্রীদের জন্য সবগুলো বিমানবন্দরে ‘পেসেঞ্জার উইদাউট এ ব্যাগ’ পরিষেবা চালু থাকবে। আর যাত্রীরা নিজ বাসস্থান থেকে ফ্লাইটের সময়ের ২৪ ঘণ্টা আগেই লাগেজ পাঠাতে পারবে।

এদিকে সৌদি মালিকানাধীন বিমান সংস্থা সৌদিয়া জানিয়েছে, এবারের হজ মৌসুমে সারাবিশ্ব থেকে যাত্রীদের পরিবহনে ১২ লাখের বেশি আসনের ১৫০টি বিমান বরাদ্দ করা হয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ থেকে এবার ৮৫ হাজার ২৫৭ জন বাংলাদেশি হজ পালন করতে পারবেন। তাদের মধ্যে চার হাজার ৫৬২ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি ৮০ হাজার ৬৯৫ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজপালন করবেন।

;

শুক্রবার থেকে জিলকদ মাস শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শুক্রবার থেকে জিলকদ মাস শুরু হবে, ছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার থেকে জিলকদ মাস শুরু হবে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। শুক্রবার (১০ মে) থেকে জিলকদ মাস গণনা শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায়, শুক্রবার (১০ মে) থেকে ১৪৪৫ হিজরি সালের পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু হবে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ওয়াকফ প্রশাসক আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন খাঁ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহকারী পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি আদনান মুহাম্মাদ সানী, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফিত মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

সিএসবিআইবি-বিআইবিএমের যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিএসবিআইবি-বিআইবিএমের যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত, ছবি: সংগৃহীত

সিএসবিআইবি-বিআইবিএমের যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশ (সিএসবিআইবি) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর যৌথ উদ্যোগে ৫ দিনব্যাপী ‘প্রিন্সিপলস অব ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন্স ইন ব্যাংকিং প্রডাক্টস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স শেষ হয়েছে।

সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশের অফিসার (আইটি) ইমরান জাবেরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিআইবিএম ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত কোর্সটি ৫ মে শুরু হয়ে ৯ মে শেষ হয়। কোর্সের কোঅর্ডিনেশনের দায়িত্বে ছিলেন ড. মো. মহব্বত হোসেন ও মাকসুদা খাতুন।

কোর্সের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন- সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ডের ইনচার্জ (প্রশাসন) সৈয়দ সাখাওয়াতুল ইসলাম, একাডেমিক অ্যাডভাইজার ও বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মহব্বত হোসেন এবং বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক মাকসুদা খাতুন।

কোর্সের সমাপনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন- সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল মো. আবদুল্লাহ শরীফ, বোর্ডের ইনচার্জ (প্রশাসন) সৈয়দ সাখাওয়াতুল ইসলাম, বিআইবিএমের প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক মো. আলমগীর এবং সেন্ট্রাল শরিয়া বোর্ডের একাডেমিক অ্যাডভাইজার ও বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মহব্বত হোসেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ১৬টি প্রতিষ্ঠান (সোনালী ব্যাংক পিএলসি, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, রূপালী ব্যাংক পিএলসি, পূবালী ব্যাংক পিএলসি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি, আল-আরাফাহ্ ইসলামি ব্যাংক পিএলসি, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, মেঘনা ব্যাংক পিএলসি, ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি) থেকে মোট ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

;

সৌদিতে পৌঁছাল বাংলাদেশের প্রথম হজ ফ্লাইট



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ থেকে চলতি বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট (BG-3301) সৌদি আরবে পৌঁছেছে। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক ও বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলর মোঃ জহিরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের আরও স্বাগত জানান সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার আয়েত আল- খোয়ামী, জেদ্দা বিমানবন্দরের (JEDCO) সিইও ইঞ্জিনিয়ার মাজেন জাওয়াহার, সৌদি পাসপোর্ট অধিদফতরের প্রধান মেজর জেনারেল ফয়সাল আল রাজি, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী আগত হজযাত্রীদের শুভকামনা জানান ও যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাস, কনস্যূলেট ও বাংলাদেশ হজ মিশন সবসময় হজযাত্রীদের পাশে রয়েছে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

বাংলাদেশি হজ যাত্রীরা বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ থেকে আগত হজযাত্রীরা বিমানবন্দরের সুন্দর ব্যবস্থাপনা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন পবিত্র হজ পালনের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করছেন।

;