কারা ইতিকাফ করবেন, কখন ও কিভাবে করবেন



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
যে ব্যক্তি মসজিদে অবস্থান করে এবং ইবাদতে মশগুল হয় তাকে বলা হয়- ইতিকাফকারী, ছবি : সংগৃহীত

যে ব্যক্তি মসজিদে অবস্থান করে এবং ইবাদতে মশগুল হয় তাকে বলা হয়- ইতিকাফকারী, ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইতিকাফের আভিধানিক অর্থ অবস্থান করা। পারিভাষিক অর্থ, যে ব্যক্তি মসজিদে অবস্থান করে এবং ইবাদতে মশগুল হয় তাকে বলা হয়- ‘আকিফ’ এবং ‘মুতাকিফ।’ অর্থাৎ ইতিকাফকারী।

শরিয়তের পরিভাষায় ইতিকাফ মানে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে নিজেকে মসজিদে আবদ্ধ করা।

ইতিকাফ এমন একটি ইবাদত, যা পূর্ববর্তী আম্বিয়ায়ে কেরাম (আ.)-এর সময় থেকে চলে আসছে। আল্লাহতায়ালা পবিত্র কোরআনেও এর কথা উল্লেখ করেছেন। আল্লাহতায়ালা তার প্রিয় খলিল হজরত ইবরাহিম (আ.) এবং হজরত ইসমাইল (আ.)-কে নির্দেশ দিয়েছিলেন কাবা ঘর নির্মাণের পর তাওয়াফ করতে এবং ইতিকাফকারী ও নামাজ আদায়কারীদের জন্য তা (আল্লাহর ঘর) পরিষ্কার রাখতে। ইরশাদ হয়েছে, ‘এবং আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈলকে হুকুম করি, তোমরা আমার ঘরকে সেই সকল লোকের জন্য পবিত্র করো, যারা (এখানে) তওয়াফ করবে, ইতিকাফ করবে এবং রুকু ও সিজদা আদায় করবে।’ -সুরা বাকারা : ১২৫

মূলত রমজান মাস হলো আল্লাহর আনুগত্য ও ইবাদতের বসন্তকাল এবং ক্ষমা ও জাহান্নাম থেকে মুক্তির মৌসুম। যদিও এই মাস গোনাহগার ও নাফরমানদের জন্য ক্ষমা ও মাগফিরাতের সুবর্ণ সুযোগের মাধ্যম, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি নেক ও পরহেজগার ব্যক্তিদের জন্য রহমত, বরকত এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভের মূল মাধ্যম। তাই আল্লাহতায়ালা রমজানের শেষ দশকে ইতিকাফের মতো মহান ইবাদতের বিধান রেখেছেন। এটি আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে একটি মহা উপহার।

যা পূর্ববর্তী নবী (আ.) থেকে সাহাবায়ে কেরামরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে আমল করে এসেছেন। শরিয়তে ইতিকাফ হলো- সুন্নতে মুয়াক্কাদা।

রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করা হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর একটি স্বতন্ত্র সুন্নত এবং এর চেয়ে উত্তম আর কী হতে পারে যে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) সর্বদা এর প্রতি যত্নবান ছিলেন। ইমাম জুহরি (রহ.) বলেন, অনেক আমল তো নবীজি (সা.) কখনো করেছেন আবার কখনো ছেড়েও দিয়েছেন। কিন্তু মদিনায় হিজরত করার পর থেকে ওফাত পর্যন্ত রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের ইতিকাফের আমলটি তিনি কখনোই ছেড়ে দেননি। অথচ বড়ই আশ্চর্য ও আফসোসের বিষয় হলো, এই মর্যাদাপূর্ণ আমলটির ব্যাপারে মানুষ তেমন গুরুত্ব দেয় না।

হাদিসে এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে উমর (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ দশকে ইতেকাফ করতেন। -সহিহ বোখারি : ২০২৫

নবীপত্নীরাও নিজ নিজ ঘরে ইতিকাফ করতেন। উম্মুল মুমিনিন হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের শেষ ১০ দিনে ইতিকাফ করতেন। তার ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তার সহধর্মিণীরাও (সে দিনগুলোতে) ইতিকাফ করতেন। -সহিহ বোখারি : ২০২৬

হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজানের মধ্যম দশকে ইতিকাফ করতেন। -সহিহ বোখারি : ২০২৭

ওফাতের বছর মহানবী (সা.) ২০ দিন ইতিকাফ করেছিলেন। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতি রমজানে ১০ দিন ইতিকাফ করতেন, কিন্তু তার ইন্তেকালের বছর তিনি ২০ দিন ইতিকাফ করেছেন। -সহিহ বোখারি : ২০৪৪

এ ছাড়া ইতিকাফ হলো, আল্লাহর ঘর মসজিদে অবস্থান করার মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন, দুনিয়াবিমুখতা এবং আল্লাহর রহমতে সিক্ত হওয়া ও ক্ষমা চাওয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ মাধ্যম। আর ইতিকাফকারী ব্যক্তির উদাহরণ দিতে গিয়ে আতা (রহ.) বলেন যে কোনো ব্যক্তি এসে কারো দরজায় কড়া নাড়ল এই বলে যে যতক্ষণ পর্যন্ত তাকে কিছু না দেওয়া হবে, ততক্ষণ সে এখান থেকে এগোবে না। অনুরূপভাবে ইতিকাফকারী ব্যক্তিও আল্লাহর দরজায় কড়া নাড়তে থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং ক্ষমা অর্জিত না হয়, ততক্ষণ সে আল্লাহর রহমত থেকে নৈরাশ হয়ে ফিরে আসে না। -মারাকিল ফালাহ, খণ্ড ১, পৃষ্ঠা : ২৬৯

ইতিকাফের মাহাত্ম্য ও তাৎপর্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শাহ ওয়ালি উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলভি (রহ.) বলেন, মসজিদে ইতিকাফ হচ্ছে হৃদয়ের প্রশান্তি, আত্মার পবিত্রতা ও চিত্তের নিষ্কলুষতা; চিন্তার পরিচ্ছন্নতা ও বিশুদ্ধতা। ফেরেশতাদের গুণাবলি অর্জন এবং লাইলাতুল কদরের সৌভাগ্য ও কল্যাণ লাভসহ সব ধরনের ইবাদতের সুযোগ লাভের সর্বোত্তম উপায়। এ জন্য হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ইতিকাফ পালন করেছেন এবং তার পূতঃপবিত্র বিবিগণসহ সাহাবায়ে কিরামের অনেকেই এই সুন্নতের ওপর আমৃত্যু আমল করেছেন। -হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগা, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা : ৪২

সওয়াবের দিক থেকে ইতিকাফের জন্য সর্বোত্তম স্থান হলো- মসজিদে হারাম। এরপর মসজিদে নববি। তারপর মসজিদে আকসা। এরপর যেকোনো জামে মসজিদ। তারপর যেকোনো পাঞ্জেগানা মসজিদ। তবে নারীদের জন্য ইতিকাফের স্থান হলো ঘরের নির্দিষ্ট কোনো পবিত্র স্থান। এ ক্ষেত্রে স্বামীর অনুমতি প্রযোজ্য। নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। কারণ বর্তমান যুগ ফিতনা-ফ্যাসাদের যুগ। মসজিদে পুরুষদের সঙ্গে মেলামেশার প্রবল আশঙ্কা এবং অনৈতিকতা, অশ্লীলতারও আশঙ্কা আছে। তাই বর্তমান যুগে নারীদের মসজিদে ইতিকাফ করা মাকরুহে তাহরিমি। -আল মাবসুত লিল সারাখসি, খণ্ড ৩, পৃষ্ঠা ১১৫

   

ফুল, খেজুর ও উপহার দিয়ে হজযাত্রীদের বরণ করছে সৌদি



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ফুল, খেজুর ও উপহার দিয়ে হজযাত্রীদের বরণ করছে সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

ফুল, খেজুর ও উপহার দিয়ে হজযাত্রীদের বরণ করছে সৌদি আরব, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরব গমন শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্থানসহ বেশ কয়েকটি দেশের হজযাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) হজপালনের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের জেদ্দায় পৌঁছালে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের ফুল দিয়ে স্বাগত ও উপহার দিয়ে বরণ করে নেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ। এর আগে বিভিন্ন দেশের প্রথম ফ্লাইটের হজযাত্রীদের ফুল, খেজুর, জমজমের পানি ও উপহার দিয়ে বরণ করে নেয় সৌদি কর্তৃপক্ষ।

গালফ নিউজের খবরে জানানো হয়েছে, কয়েকটি স্থল বন্দর, নৌ বন্দর এবং দেশটির ছয়টি শহরের প্রধান ছয়টি বিমানবন্দর দিয়ে হজযাত্রীরা সৌদি আরব প্রবেশ করতে পারবেন। তবে বেশিরভাগ হজযাত্রী জেদ্দা কিংবা মদিনা বিমান বন্দর দিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করছেন বলে জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল বিভাগ।

খবরে বলা হয়, এ বছর সৌদি আরবের জেদ্দা, মদিনা, তায়েফ, রিয়াদ, ইয়ানবু, দাম্মামসহ মোট ছয়টি শহরের বিমানবন্দরে হাজিদের বরণ করা হবে। তা হলো- জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দর, তায়েফ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রিয়াদের কিং খালেদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ইয়ানবু শহরের প্রিন্স আবদুল মুহসিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং দাম্মামের কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

সৌদি আরবের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২০২৪ সালের পবিত্র হজ মৌসুমে সাত হাজার সাত শ ফ্লাইটে ৩৪ লাখ আসন বরাদ্দ করা হয়েছে।

সৌদির বিমানবন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মাতারাত হল্ডিং কোম্পানি জানিয়েছে, সৌদি আরবের ছয়টি বিমানবন্দরের ১৩টি টার্মিনালে হজযাত্রীদের বরণ করা হবে।

বিমানবন্দরের ২১ হাজার কর্মকর্তা হাজিদের প্রয়োজনীয় সেবা দেবেন। তা ছাড়া হজযাত্রীদের জন্য সবগুলো বিমানবন্দরে ‘পেসেঞ্জার উইদাউট এ ব্যাগ’ পরিষেবা চালু থাকবে। আর যাত্রীরা নিজ বাসস্থান থেকে ফ্লাইটের সময়ের ২৪ ঘণ্টা আগেই লাগেজ পাঠাতে পারবে।

এদিকে সৌদি মালিকানাধীন বিমান সংস্থা সৌদিয়া জানিয়েছে, এবারের হজ মৌসুমে সারাবিশ্ব থেকে যাত্রীদের পরিবহনে ১২ লাখের বেশি আসনের ১৫০টি বিমান বরাদ্দ করা হয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ থেকে এবার ৮৫ হাজার ২৫৭ জন বাংলাদেশি হজ পালন করতে পারবেন। তাদের মধ্যে চার হাজার ৫৬২ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি ৮০ হাজার ৬৯৫ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজপালন করবেন।

;

শুক্রবার থেকে জিলকদ মাস শুরু



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
শুক্রবার থেকে জিলকদ মাস শুরু হবে, ছবি: সংগৃহীত

শুক্রবার থেকে জিলকদ মাস শুরু হবে, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। শুক্রবার (১০ মে) থেকে জিলকদ মাস গণনা শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।

জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় ১৪৪৫ হিজরি সনের পবিত্র জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা সম্পর্কে সকল জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়সমূহ, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর এবং মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে জিলকদ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার সংবাদ পাওয়া গেছে। এমতাবস্থায়, শুক্রবার (১০ মে) থেকে ১৪৪৫ হিজরি সালের পবিত্র জিলকদ মাস গণনা শুরু হবে।

সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. মহা. বশিরুল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, সিনিয়র উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের ওয়াকফ প্রশাসক আবু সালেহ মো. মহিউদ্দিন খাঁ, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, ঢাকা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. আমিনুর রহমান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি রুহুল আমীন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সহকারী পরিচালক মো. নাজিম উদ্দিন, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি আদনান মুহাম্মাদ সানী, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফিত মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

সিএসবিআইবি-বিআইবিএমের যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিএসবিআইবি-বিআইবিএমের যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত, ছবি: সংগৃহীত

সিএসবিআইবি-বিআইবিএমের যৌথ কর্মশালা অনুষ্ঠিত, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশ (সিএসবিআইবি) ও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর যৌথ উদ্যোগে ৫ দিনব্যাপী ‘প্রিন্সিপলস অব ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন্স ইন ব্যাংকিং প্রডাক্টস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কোর্স শেষ হয়েছে।

সেন্ট্রাল শরীয়াহ্ বোর্ড ফর ইসলামিক ব্যাংকস অব বাংলাদেশের অফিসার (আইটি) ইমরান জাবেরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিআইবিএম ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত কোর্সটি ৫ মে শুরু হয়ে ৯ মে শেষ হয়। কোর্সের কোঅর্ডিনেশনের দায়িত্বে ছিলেন ড. মো. মহব্বত হোসেন ও মাকসুদা খাতুন।

কোর্সের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন- সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ডের ইনচার্জ (প্রশাসন) সৈয়দ সাখাওয়াতুল ইসলাম, একাডেমিক অ্যাডভাইজার ও বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মহব্বত হোসেন এবং বিআইবিএমের সহকারী অধ্যাপক মাকসুদা খাতুন।

কোর্সের সমাপনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন- সেন্ট্রাল শরিয়াহ বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন তালুকদার, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান, সেক্রেটারি জেনারেল মো. আবদুল্লাহ শরীফ, বোর্ডের ইনচার্জ (প্রশাসন) সৈয়দ সাখাওয়াতুল ইসলাম, বিআইবিএমের প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক মো. আলমগীর এবং সেন্ট্রাল শরিয়া বোর্ডের একাডেমিক অ্যাডভাইজার ও বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মহব্বত হোসেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ১৬টি প্রতিষ্ঠান (সোনালী ব্যাংক পিএলসি, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি, রূপালী ব্যাংক পিএলসি, পূবালী ব্যাংক পিএলসি, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি, আল-আরাফাহ্ ইসলামি ব্যাংক পিএলসি, ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ঢাকা ব্যাংক পিএলসি, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, মেঘনা ব্যাংক পিএলসি, ও এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি) থেকে মোট ৪০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

কর্মশালা শেষে অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।

;

সৌদিতে পৌঁছাল বাংলাদেশের প্রথম হজ ফ্লাইট



ইসলাম ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৪১৫ জন হজযাত্রী নিয়ে বাংলাদেশ থেকে চলতি বছরের প্রথম হজ ফ্লাইট (BG-3301) সৌদি আরবে পৌঁছেছে। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১১টায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জেদ্দাস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ নাজমুল হক ও বাংলাদেশ হজ মিশনের কাউন্সিলর মোঃ জহিরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।

বিমানবন্দরে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের আরও স্বাগত জানান সৌদি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মিনিস্টার আয়েত আল- খোয়ামী, জেদ্দা বিমানবন্দরের (JEDCO) সিইও ইঞ্জিনিয়ার মাজেন জাওয়াহার, সৌদি পাসপোর্ট অধিদফতরের প্রধান মেজর জেনারেল ফয়সাল আল রাজি, হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুর রহমান ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী আগত হজযাত্রীদের শুভকামনা জানান ও যেকোনো প্রয়োজনে বাংলাদেশ দূতাবাস, কনস্যূলেট ও বাংলাদেশ হজ মিশন সবসময় হজযাত্রীদের পাশে রয়েছে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

বাংলাদেশি হজ যাত্রীরা বিমান বন্দরের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ থেকে আগত হজযাত্রীরা বিমানবন্দরের সুন্দর ব্যবস্থাপনা ও উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়ে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। রোড টু মক্কা ইনিশিয়েটিভের আওতায় এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন পবিত্র হজ পালনের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করছেন।

;