বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহে মানহানির দুই মামলার ওয়ারেন্ট প্রত্যাহার করেছেন আদালত। মামলা দুইটির মধ্যে একটি ২০১৫ এবং অপরটি ২০১৭ সালে আদালত খারিজ করে দেয়।

মামলা দুটি নিষ্পত্তি হলেও থানায় তারেক রহমানের বিরুদ্ধে তামিল না হওয়া ওয়ারেন্ট কিংবা সমন থাকতে পারে মর্মে তা প্রত্যাহার (রিকল) করে বিবাদীপক্ষ।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) বিকেলে শুনানি শেষে ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এক নম্বর আমলী আদালতের বিচারক এএকেএম রওশন জাহান রিকল মঞ্জুর করে তারেক রহমানের নামে তামিল না হওয়া কোনো ওয়ারেন্ট বা সমন থাকলে তা আদালতে ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেন।

এক নম্বর আমলী আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. মঞ্জুরুল হক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মামলা নিষ্পত্তি হলেও থানায় কোনো ওয়ারেন্ট বা অন্য কোনো নথি থাকতে পারে। এ জন্য বিবাদীপক্ষ রিকল করে মামলা পুরোপুরি নিষ্পত্তি চেয়ে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত তারেক রহমানের বিরুদ্ধে করা মামলা দুটিতে তামিল না হওয়া কোনো নথী থাকলে তা প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন।

সূত্র জানায়, এর আগে ২০১৪ সালে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আশফাকুর রহমান শাওন বাদী হয়ে মামলা দুইটি দায়ের করেন। দু’টি মামলাই বাদী পক্ষ মামলার তদারকি না করায় ২০১৫ সালে একটি এবং ২০১৭ সালে অপর মামলা আদালত খারিজ করে দেয়।

বিএনপির কর্মী মকবুলকে হত্যা মামলায় সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী মো. শহিদুজ্জামান সরকারের ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকার অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাচান তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডের আবেদন করেছিলেন।

গত বুধবার রাতে ঢাকার উত্তরা এলাকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর একদফা দাবি আদায়ের কর্মসূচী ঘোষণা করে বিএনপি। ৭ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশের হারুন অর রশীদ, মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমার বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায় তারা। কার্যালয়ের পাশে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালায়। এতে মকবুল হোসেন নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় মাহফুজুর রহমান নামের এক ব্যক্তি গত ৩০ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এজাহারনামীয় ৫৩ নং আসামি হলেন শহিদুজ্জামান সরকার।

বগুড়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. নুরুল ইসলাম তালুকদারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ইব্রাহিম মিয়া এ আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।

দুদকের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেছিলেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ বিষয়ে শুনানি করেন।

আবেদনে বলা হয়, মো. নুরুল ইসলাম তালুকদারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে টিআর কাবিখাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সরকারি অর্থ আত্মসাতপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার পদের অপব্যবহার করে ও রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশে বিপুল পরিমান সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

দেশের বর্তমান বাস্তবতায় মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার দেশ ত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।

বগুড়ায় স্ত্রী হত্যার ১৯ বছর পর স্বামী চাঁন মিয়াকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে তাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়া জেলা দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক জালাল উদ্দিন এ রায় দেন৷ এসময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। 

চাঁন মিয়া শাজাহানপুর উপজেলার মানিকদীপা পদ্মপাড়া গ্রামের চুন্নু মিয়ার ছেলে।

আদালতের পুলিশ পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন জানান, ২০০৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে শোবার ঘরে চাঁন মিয়ার সাথে তার স্ত্রী ফুলবানুর সাথে ঝগড় হয়। এক পর্যায়ে চাঁন মিয়া তার পরনে থাকা গেঞ্জি দিয়ে ফুলবানুর গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করে৷ এরপর ফুলবানুর পরনে থাকা শাড়ী দিয়ে ঘরের তীরের সাথে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজান। এ ঘটনার পরের দিন পুলিশ চাঁন মিয়াকে গ্রেফতার করে এবং নিহত ফুলবানুর বাবা হত্যা মামলা দায়ের করেন। এরপর আদালতে চাঁন মিয়া স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। পরে শাজাহানপুর থানার তৎকালীন এসআই আব্দুর রাজ্জাক আসামি চাঁন মিয়াকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন। সেই চার্জশিট দাখিলের পর দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেন।