দীর্ঘদিন খাবার সংরক্ষণে রেফ্রিজারেটর কেনা যাবে অনলাইনে



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪
সিঙ্গার রেফ্রিজারেটর

সিঙ্গার রেফ্রিজারেটর

  • Font increase
  • Font Decrease

কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ ভাইরাসটির সংক্রমণ শনাক্তকরণ পরীক্ষার সংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সামাজিক সংক্রমণ সম্প্রতি আরও বেড়েছে। এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট আন্তর্জাতিক ও দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বেশ কিছু সুপারিশ প্রণয়ন করেছে। কার্যকরী প্রতিষেধক আবিষ্কার হওয়া পর্যন্ত ভাইরাস সংক্রমণরোধে এ নির্দেশগুলোই মেনে চলতে হবে।

বাজার কিংবা গ্রোসারি স্টোরে গিয়ে আমরা করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারি। এটা কেবলমাত্র সামাজিক দূরত্ব বা সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের কারণে হতে পারে, তা কিন্তু নয়। আপনার কাক্সিক্ষত খাদ্যসামগ্রী হয়তো এর আগে অনেকেই স্পর্শ করেছে। তাই বলে নিত্যদিনের খাবারের চাহিদা পূরণে আমরা বাজার কিংবা গ্রোসারি স্টোরে যাওয়া থেকে বিরত থাকতে পারি না। তবে, এক্ষেত্রে রয়েছে সমাধান। প্রয়োজন অনুযায়ী খাবার সংরক্ষণ আমাদের বাজার কিংবা গ্রোসারি স্টোরে গিয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে অনেকখানি মুক্ত রাখবে। এক্ষেত্রে, আমরা রেফ্রিজারেটরের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী অনেকদিন সংরক্ষণ করতে পারি।

এক্ষেত্রে কিছু সংরক্ষণ পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে:

টাটকা শাক-সবজি, ফলমূল, মাংস কিংবা মাছ কিনে সেগুলোকে ফ্রিজিং করা যেতে পারে। প্যাকেটজাতকৃত কিংবা বাসায় তৈরি করা ব্রেড কিংবা মাফিনও অনেকদিনের জন্য রেফ্রিজারেটরে রাখতে পারবেন।

শাক-সবজিগুলো কেটে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে এক মিনিটের জন্য গরম পানিতে সেদ্ধ করুন। তারপর, এনজাইম নিষ্ক্রিয় করতে এগুলোকে তাৎক্ষণিকভাবে ঠান্ডা পানিতে রাখুন। পরবর্তী ধাপে, বাতাস প্রবেশ করতে পারে না এমন প্লাস্টিক ফ্রিজার ব্যাগের ভেতর এগুলোকে ঢুকিয়ে, ব্যাগের ওপর নামসহ তারিখ লিখে রাখতে পারেন। টমেটো ও শসার মতো সবজিগুলো ভালো করে ফ্রিজ হয় না, তবে ব্রকোলি, মটরশুঁটি বেশ ভালোভাবে ফ্রিজিং করা হয়। 

আপেল জাতীয় ফল দীর্ঘদিন রেফ্রিজারেটরে রেখে খাওয়া যায়। এছাড়া, কলা ও আনারস বেশ ভালো ফ্রিজিং হয়। এই ফলগুলো কেটে তা ফ্রিজার ব্যাগের মধ্যে রেখে রেফ্রিজারেটরে রাখতে হয়। মাছ ও মাংস বাতাস নিরোধক ফ্রিজার ব্যাগে ঢুকিয়ে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা যায়। 

রেফ্রিজারেটরে দীর্ঘসময় খাবার সংরক্ষণের জন্য আপনার রেফ্রিজারেটরের একটি নির্দিষ্ট তাপমাত্রা নির্ধারণ করতে হবে। এই তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ফারহেনাইটের (৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) নিচে হতে পারে। এবং ফ্রিজারের তাপমাত্রা হওয়া উচিৎ শূন্য ডিগ্রি ফারহেনাইট (-১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। যা খাদ্যসামগ্রীতে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি নিশ্চিত করবে এবং দ্রুত পচনশীল খাদ্যসামগ্রীকে দীর্ঘক্ষণ সংরক্ষণে সাহায্য করবে।

রেফ্রিজারেটরের ভেতরের দিক অর্থাৎ পেছনের অংশ সবসময় দরজার অংশের চেয়ে বেশি পরিমাণে ঠান্ডা হয়। তাই, দুগ্ধজাতীয় খাবার রেফ্রিজারেটরের পেছনের অংশে এবং মশলা, আচার, চাটনি, মেয়োনেজ প্রভৃতি রেফ্রিজারেটরের দরজার পাশের অংশে রাখলে এসব খাদ্যসামগ্রী দীর্ঘসময় সংরক্ষণ করা যাবে।

বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর রয়েছে। তবে, এর মধ্যে সিঙ্গারের রেফ্রিজারেটরগুলো বেশ টেকসই, স্থায়ী ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ও খুব সহজেই ব্যবহার উপযোগী। বর্তমান পরিস্থিতিতে অনলাইনে সিঙ্গার রেফ্রিজারেটর কিনলেই ক্রেতারা পাচ্ছেন বিধি মোতাবেক ফ্রি হোম ডেলিভারি সুবিধা। আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে, সিঙ্গারের রেফ্রিজারেটরে পাওয়া যাচ্ছে ৮ শতাংশ ফ্ল্যাট ডিসকাউন্ট।

এই সঙ্কটকালীন সময়ে পণ্য ও খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার বিষয়টি চিন্তা করে অনেকেই নিজেদের চাহিদার তুলনায় অধিক পরিমাণে পণ্য সামগ্রী ক্রয়ের চেষ্টা করে। এক্ষেত্রে, অনেক সময় বিপত্তি ঘটে। প্রথমত, অন্যরা প্রয়োজনীয় এসব খাদ্যসামগ্রী ক্রয় থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

দ্বিতীয়ত, ক্রয়কৃত খাদ্যসামগ্রী পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই, এ সময় আমরা শাক-সবজি ও ফলমূলের মতো খাদ্যসামগ্রী প্রয়োজনমতো কিনে তা সহজেই রেফ্রিজারেটরে রেখে দিতে পারি। ফলে, দীর্ঘদিন এসব খাদ্যের সজীবতা ও পুষ্টিগুণ অটুট থাকবে, যা করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে ও আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করবে।

   

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি



লাইফস্টাইল ডেস্ক বার্তা২৪.কম
পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

পিরিয়ডে হেভি ফ্লো-এর দিনগুলো হোক হ্যাসেল-ফ্রি

  • Font increase
  • Font Decrease

পিরিয়ড মানেই মুড সুইং, ক্র্যাম্প, পেইন। তবু এটুকুই যথেষ্ট না। পিরিয়ডের সবচেয়ে কমন ফেনোমেনা হলো রক্তক্ষরণ, যা বয়স ও ব্যক্তিভেদে বিভিন্নরকম হয়। কারও কারও শুরুতে হেভি ফ্লো হয়ে পরে কমে যায়, আবার কারও পুরো সময়জুড়েই হালকা অথবা ভারী ব্লিডিং হয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, পিরিয়ডের সময় স্বাভাবিক রক্তক্ষরণের পরিমাণ ৩০-৫০ মিলিলিটার, কিন্তু যখন রক্তক্ষরণের মাত্রা এর চেয়ে বেশি হয়ে যায়, মেডিকেলের ভাষায় তাকে বলে হেভি মেন্সট্রুয়াল ব্লিডিং বা এইচএমবি। ধারণা করা হয়, শতকরা ২৫ ভাগ নারীর হেভি ফ্লো হয়। 

যেহেতু হেভি ফ্লো হলে প্রতি ২-৩ ঘন্টায় ন্যাপকিন পাল্টানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়, এবং স্বচ্ছন্দে প্রতিদিনের কাজ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। এমনকি ভালোভাবে মেন্সট্রুয়াল হাইজিন মেইন্টেইন করাও কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে অনেকেই ডিপ্রেসড হয়ে যায়। 

এছাড়া হেভি ফ্লো হলে প্রয়োজনে অপেক্ষাকৃত দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা ঠিক হবে কি হবে না, এ নিয়ে ক্লিয়ার কনসেপ্ট না থাকায় হেভি ফ্লো-এর সময়টা অনেকের জন্যই খুবই পীড়াদায়ক মনে হয়। বিশেষভাবে কর্মজীবী নারীরা এই বিষয়টা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন থাকে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘ সময় স্যানিটারি ন্যাপকিন পরে থাকার সাথে গাইনোকোলজিকাল সমস্যার কোনো সম্পর্ক নেই। শুধু ন্যাপকিন কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে সেটা যেন সর্বোচ্চ শোষণক্ষমতা নিশ্চিত করতে পারে।


কারও ব্যবহৃত স্যানিটারি ন্যাপকিন যদি ভালো শোষণক্ষমতা সম্পন্ন হয়, তবে হেভি ফ্লো-এর সময়ও কোনোরকম জটিলতা ছাড়াই ১০-১২ ঘন্টা পরে থাকা সম্ভব। তাই শুধুমাত্র গৎবাঁধা ধারণার উপর নির্ভর না করে, হেভি ফ্লো-এর কঠিন এই সময়টা স্বস্তি ও সুরক্ষার সাথে কাটাতে এমন স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা উচিত, যা সর্বাধিক সময় ধরে সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারে। পাশাপাশি ইনফেকশন এড়াতে পরিষ্কার অন্তর্বাস ব্যবহার করতে হবে, প্রয়োজনে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

;

স্বাস্থ্য সচেতনতা

গরমে লাচ্ছির নানান উপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানান রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়।

এই ধরনের পানীয় শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করার কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয় লাচ্ছি বা দুগ্ধজাতীয় পানীয়। গরমে পানির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে এ পানীয়। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে এ পানীয়।

ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি বা দুগ্ধ জাতীয় পানীয় খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। তিনি বলেন, গরমে শরীরকে সুস্থ, স্বাভাবিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলার দরকার। এর মধ্যে অন্যতম হলো- লাচ্ছি। লাচ্ছির উপকারিতা সম্পর্কে ত্রুপ্তি পাধী যে বিষয়গুলো তুলে ধরেন, সেগুলি হচ্ছে-

পানিশূন্যতা: লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন। তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম এ ধরনের পানীয়। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি দেয় এ পানীয়।

হজম: এই ধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।

হৃদক্রিয়া: নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এতে রোগের ঝুঁকি কমে হার্ট সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।

এনার্জি বুস্টার: লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে৷

মজবুত হাড় এবং দাঁত: দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে। ফলে, শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়। তার সঙ্গে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র: এই ধরনের পানীয় অন্ত্র সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এতে তৃপ্তি অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য খুব উপকারী লাচ্ছি।

তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

গরমে লাচ্ছি খেলে হবে নানান উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা! পানির পাশাপাশি দুপুরের গরম থেকে বাঁচতে অনেকেই নানা রকমের পানীয় পান করে থাকেন। কারো কারো পছন্দের শীর্ষে থাকে লাচ্ছি বা ঘোলের মতো দুগ্ধজাতীয় পানীয়। 

এই ধরনের পানীয় শরীর শীতল করতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করার বৈশিষ্ট্যের কারণে সতেজতার অনুভূতি দেয়৷ গরমে পানির উচ্চ চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি হাইড্রেশন নিশ্চিত করে। এছাড়াও ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যাওয়া পটাসিয়াম এবং সোডিয়ামের মতো ইলেক্ট্রোলাইটের অভাবও পূরণ করে। ত্রুপ্তি পাধী একজন ভারতীয় ডায়েটিশিয়ান এবং ডায়বেটিকস শিক্ষাবিদ। গরমে প্রতিদিন এক বা দুই গ্লাস করে লাচ্ছি খাওয়ার উপকারিতা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি:

পানিশূন্যতা

লাচ্ছি বা ঘোল এমন সুস্বাদু তরল পানীয়, যা আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ পছন্দ করেন৷ তাছাড়া সারাদিন ভালোভাবে হাইড্রেটেড রাখতে সক্ষম। বিশেষ করে গরম আবহাওয়ার সময় স্বস্তি প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ।

হজম

এইধরনের পানীয়গুলোতে থাকা প্রোবায়োটিক উপাদান হজমে সহায়তা করে। গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা এবং পেট ফোলার সমস্যা দূর করতে পারে।


হৃদক্রিয়া

নিয়মিত বেশি করে লাচ্ছি খেলে উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করতে পারে। তাছাড়া রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷ এতে রোগের ঝুঁকি কমে হৃদয় সুস্থ থাকতে পারে।

এনার্জি বুস্টার

লাচ্ছি, ছাস বা ঘোল প্রাকৃতিকভাবে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে। শরীরে সামগ্রিক পুষ্টির পরিমাণও বাড়ায়। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। 

মজবুত হাড় এবং দাঁত

দুগ্ধজাত হওয়ায় এই পানীয়গুলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম উপাদান থাকে৷ ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব পূরণ হয়৷ তার সাথে হাড় এবং দাঁতকে শক্তিশালী করতে অবদান রাখে।

ওজন ও অন্ত্র

এই ধরনের পানীয় অন্ত্রের স্বাস্থ্য সুস্থ রাখতে সহায়তা করে৷ এতে তৃপ্তির অনুভূতি হয় এবং খাবার ভালোভাবে হজম হয়৷ এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে উপকারী প্রভাব পড়তে পারে।


তথ্যসূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

;

এই গরমে নিয়মিত কাচা আম খেলে মিলবে ৫ উপকার



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গরমের দাবদাহে স্বস্তি দিতে পারে কাচা আমপোড়া সরবত, কিংবা কাচা আমের চাটনি। আম দিয়ে ডাল, আমের সরবত, আম পান্না, আচার-বাঙালি রসনায় সর্বত্র হিট আম।

তবে, জানেন কি কাচা আম (Raw Mango) কেবল রসনা মেটায় না। গরমের তাপপ্রবাহ থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করে এই আম। বিশেষজ্ঞদের মতে, কাচা আম বা আমের রসে পটাশিয়াম থাকায় গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। কাচা আমের গুণ বলতে পুষ্টিবিদেরা বলেন, ১০০ গ্রাম কাচা আমে পটাশিয়াম থাকে ৪৪ ক্যালরি। এ ছাড়া ৫৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ও ২৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম থাকে। কাচা আমের আরও কিছু গুণের কথা জেনে নিন।

গরম থেকে বাঁচতে

প্রখর তাপের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে দেহকে রক্ষা করতে বেশ কার্যকর কাচা আম। কাচা আম সান স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়। দেহে সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রনের ঘাটতি পূরণ করতেও দারুণ উপযোগী কাচা আম।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে

কাচা আমে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। এই উপাদানগুলি শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

পেটের গোলযোগ কমাতে

অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য ও বদ হজমের সমস্যা কমাতে বেশ উপযোগী কাচা আম। গ্রাম বাংলায় অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে কাচা আম চিবিয়ে খাওয়ার প্রচলন রয়েছে।

চোখের সমস্যায়

কাচা আমে থাকে লুটেইন ও জিয়াজ্যান্থিন। চোখের রেটিনার স্বাস্থ্য রক্ষায় এই দু’টি অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট খুবই উপযোগী। পাশাপাশি, কাচা আমে থাকে ভিটামিন এ। চোখের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন এ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

মুখের সমস্যায়

যেহেতু কাচা আমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে, তাই এটি মুখের নানা রকম ক্ষত নিরময়ে সহায়তা করতে পারে। স্কার্ভি ও মাড়ি থেকে রক্তপাতের মতো সমস্যায় কাজে আসতে পারে কাঁচা আম।

সূত্র : আনন্দ বাজার

;