উপকূলের বেড়িবাঁধ নির্মাণ-রক্ষণাবেক্ষণে স্থানীয় জনগণকে সম্পৃক্ত করার আহ্বান



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘উপকূলে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে পরিবেশ ও নাগিরক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা বলেছেন, দুর্যোগের ঝুঁকি থেকে জানমাল রক্ষায় সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উপকূলীয় এলাকায় দ্রুত টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করতে হবে। বেড়িবাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নাগরিক সমাজকে সম্পৃক্ত করতে হবে। একইসঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার স্বার্থে বেড়িবাঁধ নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়নে মনিটারিং জোরদার করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) অনুষ্ঠিত ওই সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র। সূচনা বক্তব্য তুলে ধরেন বেসরকারী সংস্থা লিডার্সের নির্বাহী পরিচালক মোহন কুমার মণ্ডল।

সেমিনারে মূল বক্তব্যে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগকে মাথায় রেখে স্থায়ী ও মজবুত বেড়িবাঁধ নির্মাণ করতে হবে, যার নিচে ১০০ ফুট, উপরে ৩০ ফুট এবং যার উচ্চতা হবে ৩০ ফুট। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষনের জন্য জরুরি তহবিল গঠন ও বাঁধ ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় সরকারকে সম্পৃক্ত করতে হবে। ওয়াপদা বাঁধের ১০০ মিটারের মধ্যে চিংড়ি বা কাঁকড়ার ঘের তৈরিতে সরকারের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা দ্রুত কার্যকর করতে হবে। উপকূলীয় জনগণের নিরাপদ খাবার পানির টেকসই ও স্থায়ী সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সর্বোপরি উপকূলের উন্নয়নে পৃথক বোর্ড গঠনের সুপারিশ করা হয়।

আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রতিনিধিবৃন্দ বলেন, উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের জীবন-জীবিকা নির্ভর করে বেড়িবাঁধের ওপর। বাঁধের ক্ষতি হলে তাদের সবকিছু ভেসে যায়। বাড়িঘর নষ্ট ও ফসলের ক্ষতি হয়। তাই ওই অঞ্চলের মানুষের কাছে জরুরি খাবার না দিয়ে, বাঁধটা শক্ত করে বানিয়ে দেওয়ার দাবিটাই প্রধান। জনগণ ও বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী ওই বাঁধ করতে হবে। বাঁধ শুধু নির্মাণের পর বাঁধের উপর দিয়ে রাস্তা নির্মাণ ও বাঁধের দুপাশে বনায়ন করতে হবে। বাঁধ রক্ষণাবেক্ষণে স্থানীয় সরকার ও জনগণকে সম্পৃক্ত করতে ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া যাবে বলে তারা আশা প্রকাশ করেন।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, দাতা সংস্থা কেএনএইচ-জার্মানির কর্মসূচী সমন্বয়কারী মনিরুজ্জামান মুকুল, নৌ সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল, বিএমএ’র দপ্তর সম্পাদক প্রফেসর ডা. শেখ মো. শহিদুল্লাহ, একাত্তর টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক পলাশ আহসান, প্রকৌশলীদের নেতা ইজ্ঞিনিয়ার প্রেম কুমার মণ্ডল, সাতক্ষীরার নাগরিক নেতা আবুল কালাম আজাদ, স্কাস চেয়ারম্যান জেসমিন প্রেমা, বরিশাল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক স্বপন খন্দকার, মংলা উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. নূর আলম, পরিবেশ সুক্ষায় উপকূলীয় জোট খুলনার সদস্য সচিব ইকবাল হোসেন বিপ্লব, ভোলার সাংবাদিক নেতা অমিতাভ অপু, ঢাকার সাংবাদিক আব্দুল্লাহ মুয়াজ, বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠনের জান্নাতুল মাওয়া, ফেইথ ইন অ্যাকশনের নৃপেন বৈদ্য, জলবায়ু আন্দোলনের নেতা শাহীন বিল্লাহ প্রমুখ।

   

সিলেটে পাসের হার কমলেও বেড়েছে জিপিএ-৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষায় সিলেট শিক্ষাবোর্ডে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ। গত বছরের তুলনায় এ বছর পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ৭১ শতাংশ। গত বছর পাসের হার ছিলো ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ।

রোববার (১২ মে) সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, এ বছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৭১ জন আর গত বছর পেয়েছিল ৫ হাজার ৪৫২ জন। ফলে গত বছর থেকে এ বছর জিপিএ-৫ এর সংখ্যা বেড়েছে ১৯টি। এবারও জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে ছেলেদের টপকিয়ে এগিয়ে রয়েছে মেয়েরা। এ বছর ছেলে ২ হাজার ৫২৮ জন এবং মেয়ে ২ হাজার ৬০৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। আগের বছর ছেলে ২ হাজার ৪৭০ ও মেয়ে ২ হাজার ৯৮২ জন।

এবছর ১ লাখ ৯ হাজার ৫৮০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে অংশগ্রহণ করে ১ লাখ ৯৭৩ জন। এদের মধ্যে ৮০ হাজার ৬ জন উর্ত্তীণ হয়েছে। ২৯ হাজার ৬৭ জন অকৃতকার্য হয়েছেন। গত বছর ১ লাখ ৯ হাজার ৫৩২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৮৩ হাজার ৩০৬ জন উর্ত্তীণ হয়েছিলো।

জেলাভিত্তিক ফলাফলে এগিয়ে রয়েছে সুনমাগঞ্জ ও সব থেকে পিছিয়ে রয়েছে হবিগঞ্জ। সিলেটে পাসের হার ৭২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, সুনামগঞ্জ ৭৪ দশমিক ৭২ শতাংশ, মৌলভীবাজার ৭১ দশমিক ৭৭ শতাংশ , হবিগঞ্জের পাসের হার ৭১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।

এ বছর শতভাগ পাসের হারের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেড়েছে। গত বছর ২৩টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ পাস করলেও এবার ৩১টি প্রতিষ্ঠান শতভাগ পাসের তালিকায় রয়েছে।

সিলেট পাসের হার তলানিতে থাকার কারণে হিসেবে বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল হাওরাঞ্চল সুনামগঞ্জকে দায়ী করেন। কিন্তু পাসের হারে সিলেট বিভাগের মধ্যে দেখা যায় সুনামগঞ্জ জেলা সব থেকে এগিয়ে রয়েছে। ফলাফল বিপর্যয়ে করোনা পরিস্থিতিকে এখনো দায়ী করছেন বোর্ডের এ কর্মকর্তা।

;

মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নেটওর্য়াক ‘সংযোগ’-এর কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের নেটওর্য়াক ‘সংযোগ’-এর নতুন কার্যনির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়েছে।

রোববার (১২ মে) রাজধানীর কেরাণীগঞ্জের ঘাটারচরে একটি রেস্টুরেন্ট অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় দ্বিবার্ষিক কার্যক্রম পর্যালোচনাসহ ২০২৪-২৫ কার্যবর্ষের জন্য এই নির্বাহী পরিষদ গঠন করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য সেক্টরের মিডিয়া ম্যানেজার তরিকুল ইসলাম।

তিনি জানান, নব-নির্বাচিত কার্যনির্বাহী পরিষদে ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াশ সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদকে সভাপতি এবং ওমেগা পয়েন্টের শ্যামল জাকারিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে এই কমিটি গঠন করা হয়।

কমিটির অন্যান্যরা হলেন, সহসভাপতি শাহাবুদ্দিন চৌধুরী সুমন (উৎস) ঢাকা, মঞ্জুর হোসেন পিন্টু (অঙ্কুর) চট্টগ্রাম, মনোয়ারুল কাদির মাসুম (স্নেহা) রংপুর, সহসাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান শাহীন (ডিটিসি) সিরাজগঞ্জ, মাহবুব এ খোদা মনি (রিলেশন) জামালপুর, কামাল আহমেদ খান (বাঁধন) সুনামগঞ্জ, অর্থ সম্পাদক মনির হোসেন (পিসফুল লাইফ) ঢাকা, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল হক তুহিন (রেঁনেসা) রংপুর, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার (দিনের আলো) ঢাকা, প্রচার সম্পাদক হাসিবুল হোসেন মামুন (সৃষ্টি) ঢাকা, নির্বাহী সদস্য ইমামুল ইসলাম রনি (সোবার লাইফ), শামীম খান (আশ্রয়) ঢাকা, রাসিদুজ্জামান রনি (আশ্রয় নীড়) ঢাকা, আব্দুল হামীদ বাবু (আমি) ঢাকা, লুৎফর রহমান মানিক (সেইফ হোম), মোস্তাফিজুর রহমান সুমন (হলি কেয়ার) বরিশাল, মাসুম আহমেদ (নিউনীড়), দিপু মানিক (সূর্য), ঢাকা ও তুহিন তালুকদার (নিউ ফিউচার লাইফ) ঢাকা।

এছাড়া ‘সংযোগ’-এর সাবেক সভাপতি বিওয়াইএফসি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর ড. পিটার হালদার, সাবেক সহসভাপতি শফিকুর রহমান (খোকন) ও মো. নজরুল ইসলামকে উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য করা হয়।

বার্ষিক সাধারণ সভায় বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ‘মাদক প্রতিরোধে শূন্য সহিষ্ণুতা নীতি’র সঙ্গে একাত্ম হয়ে ‘সংযোগ’ সদস্যরা কাজ করছেন। এছাড়া মাদকনির্ভরশীলদের চিকিৎসা সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানকে দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান করছে ‘সংযোগ’। মাদকনির্ভরশীলদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে সব স্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করা হয় সভায়।

উল্লেখ্য, মাদকনির্ভরশীল রোগীর চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে কর্মরত প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের গুণগত মানোন্নয়নের লক্ষ্যে ও মাদকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের মাদকাসক্তি চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের নেটওর্য়াক ‘সংযোগ’ আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।

;

কুবিতে শিক্ষকদের মৌন মানববন্ধন



কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
কুবিতে শিক্ষকদের মৌন মানববন্ধন

কুবিতে শিক্ষকদের মৌন মানববন্ধন

  • Font increase
  • Font Decrease

সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা মৌন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।

রোববার (১২ মে) বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মৌন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মৌন মানববন্ধনে শিক্ষকরা 'প্রতিবাদের ভাষা হোক বুদ্ধিবৃত্তিক ও রুচিবোধের পরিচায়ক', 'শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনে সকলে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুন', 'গবেষণার প্রণোদনা অব্যাহত থাকুক', 'শিক্ষা ও গবেষণার পথ সুপ্রসন্ন হোক, 'অপরাজনীতি বন্ধ হোক' , 'সেশনজট মুক্ত ও শান্তিময় ক্যাম্পাস আমাদের কাম্য', '২৮ এপ্রিল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক', 'শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক হোক সৌহার্দপূর্ণ ও সম্মানের', 'তালা সংস্কৃতির অবসান হোক', 'প্রাণের কুবিতে তালা সংস্কৃতির এটাই হোক শেষ চর্চা', 'দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা জিম্মি কেন', 'এগিয়ে যাবে সবসময়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়', 'মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে লিডিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক' লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়ান।

এই মৌন মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন- লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসা. শামসুন্নাহার, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ হাবিবুর রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল হোসাইন, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানা, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসান, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ সজীব রহমান, মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু ওবায়দা রাহিদ, আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমেনা বেগম, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক কাশমি সুলতানাসহ আরও অনেকে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে প্রবেশে বাধা প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-উপাচার্য ও ছাত্রলীগের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এরপর শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, উপাচার্যের কুশপুত্তলিকা ঝুলানোসহ নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে।

;

রাজশাহীতে কোরবানির জন্য প্রস্তুত সাড়ে ৪ লাখ পশু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবগুলোর একটি ঈদ-উল-আযহা। ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে কোরবানির জন্য এ বছর রাজশাহী অঞ্চল থেকে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৯৬টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। এর মধ্যে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়া অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এ অঞ্চলের গরু ও ছাগল পালনকারীরা জানিয়েছেন, এ বছর তাদের পশু সংখ্যা চাহিদার চেয়েও বেশি হয়েছে। এসব পশু রাজশাহীর পাশাপাশি অন্যান্য জেলাগুলির চাহিদাও মেটাতে পারে। তবে বর্তমান রাজনৈতিক প্রচার ও গরমের প্রকোপে জনজীবন কষ্ট পাচ্ছে, যার প্রভাবে পশুর হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতার উপস্থিতি কম হচ্ছে। এ বছর রাজশাহীর কৃষকরা বিশেষ যত্ন নিয়ে পশুগুলোকে লালন-পালন করেছেন।

জানা গেছে, কোরবানিকে কেন্দ্র করে পশুর মালিক, ব্যবসায়ী ও কোরবানি দাতাদের মধ্যে হিসাব-নিকাশ শুরু হয়ে গেছে। সাপ্তাহিক হাট, পাড়া-মহল্লায় গরু ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও বেড়েছে। শুধু তাই নয়, একটু কম দামের আশায় আগে থেকে অনেকেই পশুর বায়না করে রাখছেন। তবে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের দাবি-পশু খাদ্যের দামের প্রভাব পড়বে গরুর হাটে।

রাজশাহী প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর এখন পর্যন্ত কোরবানির জন্য পশু প্রস্তুত রয়েছে ৪ লাখ ৬৬ হাজার ১৯৬টি। এর মধ্যে গরু রয়েছে ৮৩ হাজার ৩৬৫টি, মহিষ রয়েছে ৩ হাজার ৭৬৯টি ও ছাগল রয়েছে ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭৫৩টি। তবে সংশ্লিষ্টদের দাবি, প্রতিবছরের ন্যায় এবারও স্থানীয় চাহিদার তুলনায় পশু বেশি রয়েছে।

খামারিরা জানান, তারা নিয়মিত ভেটেরিনারি পরিষেবা, সঠিক খাদ্য ও যত্নের মাধ্যমে পশুগুলিকে সুস্থ রাখার চেষ্টা করেছেন। এই উদ্যোগ কোরবানির পশুর মান উন্নত করতে এবং ক্রেতাদের মন জয় করতে সাহায্য করেছে।

নগরীর বুধপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাইদুল ইসলাম প্রতিবছর নিজ বাড়িতে দুই থেকে তিনটি ষাঁড় পালন করের ঈদুল আজহায় বিক্রির জন্য। তিনি জানান, এবার দুটি ষাঁড় পালন করেছেন। দুই বছর আগে দেড় লাখ টাকায় গরু দুটি কিনেছিলেন। গত ঈদে বিক্রি না করে এবার বিক্রি করার অপেক্ষায় আছেন। একেকটা ষাড়ের দাম প্রায় আড়াই লাখ টাকা করে হতে। এখনো বাজার জমে না ওঠায় বিক্রির জন্য নেয়া হয়নি হাটে।

রাজশাহী সপুরা অ্যাগ্রো ফার্মের মালিক আব্দুস সালাম বলেন, গবাদি পশুর খাবারের দাম প্রতি মাসেই বাড়ছে। বাড়তি খরচে কৃষকদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে। ইতোমধ্যে আবহাওয়া এবং বাজারের অনিশ্চয়তার সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছেন অনেকেই। মানুষ দেশি পশু কোরবানি করতে পছন্দ করেন। কোরবানিযোগ্য পশুও পর্যাপ্ত। তাই বাইরে থেকে গরু আমদানি না করা হলে খামারিরা ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবেন। তবে আমার গরু এবার আগেই বিক্রি হয়ে গেছে ৭০টা। আর ২০টা মত আছে, এগুলোও হয়ে যাবে। দামাদামি চলছে দু’একদিনে হয়ে যাবে। এবার ভালোই দাম পেয়েছি, দেরি হলে চিন্তা বাড়ে, তাই আগেই বিক্রি করে দিয়েছে। হয়তো আর কিছুদিন থাকলে আর একটু দাম পেতাম, তবে খারাপ দাম পাইনি। গরুর দাম অনেক বাড়তি।

রাজশাহী সিটি হাটের ইজারাদার আতিকুর রহমান কালু বলেন, সপ্তাহে রোববার ও বুধবার সিটি হাট বসে। কোরবানির হাট শুরু হতে দেরি আছে। তবে কোরবানির পশু কেমন হাটে উঠছে বলা সম্ভব নয়। কোরবানির যে গরু আসার কথা তা এখনো আসেনি। হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি বেড়েছে। ঈদের ৭ থেকে ১০ দিন আগে জমে উঠবে এই বাজার।

প্রাণী স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তায় জোর দিয়ে, রাজশাহী অঞ্চলের কৃষি বিভাগ এবং পশু সম্পদ বিভাগ সক্রিয়ভাবে পশুর খামারগুলো নিয়মিত পরিদর্শন করেছে। তারা খামারি ও পশুপালকদের সচেতন করেছেন যেন তারা অবৈধ ঔষধ বা স্টেরয়েডের ব্যবহার এড়িয়ে চলেন।

রাজশাহী জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জুলফিকার মো. আখতার হোসেন বলেন, রাজশাহীতে গতবারের তুলনায় কোরবানির পশুর চাহিদা বাড়েনি। কিন্তু বাড়তি প্রায় ৭০ হাজার বেশি পশু লালন-পালন হয়েছে। কোরবানির আগে এই সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে যাবে। তবে এবার উৎপাদন খরচ বেশি, তাই দামও কিছুটা বেশি হবে।

সার্বিক বিষয়ে রাজশাহী জেলা প্রশাসক (ডিসি) শামীম আহমেদ বলেন, পশুর জোগান বেশি থাকায় এবার ঈদে গবাদিপশু পালনকারী খামারি ও ক্রেতা উভয়ের জন্যই একটি ভালো পরিবেশ বজায় থাকবে। কৃষক ও খামারিরা যেন কোরবানির পশুর ন্যায্য দাম পান, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে সীমান্ত অঞ্চল দিয়ে গবাদিপশু দেশে প্রবেশ রোধে বিশেষ নজর দিতে বিজিবির প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।

;