পর্দা নামল বইমেলার, বিক্রি হয়েছে প্রায় ৬০ কোটি টাকা

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’


ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শেষ হলো বাংলা ও বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৪। এবারের বইমেলায় প্রায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এই বইমেলায় বাংলা একাডেমি ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বই বিক্রি করেছে। শেষ দিনে মেলায় এসেছে ১৪৯টি নতুন বই। এ নিয়ে বইমেলায় মোট নতুন বই এসেছে ৩ হাজার ৭৫১টি। 

শনিবার (২ মার্চ) অমর একুশে বইমেলা ২০২৪-এর সমাপনী অনুষ্ঠান বিকেল ৫ টায় অনুষ্ঠিত হয়। বইমেলার ৩১তম দিনে বইমেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমির পক্ষ হতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা ভাষণ প্রদান করেন একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। 'অমর একুশে বইমেলা ২০২৪'-এর সদস্য-সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলামের লিখিত প্রতিবেদন তাঁর পক্ষে পাঠ করেন একাডেমির উপপরিচালক ড. সাহেদ মন্ত্রাজ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য বেগম নাহিদ ইজাহার খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। বক্তব্য প্রদান করেন সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিকাশ লিমিটেড-এর সিএমও মীর নওবত আলী। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে সম্প্রতি বেইলি রোডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, এবার ছিল অধিবর্ষের বইমেলা। নির্ধারিত ২৯ দিনের সঙ্গে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় নির্দেশনায় অতিরিক্ত ২ দিন যুক্ত হয়ে ৩১ দিনের দীর্ঘ বইমেলার আজ শেষ দিন। ২০২৪-এর বইমেলা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় ছিল বিস্তৃত, ব্যাপক ও বর্ণাঢ্য। শীতে শুরু হয়ে বইমেলা স্পর্শ করেছে বসন্ত-বাতাস। একুশের রক্তপলাশের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মার্চের চেতনার রং।

সদস্য-সচিব তাঁর প্রতিবেদনে বলেন, মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানসমূহের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এবারের বইমেলায় প্রায় ৬০ কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এই বইমেলায় বাংলা একাডেমি ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার বই বিক্রি করে।

ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, অমর একুশে বইমেলা আজ বাঙালির ভাষা, শিল্প-সাহিত্য ও ঐতিহ্যের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। বইমেলার মাধ্যমে প্রতিবছর আমরা আমাদের সৃজনশীলতাকে উদ্‌যাপন করি। এই মেলা আমাদের আবেগের, জাতিসত্তার, ভাষা-সাহিত্য ও ঐতিহ্যের প্রতি ভালোবাসার মেলা।

বেগম নাহিদ ইজাহার খান বলেন, বইমেলা আমাদের প্রাণের মেলা। এই মেলা দেখতে দেখতে চার দশক অতিক্রম করে এখন বিশাল আকার ধারণ করেছে। বিশ্ব বাঙালির কাছে যেমন ঠিক তেমনি বিশ্বের জ্ঞানপিপাসু মানুষের কাছেও একুশের বইমেলা এক অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনা হিসেবে স্বীকৃত।

মীর নওবত আলী বলেন, বাঙালির প্রাণের মেলা অমর একুশে বইমেলার সঙ্গে সহযোগিতায় থাকতে পেরে বিকাশ লিমিটেড আনন্দিত ও গর্বিত।

খলিল আহমদ বলেন, আনন্দ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদযাপিত এবারের বইমেলা সমাপ্তির দ্বারপ্রান্তে। বইমেলা কেবল বই বিক্রির জায়গা নয়। দল, মত, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে এবারের বইমেলায় সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতায় সাফল্যমণ্ডিত হয়েছে।

কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেন, বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলা আমাদের জাতীয় জীবনের এক অসাধারণ বুদ্ধিবৃত্তিক ও সাংস্কৃতিক ঘটনা। তথ্যপ্রযুক্তির বিপুল বিকাশের পরও মুদ্রিত বইয়ের আবেদন যে কোনোমতেই ফুরিয়ে যায়নি তার প্রমাণ একুশে বইমেলায় ক্রমবর্ধমান জনসমাগম।

   

প্রাণ ফিরেছে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে, ঢল নেমেছে দর্শনার্থীর



অভিজিত রায় কৌশিক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি ছুটিতে রয়েছে দেশবাসী।
সাধারণত ছুটির দিনগুলোতে রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও ঈদের দিন সম্পূর্ণ ভিন্ন চিত্র দেখা গিয়েছিল রাজধানী মিরপুরে অবস্থিত চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেনে। ছিল না ঈদকে কেন্দ্র করে দর্শনার্থীর ভিড়। তবে ঈদের দ্বিতীয় দিনের চিত্রটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। এ যেনো প্রাণ ফিরেছে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন। ঢল নেমেছে সাধারণ দর্শনার্থীদের।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুপুরে রাজধানী মিরপুরে অবস্থিত চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।


সরেজমিনে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন ঘুরে দেখা গেছে, দর্শনার্থীদের উপস্থিতির জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত রাখা হয়েছে এই দুটি স্থান। হাজারো দর্শণার্থীর উপস্থিতিতে সরগম হয়ে উঠেছে চিড়িয়াখানা ও বোটানিক্যাল গার্ডেন চত্বর। ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার করছেন দায়িত্বরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। একই সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছে এই স্থান কেন্দ্রিক ফুটপাত ব্যবসায়ীদেরও।

ভেতরে প্রবেশ করে দেখা গেছে, পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা পিতা মাতা তাদের সন্তানদের বিভিন্ন পশু সম্পর্কে জানাচ্ছেন। এছাড়া কেউ কেউ ছবি তুলতে ব্যস্ত, কেউবা আবার বসে জিরিয়ে নিচ্ছেন।

মিরপুর ১৪ পরিবার নিয়ে ঘুরতে এসেছেন মো.তারেক। তিনি বলেন, সব সময় ইচ্ছা করলেই কাজের চাপে পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসা হয় না। ঈদের ছুটিতে ঢাকাতে ফ্রি সময় পার করছি তাই ভাবলাম ঘুরে আসি। এই জন্য পরিবার নিয়ে ঘুরতে চলে আসছি।


আশুলিয়ার জিরাবো থেকে ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছেন রুহুল আমিন। তিনি বলেন, সাভারে বাসা হওয়ায় সচরাচর চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা হয় না। এখানে ঘুরতে আসলে অনেক পশুপাখি সম্পর্কে বাচ্চাদের চেনানো যায়। তাই ঈদের ছুটিতে বাচ্চাদেরকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি।

নারায়নগঞ্জ থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে ঘুরতে এসেছেন মো.মাসুদ। তিনি বলেন, সবাইকে সাথে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এসে ভালোই লাগছে। তবে একটা বিষয় খারাপ লাগলো। আমাদের দেশে যেখানে তিন বছরের শিশুকে বিমানে টিকিটের প্রয়োজন হয় না, সেখানে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে এসে তিন বছরের শিশুর জন্যেও ৫০ টাকা দিয়ে টিকিট কাটতে হয়েছে। চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ যদি এই বিষয়টা একটু সুনজর দেন তাহলে সবার জন্য উপকার হয়।

পিয়াসা আইস গোল্লা বিক্রেতা সাব্বির বলেন, গতকাল কিছুই বিক্রি করতে পারি নাই। কয়েকশো টাকার বিক্রি করে চলে গিয়েছিলাম। লোক ছিল না গতকাল। আজ মোটামুটি ভালই বিক্রি হয়েছে।


শিশুদের ক্যান্ডি (পুতুল) বিক্রেতা রোমিও বলেন, বিক্রি হচ্ছে মোটামুটি ভালো। তবে যেমনটা আশা করেছিলাম তেমনটা বিক্রি নেই।

দর্শনার্থীদের উপস্থিতির সংখ্যা এবং সার্বিক বিষয়ে জানতে চিড়িয়াখানার পরিচালক ড.মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম তালুকদারের কক্ষে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

তার কার্যালয়ে দায়িত্বরত কর্মচারী বলেন, স্যার রাউন্ডে (পরিদর্শনে) আছেন।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

অননুমোদিত ভাবে কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয়, ৭ মৌসুমী ব্যবসায়ীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অননুমোদিতভাবে কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয় করায় রাজধানীর সায়েন্সল্যাব ও জয়কালি মন্দির এলাকায় ৭ মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) বিকাল সাড়ে ৩.০০টা হতে বিকাল ৪.১৫টা পর্যন্ত সময়ে এই জরিমানা করা হয়। ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের এ তথ্যটি জানিয়েছেন।

রাস্তার ওপর ট্রাক, ভ্যান বসিয়ে জনসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি এবং অননুমোদিতভাবে কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয় করায় রাজধানীর সায়েন্সল্যাব ও ল্যাবএইড হাসপাতাল সংলগ্ন মিরপুর রোড এলাকায় ৫ মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীকে ৫ মামলায় ২১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-১ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ শফিকুল ইসলাম।

এদিকে রাজধানীর জয়কালী মন্দির এলাকায় অননুমোদিতভাবে রাস্তার উপর কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয় করায় করপোরেশনের অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন সরকার ২ মামলায় ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন। দুপুর সোয়া ২টায় এই জরিমানা করা হয়।

সবমিলিয়ে ঈদের ২য় দিনে অননুমোদিত কাঁচা চামড়া ক্রয়-বিক্রয় ৭ ব্যবসায়ীকে ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসির ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সারোয়ার হাসান আলো উপস্থিত ছিলেন।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

রাঙামাটিতে আঞ্চলিক দু'গ্রুপের বন্দুকযুদ্ধে নিহত ১, আহত ৬



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাঙামাটি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাঙামাটির বাঘাইছড়ির বাঘাইহাটে আধিপত্য বিস্তারে লিপ্ত থাকা উপজাতীয় আঞ্চলিক দলের দু’গ্রুপের ঘন্টাব্যাপী বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৬ জন।

মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরের পর শুরু হওয়া এই ঘটনায় অন্তত ৭ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র নিশ্চিত করেছে। নিহত হেলপারের নাম মো. নাঈম। তার বাড়ি ফটিকছড়ি নাজিরহাট। তাকে মুমুর্ষু অবস্থায় দীঘিনালা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে তার মৃত্যু হয়। নিহত নাঈম পেশায় বাসের হেলপার।

বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানিয়েছেন, ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যগণ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে। বিকেল পাঁচটার সময় প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তিনি এই তথ্য জানান।

স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই বাঘাইহাট বাজারে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও সংস্কারপন্থী জেএসএস’র বিবদমান দুটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল মুখোমুখি অবস্থান নেয়। দুপুরের পরপরই উভয়পক্ষ বন্দুকযুদ্ধে লিপ্ত হয়। এতে করে স্থানীয় বাঙ্গালী ও পাহাড়ি বাসিন্দারা দোকান-পাঠ ঘরবাড়ি ছেড়ে পাহাড়ের পাদদেশে গিয়ে আশ্রয় নেয়।

এদিকে, ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) রাঙামাটি ইউনিটের সংগঠক সচল চাকমা মঙ্গলবার বিকেলের দিকে বাঘাইহাটে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের গুলিতে শান্তি পরিবহণের এক হেলপার নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ এবং অবিলম্বে হত্যকারীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছে।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;

সিলেটে অনির্দিষ্টকালের জন্য পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিতে সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় ফের পর্যটন কেন্দ্রগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৮জুন) সিলেটের গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলাধীন পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরবর্তী নির্দেশনা দেওয়া না পর্যন্ত সিলেটের পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক মো.তৌহিদুল ইসলাম এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক সুনজিত কুমার চন্দ।

গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক মো.তৌহিদুল ইসলাম বলেন, বন্যা পরিস্থিতি অবনতি ঘটায় জনস্বার্থে ও জননিরাপত্তা বিবেচনায় দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র প্রকৃতি কন্যা খ্যাত জাফলং, মিটা পানির জলারবন রাতারগুল, শীতল পানির বিছনাকান্দি ও পান্থুমাই পর্যটন স্পট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও পর্যটন উন্নয়ন কমিটির আহবায়ক সুনজিত কুমার চন্দ বলেন,
অবিরাম বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলের কারণে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ধলাই নদীর পানি অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার জন্য সাদা পাথরসহ সকল পর্যটনকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা কার হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে সিলেটে আবার বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার ৬১৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ৩ হাজার ৯২৪ জন আশ্রয় নিয়েছেন। জেলায় বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৭১ হাজার ৫০৭ জন।

এর আগে গত ৩০ মে সিলেটের পর্যটন কেন্দ্রগুলো বন্যার কারণে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।

  ‘এসো মিলি প্রাণের মেলায়’

;