বাঁশির গ্রাম নওগাঁর দেবীপুর



শহিদুল ইসলাম , ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাঁশির গ্রাম হিসেবে পরিচিত নওগাঁর দেবীপুর, কারণ গ্রামটিতে সারা বছরই বাঁশি তৈরী হয়। নওগাঁ শহর থেকে উত্তরে ৩ কিলোমিটার দুরে তিলকপুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রা গ্রামে প্রবেশে দেখা মিলবে রাস্তার দুইপাশে বাঁশি তৈরির উপকরণ নল এর গাছ। এ গ্রামের প্রায় দুইশ'টি পরিবার বাঁশি তৈরির কাজে জড়িত। আর এটিকে পেশা হিসেবে বেঁছে নিয়েছেন এ গ্রামের বাসিন্দারা। গত ৫২ বছর আগে এ গ্রামের বাসিন্দা মরহুম আলেক মন্ডলের হাত ধরে বাঁশি তৈরির যাত্রা শুরু হয়। এরপর গ্রামের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে এ কাজ।

জানা যায়, বছরে এ গ্রাম থেকে প্রায় ২০ কোটি পিস বাঁশি উৎপাদন হয়। যার উৎপাদন খরচ ২০ কোটি টাকা হলে পাইকারি মুল্য প্রায় ৩০ কোটি টাকা। আগামীতে বাঁশি রপ্তানির পরিকল্পনা রয়েছে ব্যবসায়ীদের। বড় ধরনের মেলা যেমন বৈশাখের মেলায় এক মাসে প্রায় ২ কোটি টাকার বাঁশি উৎপাদন হবে এ গ্রাম থেকে। ক্ষুদ্র এই কুটির শিল্পকে এগিয়ে নিতে সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা পেলে এসব কারিগররা আর্থিক দিক থেকে আরো উন্নতি করতে পারবেন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বাঁশি নিয়ে খেলছে শিশুরা

সরেজমিনে দেখা যায়, ক্ষেত/জমি থেকে বাঁশি তৈরির প্রধান কাঁচামাল নল কাটার পর পরিস্কার করে সাইজ মতো কেটে রোদে শুকিয়ে অন্তত ১৫ ধাপে তৈরি হচ্ছে বাঁশি। বলা যায় বাঁশি তৈরিতে প্রধান ভূমিকা পালন করে নারীরা। আর পুরুষরা বাজারজাত করে। প্রতিটি বাঁশি তৈরিতে (সাধারণ/সাদা বাঁশি) উৎপাদন খরচ পড়ে ১ টাকা ৫০ পয়সা। যা পাইকারিতে বিক্রি হয় ২ টাকা পিস। আর বাঁশির সৌন্দর্য বাড়াতে বেলুন ও রঙিন কাগজ (জরি) পেচিয়ে উৎপাদন খরচ পড়ে ৫ টাকা ৫০ পয়সা। যা পাইকারিতে বিক্রি হয় প্রতি পিস ৬ টাকা ৫০ পয়সা। খুচরা পর্যায়ে সাদা বাঁশি বিক্রি হয় ১০-১৫ টাকা এবং রঙিন বাঁশি ১৫-২০ টাকা পিস। বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরাও এ গ্রাম থেকে বাঁশি কিনে যান। এ গ্রামের নারীরা সাংসারিক কাজের পাশাপাশি বাঁশিতে রঙিন কাগজ জড়িয়ে বাড়তি আয় করে।

বাঁশির কারিগর গৃহবধু হালিমা বেগম বলেন, সংসারে কাজের পাশাপাশি বাঁশিতে জরি পেচানো হয়। প্রতি হাজার বাঁশিতে জরি ও বেলুন লাগানো মজুরি ১৬০ টাকা। দুই দিনে এক হাজার কাজ করা যায়। যা আয় হয় সংসারের কাজে ব্যয় করা হয়। এছাড়া নিজেদের ব্যবসার জন্যও তৈরি করা হয়।

বাঁশি তৈরির কারিগর বাচ্চু মন্ডল বলেন, আমি প্রায় ৩০ বছর থেকে এ বাঁশি ব্যবসার সাথে জড়িত। নিজের জমি না থাকায় অনেক দুর থেকে নল কিনে নিয়ে এসে বাঁশি তৈরি করি। এ বছর প্রায় ৮০-৯০ হাজার পিস তৈরি করা হবে। খুলনা ও সিলেট থেকে পাইকার এসে কিনে নিয়ে যায়। আবার কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে তাদের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া নিজেও বিভিন্ন মেলায় বিক্রি করা হয়। বৈশাখ ও ঈদ উপলক্ষে প্রায় ২০ হাজার পিস বাঁশি তৈরি করা হবে। যা থেকে প্রায় ২০ হাজার টাকা লাভ হওয়ার আশা করছেন তিনি।

৫০ বছর ধরে বাঁশি তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন দেবীপুর গ্রামের বাসীন্দা ৭৩ বছরের আমজাদ হোসেন

গত ৫০ বছর থেকে বাঁশি তৈরী করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন দেবীপুর গ্রামের বাসীন্দা ৭৩ বছরের আমজাদ হোসেন। তিনি বলেন, মরহুম মামা আলেক মন্ডলের হাত ধরেই এ গ্রামে বাঁশির কাজ শুরু হয়। সেসময় প্রতিটি বাঁশির দাম ছিল ২৫ পয়সা। আর এখন ২টাকা পিস। সারা বছরই বাঁশি তৈরি হলেও বৈশাখে বাঁশির চাহিদা বেড়ে যায়।

বৈশাখের বিভিন্ন মেলাকে কেন্দ্র করে প্রায় ১৫ হাজার পিস বাঁশি বিক্রি করার ইচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, এসব বাশি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরসহ কয়েকটি জেলায় চলে যাবো। সারা মাস সেখানে বিভিন্ন মেলায় বিক্রি হবে। মোটামুটি ভাল লাভ হবে আশা করছি।

স্থানীয় পাইকারি বাঁশি ব্যবসায়ি খলিল বলেন, এ বছর বৈশাখে হচ্ছে রমজান মাসে। এ মাসে ঈদ। এতে আনন্দের মাত্রা আরো একধাপ বেড়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন মেলা ও রমজানের ঈদকে কেন্দ্র করে এ এক মাসে এ গ্রাম থেকে প্রায় ২ কোটি টাকার বাঁশি উৎপাদন হবে। এসব বাঁশি রংপুর, সিলেট, খুলনা, ঢাকা, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুরসহ আরো কয়েকটি জেলার ব্যবসায়ীরা কিনে নেয়। এছাড়া স্থানীয়রা বিভিন্ন জেলায় মেলায় গিয়ে নিজ হাতে বাঁশি বিক্রি করে।

নওগাঁ বিসিক এর উপ-ব্যবস্থাপক শামীম আক্তার বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের আওতায় গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে। উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হয়। বাঁশির সাথে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তারা যদি কোন ধরণের সহযোগীতা নিতে চায় নারীদের জন্য ৫ শতাংশ এবং পুরুষদের জন্য ৬ শতাংশ সুদে ঋণ দিয়ে সহযোগীতা করা হবে। এছাড়া তারা যদি দলবদ্ধ (গ্রুপ) ভাবে নেয় সেক্ষেত্রেও সুবিধা দেওয়া হবে। শিল্পকে এগিয়ে নিতে স্বল্প সুদে ঋণের ব্যবস্থাসহ সরকারি সুবিধা প্রদান করা হবে।

   

অস্ট্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী

দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশে বসে যারা দেশবিরোধী অপপ্রচারে লিপ্ত, তাদের বিরুদ্ধে সেই দেশের আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনার ২০ নম্বর ডিস্ট্রিক্টের হেলবেগটাসে অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের নিজস্ব কার্যালয় উদ্বোধনকালে তিনি এ আহ্বান জানান।

'হিউম্যানিটি এট দ্য ক্রসরোডস: অটোনোমাস উইপনস সিস্টেমস এন্ড দ্য চ্যালেঞ্জ অব রেগুলেশন' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিতে সরকারি সফরে এদিন ভোরে ভিয়েনায় পৌঁছান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগ কার্যালয় উদ্বোধনকালে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ সমৃদ্ধির পথে অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। এই এগিয়ে চলাকে থামিয়ে দিতে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ইউরোপ বসে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্র করছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত যখন বাংলাদেশের উন্নতিতে লজ্জা পাচ্ছেন তখনও বিএনপির নেতাদের চোখে উন্নয়ন ধরা পড়ে না। তারা বিদেশে পেইড এজেন্ট নিয়োগের মাধ্যমে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের এ বিষয়ে আরও সোচ্চার হতে হবে, বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী দেশবিরোধী তৎপরতাকারীদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে এবং প্রয়োজনে সে সব দেশের আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে, বলেন হাছান মাহমুদ।

বাংলাদেশের সকল সংগ্রাম, আন্দোলন ও সংকটে প্রবাসে আমাদের সংগঠনের নেতা-কর্মীগণ বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে সব জায়গায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, ঐক্যবদ্ধ আওয়ামী লীগকে মোকাবিলার সাধ্য কারও নেই।

মন্ত্রী এ সময় রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখায় প্রবাসীদের ধন্যবাদ জানান এবং তাদের বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণের আহ্বান জানান।

অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার হাফিজুর নাসিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শ্যামলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এম. নজরুল ইসলাম, অস্ট্রিয়া আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুহী দাস সাহা, রতন সাহা, বিল্লাল হোসেন, সাইফুল ইসলাম জসিম, সাংবাদিক সম্পাদক নয়ন হোসেন, অস্ট্রিয়া বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি রবিন মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

;

ছাত্রলীগ নেতা হত্যা: স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়কসহ ৩ নেতা বহিষ্কার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লক্ষ্মীপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব হত্যা মামলায় অভিযুক্ত লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলুসহ ৩ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত অন্য সদস্যরা হলেন চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়া, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম-আহবায়ক শাহজাহান সাজু।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক আজিজুল হক আজিজের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও গঠনন্ত্র পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগ থাকায় অভিযুক্ত কাজী বাবলু, তাজু ভূঁইয়া ও সাজুকে দল থেকে বহিষ্কার করা হল। একইসঙ্গে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বিলুপ্ত করা হলো। স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রফমান বাবুর নির্দেশনায় অভিযুক্তদের বহিষ্কার ও কমিটি বিলুপ্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রসঙ্গত, শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাতে চন্দ্রগঞ্জ থানাধীন পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড় এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী সজীব, সাইফুল পাটোয়ারী, মো. রাফি ও সাইফুল ইসলাম জয়ের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় অভিযুক্তরা। একপর্যায়ে সজীবকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে অন্যদের ওপরও গুলি চালায়। পরে সজিবের মা বুলি বেগম বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কাজী বাবলুসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। ১৬ এপ্রিল দিবাগত রাত ২ টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালের চিকিৎসাধীন অবস্থায় সজীব মারা যান। এ মামলায় বিভিন্ন সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

;

নরসিংদীতে গরমে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নরসিংদী
নরসিংদীতে গরমে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু

নরসিংদীতে গরমে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীতে তীব্র গরমে সুলতান উদ্দিন (৭৮) নামে এক মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে নরসিংদী আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।

সুলতান উদ্দিন নরসিংদী সদর উপজেলার ভেলানগর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি পেশায় একজন আইনজীবীর সহকারী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্বজনরা জানান, প্রতিদিনের মতো নিজ বাড়ি থেকে পেশাগত কাজে নরসিংদীর আদালতে আসেন সুলতান উদ্দিন। কাজ করার সময় হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করেন তিনি। এসময় তিনি বাড়ি যাবার উদ্দেশ্যে আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পায়ে হেঁটে নরসিংদী কালেক্টরেট জামে মসজিদের সামনে পৌঁছলে তিনি ঢলে পরে যান। এসময় পথচারীরা তাকে উদ্ধার করে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নরসিংদী জেলা হাসপাতালো তত্ত্বাবধায়ক এএনএম মিজানুর রহমান বলেন, রোগীটাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তাই ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর সঠিক কারণ বলা মুশকিল। তবে রোগীর স্বজনরা জানিয়েছে তার বুকে ব্যথা ছিল। তার উপর প্রচণ্ড গরমের মধ্যে কাজ করছিলেন।

;

রাজধানীতে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে ছিন্নভিন্ন শিশুর মাথা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ডেমরায় বাসার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ৫ বছর বয়সি এক শিশুকে কামড়ে তার মুখ ও মাথা ছিন্নভিন্ন করে ফেলেছে বেওয়ারিশ তিনটি কুকুর।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ডেমরার বক্সনগর আলফালা স্কুলের পাশে তাদের বাসার গেটের সামনেই এই ঘটনা ঘটেছে। মুমূর্ষু অবস্থায় শিশু মাহিনুর আক্তারকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

অটোচালক মতিউর রহমান ও কুলসুম বেগম দম্পতির দুই সন্তানের মধ্যে মাহিনুর ছোট। সে তার পরিবারের সঙ্গে আলফালা স্কুলের বিপরীত পাশের একটি বাসায় থাকে।

শিশুর মা জানান, দুপুরের বাসার গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল মাহিনুর। হঠাৎ একটি কুকুর প্রথমে তাকে আক্রমণ করে। কুকুরটি তার মাথায় কামড়ে ধরে। পরে আরও ৩টি কুকুর তার সারা মুখে কামড়াতে থাকে। শিশুটির চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে কুকুরগুলোকে তাড়ানোর চেষ্টা করে। তবে কুকুরগুলো শিশুটিকে না ছাড়ায়, পরে বাঁশ দিয়ে পিটিয়ে সেগুলোকে তাড়ানো হয়। পরে বাবা মাকে খবর দিলে তারা শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

ঢাকা মেডিকেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানান, শিশুটির সারা মুখমন্ডলে কুকুরের আঁচড় ও কামরানোর কারণে মাংসগুলো ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। এছাড়া মাথায়ও কামড়ের চিহ্ন আছে। তার অবস্থা গুরুতর বলে জানান চিকিৎসকরা।

;