গাইবান্ধায় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে জুয়ার আসর, থানায় মামলা!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরে বারুনীর মেলায় রাতভর জুয়া চালানোর অভিযোগে জামালপুর ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে, এই ঘটনার পর থেকে পলাতক থাকায় অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আল-আমিনকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাতে মুঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সাদুল্লাপুর থানায় পুলিশ বাদি হয়ে জুয়া আইনে এই মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম (মেম্বার) আল-আমিন সরকার। তিনি সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার)। এছাড়া তিনি একই ইউপির দাউদপুর (পশ্চিমপাড়া) গ্রামের সাদা সরকারের ছেলে। 

গত ১৫ এপ্রিল রাতে জামালপুর ইউনিয়নের কল্যানপুরের বারুনীর মেলা উপলক্ষে জামুডাঙ্গা গ্রামের গোলজারের বাড়ির সামনে জুয়া বসান আল-আমিন। ইউপি সদস্য আল-আমিনের জুয়ার আসর বসানোর একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। 

জুয়া খেলার সময় এক প্রত্যক্ষদর্শীর ধারণ করা ১৭ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, জুয়ার বোর্ডে বসে আল-আমিন নিজেই গুনে-গুনে টাকা নিচ্ছেন। ইউপি সদস্যের জুয়ার আসর বসানোর ঘটনাটি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ায় স্থানীয়দের মাঝে নানা সমালোচনা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুঠেফোনে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আল-আমিন সরকার তার নেতৃত্বে জুয়া বসানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন। তবে তিনি মেলা উপলক্ষে জুয়ার আসরে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। এসময় তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমি জুয়ার আসরে ছিলাম, কিন্তু জুয়া আমি বসাইনি।

মামলার ব্যাপারে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম মোঠোফোনে বার্তা২৪.কমকে বলেন, সোমবার কল্যানপুরের বারুনীর মেলায় জুয়া খেলার অভিযোগে ওই রাতেই অভিযান চালিয়ে ৭ জুয়ারীকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই জুয়ার আসর বসানোর অভিযোগে ইউপি সদস্য আল-আমিনের বিরুদ্ধে জুয়া আইনে মামলা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আল-আমিন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি, পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।

   

১৫ শতাংশ শ্রমিক সম্মতিতে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে: আইনমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো কারখানায় ১৫ শতাংশ শ্রমিক সম্মতি দিলেই সেখানে ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে বিধান রেখে শ্রম আইন সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পর এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, আমার মনে হয়, আমরা কোনো দরকষাকষির মধ্যে নেই। দেখেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) সারা বিশ্বের শ্রমিকদের একটি সংগঠন। এখানে সবসময় শ্রমিকদের অধিকার যাতে রক্ষা হয়, তা নিয়ে আলোচনা হয়। এটা নিয়ে সবসময় তাদের বক্তব্য থাকে, তাদের সাথে আমরা এখন বসেছি।

তিনি বলেন, আমরা আমাদের শ্রম আইন সংশোধন করেছি। এটা গত পার্লামেন্টে সংশোধিত হয়েছিল, পরে রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েছিল। আইনটিতে কিছ ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকায় পরে ফেরত আনা হয়।

তিনি আরও বলেন, আইনটি যখন প্রণয়ন করা হয়, তখন সারা বিশ্বের সর্বোচ্চ চর্চা হওয়া আইনের ধারা এখানে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করেছি। এই চেষ্টায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার একটা অবদান আছে।

পাশাপাশি, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার পরিচালনা পর্ষদে বাংলাদেশের শ্রমিক অধিকার নিয়ে কিছু দেশ ২০১৯ সালে নালিশ করেছিল। সেই নালিশের পরে আমরা বহুবার আইএলও’র পরিচালনা পর্ষদকে বলেছি, শ্রমিকদের অধিকার আমাদের দেশে কেবল রক্ষাই হয়নি, শ্রমিকদের অধিকার আরও সুদৃঢ় হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের বিরুদ্ধে অহেতুক যে নালিশ করা হয়েছে, সেটা শেষ হওয়া উচিত।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের শ্রম আইন নিয়ে কথা বলার জন্য তাদের সঙ্গে বসেছিলাম। যতক্ষণ পর্যন্ত শ্রম আইনটিকে সংশোধন করছি, যতক্ষণ পর্যন্ত সম্পূর্ণ না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত অংশীজন আন্তর্জাতিক যেসব সংস্থা আছে যারা শ্রমিকদের অধিকারের কথা বলে, তাদের কথা শুনবো। কারণ, আমরা দেখবো, আমাদের দেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ অনুযায়ী যে শ্রমিক অধিকার রক্ষা করা হয়, তার সঙ্গে অংশীজনদের পরামর্শের কোনো পার্থক্য আছে কিনা।

তিনি বলেন, আমরা কোনো মৌলিক পার্থক্য খুঁজে পাইনি। কিন্তু আমরা এই অধিকার যাতে রক্ষা হয়, সেই চেষ্টা সবসময় করবো। শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা ও সুরক্ষার জন্য যার যার কথা শোনার, সেটা আমরা শুনবো। তারা সেটা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কারিগরি কমিটিতে তুলে ধরবেন। আগামী ১২ মে আইনটি সম্পূর্ণ করার জন্য একটি সভার আয়োজন করবো।

আইএলওর পরামর্শ কী ছিল, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা যেসব পরামর্শ দিয়েছে, তা সংশোধিত আইনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে থ্রেশহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) কমিয়ে আনা। আমরা আগে এই থ্রেশহোল্ড ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু সেটা যেই কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক আছে, তাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হওয়ার কথা। কিন্তু এখন সব কারখানার জন্য এই ১৫ শতাংশ থ্রেশহোল্ড রাখা হয়েছে।

;

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন

বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক মনির মিয়ার (৩০) বাড়িতে গত ৫ দিন ধরে অনশন শুরু করেছেন এক নারী।

এ ঘটনায় মনিরের বাড়িতে দফায় দফায় সালিস বৈঠক হলেও মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত কোন সুরাহা হয়নি।

জানা গেছে, গফরগাঁও উপজেলার টাংগাব ইউনিয়নের নামা বাঁশিয়া গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মনির মিয়ার সঙ্গে ভুক্তভোগী নারীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। এসময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভুক্তভোগীর সঙ্গে বিভিন্ন সময় শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে মনির। এক পর্যায়ে বিয়ে করতে চাপ দিলে মনির বিয়ে করতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে একাধিকার গ্রাম্য সালিস বসে।

গত ২৬ এপ্রিল দুপুরে ভুক্তভোগী জানতে পারে মনির পার্শবর্তী ইউনিয়নে বিয়ে করছে। এই সংবাদ পাওয়ার পরে ওই দিন দুপুরে ভুক্তভোগী প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান নেয়।

ভুক্তভোগী জানায়, মনির বিয়ে করার কথা বলে ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন হোটেলে নিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এখন সে আমাকে বিয়ে না করে অন্য জায়গায় বিয়ে করছে। বিয়ে ছাড়া এ বাড়ি থেকে যদি যেতে হয়, তবে আমার লাশ যাব। এছাড়া আমার সামনে কোনো পথ নেই।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন সাগর বলেন, মেয়ের বাবা আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জন্য বলেছি। শুনেছি ছেলে বিজিবিতে চাকরি করে।

এ ব্যাপারে পাগলা থানার ওসি মোহাম্মদ খায়রুল বাশার বলেন, এ ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।

;

ওএমএসের চাল আত্মসাৎ, শিক্ষা কর্মকর্তাকে শোকজ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ওএমএসের চাল আত্মসাৎ, শিক্ষা কর্মকর্তাকে শোকজ

ওএমএসের চাল আত্মসাৎ, শিক্ষা কর্মকর্তাকে শোকজ

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি ওএমএস চাল আত্মসাতের ঘটনায় দায়িত্ব পালনে অবহেলার দায়ে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) করা হয়েছে। তবে গত ২৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না এই কারণ দর্শানোর নোটিশ করলেও পাঁচ দিনেও নোটিশের জবাব দেয়নি শাহিনুর।

এতে ইউএনও অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, তাকে গতকালও (সোমবার) এ বিষয় বলা হয়েছে। তিনি (শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান) আজকের (৩০ এপ্রিল) মধ্যে কারণ দর্শানো নোটিশের জবাব দিবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হলে শাহিনুরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ইউএনও নিশাত তামান্না জানান।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরে তার খোঁজে শিক্ষা অফিসে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।

এসময় নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার অধীনস্থ কর্মচারীরা এই প্রতিবেদককে বলেন, 'স্যার ঠিক মতো অফিসে আসেন না। সপ্তাহে ২/৩ দিন অফিস করেন। আমাদের নাম বলবেন না, তাহলে সে চাকরি খেয়ে দিবে'।

এদিকে সরকারের খোলাবাজারে ওএমএসের চাল আত্মসাতের ঘটনায় উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডিলার রাজিব মৃধার বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। মোংলা থানায় আজ যে কোনো সময়ের মধ্যে এই মামলা করবেন মোংলা সরকারি খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মো. আশরাফুল হক। তিনি বলেন, গতকালই (সোমবার) মামলা দায়েরের জন্য থানায় গিয়েছিলাম। কিন্তু এজাহারে কিছু সংশোধন আনায় মামলাটি ওইদিন করা যায়নি। আজ সংশোধন করে ডিলার রাজিব মৃধার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

জানা গেছে, গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের বড়ইতলা গ্রামে অসহায় সুবিধাভোগীদের ৩০ কেজির বস্তায় চার কেজি চাল কম দিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে হাজির হন মোংলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নিশাত তামান্না। জব্দ করেন ওজনে কম দেওয়া ১৫/২০ বস্তা সরকারি চাল। তবে এসময় ডিলার রাজিব মৃধা পালিয়ে গেলে তাকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। এসময় ওই এলাকায় চাল বিতরণে মোংলা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান ট্যাগ অফিসারের দায়িত্বে থাকার কথা থাকলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন না।

পরে সরকারের খোলাবাজারে ওএমএস চাল বিতরণে ওজনে কম দেওয়ার প্রমাণ পাওয়ায় ডিলার রাজিব মৃধার বিরুদ্ধে সরকারি চাল আত্মসাতের মামলা করার সুপারিশ করে উপজেলা প্রশাসন। একই সাথে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দায়িত্বে পালনে অবহেলার দায়ে মোংলা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা শাহিনুর রহমানকে শোকজ (কারণ দর্শানোর নোটিশ) করা হয়।

;

গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, মেহেরপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে দুইজন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেছেন। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা রিটার্ণিং অফিসারের কার্যালয় থেকে মেহেরপুর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন ও গাংনী উপজেলা যুব লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম তাদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করেন।

জানা যায়, গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১০ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন করে প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র অনলাইনে দাখিল করেন। এই দুই প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারের পর চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে অংশ নিচ্ছেন ৮ জন।

তারা হলেন- জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভুট্টো, বর্তমান চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. একেএম শফিকুল আলম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট রাশেদুল ইসলাম জুয়েল, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল, গাংনী উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন, গাংনী উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক লায়লা আরজুমান বানু ও আওয়ামলীগ নেতা মুকুল আহম্মেদ।

ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন, দেলোয়ার হোসেন মিঠু, ফারুক হাসান ও রেজাউল করিম। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন জন হলেন, বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, জাকিয়া আক্তার ও নাছিমা খাতুন।

চেয়ারম্যান ভাইস চেয়ারম্যান ও ভাই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান-এর ১৪ জন প্রার্থীর মধ্যে শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে জুলফিকার আলী ভুট্টো বিএনপি'র। বাকি সকল প্রার্থী আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মী। ‌ এছাড়া অন্য কোন দলের কোন প্রার্থী এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না।

দ্বিতীয় দফায় উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের অংশ হিসেবে আগামি ২১ মে গাংনী উপজেলায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

;