বরিশালে মহাসড়কে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসনের অভিযান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদের যাত্রা বরিশাল জেলার মহাসড়কে নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন নিশ্চিত করতে গতিসীমা নিয়ন্ত্রণে বরিশালের জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে জেলা প্রশাসনের নিরবচ্ছিন্ন ভাংগা-কুয়াকাটা মহাসড়কের বরিশাল জেলার গৌরনদী, উজিরপুর, বাবুগঞ্জ, বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ উপজেলায় অতিরিক্ত গতিতে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণসহ যাত্রী ও সড়ক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট অভিযানের অংশ হিসেবে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণ অভিযান পরিচালনা করেন।

এ সময় তারা স্পিডোমিটার দিয়ে গাড়ির গতিসীমা পরীক্ষা করেন। দূরপাল্লার গাড়িগুলোকে মহাসড়কে গতিসীমা মেনে চলতে সতর্ক করা হয়। এ সময় রুটপারমিট বিহীন গাড়ি, ফিটনেসবিহীন গাড়ি, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় প্রভৃতি অপরাধে সড়ক পরিবহন আইন, ২০১৮ এর বিধান মোতাবেক ১৮ টি মামলায় ২৯ হাজার ৮০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। যাত্রী ও সড়ক নিরাপত্তায় জেলা প্রশাসন বরিশালের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

   

বরিশালের হিজলায় ৯ জেলেসহ জাল-ট্রলার জব্দ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
বরিশালের হিজলায় ৯ জেলেসহ জাল-ট্রলার জব্দ

বরিশালের হিজলায় ৯ জেলেসহ জাল-ট্রলার জব্দ

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে মৎস্য শিকারের সময় অভিযান চালিয়ে ৯ জেলেকে আটক এবং জাল-ট্রলার জব্দ করা হয়েছে। মৎস্য দপ্তর, উপজেলা প্রশাসন ও নৌ পুলিশ সদস্যরা যৌথভাবে এ অভিযান পরিচালনা করেন।

বুধবার (১ মে) সকালে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে হিজলা উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম জানান, মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ১০ হাজার মিটার কারেন্ট জাল, একটি চর ঘেরা জাল ও একটি ট্রলার জব্দ এবং ৯ জেলেকে আটক করা হয়। পরে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে বিনষ্ট করার পাশাপাশি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৯ জেলের প্রত্যেককে তিন হাজার টাকা করে মোট ২৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও জব্দকৃত ট্রলার ৭০ হাজার টাকায় নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।

মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইয়াসিন সাদেক। এসময় নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ তরিকুল ইসলাম, মৎস্য সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ আলী আজম উপস্থিত ছিলেন।

;

সিলেটে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট আদালতের বিচারপ্রার্থীদের জন্য নবনির্মিত ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

বুধবার (১ মে) দুপুরে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে ন্যায়কুঞ্জ উদ্বোধন করেন তিনি।

এসময় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, দেশের বিচার বিভাগের সব ক্ষেত্রে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়ন করা হবে। উচ্চ আদালতে এরই মধ্যে ওয়ান স্টপ সার্ভিস বাস্তবায়িত হয়েছে। আগে জামিন আদেশের কপি পেতে অনেক সময় ব্যয় হত। এখন তা সঙ্গে সঙ্গেই আপলোড হয় এবং আদেশ যথাস্থানে পৌঁছে যায়।

তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের এই সুবিধা দেশের সব পর্যায়ের আদালতে পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিলেটে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের সংখ্যা বৃদ্ধিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতে আসা বিচারপ্রার্থীদের সুবিধাজনক বসার স্থান হিসেবে ন্যায়কুঞ্জের উদ্বোধন করা হলেও আদালতে আসা সব মানুষ এটি ব্যবহার করতে পারবেন। সব মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হলেই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হয় বলেও এ সময় উল্লেখ করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

উদ্বোধনের সময় সিলেটে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ কিউ এম নাসির উদ্দীনসহ সিলেটের বিভিন্ন আদালতের বিভিন্ন স্থরের বিচারক, আইন কর্মকর্তা, আইনজীবী সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

;

৬ ঘণ্টা পরিশ্রমে মেলে ৬০ টাকা

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’



শহিদুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্বামীর একা রোজগার দিয়ে সংসার চালাতে খুবই কষ্ট হয় তাই এখানে এসে কাজ করছি। আমরা এখানে সকাল ৬টায় আসি আর বাসায় যাই দুপুর ১২ টায়। এর বিনিময়ে আমাদেরকে দেওয়া হয় মাত্র ৬০ টাকা। এতো কম টাকায় সংসার চালানো কঠিন। এসব নিয়ে কেউ কথা বললেই তাকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়। তাই বাধ্য হয়েই পেটের টানে এসব করতে হচ্ছে’- আক্ষেপের সঙ্গে কথাগুলো বলছিলেন নওগাঁর নিয়ামতপুরে চুল বাছাইয়ের কাজ করা নারী শ্রমিক মীনারা বেগম।

শুধু মীনারা বেগমই নয়, তার মতো এমন শত শত নারী বঞ্চিত হচ্ছেন ন্যায্য মজুরি থেকে। আর স্বল্প বেতনে কাজ করিয়ে নিয়ে লাভবান হচ্ছেন কারখানার মালিকরা।

সরেজমিনে নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের বেশ কিছু গ্রামে নারীদের চুল বাছাই আর পরিষ্কারের কাজ করতে দেখা  যায়। এসব শ্রমিকদের মধ্যে অধিকাংশই গৃহবধূ ও কিশোরী। মেয়েদের মাথার ঝরে পড়া চুল বিভিন্ন এলাকা থেকে সংগ্রহ করে প্রথমে চলে প্রাথমিক বাছাইয়ের কাজ। তারপর চুলে থাকা নানা রকম ময়লা একটি সুঁচের মাধ্যমে সরিয়ে সেগুলোকে রাখা হয় আলাদা জায়গায়। সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে চুল বাছাইয়ের কাজ।

৬ ঘণ্টা পরিশ্রমে মেলে ৬০ টাকা

কাজ করা নারী শ্রমিকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, টানা ৬ ঘণ্টা কাজ করার বিনিময়ে দেওয়া হয় মাত্র ৬০ টাকা। আবার কেউ যদি সময়ের আগে বাসায় চলে যায় তাহলে সেদিনের বেতন থেকে টাকা কাটা হয়।

শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের গৃহবধূ নূরেকা বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা ভোর ৬টায় এখানে আসি আর যাই দুপুর ১২টায়। প্রতি ঘণ্টায় ১০ টাকা করে ৬ ঘণ্টায় ৬০ টাকা দেওয়া হয়। এই বেতনে আমাদের সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। এ নিয়ে যদি সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া হয় তাহলে আমরা ভালোভাবে বেঁচে থাকতে পারবো।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যানেজার হোসাইন বার্তা২৪.কমকে বলেন, নওগাঁর বিভিন্ন স্থান থেকে হকাররা চুলগুলো সংগ্রহ করে আমাদের কাছে বিক্রি করে। প্রতিকেজি চুলের মূল্য ১২ হাজার টাকা আবার প্রকারভেদে ৯ হাজার টাকাও হয়। কেনার পরে প্রতিটি গ্রামে চুল ভাগ করে দেয়া হয়। ৫ থেকে ৬ ঘণ্টায় নিদিষ্ট পরিমানে চুল তাদেরকে বাছাইয়ের জন্য দেওয়া হয়। এতে তারা মজুরি পায় ৬০ টাকা।

তিনি আরো বলেন, আশেপাশের সবাই এই টাকাই নারী শ্রমিকদের বেতন দেয়। যদি সবাই বাড়িয়ে তাইলে আমরাও বাড়িয়ে দিব।

নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমতিয়াজ মোরশেদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, শ্রমিকদের প্রাপ্য মজুরি অবশ্যই পাওয়া উচিত। আমি এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতাম না। আপনার কাছ থেকেই শুনলাম। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি কী করা যায়।

;

নাগরী লিপি রক্ষায় বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান প্রধান বিচারপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সিলেটি নাগরী লিপি’ রক্ষার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আহ্বান জানান।

এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশের বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করছে। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিচার বিভাগ আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ সম্মিলিতভাবে কাজ করলে বিচার বিভাগ পূর্ণতা লাভ করে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়।

সিসিক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রধান বিচারপতি এবং ‘সিলেটি নাগরী লিপি’ রক্ষার জন্য বিশেষ পদক্ষেপ নিতে আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতি ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখে অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট রঞ্জিত চন্দ্র সরকার, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালত একিউএম নাসির উদ্দিন, মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জাকির হোসেন খান, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিত সিংহ, ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত ডিআইজি হুমায়ুন কবির, জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অসিম পুরকায়স্থ, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সদস্য এডভোকেট রুহুল আনাম মিন্টু। সিলেট জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ।

;