কুয়াকাটায় রাখাইনদের ৩ দিনের সাংগ্রাই উৎসব



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কলাপাড়া (পটুয়াখালী)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হয়েছে রাখাইনদের শত বছরের ঐতিহ্যবাহী (সাংগ্রাই) বা জলকেলি উৎসব। পুরাতনকে ভুলে নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বিকাল ৩ ঘটিকায় কুয়াকাটার শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন কুয়াকাটা রাখাইন মহিলা মার্কেট মাঠে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে রোবার (১৪ এপ্রিল) চন্দন মিশ্রিত জল দিয়ে বুদ্ধ স্নানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৭ দিনের এই উৎসব। এলাকা ভিত্তিক রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন বিহার ও ঘরে থাকা বৌদ্ধ মূর্তি স্নান করে এই উৎসবের শুরু করে।

দুঃখ কষ্ট ভুলে নতুন বছরকে বরণে রাখাইন তরুণ-তরুণীরা ধর্মীয় বিশেষ প্রার্থনা, বঙ্গবন্ধুর জীবনী আলোচনা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নৃত্য, মৈত্রীয় জলবর্ষণসহ বিভিন্ন আয়োজনে উৎসব মুখর হয় এ আয়োজন।

স্থানীয় রাখাইনদের মাতুব্বর মো. উচাচী বলেন, ‘এ অনুষ্ঠানে মূলত তরুণীদের কাছ থেকে রাখাইন তরুণদের পানি কিনতে হয়। তরুণীদের পানি কিনতে হয় না। তারা এখানে সংরক্ষিত পানি ব্যবহার করতে পারেন। সেখানে তরুণ-তরুণীদের ভালোবাসায় সিক্ত জল একে অপরের গায়ে ছিটিয়ে পালন করা হয় রাখাইন সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় এ উৎসব। এটাকেই আমরা উপভোগ করি।

রাখাইন পঞ্জিকা অনুসারে, ১৩৮৫ রাখাইন বর্ষের শেষ দিন মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল)। বুধবার (১৭ এপ্রিল) থেকে শুরু হয়েছে ১৩৮৬ রাখাইন বর্ষ। এই বর্ষ বিদায় ও বরণে কুয়াকাটা রাখাইন সম্প্রদায়ের ৭ দিনের ‘সাংগ্রাই’ বা বর্ষ বিদায় ও বরণ উৎসব পালন করা হচ্ছে । তিন দিনের জলকেলি উৎসবের মধ্যে দিয়ে শনিবার (২০ এপ্রিল) এই উৎসবের শেষ হবে।


কুয়াকাটা সাংগ্রাইন উদযাপন কমিটির সভাপতি উচান চীন বার্তা২৪.কম-কে জানান, ১৩৮৬ (রাখাইন বর্ষ) সালকে বরণ করতেই সাংগ্রাইয়ের শেষ অধ্যায় হিসাবে জলকেলির আয়োজন করেছি। আমরা খুবই আনন্দিত। মূলত এ জলকেলি অনুষ্ঠান ছিল সবার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু।

রাখাইনদের ধর্মীয় এই অনুষ্ঠানে উচান চীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. আনোয়ার হাওলাদার, (মেয়র কুয়াকাটা পৌরসভা), আব্দুল বারেক মোল্লা (সাবেক মেয়রও সভাপতি কুয়াকাটা পৌর আওয়ামী লীগ) জনাব মোতালেব তালুকদার (সাধারণ সম্পাদক) কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, জনাব মিস্টার ফ্রান্সিস ব্যাপারী (আঞ্চলিক পরিচালক কারিতাস, বরিশাল) এবং স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী।


সহযোগিতার বিষয়ে জানতে চাইলে কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, সাংগ্রাই উদযাপন উপলক্ষে আমাদের জেলা প্রশাসন এবং উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে তাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হয়েছে। এখানে আমরা থানা পুলিশ এবং ট্যুরিস্ট পুলিশের সহায়তায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। একই সাথে দেশ-বিদেশ থেকে আগত টুরিস্টরা যাতে এ প্রগ্রামটা দেখতে পারে সে ব্যবস্থা আমরা করেছি। এই ঐতিহ্যবাহী প্রোগ্রামটা আরও জাঁকজমক হোক এবং নিরাপদ হক সে কামনা প্রত্যাশা করছি।

   

সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে: স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে

সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও সরকার স্বাস্থ্যখাতে ব্যাপক উন্নতি সাধন করতে সক্ষম হয়েছে। সরকারি উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এ-ব্যাপারে এগিয়ে আসছে। এতে স্বস্থ্য সেবার গুণমান আরও বৃদ্ধি পাবে।

বুধবার (১ মে) রাজধানীর এক অভিযাত হোটেলে ‘বাংলাদেশ লাইভ ২০২৪ আইপিডিআই কার্ডিয়াক ভাস্কুলার কনফারেন্সে’ প্রধান অতিথির বক্তেব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। 

অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ছিল ‘ডিজিটাল বিজ্ঞান-বিশ্বে একধাপ এগিয়ে’। এসময় জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মরহুম আবু জাফর, সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক মরহুম মো. আমানউল্লাহ এবং সিঙ্গাপুর হার্ট ইন্সটিটিউটের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ট্যান হুয়েই চিমকে কার্ডিওলজিতে অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই কনফারেন্সের আয়োজন বাংলাদেশে এক যুগান্তকারী অধ্যায়ের সূচনা করেছে। আশা করছি, স্বাস্থ্যখাতে ডিজিটালাইজেশন দেশে হৃদরোগের প্রকোপ অনেকাংশে কমিয়ে আনবে।

আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, অধ্যাপক প্রাণ গোপাল দত্ত, ডা. মো. তৌহিদুজ্জামান এবং অধ্যাপক একেএম মহিউদ্দিন। সম্মানিত অতিথি ছিলেন, বাংলাদেশ কার্ডিয়াক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. আব্দুল্লা আল শফি মজুমদার, অধ্যাপক আফজালুর রহমান, জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে পরিচালক ডা. মীর জামাল উদ্দিন এবং হেলদি হার্ট হ্যাপি লাইফ অর্গানাইজেশনের (হেলো) সভপতি অ্যাডভোকেট আবু রেজা মো. কাইউম খান।

স্বাগত বক্তব্যে আইপিডিআই ফাউন্ডেশনের সেক্রেটারি জেনারেল হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মহসীন আহমদ জানান, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী থেকে শুরু করে শহরের অধিবাসী পর্যন্ত সর্বক্ষেত্রেই আইপিডিআই তাদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখছে। হৃদরোগ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য আয়োজনটি করা হয়েছে। যাতে নতুনরা বিজ্ঞদের কাছ থেকে হৃদরোগ বিষয়ে সময়োপযোগী ধারণা নিতে পারেন এবং তার ভিত্তিতে মাঠ পর্যায়ে জনগনের কল্যানে কাজ করতে পারেন। অনুষ্ঠানে সেসব বিশেষ দিক সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে বৈজ্ঞানিক আলোচনা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে আইপিডিআয়ের চেয়ারম্যান ওয়াদুদ চৌধুরী বলেন, আইপিডিআই ফাউন্ডেশন হৃদরোগ প্রতিরোধে দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে এসেছে। এছাড়াও তরুণ চিকিৎসকদের পেশাগত উন্নয়নে নিয়মিতভাবে বৈজ্ঞানিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে যাচ্ছে। আজকের এ আয়েজনও সেইসব কাজের একটি অংশ। আমাদের উদ্দেশ্যে হৃদরোগে সাধারণ মানুষের উন্নত সেবা দানে জন্য দক্ষ জনবল গড়ে তোলে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

হেলোর সভপতি অ্যাডভোকেট আবু রেজা মো. কাইউম খান বলেন, যে উদ্দেশ্যে সবাই একত্রিত হয়েছেন। বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপনা ও অংশগ্রহণকারীদের আগ্রহ থেকে বুঝা যাচ্ছে, আয়োজনটি সফল হয়েছে। তবে এটি বাস্তব সফল হবে দেশের সাধারণ মানুষের উপকার লাভের মাধ্যমে। হেলো ও আইপিডিআই জনকল্যাণমূলক এ কাজ সামনের দিনে আরও গুরুত্বসহ অব্যহত রাখবে।

;

‘গরিবের গরম-ঠান্ডা নেই, কাজ না করলে খাব কী’

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’



গুলশান জাহান সারিকা , স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ওপর দিয়ে বয়ে চলা তীব্র তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা ছোট-বড় সবার। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে তেমন কেউ বের না হলেও পেটের দায়ে এমন গরমের মধ্যেও কাজ করছেন শ্রমিকরা। তাদেরই একজন পঞ্চাশোর্ধ আঞ্জুরা বেগম।

কাঠফাটা গরমে রাজমিস্ত্রির জোগালি কাজ করা আঞ্জুরা বেগম বার্তা২৪.কমকে বলেন, তার একার উপার্জনে পুরো সংসার চলে। বয়সের ভারে কাজ দীর্ঘক্ষণ করতে না পারলেও পরিবারের দিকে তাকিয়ে কষ্ট মেনে নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছেন পরিশ্রম।

তপ্ত রোদের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন বললে। তিনি বলেন, গরিবের গরম-ঠান্ডা থাকতে নেই, কাজ না করলে খাব কী? দিনমজুরি করে যে টাকা উপার্জন করি সেই টাকা দিয়েই সংসার চালাতে হয়।

তিনি আরও বলেন, আগের মতো শক্তি পাই না, তবুও পেটের দায়ে প্রতিদিন বের হতে হয় কাজের সন্ধানে। যেদিন কাজ থাকে সেদিন খাবার জোটে, না থাকলে অনাহারে থাকতে হয়।

তিনি আক্ষেপ করে জানান, বয়সের কারণে কাজ করতে কষ্ট হয়। মানুষ তাকে কাজেও নিতে চায় না বয়স দেখে। বয়স্কভাতার জন্য গেলেও বয়স এখনও না হওয়ায় সরকারিভাতা পান না। তিনি কাজে না আসলে চুলায় আগুন জ্বলে না। দিনে যে টাকা মজুরি পান তা দিয়ে সংসার চালানো খুব কষ্টকর।

সবকিছু হারিয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে চলে আসা আঞ্জুরা বেগম জানান, তার স্বামী সুন্দরবনে মাছ ধরা ও মধু সংগ্রহের কাজ করতেন। তাদের নিজেদের বাড়ি-ফসলি জমি ছিল। কিন্তু সুখের জীবনে দুঃখ নেমে আসে ২০০০ সালের বন্যায়। নদীর বাঁধ ভেঙে এক রাতে ভাসিয়ে নিয়ে যায় ঘর। বাস্তুহারা হয়ে ছোট দুই মেয়ে নিয়ে স্বামীর হাত ধরে চলে আসেন সাতক্ষীরা শহরে। সেখানে ভাড়া বাড়িতে থেকে সংসার চালাতে দুজন মিলে শুরু করেন দিনমজুরের কাজ। কয়েক বছর পর অসুস্থ হয়ে যান স্বামী। ধরা পড়ে মরণব্যাধি ক্যানসার। তখন অন্তঃসত্ত্বা আঞ্জুরা বেগম পড়েন অকুল পাথারে।

গ্রামের যা ছিল সব বিক্রি করে চলে স্বামীর চিকিৎসা জানিয়ে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে তিনি বলেন, অভাবের মধ্যে ছোট মেয়ের জন্মের কয়েক মাস পর ২০১৩ সালে মারা যায় স্বামী। দৈন্যদশা দেখে এক সচ্ছল পরিবার গৃহস্থালির কাজের বিনিময়ে দেয় থাকার জায়গা। জীবিকার তাগিদে পরিবার চালাতে শোককে শক্তিতে পরিণত করে শ্রমিকের কাজে নামেন তিনি।

আঞ্জুরা বেগম বলেন, পুরুষের চেয়ে আমরা কাজ কম করি না। তবুও পুরুষদের চেয়ে আমাদের নারী শ্রমিকদের মজুরি কম দেওয়া হচ্ছে। আমাদের সঙ্গে কেন বৈষম্য করা হয়?

;

বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ খোলা না বন্ধ, যা জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ খোলা না বন্ধ, যা জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

বৃহস্পতিবার স্কুল-কলেজ খোলা না বন্ধ, যা জানাল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে দেশের সব প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে আদালত নির্দেশ দিয়েছে। 

তবে এ বিষয়ে আজ বুধবার (১ মে) বিকেল পর্যন্ত লিখিত আদেশ পায়নি বলে জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এ অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসব প্রতিষ্ঠান বৃহস্পতিবার বন্ধ বা খোলা থাকবে কি না, সে বিষয়ে প্রশাসনিক কোনো আদেশ দেয়নি মন্ত্রণালয়। ফলে এ নিয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি রয়ে গেছে।

তবে মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, আদালতের প্রতি সম্মান জানিয়ে তারা আপিল করেননি। তাই বৃহস্পতিবার বন্ধই থাকছে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল এবং মাদ্রাসা।

এর আগে, সোমবার (২৯ এপ্রিল) চলমান তাপপ্রবাহে দেশের বিভিন্ন স্থানে ১৮ জনের মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন হাইকোর্টের নজরে আনেন আইনজীবী মনির উদ্দিন।

পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্কুল-মাদ্রাসার ক্লাস বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেন বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ। 

 

;

রাতে দেশের উদ্দেশে রওনা হবে এমভি আবদুল্লাহ, পৌঁছাতে পারে ১২ মে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
এমভি আবদুল্লাহ

এমভি আবদুল্লাহ

  • Font increase
  • Font Decrease

সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তির প্রায় ১৭ দিন পর ২৩ নাবিককে নিয়ে দেশের উদ্দেশে রওনা হচ্ছে এমভি আবদুল্লাহ।

বুধবার (১ মে) রাত ১২টার দিকে আরব আমিরাতের ফুজাইরা বন্দর থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হবে জাহাজটি। আগামী ১২ মে জাহাজটি কুতুবদিয়ার গভীর সমুদ্রে পৌঁছাতে পারে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহাজটির মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম।

তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, দস্যুমুক্ত হওয়ার পর আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছে কয়লা খালাস করা হয়। এরপর ২৭ এপ্রিল সেখান থেকে মিনা সাকার বন্দরে যায় নতুন করে পণ্য বোঝাই করতে। সেখান থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে হরমুজ প্রণালি পেরিয়ে ফুজাইরা বন্দরে যায় জ্বালানি সংগ্রহ করতে। জ্বালানি সংগ্রহ শেষে বুধবার রাতে দেশের উদ্দেশে রওনা হবে জাহাজটি।

গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি ছিনতাই করেছিল দস্যুরা। ছিনতাইয়ের ৯ দিনের মাথায় দস্যুরা প্রথম মালিকপক্ষের কাছে মুক্তিপণের দাবি জানায়। এরপরই শুরু হয় দর-কষাকষি। দর-কষাকষি চূড়ান্ত হওয়ার পর ১৩ এপ্রিল সন্ধ্যার আগে মুক্তিপণের অর্থ দেওয়া হয়। এরপর ওইদিন রাত ৩টা ৮ মিনিটে এমভি আবদুল্লাহ এবং জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্তি পান। এরপর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়।

;