আগুনে চরম ভোগান্তিতে অসুস্থ শিশু ও অভিভাবকরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর আগারগাঁও শিশু হাসপাতালে লাগা আগুনের খবরে বিভিন্ন তলার ওয়ার্ড ও আইসিইউতে চিকিৎসা নেওয়া শিশুদের নিয়ে নিচে নামেন অভিবাবকরা।

আগুনের আতঙ্ক ও মানুষের দৌড়াদৌড়িতে ঘটনার সময় এক বিভীষিকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় শিশু হাসপাতালে জুড়ে। আগুন নিভে গেলেও এখন চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন চিকিৎসার শিশু ও তাদের অভিভাবকরা। 

আগুনের কারণে ওয়ার্ডের স্থান না পেয়ে তারা হাসপাতালে বাইরের ফ্লোরে শিশুদের নিয়ে অবস্থান করছেন।

হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা শিশুদের অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগুন লাগার পর পর হাসপাতাল ভবন ধোঁয়ায় অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে যায়। তখন যে যেভাবে পেরেছে চিকিৎসারত শিশুকে নিয়ে হাসপাতালের ভবন থেকে বের হয়ে যান। 

শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা শিশু হাসপাতালে সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালটির পঞ্চম তলায় আগুন লাগে। সেই ফ্লোরে যেতেই বাতাসে ভেসে আসে পোড়া গন্ধ। এছাড়া পঞ্চম তলায় হাসপাতালের সকল আসবাবপত্র পুড়ে গিয়েছে।

এদিকে হাসপাতালের নিচে দেখা যায়, আগুনের কারণে আতঙ্কে নিচে নামা অভিভাবকরা তাদের শিশুদের নিয়ে হাসপাতালের ভবনের বাহিরের গাড়ি পার্কিং-এ অবস্থান নিয়েছেন। সেখানে অনেক শিশু গুরুতর রোগে আক্রান্ত, ফলে তারা বিনা চিকিৎসায় অবস্থান করছেন। এছাড়া বাহিরের গরমে অনেক শিশু আরও অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। 

হাসপাতাল ভবনের চতুর্থ তলায় ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ মাসের শিশু সন্তান হাবিবুর রহমানের চিকিৎসা চলছিলো। আগুন লাগার পর তার মা হাজেরা আক্তার দ্রুত নিচে নামেন।


তিনি বলেন, এক সপ্তাহ আগে আমার শিশুকে নিয়ে এই হাসপাতালে আসি। প্রচন্ড জ্বরের কারণে হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছিল। আজ দুপুরের দিকে হঠাৎ হাসপাতালে মানুষের দৌড়াদৌড়ি লক্ষ্য করি। এর কিছুক্ষণ পরই দেখি কালো ধোঁয়ায় বিল্ডিং অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে গেছে। এর মাঝে কয়েকজন আগুন করে চিৎকার করছে। পরে দ্রুত আমার শিশুকে নিয়ে নিচে নামি। নিচে নেমেছি প্রায় দুই ঘণ্টার উপর হয়ে গেছে। এই গরমের মধ্যে আমার বাচ্চা কান্না করছে। কিন্তু এখনো উপরে সব ঠিকঠাক হয়নি কখন যে যেতে পারবো বুঝতে পারছি না। এ অবস্থা চলতে থাকলে তো আমার বাচ্চা আরও অসুস্থ হয়ে যাবে। 

পাতলা পায়খানা জনিত রোগের কারণে গত সাত দিন ধরে ঢাকা শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিল পাঁচ মাসের শিশু আয়াত। গতকাল তাকে আইসিউ থেকে চতুর্থ তলার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানান্তর করেন চিকিৎসকরা। আগুন লাগার সাথে সাথে আয়াতের মা নীলা কোন রকমে ৫ মাসের শিশু বাচ্চাকে নিয়ে নিচে নামেন।

আগুন লাগার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নীলা বলেন, হঠাৎ দৌড়াদৌড়ি আর ধোঁয়া কারণে ভয় পেয়ে দ্রুত নিচে নেমে আসি। আমার বাচ্চাটা এক সপ্তাহ আইসিইউতে ছিলো, সে এখনো পুরোপুরি সুস্থ হয়নি। তাকে নিয়ে এই গরমে বাহিরে আছি। আবার অসুস্থ হয়ে যায় কিনা ভয়ে আছি। গরমে বাচ্চা কান্না করছে।

তিনি বলেন, তবে আমাদের বাচ্চাদের খুব বেশি সমস্যা না হলেও পাঁচতলার আইসিইউ-তে যেসব বাচ্চারা ছিল তাদের সমস্যা হয়েছে। অনেক বাচ্চা আছে যাদেরকে অক্সিজেন ছাড়া নিচে নামানো হয়। তারা এখন কোথায় আছে জানিনা তবে তাদের অবস্থা খুবই নাজুক ছিল।


এদিকে রাজধানীর আগারগাঁও শিশু হাসপাতালের কার্ডিয়াক আইসিইউতে থাকা শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) বিস্ফোরণে আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ধারণা ফায়ার সার্ভিসের।

আগুন নিয়ন্ত্রণ শেষে মোহাম্মদপুর ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মোহাম্মদ ফখরুদ্দিন বলেন, দুপুর ২টা ২৮ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এরপর আমাদের ফায়ার সার্ভিসের টিম ঘটনাস্থলে অনুসন্ধান চালায়। তবে আমরা কোনো ভুক্তভোগীকে পাই নি। আগুন লাগার পরপরই আইসিইউতে থাকা সবাইকে সরিয়ে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বজনরা।

আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিসের এ কর্মকর্তা বলেন, আমরা ধারণা করছি আইসিইউর ভেতরে এসি ছিলো। সেটা থেকে হয় তো আগুন লেগেছে। তবে তদন্তের পর সঠিক কারণ জানা যাবে। 

   

তীব্র দাবদাহে পিরোজপুর হাসপাতালে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পিরোজপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

প্রচণ্ড তাপদাহ ও তীব্র গরমে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। জায়গা না পেয়ে অনেকে আবার আছেন ফ্লোরে। গত ৭ দিনে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৯ শ' ২০ জন। প্রচণ্ড গরম, জ্বর আর শ্বাসকষ্টে হাসপাতালের রোগীদের অবস্থা এখন চরম আকার ধারণ করেছে।

সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (২ মে) হাসপাতালের এমন চিত্র চোখে পড়ে।

প্রতিদিনই জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, পেটেরপিরা, ডিহাইড্রেশন ও এ্যাজমা সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে রোগী আসছে দলে দলে। রোগীদের অবস্থা জটিল হওয়ায় তারা ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে। রোগীর চাপ বেশি থাকায় ও  জায়গা সংকটে ভোগান্তিতে রোগী ও তাদের স্বজনরা।

হাসপাতালটি ১০০ শয্যার হলেও এখানে রোগী ভর্তি রয়েছেন ১৯০ জন। ফলে অনেককে রোগী নিয়ে বারান্দায় পড়ে থাকতে হচ্ছে। একেতো রোগীর চাপ তার উপর প্রচণ্ড গরম থাকায় হাসপাতালে রোগীদের সমস্যা আরোও চরমে পৌঁছেছে। এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।

হাসপাতালটির সিভিল সার্জন ডা. মো. মিজানুর রহমান বলেন, তীব্র তাপদাহে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। কখনো তা দ্বিগুণের বেশী হয়ে দাঁড়ায়। ফলে রোগীদের সাথে চিকিৎসকদেরও কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

হিট এলার্ট জারী থাকায় গরমে কম বের হতে ও বাইরের খোলা খাবার না খেতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

;

মেটাল কয়েন প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি টাকা আত্মসাৎ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

মেটাল কয়েনে মাত্র ৩০ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে দুদিনের ব্যবধানে পাওয়া যাবে শত কোটি টাকা, এমন প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র।

রাজধানীর উত্তরার এয়ারপোর্ট থানায় এমন একটি অভিযোগের ভিত্তিতে চাঁদপুর ও ফেনী থেকে প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত থাকা দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে আগারগাঁওয়ে পিবিআই ঢাকা মেট্রো উত্তরের বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পিবিআই কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, মামলার বাদী মো. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে ২০১৫ সালে পূর্ব পরিচিত মো. ইউসুফের মাধ্যমে পরিচয় হয় আরেক অভিযুক্ত মানিক মোল্লার। পরিচয়ের সূত্র ধরে অল্প কয়েক দিনের মধ্যে বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে রফিকুল ইসলামের কাছ থেকে প্রায় ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় চক্রটি।

পিবিআই জানায়, প্রথমে চক্রটি মানুষের সঙ্গে সখ্যতা ও বিশ্বাস স্থাপন করে। তারপর তাদের মেটাল কয়েনে ইনভেস্ট করানোর কথা বলে তাকে নিয়ে চাঁদপুরের আসামি মানিক মোল্লার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে মেটাল কয়েনকে বৈদ্যুতিক আলোর স্পর্শে এনে বিভিন্ন রিফ্লেকশনের মাধ্যমে পরীক্ষা করে দেখান।

আর এতেই অনেকটা লোভে পড়ে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম।

চুক্তি অনুযায়ী, রফিকুল ইসলাম ধাপে ধাপে মোট ৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা তুলে দেন চক্রের সদস্যদের হাতে। একই সঙ্গে চুক্তির কথা কেউ যেন জানতে না পারেন, সে শর্তে শাহ জালাল ও শাহ পরানের নামে শপথ পাড়ানো হয়, রফিকুল ইসলামকে।

পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, বাস্তবে এমন কোনো কয়েনের অস্তিত্ব এখনো কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অনেকেটা ‘তক্ষক’ ‘সীমান্ত পিলার’-এর মতো এটাও একটি প্রতারণার কৌশল মাত্র।

তিনি জানান, চাঁদপুর থেকে ফেরার পথে সদরঘাটে এসে চক্রের অন্যান্য সদস্যরা সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশের ছদ্মবেশে আসামি ইউসুফ এবং মেটাল কয়েনটি তাদের হেফাজতে নিয়ে মামলার বাদী রফিকুল ইসলামসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদের একটি নাটক সাজিয়ে শেষে ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে চক্রের আরেক সদস্য সাখাওয়াত এসে কয়েনটি ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতিতে ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা এবং আরেক সদস্য লিটন ৮০ লাখ টাকা নিলে রফিকুল ইসলামের সন্দেহ হয়। এরপর তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

মামলার সূত্র ধরে পিবিআই অভিযান চালিয়ে চাঁদপুর ও ফেনী থেকে দু'জনকে গ্রেফতার করলেও চক্রের অন্য সদস্যরা এখনো পলাতক।  

পিবিআই জানায়, এই মামলায় এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে। 

 

;

পটিয়ায় ট্রাক-বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ৫



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের পটিয়াতে ট্রাক-মিনিবাস মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক চালকসহ অনন্ত ৫ জন আহত হয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকাল ১০টার দিকে পটিয়া পৌরসভার আমজুর হাটে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ট্রাকচালকের নাম মো. আবদুর রউফ (৩০)। তিনি চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বাসিন্দা। তবে আহত অন্যদের নাম জানা যায়নি। সবাইকে পটিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারমুখী একটি মিনিবাসের সঙ্গে একটি ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। ড্রাইভারের বামপাশে দরজার অংশের ক্ষতিগ্রস্ত হয় ট্রাকটিরও। ট্রাকচালক পায়ে আঘাত পেয়েছে। এর আগে ওই বাসের কয়েকজন যাত্রী আহত হলে তাদের হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয়রা।

পটিয়া ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা সাইদুর রহমান জানান, সকাল ১০টার দিকে একটি যাত্রীবাহী বাস এবং সিমেন্টবাহী ট্রাকের সংঘর্ষের ঘটনায় একজন আহত হয়েছেন। তাকে আমরা উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠিয়েছি। সেখানে তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করে পটিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তৌফিকুল ইসলাম বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বৃষ্টির কারণে সড়ক পিছলা হওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমরা ট্রাক ও বাস আটক করেছি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

;

হবিগঞ্জে নিহতদের মধ্যে এক পরিবারের ৪ জন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

 

হবিগঞ্জের মাধবপুরে ট্রাক ও প্রাইভেটকারের মুখোমুখী সংঘর্ষে নারী পুরুষ ও শিশুসহ এক প্রাইভেটকারের পাঁচজন নিহত হয়েছেন। নিহত ৫ জনের মধ্যে একই পরিবারের ৪ জন।

নিহতরা হলেন, মৌজালী মৃধার ছেলে জামাল মৃধা (৪২) ও খোকন মৃধা (৩৫), নিহত জামাল মৃধার স্ত্রী কামরুন নাহার (৩০) ও ছেলে কাওসার (১২)। এছাড়াও তাদের সাথে ড্রাইভারও মারা গেছে।

নিহতদের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের চৌরাস্তা স্থানে। এ ঘটনায় নিহতের বাড়িতে শোকের মাতম চলছে।

বুধবার (২ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের হরিতলা এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।

নিহত জামাল ও খোকনের মামা মোঃ সোনা মিয়া বলেন, নিহত জামাল মৃধা ঢাকার সাভারে পরিবার নিয়ে থাকত। জামাল মৃধার ইলেকট্রিক্যাল দোকান ছিল এবং খোকন মৃধা গার্মেন্টস কর্মী হিসেবে কাজ করত। ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া কাওসারের মানত থাকায় সপরিবারে সিলেট শাহজালাল মাজারে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার আগে সর্বশেষ রাত ১১টার দিকে নিহত জামাল মৃধা তার মায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা বলে।

গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ ফেরদৌস আলম খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের মরদেহ হবিগঞ্জ থানা পুলিশের হেফাজতে আছে। আমরা তাদের সাথে যোগাযোগ রাখছি। মরদেহ পটুয়াখালীতে কখন আনা হবে সে বিষয়ে এখন তথ্য পাইনি।

গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মহিউদ্দিন আল হেলাল জানান, দুর্ঘটনার বিষয়টি আমরা জানতে পেরেছি। নিহতদের দাফনসহ নিহতের পরিবারের সহযোগিতায় উপজেলা প্রশাসন কাজ বরবে।

;