‘প্রচণ্ড গরমেও আমরা আগুনের কাছে বন্দি’



মৃত্যুঞ্জয় রায়, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমে যখন মানুষ হাফ ছেড়ে বাঁচতে চাইছে, ঠিক তখন তাদের আগুনের পাশে দাঁড়িয়ে গরমকে উপেক্ষা করে কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা যাচ্ছে। তাদের বয়স প্রায় ১৭ থেকে ১৮ ছুঁই ছুঁই। কেউ কেউ পড়েছেন ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত, আবার কেউ কেউ টেন-ফেল। শেষমেশ তাদের জায়গা হয়েছে মিষ্টির কারখানার আগুনের চুলার পাশে। সমস্যা একটাই অভাব। যার কারণে আজ তারা আগুনের কাছে বন্দি অনেকটাই!

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) তালার পাটকেলঘাটা ভাগ্যকুল মিষ্টি কারখানায় সরেজমিনে গিয়ে প্রথমে ঢুকতেই দেখা যায় দাউ-দাউ করে জ্বলছে বড়-বড় চুলা। চুলার ওপরে বসানো কড়াই আর তার মধ্যে আগুনের জ্বালের মধ্য দিয়ে ফুটছে দুধ। চুলার পাশে দাঁড়িয়ে সেই দুধ নাড়া দিচ্ছে অভিজিত গুড্ডুর মতো ছেলেরা।

চুলার পাশে একটু যেতেই মনে হলো আগুনের হলকা গায়ের ওপরে এসে পড়ল। মনে হচ্ছে আগুনের তাপে গায়ের লোমগুলো যেন পুড়ে যাচ্ছে। একদিকে প্রচণ্ড তাপদাহ আর অন্যদিকে চুলার আগুন। যেখানে মানুষ এক তাপদাহ সহ্য করতে নাজেহাল আর সেখানে তারা একে একে দুই তাপদাহের সঙ্গে লড়াই করছে। প্রচণ্ড এই তাপে যখন মানুষ নাজেহাল তখন চুলার পাশে দাঁড়িয়ে তারা ছোট গেঞ্জি গায়ে দিয়ে কাজ করছে।


তাদের একজন চুলায় দুধ জ্বাল দিতে থাকা অভিজিত মন্ডল গুড্ডু বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রচণ্ড গরমে আমরা আগুনের কাছে বন্দি। শুধু অভাবের কারণে। আমরা এখানে টাকার জন্য আগুনের সাথে লড়াই করছি। এই প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে আগুনের কাছে গেলে মনে হয় জীবন বের হয়ে গেল। এতো তাপ সহ্য করে আছি শুধুমাত্র টাকার জন্য। কারণ বাড়িতে বাবা প্যারালাইজড। অভাবের কারণে সেই ক্লাস ফাইভ থেকে বাইরে বের হয়ে পড়েছি। সেই থেকে আগুনের সাথে লড়াই। আগুনের পাশে থেকে-থেকে বেঁচে থেকেও শরীরটা পুড়ে গেছে। পুড়তে-পুড়তে এই শরীরে আগুন দিলেও আর পুড়বে না।

পাশের চুলায় দুধ ঢালতে থাকা অপু মন্ডল বার্তা২৪.কমকে বলেন, দিনেরাতে মিলে মাত্র ৬ ঘণ্টা ঘুম হয়। বাকি ১৮ ঘণ্টা চুলার আগুনের পাশে থেকে কাজ করতে হয়। সকাল ১১টায় উঠে চুলা ধরিয়ে দুধ জ্বাল দিয়ে কাজ করতে করতে দুপুর ২টায় খেয়েদেয়ে একটু রেস্ট, তারপর আবার কাজ শুরু করে রাতে খেয়ে একটানা কাজ করে শেষ ভোর ৫ টা। এভাবে ঝড়, বৃষ্টি, গরম, বন্যা সবকিছু কাটছে আগুনের সাথে।

মিষ্টি গোল করতে থাকা বাঁধন রায় বার্তা২৪.কমকে বলেন, আমরা প্রায় ২০-৩০ জন ছেলে এখানে কাজ করি। প্রায় সবার বয়স ১৮, ১৯, ২০ বছর ছুঁই ছুঁই। টাকার জন্য আমরা সবাই এখানে কাজ করছি। এটাই সত্যি যে টাকা হলে মানুষ সব জায়গাতে আটকায়। আমরা যেমন টাকার জন্য আগুনের কাছে আটকে গেছি। এটাই কপাল। এ দেহ আগুনে পুড়ে ছাই।

   

গাজীপুরে ট্রেন দুর্ঘটনা: তদন্তে রেলওয়ের দুটি কমিটি গঠন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাজীপুরের জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনের কাজীবাড়ি এলাকায় দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে রেলওয়ের তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ শফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, ট্রেন দুর্ঘটনার সঠিক কারণ জানতে রেলের সিওপিএস মো. শহীদুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি আঞ্চলিক কমিটি করা হয়েছে। আর রেলওয়ের ঢাকা বিভাগীয় প্রকৌশলী (সিগন্যাল ও টেলিকমিউনিকেশন) সৌমিক শাওন কবিরকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। নতুন গঠন করা কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতেহ মো. সফিকুল ইসলামের নির্দেশে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ওই কমিটিকে আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

;

ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসেই গাড়ি-বাড়ি পেলেন বৃদ্ধ রিকশাচালক হাবিবুর



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৭৭ বছরের বৃদ্ধ হাবিবুর রহমান স্ট্রোক করেছেন একাধিকবার। এই বয়সে যখন তার বিছানায় শুয়ে-বসে বিশ্রাম করার কথা। সেখানে তিনি রিকশার প্যাডেল চালিয়ে অবিরাম ছুটেন ঢাকার রাস্তা-ঘাটে। দিন শেষে যা আয় হয়, তার একটা অংশ নিজের জন্য রেখে বাকিটা পাঠাতেন গ্রামে থাকা বৃদ্ধা স্ত্রীর কাছে। জীবনের এই পড়ন্তবেলায় এসে এভাবেই চলছিল তার দিনকাল।

হাবিবুরের ইচ্ছে ছিল শেষ বয়সের সময়টা তিনি শহর ছেড়ে গ্রামে থাকা স্ত্রী সঙ্গে কাটাবেন। কিন্ত সেখানে থাকার মতো ঘর ও জীবিকার নিশ্চয়তা না থাকায় বাধ্য হয়েই ঢাকায় রিকশা চালাতে হতো তাকে।

হাবিবুরের দুরাবস্থা নিয়ে ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিক জ.ই মামুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। ওই পোস্টটি প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেনের দৃষ্টিগোচর হলে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর উপহারের সুখবর পান হাবিবুর। পাশাপাশি হাবিবুরের কর্মসংস্থানের জন্য ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসকের দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী তাকে একটি ইজিবাইক উপহার দেন। এতে করে গ্রামের ফেরার ইচ্ছা ও গ্রামেই কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে এই অসহায় বৃদ্ধের।

হাবিবুর রহমানের বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সহনাটি ইউনিয়নে সোনাকান্দি গ্রামে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাকিল আহমেদ উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে জেলা প্রশাসক দেয়া উপহারের ইজিবাইকের চাবি হাবিবুরের হাতে তুলে দেন। পাশাপাশি সোনাকান্দি গ্রামে এই বৃদ্ধের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ কাজও শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছন প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, বাবার মৃত্যুর পর জীবিকার তাগিদে ১৯৬৯ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে ঢাকায় এসে রিকশা চালানো শুরু করেন হাবিবুর রহমান। সংসারে তার স্ত্রী ও চার মেয়ে রয়েছে। মেয়েদের সবাই গরিব ঘরে বিয়ে হওয়ায় বাবাকে দেখার সামর্থ্য নেই তাদের। স্ত্রী থাকেন গ্রামের বাড়িতে। সেখানে মাত্র আধাশতাংশ ভিটে ছাড়া কিছু নেই হাবিবুরের। তাই বাধ্য হয়েই ঢাকায় রিকশা চালাতেন তিনি। ঢাকায় মাথা গোঁজার ঠাঁই না থাকায় রাত্রিযাপন করতেন রাস্তায় রাস্তায়।

এদিকে হাবিুরের দুরাবস্থা নিয়ে গত ২৫ এপ্রিল সাংবাদিক জ.ই মামুন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট দেয়ার পর বিষয়টি নজরে আসে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেনে। এরপরই নির্দেশনা আসে হাবিবুরকে তার এলাকায় প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়ার।

এদিকে নির্দেশনা আসার পর গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাকিল আহমেদ সোনাকান্দি গ্রামে গিয়ে হাবিবুরের বাড়ি পরিদর্শনে করে দেখেন তার মাত্র আধা শতাংশ জমি রয়েছে। এতটুকু জমিতে ঘর নির্মাণ সম্ভব না হওয়ায় বিপত্তি বাঁধে। এমন সময় হাবিবুরের জমির পাশেই দুই শতাংশ জমি দানের ঘোষণা দেন সহনাটি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ দুলাল আহমেদ। ইতিমধ্যে জমির দলিল সম্পাদন হয়ে গেছে। দ্রতই ঘরের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।

হাবিবুর রহমান বলেন, সারাজীবন কষ্ট করেছি। আধা শতাংশ ভিটে ছাড়া নিজের আর কিছুই ছিলো না। সাংবাদিক মামুন ভাইয়ের লেখালেখির কল্যাণে এখন গাড়ি-বাড়ি হয়েছে। এখন স্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আমার দিন রাজার হাল কাটবে। আমি অনেক আনন্দিত ও খুশি। সেই সাথে সরকারি কর্মকর্তা সহ যারা আমার পাশে দাঁড়িয়েছন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাকিল আহমেদ বলেন, বৃদ্ধ বয়সে হাবিবুর রহমানের রিকশা চালানো নিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক জ.ই মামুনের একটি পোস্ট মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর হয়। তার প্রেক্ষাপটে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে হাবিবুরকে নিজ গ্রামে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হচ্ছে। পাশাপাশি তার কর্মসংস্থানের জন্য জেলা প্রশাসক মহোদয় একটি ইজিবাইক উপহার দিয়েছেন। এছাড়াও হাবিবুর ও তার স্ত্রীকে বয়স্ক ভাতা দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

;

মোটরসাইকেলসহ পুলিশ সদস্যকে দেড় কিলোমিটার টেনে নিয়ে গেল ট্রেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার মিরপুরে রেলক্রসিংয়ে মোটরসাইকেল নিয়ে পার হওয়ার সময় ট্রেনে কেটে সাইদুর রহমান নামে পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে মিরপুর উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের কাটদহরচর নামক এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রায় দেড় কিলোমিটার মোটরসাইকেলসহ আরোহীকে টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি।

নিহত উপপরিদর্শক (এসআই) সাইদুর রহমান উপজেলার মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ছিলেন।

মিরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তফা হাবিবুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, মাজিহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই সাইদুর রহমান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ভর্তি পরীক্ষায় ডিউটি শেষ করে মোটরসাইকেল যোগে ক্যাম্পে ফিরছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে কাটদহরচর প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন এলাকায় রেলক্রসিং পারাপারের সময় ঈশ্বরদী থেকে ছেড়ে আসা দর্শনাগামী ট্রেনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। ঘটনাস্থল থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার তাকে ও মোটরসাইকেলটি টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। রেলের ধাক্কায় মোটরসাইকেলটি দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। রেলক্রসিংটি অরক্ষিত বলে জানা গেছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

;

মে মাস জুড়ে গরম, তাপপ্রবাহ, নিম্নচাপ, বৃষ্টি ও ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা



স্টাফ করেস্পন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বেশির ভাগ এলাকাতেই প্রচণ্ড দাবদাহে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে টানা এপ্রিল মাস জুড়ে। টানা কয়েক দফা ‘হিট অ্যালার্ট’-এর পর মে মাসের দ্বিতীয় দিনেই রাজধানী ঢাকায় দেখা মিলেছে বৃষ্টির।

মে মাস জুড়ে দেশের আবহাওয়া কেমন থাকতে পারে, সে বিষয়ে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, পুরো মে মাস জুড়ে গরম, তাপ প্রবাহ, নিম্নচাপ, বৃষ্টি এবং ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এপ্রিলের তুলনায় তাপমাত্রা কিছুটা কম থাকবে বলে স্বস্তির খবরও জানানো হয়েছে।

অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়, মে মাস জুড়ে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে এবং দেশের কোনো কোনো স্থানের উপর দিয়ে দুটি তীব্র ও কোথাও কোথাও এক থেকে তিনটি মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। এছাড়া দিনের বেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকতে পারে।

বিগত এপ্রিল মাস জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার ফলে জারি ছিল হিট অ্যালার্টও। প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোকে দেশের অনেক মানুষের প্রাণহানিও ঘটেছে। এমন অবস্থা গত ৭৬ বছরেও হয়নি বলে জানায় আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বার্তা২৪.কমকে জানান, মে মাসের ৫-৬ তারিখ ঢাকা ও তার আশেপাশের জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে এবং সেইসঙ্গে ৬-১০ তারিখে সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে। এরপর মে মাসের ১২ তারিখের পর থেকে তাপমাত্রা আরো কিছুটা বাড়বে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, কালবৈশাখীর সম্ভাবনা রয়েছে মে মাসে তিন থেকে পাঁচদিন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে।

আবহাওয়া অফিস থেকে আরো জানানো হয়, মে মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে এবং মাসের মাঝামাঝি সময়ে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিতে পারে।

এছাড়া চলতি মাসে দেশের উত্তরাঞ্চল বা উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিলেটসহ হাওর অঞ্চলে নদনদীর পানি দ্রুত বাড়তে পারে। কিছু জায়গায় তা বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানায়।

;