যশোরে তাপমাত্রা ৪২.৬ ডিগ্রি, গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন
বৈশাখের শুরু থেকেই তাপপ্রবাহে বিপর্যস্ত হয়ে উঠছে যশোর অঞ্চলের মানুষের জনজীবন। থার্মোমিটারের পারদ বাড়ছে প্রতিদিনই। রোদের তাপে শহরতলীর ঝুমঝুমপুরে যশোর-নড়াইল সড়কের রাস্তার বিটুমিন পর্যন্ত গলে যেতে দেখা গেছে।
যশোর বিমানবন্দর মতিউর রহমান ঘাঁটিস্থ আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবার (২০ এপ্রিল) যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা চলতি বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
এদিকে বাতাসের আর্দ্রতা বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরমে জনজীবনে অস্বস্তি নেমে এসেছে। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই। প্রখর রোদে পথ-ঘাট সব কিছুই উত্তপ্ত। প্রচণ্ড গরমে মানুষের দুর্ভোগের সঙ্গে হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর সংখ্যা।
সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন কৃষক-শ্রমিকসহ খেটে খাওয়া মানুষ। তারা গামছা ভিজিয়ে শরীর মুছে কেউবা মাথায় পানি ঢেলে গরম নিবারণের চেষ্টা করছেন।
রিকশাচালক মফিজুর রহমান বলেন, এই রোদ-গরমে মানুষ খুব একটা বাইরে বেরোচ্ছে না। তাই যাত্রী খুবই কম। একে তো গরম তার ওপর যাত্রী না থাকায় খুব কষ্টে আছি। দিনশেষে বাড়িতে চুলা জ্বলবে কিনা সেই চিন্তা করছি।
আরেক রিকশাচালক শওকত আলী বলেন, গরমের কারণে রিকশা চালাতে কষ্ট হচ্ছে। তারপরও গরিব মানুষ রাস্তায় বের না হলে খাবো কি।
শরবত বিক্রেতা আব্দুস সালাম জানান, গরম বাড়ায় শরবত বিক্রি বেড়েছে। মানুষ পিপাসা মেটাতে ও একটু স্বস্তি নিতে ঠান্ডা লেবুর শরবত পান করছেন।