আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে নোঙর করেছে এম ভি আবদুল্লাহ
সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবল থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের পণ্যবাহী জাহাজ এম ভি আবদুল্লাহ সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে নোঙর করেছে।
সোমবার রাত ১০টার দিকে আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে জাহাজটি নোঙর করে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বার্তাসংস্থা ইউনাইটেড নিউজ অব বাংলাদেশ (ইউএনবি) এ খবর জানায়।
জাহাজটি বন্দরে নোঙর করার সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কেএসআরএম গ্রুপের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় কেএসআরএম গ্রুপের ডিএমডি শাহরিয়ার জাহান রাহাতের নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া একটি দল নাবিকদের বরণ করে নেন। এর আগে রোববার জাহাজটি বহির্নোঙরের ‘বি অ্যাংকরেজ’ এলাকায় নোঙর করে।
জাহাজের মালিকপক্ষ কেএসআরএম গ্রুপের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত বলেন, বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত পৌনে ১০টার দিকে আল-হামরিয়া বন্দরের জেটিতে জাহাজটি ভেড়ানো হয়।
তিনি জানান, নাবিকরা সবাই সুস্থ আছেন। আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে কয়লা খালাসের কাজ শুরু হবে। দুইজন নাবিক ফ্লাইটে দেশে আসবেন। বাকি ২১ জন ওই জাহাজেই দেশে ফিরবেন।
জাহাজটিতে বোঝাই করা পণ্যসামগ্রী (কয়লা) পর্যবেক্ষণ করে ক্যাপ্টেন বলেছেন, এতে অ্যালার্মিং কোনো কিছু পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ জন নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি ছিনতাই করে। এসময় জাহাজটি দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগরে অবস্থান করছিল।
১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যু মুক্ত হয়। এ সময় ৬৫ জন জলদস্যু জাহাজটি থেকে বোটে নেমে যান। এরপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুটি যুদ্ধ জাহাজের পাহারায় এমভি আবদুল্লাহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পার হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে তখন জাহাজের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া, ডেকে হাইপ্রেসার ফায়ার হোস বসানো হয়, যাতে জলদস্যুরা ফের হামলা করলে উচ্চচাপে পানি ছিটানো যায়।