অবৈধ রেশন বাণিজ্যকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা নেতা খুন, নেপথ্যে আরসা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,কক্সবাজার
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রতিমাসে মাথাপিছু ১০ ডলার খাদ্য সহায়তা দেয় জাতিসংঘ। এই অর্থের বিনিময়ে বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) পরিচালিত ই ভাউচার আউটলেট থেকে চাল, ডাল, তেল, সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী রেশন হিসেবে রোহিঙ্গারা সংগ্রহ করে।

নিজ দেশ মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আসা মানুষগুলোর জীবনযাপনের অন্যতম এই অবলম্বন নিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে অবৈধ রেশন বাণিজ্য।

প্রতিমাসের নির্ধারিত দিনে রেশন সংগ্রহে যাওয়া সাধারণ রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নামমাত্র মূল্যে এসব রেশন ক্রয় করে অবৈধ এই বাণিজ্যে জড়িত অসাধু রোহিঙ্গারা, কেউ দিতে না চাইলে তার উপর শুরু হয় নির্যাতন।

সাধারণ রোহিঙ্গাদের অভিযোগ, কথিত সশস্ত্র সংগঠন আরকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা) এর সাথে জড়িত। আরসার সমর্থক ও সদস্যরা নিজেদের তহবিল সংগ্রহের নামে এধরণের কর্মকাণ্ড চালায়।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে উখিয়ার ২ ডব্লিউ ক্যাম্প থেকে সৈয়দুল আমিন (৪৫) নামে এক রোহিঙ্গার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রোহিঙ্গাদের সূত্র বলছে, এই হত্যাকান্ডের কারণ অবৈধ রেশন বাণিজ্য।

নিহত সৈয়দুল আমিন (৪৫), ২ ডব্লিউ ক্যাম্পের এ-১১ ব্লকের আশরাফ আলীর পুত্র এবং তিনি ঐ ব্লকে মাঝির (রোহিঙ্গা কমিউনিটি নেতা) দায়িত্ব পালন করতেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শামীম হোসেন জানিয়েছেন, ২ ডব্লিউ ক্যাম্পের একটি মসজিদের সামনে পেয়ে সৈয়দুল আমিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। পরবর্তীতে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তিনি বলেন, খবর পেয়ে উখিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান, রোহিঙ্গাদের মাঝে জনপ্রিয়তা শূণ্যের কোটায় নেমে আসা, প্রতিপক্ষ আরএসওর প্রতিরোধসহ নানা কারণে দুর্বল হয়ে পড়েছে আরসা।

মিয়ানমারের মংডু থেকে ২০১৭ সালে পালিয়ে আসার আগে থেকেই আরসার সাথে সখ্যতার কারণে সংগঠনটির হয়ে ২ ডব্লিউসহ কুতুপালংয়ের ৪টি ক্যাম্পে অবৈধ রেশন বাণিজ্য সামলানোর দায়িত্ব পান সৈয়দুল আমিন।

সম্প্রতি আরসার প্রভাব হ্রাস পাওয়ায় সংগঠনটিকে নির্ধারিত চাঁদার অংশ দেয়া বন্ধ করে নিজের মতো ব্যবসা করছিলেন তিনি। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে কৌশলে আরসার সদস্যরা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা ক্যাম্পের বাসিন্দাদের।

২ ডব্লিউ ক্যাম্পের এ ব্লকে বাস করা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রোহিঙ্গা জানান (অডিও সংরক্ষিত), " সৈয়দুল আমিন একসময় আরসা করতেন, আরসাকে প্রতিমাসে রেশন ব্যবসা থেকে মোটা অংকের টাকা দিতেন। শুনেছি আরসার নেতারা ক্যাম্প ছেড়ে চলে যাওয়ায় তিনি তাদের কে টাকা দিতেন না, ফলে আরসা তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিলো।"

অন্যদিকে পার্শ্ববর্তী ব্লকের এক মাঝি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সৈয়দুল আমিন টাকা দেওয়া বন্ধ করায় ওই ক্যাম্পে নিজেদের পক্ষের লোকজনকে রেশন তোলার দায়িত্ব দেয় আরসা নেতা হালিম।

ঘটনার সময় রেশনের চাল নিয়ে হাতাহাতি হলে হালিমের লোকজন সৈয়দুল আমিনকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় বলে জানান তিনি।

ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দায়িত্বরত ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটেলিয়ন (এপিবিএন) এর অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল (অতিরিক্ত ডিআইজি) এ প্রসঙ্গে বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর থেকে এ ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে অভিযান চলছে। কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটলো সেই রহস্যও উদঘাটন করা হবে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে এপিবিএনের তৎপরতা অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

   

খাগড়াছড়িতে বজ্রপাতে মা-ছেলের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, খাগড়াছড়ি
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় বজ্রপাতে বাড়িতে লাগা আগুনে পুড়ে মা ও ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ মে) ভোর ৫ টার দিকে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের মধ্য বেতছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাকী আক্তার।

নিহতরা হলেন- দীঘিনালার মধ্যবেতছড়ির পরিবহন শ্রমিক ছাদেক মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও তাদের ৮ বছরের ছেলে মো. হানিফ মিয়া।

স্থানীয়রা জানায়, ভোর রাতে ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাতে ছাদেক মিয়ার মাটির ঘরের টিনের চালে আগুন লেগে যায়। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা তার স্ত্রী হাসিনা বেগম ও ছেলে হানিফ মিয়া আগুনে পুড়ে মারা যায়। খবর পেয়ে দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাকী আক্তার জানান, ভোর রাতে বজ্রপাতে বাড়ির চালে আগুন লেগে মা ও ছেলে পুড়ে মারা গেছে। নিহতের পরিবারকে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধি মোতাবেক সহযোগিতা দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।

;

ঢাকায় আসছেন আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক অ্যামি পোপ। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামির সফরে অভিবাসন এবং রোহিঙ্গা ইস্যু গুরুত্ব পাবে।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ সফরে আসছেন তিনি। 

জানা গেছে, সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ঢাকা সফর করবেন জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা। আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপকে দিয়ে শুরু হচ্ছে এই সফর।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আইওএম মহাপরিচালক ৫-৯ মে পর্যন্ত বাংলাদেশ সফর করবেন। অ্যামি কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনের মধ্য দিয়ে তার সফরের কর্মসূচী শুরু করবেন।

ঢাকার এক কূটনীতিক জানান, জাতিসংঘের সঙ্গে আমরা কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপন করছি। তারই অংশ হিসেবে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানকে বাংলাদেশে যতটা সম্ভব আনা যায় সেই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। সংস্থাটির সব প্রধানকে হয়তো আনা সম্ভব হবে না। তবে যতটা আনা যায় বা তারা বাংলাদেশ সফর করেন (সেই চেষ্টা করা হচ্ছে)। আইওএম ডিজি (মহাপরিচালক) দিয়ে সফরটা শুরু হচ্ছে। এ মাসের মাঝামাঝি এবং শেষের দিকেও কারও কারও আসার কথা রয়েছে। আমরা চেষ্টা করব, সারা বছর কাউকে না কাউকে আনতে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, চলতি মাসের মাঝামাঝিতে ঢাকা সফরে আসবেন জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের (ইউএনএফপিএ) নির্বাহী পরিচালক ড. নাতালিয়া কানেম। এছাড়া এ মাসের শেষের দিকে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (আইএমও) সেক্রেটারি জেনারেল আর্সেনিও ডমিঙ্গুয়েজের।

অভিবাসনের বাইরে অ্যামির সফরে রোহিঙ্গাদের অর্থায়ন প্রসঙ্গটি গুরত্ব পাবে জানিয়ে এক কূটনীতিক বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু তো তাদের ফোকাসে থাকবে। আইওএম ডিজি কক্সবাজার যাবেন। তিনি সঙ্গে করে কিছু দাতা নিয়ে আসার কথা রয়েছে। রোহিঙ্গাদের তহবিলের ব্যাপারটা আছে।

;

যেসব অঞ্চলে ৮০ কি.মি. বেগে ঝড়ের আশঙ্কা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ২ অঞ্চলের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদফতর। একইসঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

রোববার (৫ মে) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেয়া আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে পূর্বাভাসে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াখালী ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এ সময় বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বেশকিছু অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অধিদফতর। শনিবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার জন্য এই সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ খোন্দকার হাফিজুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে চলমান মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে। সেই সঙ্গে জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে।

;

রাজধানীতে দুই হোটেলে আগুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় আওতাধীন নীলক্ষেত মোড়ে ২টি হোটেলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ মে) দিবাগত রাত ১টা ৫ মিনিটের দিকে এই আগুনের সূত্রপাত হয়।

পরে খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ফায়ার সার্ভিসের পলাশী ব্যারাকের ২টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পলাশী ফায়ার স্টেশনের স্টেশন অফিসার জিহান রহমান নাবিল বলেন, রাত ১টার পর নীলক্ষেতে আগুনের খবর পেয়েছি। আমরা সাথে সাথে ঘটনাস্থলে আসি।

তিনি আরও বলেন, প্রথমে ২টি দোকানে আগুন দেখতে পাই। যার একটি বড় এবং আরেকটি ছোট দোকান। তবে দুটি দোকানই ছিল খবারের দোকান। এখন আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

অগ্নিকাণ্ডের কারণ জানা গেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত করা ছাড়া তাৎক্ষণিক বলা সম্ভব না। তবে ধারণা করছি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। তবে দোকান দুটির তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং আগুনে কোনও হতাহতের ঘটনাও ঘটেনি বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গভীর রাতে হঠাৎ করেই নীলক্ষেত মোড়ের সুলতানী ভোজ ও সিপি ফাইভ স্টার নামের দুইটি হোটেলে আগুন দেখা যায়। পরে নিরাপত্তা কর্মীরা সাথে সাথেই ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়।

 

;