ঘোড়াঘাটে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, দিনাজপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার অ্যান্ডটি মোড়ে ভুট্টা বোঝাই ট্রাকের সঙ্গে সার বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন ভুট্টার ট্রাকের চালক জয়পুরহাট সদর উপজেলার চৌমিহনী গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রাব্বী (৩৮) ও তার সহকারী (হেলপার) একই এলাকার রেজওয়ান হোসেন (৩২)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৬টার দিকে ঘোড়াঘাট উপজেলার টিঅ্যান্ডটি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, টিঅ্যান্ডটি মোড়ে দুই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই এক ট্রাকের চালক-হেলপার নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

   

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় কলকাতা-চট্রগ্রাম ফ্লাইট কক্সবাজারে জরুরি অবতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে কলকাতা থেকে আসা ইউএস-বাংলার ফ্লাইট চট্টগ্রামে নামতে না পেরে কক্সবাজারে জরুরি অবতরণ করেছে। যেখানে ৪৫ জন যাত্রী রয়েছে। তারা সবাই নিরাপদে আছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার (৬ মে) বিকেল ৫টায় কক্সবাজার বিমানবন্দরে ফ্লাইটটি অবতরণ করে।

বিমানবন্দরের এক কর্মকর্তা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে চট্টগ্রামে আসা কলকাতা থেকে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট কক্সবাজারে জরুরি অবতরণ করেছে। যেখানে ৪৫ জন যাত্রী আছে। তারা সবাই নিরাপদে আছেন। তাদেরকে বিমানের মধ্যেই খাবার দেওয়া হয়েছে।

এদিকে কক্সবাজারের উপর দিয়ে কয়েক ঘণ্টা ধরে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যাচ্ছে, সঙ্গে বজ্রপাতও হচ্ছে। এমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সবাই আতঙ্কে আছে। তবে কোথাও ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবরাখবর এখনো পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।

;

টানা তাপদাহের পর বৃষ্টিতে ভিজলো চুয়াডাঙ্গা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় টানা ৩৭ দিন তীব্র তাপদাহের পর অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এতে জনজীবনে নেমে এসেছে স্বস্তি। প্রকৃতি ফিরে পেয়েছে প্রাণ।

সোমবার (০৬ মে) বেলা ৩টা ৩৭ মিনিট থেকে দমকা হাওয়ার সাথে বজ্রসহ শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। ১ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট স্থায়ী এসময় মোট ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। 

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা গেছে, মার্চ মাসের ২৯ তারিখ থেকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় তাপপ্রবাহ শুরু হয়। পুরো এপ্রিল মাসজুড়ে ছিল মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপদাহের সাথে গরমের দাপট। এর মধ্যে গত ২৯ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গায় ৪৩ ডিগ্রি ও পরদিন ৩০ এপ্রিল সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা স্বাধীনতার পর থেকে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। ওই সময় স্থানীয় আবহাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছিল, মে মাসের ৫-৬ তারিখ নাগাদ এ জেলায় বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।


সোমবার বেলা তিনটায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫২ শতাংশ। সন্ধ্যা ছয়টায় তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে দাঁড়ায় ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৪ শতাংশ।

চুয়ায়াডা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, দুপুরের পর থেকেই চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানের আকাশে কালো মেঘে ঢেকে যায়। বেলা ৩টা ৩৭ মিনিট থেকে দমকা হাওয়ার সাথে শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। বিকেল ৫টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী ছিল বৃষ্টি। এসময় মোট ২৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সাথে ডায়ামিটারে ০১ সেন্টিমিটার শিলা রেকর্ড করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, এই বৃষ্টির মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গায় তাপপ্রবাহ শেষ হয়েছে। আগামী ১২-১৩ মে পর্যন্ত এ জেলায় থেমে থেমে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এসময় কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে, টানা তাপদাহের পর চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টিতে খুশি এ অঞ্চলের মানুষ। বৃষ্টি শুরুর পর শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষকে বৃষ্টির পানিতে ভিজতে দেখা গেছে। অনেকে উল্লাস উদযাপন করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা শহরের রিকশা চালক আজিজুর রহমান জানান, ‘অনেকদিন ধরি গরমে প্রায় মরে যাওয়ার অবস্থায় পড়েলাম, এখন পানি (বৃষ্টি) হওয়ায় খুব ভালো লাগছি। ভাড়া না হলেও খুব একটা আক্ষেপ নেই আর।’

চুয়াডাঙ্গা শান্তিপাড়ার কিশোর রাসেল আলী বলেন, ‘টানা রোদ-গরমের পর এমন বৃষ্টি হচ্ছে। তাই বৃষ্টির পানিতে ভেজার লোভ আর সামলাতে পারলাম না। আমার দেখাদেখি পাড়ার অনেক শিশু-কিশোর বৃষ্টিতে ভিজছে।’

;

বরগুনায় হঠাৎ বৃষ্টি, জনমনে স্বস্তি



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, বরগুনা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা তীব্র দাবদায়ের পর বরগুনায় হঠাৎ বৃষ্টি নেমেছে। এতে জনজীবনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে।

সোমবার (৬ মে) বিকেল ৫টার পর থেকে বরগুনার বিভিন্ন জায়গায় স্বস্তির বৃষ্টির সঙ্গে বইছে দমকা হাওয়াও।

বিকাল ৪টা থেকে আকাশে গুমোট ভাব দেখা যায়। এর কিছুক্ষণ পর কালো মেঘে অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে বরগুনার বিভিন্ন জায়গায়। আধঘণ্টা পরই বিভিন্ন জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়।

পথচারী সিফাত রিমা বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাজারে এসেছি বাচ্চা নিয়ে তীব্র গরমে দোকানে বসে থাকাই ছিল দুঃসাধ্য। আজ হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা শীতল অনুভূত হচ্ছে।

ব্যবসায়ী রুবেল বলেন, লোডশেডিংয়ে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সঙ্গে টানা কয়েকদিন ধরে তীব্র দাবদাহের কারণে সবখানে হাঁসফাঁস অবস্থা বিরাজ করছিল। বিকেলে আচমকা ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে খানিকটা সময় বৃষ্টি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি।

;

প্রয়োজনের তুলনায় ১ লাখ ৩৩ হাজার টন বেশি মাছ উৎপাদন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে প্রয়োজনের তুলনায় অন্তত ১ লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন মাছ বেশি উৎপাদন হয় বলে সংসদে জানিয়েছেন মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

সোমবার (৬ এপ্রিল) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. মাইনুল হোসেন খানের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ তথ্য জানান। এ সময় স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

মৎস ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী জানান, ২০২২-২৩ অর্থবছরে দেশে ৪৭ লাখ ৮২ হাজার মেট্রিক টন চাহিদার বিপরীতে মোট মৎস্য উৎপাদিত হয়েছে ৪৯ লাখ ১৫ হাজার মেট্রিক টন। ফলে দেশে প্রয়োজনের তুলনায় এক লাখ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন বেশি মাছ উৎপাদন হয়।

প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা ও গতিশীল নেতৃত্বে ২০১৬-১৭ সালে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টনের বিপরীতে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার মেট্রিক টন মাছ উৎপাদিত হয়। স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

এছাড়া, বিবিএসের তথ্য দিয়ে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের মানুষ দৈনিক গড়ে জনপ্রতি ৬৭.৮০ গ্রাম (জনপ্রতি বাৎসরিক ২৩.৭২ কেজি চাহিদার বিপরীতে ২৫.০০ কেজি) মাছ গ্রহণ করছে।

উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজস্ব ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পোনা অবমুক্তির কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের আওতায় ২১৫.৪৩ মেট্রিক টন এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০০.২৫ মেট্রিক টন পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে রাজস্ব খাতের আওতায় বিল নার্সারি কার্যক্রম বাস্তবায়নে সারা দেশে ৯১৭টি এবং উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১৭৪টি বিল নার্সারি স্থাপন করা হয়েছে। দেশীয় প্রজাতির মাছের বিলুপ্তি রোধ ও প্রাচুর্য রক্ষার্থে বর্তমানে দেশের বিভিন্ন নদ-নদী ও অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে স্থাপিত ৫০০টি অভয়াশ্রম সুফলভোগীদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হচ্ছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরে সালে রাজস্ব খাতের আওতায় ৩৮৯টি মৎস্য অভয়াশ্রম ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৭২টি মৎস্য অভয়াশ্রম মেরামত ও ব্যবস্থাপনা করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে মৎস্য অধিদফতরের আওতাধীন বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ৫ হাজার ৭ শত ৫৮ হেক্টর অবক্ষয়িত জলাশয় পুনঃখনন করে সংস্কার ও উন্নয়ন করা হয়েছে। খননকৃত জলাশয়ে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সুফলভোগীদের আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

;