পাঁচ দ্বিপাক্ষিক নথি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ- থাইল্যান্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: নথিতে স্বাক্ষর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

ছবি: নথিতে স্বাক্ষর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন এবং শুল্ক ও  মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সংক্রান্ত আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিন। 

ব্যাংককে থাই গভর্নমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর দুই রাষ্ট্র প্রধানের উপস্থিতিতে একটি চুক্তি, তিনটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) এবং একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষরিত হয়েছে।

নথিগুলোর মধ্যে রয়েছে অফিসিয়াল পাসপোর্ট হোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তি, জ্বালানি সহযোগিতা, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা এবং পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বিষয়ক সমঝোতা স্মারক এবং ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা সংক্রান্ত লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই)।

জ্বালানি সহযোগিতা ও পর্যটন সহযোগিতার বিষয়ে দুটি সমঝোতা স্মারকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, ভিসা অব্যাহতি  সংক্রান্ত চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এলওআই নথিতে সই করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু এবং শুল্ক বিষয়ে পারস্পরিক সহায়তা সংক্রান্ত আরেকটি এমওইউতে সাক্ষর করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর করার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দুই পক্ষ ২০২৪ সালের মধ্যে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নিয়ে আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছে এবং দুই দেশ এ বিষয়ে একটি লেটার অব ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষর করেছে।

তিনি বলেন, দুই দেশ থাই ও বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের মধ্যে সহজ যোগাযোগের সুবিধার্থে অফিসিয়াল পাসপোর্টহোল্ডারদের জন্য ভিসা ছাড় সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। তিনি আরো বলেন, থাই জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা থেকে সুফল লাভের লক্ষ্যে শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে এবং সর্বোত্তম পর্যটন অনুশীলন থেকে সুফল পেতে পর্যটন ক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

যৌথ সংবাদ সম্মেলনে থাই প্রধানমন্ত্রী বলেন, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) জন্য একসঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, লেটার অফ ইন্টেন্ট আলোচনার প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সহায়তা করবে।

তিনি বলেন, অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের জন্য ভিসা অব্যাহতির চুক্তি থাই ও বাংলাদেশী কর্মকর্তাদের আরও বেশি সফর বিনিময়ের জন্য সুবিধা দিবে। জ্বালানি সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক দুই দেশের সত্যিকারের সম্ভাবনা বাস্তবে রূপদান  করতে সাহায্য করবে।

এছাড়া, শুল্ক বিষয়ে সহযোগিতা ও পারস্পরিক সহায়তার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক কার্যকরভাবে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ এবং চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে। পর্যটন ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়ে সমঝোতা স্মারক সাক্ষরের ফলে উভয় দেশ পর্যটন ক্ষেত্রে জ্ঞান, অভিজ্ঞতা এবং সেরা অনুশীলন বিনিময় করার  সুযোগ পাবে।

এর আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে পৌঁছালে সেখানে থাই কুহ ফাহ ভবনের সামনের লাল গালিচা বিছানো লনে তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। তিনি এ সময় সেখানে থাই সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দলের দেয়া গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন।

স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসের অতিথি বইতে স্বাক্ষর করেন। প্রধানমন্ত্রী সেখানে একটি আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।

মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেওয়ার আগে শেখ হাসিনা গভর্নমেন্ট হাউসে একটি থাই হস্তশিল্প প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিল তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। থাই প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে ২৪ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ছয় দিনের সরকারি সফরে এখানে আসেন।

   

খিলক্ষেত এলাকায় নকশা বহির্ভূত ভবনে রাজউকের অভিযান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। নকশা বহির্ভূতভাবে ভবন নির্মাণ করা ভবন মালিকদের বিরুদ্ধে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। একই সঙ্গে কয়েকটি নকশা বহির্ভূত ভবনের আংশিক অপসারণও করা হয়।

সোমবার (৬ মে) সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম এর নেতৃত্ব এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণ করায় রাজউকের জোন ৪/৩ এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়েছে। রাজউকের কাছ থেকে নকশার অনুমোদন নেয়ার পর তার ব্যত্যয় করা গুরুতর অপরাধ। একই সঙ্গে এই ব্যত্যয় ঝুঁকি বাড়ায়। কারণ রাজউক যখন একটি নকশার অনুমোদন দেয় তখন অনেক কিছু বিবেচনা করেই দেন। আমরা অভিযানে দেখলাম নকশা বহির্ভূত নির্মাণাধীন ভবনগুলোর সেটব্যাক ও ভয়েড এ ব্যত্যয় করা হয়েছে। এ সময়ে নকশা বহির্ভূত কয়েকটি বহুতল ভবনের আংশিক অপসারণ করা হয়েছে। এছাড়াও পরবর্তীতে রাজউকের অনুমোদিত নকশা মেনে যাতে ভবন নির্মাণ করে সে বিষয়ে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।’

এ সময় ভ্রাম্যমান আদালতের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রাজউক জোন-৪ এর পরিচালক সাইফুল ইসলাম, অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী জোটন দেবনাথ, সহকারী অথরাইজড অফিসার, প্রধান ইমারত পরিদর্শক , ইমারত পরিদর্শকসহ রাজউকের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

অথরাইজড অফিসার প্রকৌশলী জোটন দেবনাথ বলেন, ভবন নির্মাণে রাজউক অনুমোদিত নকশা মেনে ভবন নির্মাণ করবে এবং রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী রেখে মানুষ চলাচলের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে সেই বিষয়ে জনসচেতনতা করা হয়েছে। নকশা মেনে ভবন নির্মাণ না করা হলে বাসিন্দাদেরই বিপদ হতে পারে। আর নির্মাণ সামগ্রী রাস্তায় রাখার মাধ্যমে দুর্ঘটনা যেমন ঘটে একই সাথে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়ে।

অভিযানের সময় স্থানীয়রা জানান, সামান্য লাভের জন্য নকশা অনুযায়ী অনেকে ভবন নির্মাণ করেন না। রাজধানীতে লাখ লাখ ভবন অনেক ভবনের বাসিন্দারাও জানেন না তার ভবনের বারান্দাটি নকশায় নেই। এটি ঝুঁকিপূর্ণভাবে করা হয়েছে। ভবন মালিক রাজউকের নকশা না মেনে কাজ করায় রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ অনেকে এসে কয়েকটি ভবনের আংশিক উচ্ছেদ করেছেন। উচ্ছেদ করা না হলে তারা জানতেনও না এই ভবনে নকশার এতো ব্যত্যয় করা হয়েছে। অভিযানে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এলাকার মানুষ সহযোগিতা করেছে। এলাকাবাসী মনে করেন রাজউক নিয়মিত এই ধরনের অভিযান চলমান রাখলে কেউ নকশা ছাড়া ভবন করতে সাহস পাবে না। এতে দুর্ঘটনা কমবে।

;

আঁধার নেমে বৃষ্টি এলো, স্বস্তি জনমনে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দিনের শুরু থেকে ফকফকা রোদের আলো। সঙ্গে ছিল কিছুটা উষ্ণতা। এরমধ্যে দুপুর দুইটা বাজতেই মেঘে ঢাকতে শুরু করে চট্টগ্রামের আকাশ। চারদিকে যেন নেমে এলো রাতের আঁধার।

সোমবার (০৬ মে) বিকেল ৩টার দিকে চট্টগ্রাম নগর ও আশেপাশের এলাকায় বজ্রপাতসহ তীব্র গতিতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শুরুর দিকে বৃষ্টির সঙ্গে তীব্র বাতাস থাকলেও কিছুক্ষণের ধীরে ধীরে এর গতি কমে আসে।


চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বিকেল তিনটা পর্যন্ত গেল ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে গেল কয়েকদিনের চেয়ে একটু ভারি বৃষ্টি হওয়ায় জনমনে স্বস্তি নেমেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বৃষ্টির ছবিও ভিডিও পোস্ট করে অনেককে সৃষ্টিকর্তার প্রশংসা করতে দেখা গেছে।


রেদওয়ান নামের একজন বৃষ্টির ভিডিও পোস্ট করে লেখেন, 'চট্টগ্রাম শহরে সে কী বৃষ্টি...'

নূর নওশাদ নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী ছবিসহ পোস্টে লেখেন, 'আসমানজুড়ে মেঘের ঘনঘটা...'


জাহাঙ্গীর আলম নাকে একজন লেখেন, 'প্রচণ্ড গরমের পরে চট্টগ্রামে শীতল ছোঁয়া নিয়ে এসেছে...'

রবিউল নামে এক যুবক বলেন, আমি অফিসে যাওয়ার জন্য দুপুরে ভাত খেয়ে বের হয়েছি। হঠাৎ দেখি পরো আকাশ আঁধার হয়ে বাঁধভাঙা বৃষ্টি নামা শুরু হয়েছে। এমন বৃষ্টি চট্টগ্রামে আজকেই প্রথম। সিইজি মোড়ে রাস্তায় জমে গেছেপানি।


পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মেঘনাৎ তংচঙ্গা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, গতকালের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে আজকে বৃষ্টি হবে। সকালে আকাশ পরিষ্কার থাকলেও দুপুর থেকে ধীরে ধীরে মেঘলা হয়ে বিকেল ৩টার দিকে বজ্রসহ ঝড়ো হাওয়া বইছে। কী পরিমাণ বৃষ্টি হচ্ছে সেটি সন্ধ্যা ৬টার পর জানা যাবে। তবে চট্টগ্রামে এখন থেকে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হবে।

এদিকে পুরোনো রীতিতে এক ঘণ্টার বৃষ্টিতে নগরের বিভিন্ন সড়কে পানি জমে থাকার খবর পাওয়া গেছে৷ সর্বশেষ এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চট্টগ্রামে বিরতিহীনভাবে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি ঝরছে।

;

উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে কোটিপতি চেয়ারম্যান প্রার্থী ৯৩: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশগ্রহণকারী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের মধ্যে ৯৩ জন কোটিপতি বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। আগের নির্বাচনের তুলনায় এ সংখ্যা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ (৫ম নির্বাচনে ছিলো ৩৭ জন)।

এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর মধ্যে ১৭ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যানদের মধ্যে ৬ জন কোটিপতি।

দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি সোমবার (৬ মে) উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণের এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়, অস্থাবর সম্পদের তালিকার শীর্ষে আছেন গোপালগঞ্জ সদরের কামরুজ্জামান ভূঁইয়া, তার মোট অস্থাবর সম্পদ ২৫.২৪ কোটি টাকা। তালিকার দুইয়ে কাউনিয়া উপজেলার আনোয়ারুল ইসলাম (২০.৩০ কোটি টাকা)। তিনে আছেন আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরী। তার অস্থাবর সম্পদের মূল্য ১৮.৮৫ কোটি টাকা। আতাহারের পিতা একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য।

এছাড়া নির্বাচনের প্রথম ধাপে অংশগ্রহণকারী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের ৬৯.৮৬ শতাংশই নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১.১৯ শতাংশ পেশা হিসেবে দেখিয়েছেন কৃষি কাজকে। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে আইনজীবী (৬.৩২ শতাংশ) ও শিক্ষক (৪.১৫ শতাংশ)। একইভাবে ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীদের অর্ধেকের বেশি (৬৯.৫৯ শতাংশ) নিজেকে ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। তৃতীয় ও চতুর্থ অবস্থানে রয়েছেন চাকরিজীবী ও শিক্ষক। তাদের হার যথাক্রমে ৬.০১ শতাংশ ও শিক্ষক ৩.৮৪ শতাংশ।

সেই সঙ্গে স্থাবর সম্পদের হিসাবে দেখা যায়, কমপক্ষে ১ একর জমি আছে প্রথম ধাপে এমন প্রার্থীর সংখ্যা ৫৫০ জন, যা মোট প্রার্থীর ৩৪.৪০ শতাংশ। তাছাড়া ২৬.৫৮ শতাংশ প্রার্থীর বাণিজ্যিক বা আবাসিক দালান আছে, বাড়ি বা অ্যাপার্টমেন্ট আছে ৩৫.৫৮ শতাংশ প্রার্থীর। খামার বা বাগান রয়েছে এমন প্রার্থীর হার ৫ শতাংশ। অবশ্য তুলনামূলক চিত্র বিবেচনায় ক্রমান্বয়ে কমেছে কমপক্ষে এক একর জমি আছে এমন প্রার্থীর সংখ্যা।

এবার ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৭৬টি উপজেলায় চার ধাপে ভোটগ্রহণ করছে নির্বাচন কমিশন। ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৫০টি উপজেলায় ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম ধাপে ২২ টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দু’টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

ঝিনাইদহ-১ উপ-নির্বাচনে ঋণ খেলাপিদের তথ্য চায় ইসি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত ঝিনাইদহ-১ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের ঋণ খেলাপিদের তথ্য দিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংস্থাটির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান ইতিমধ্যে চিঠি পাঠিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধি অনুসারে ঋণ খেলাপী ব্যক্তিগণ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন না। উল্লিখিত নির্বাচনে ঋণ খেলাপী ব্যক্তিগণ মনোনয়নপত্র দাখিল করলে যাতে তাদের প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য ঘোষণা করা যায়, তার জন্য আইনে নির্ধারিত সকল ব্যাংক হতে ঋণ খেলাপী সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা আবশ্যক।

মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন বিকাল ৪টার পর মনোনয়নপত্র দাখিলকারীদের নাম, পিতা/মাতা/ স্বামীর নাম ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক স্ব-উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের নিকট হতে সংগ্রহ করার জন্য এবং সে আলোকে বিভিন্ন ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠান হতে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে ঋণ খেলাপী সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করার জন্য নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন।

এই অবস্থায়, উল্লিখিত নির্বাচন উপলক্ষে ঋণ খেলাপী সংক্রান্ত তথ্য মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের পূর্বে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারকে প্রদান এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণকে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা প্রদানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ ৭ মে, মনোনয়নপত্র বাছাই ৯ মে, বাছাইয়ের বিরুদ্ধে আপিল ১০ থেকে ১৪ মে, আপিল নিষ্পত্তি ১৫ মে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৬ মে এবং প্রতীক বরাদ্দ ১৭মে। রির্টার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন খুলনা অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা।

এই আসন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে নির্বাচিত সদস্য ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন গত ১৬ মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। তার মৃত্যুতে আসনটি ওইদিনই শূন্য হয়।

;