রোববার ৫ নির্দেশনায় খুলছে প্রাথমিক, বন্ধ থাকবে প্রাক প্রাথমিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রোববার ৫ নির্দেশনায় খুলছে প্রাথমিক, বন্ধ থাকবে প্রাক প্রাথমিক

রোববার ৫ নির্দেশনায় খুলছে প্রাথমিক, বন্ধ থাকবে প্রাক প্রাথমিক

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকা সারা দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলছে আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল)। তবে বন্ধ থাকবে প্রাক প্রাথমিক বিদ্যালয়। 

প্রাথমিকে এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সকাল ১১ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহে ১ম শিফট সকাল ৮ টা থেকে সকাল ৯ টা ৩০ এবং দ্বিতীয় শিফট ৯ টা ৪৫ মিনিট থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলবে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য অফিসার মাহবুবুর রহমান তুহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান,  চলমান তাপদাহের কারণে কোমলমতি শিশুদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বিবেচনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্ট পরিচালিত প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে নিম্নোক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

# আগামী ২৮ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণি কার্যক্রম চলমান থাকবে।

# একশিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহ প্রতিদিন সকাল ৮ থেকে সকাল ১১.৩০ পর্যন্ত চলবে

# দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়সমূহে ১ম শিফট সকাল ৮ টা থেকে সকাল ৯টা ৩০ মিনিট এবং দ্বিতীয় শিফট ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে ১১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত চলমান থাকবে।

# প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

# তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

   

প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলা ভোট চলছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলা ভোট চলছে

প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলা ভোট চলছে

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। দেশের ১৩৯ উপজেলায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন।

এই ধাপে ১৩৯ উপজেলার ২২টিতে ইভিএমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। মঙ্গলবার (৭ মে) এসব উপজেলার ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনি সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে। এর আগে সোমবার মধ্যরাতে এসব উপজেলায় প্রচারণা শেষ হয়েছে।

এই নির্বাচনে এক হাজার ৬৩৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে আট, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ করে অর্থাৎ ২৮ জন ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন।

এবার স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে ৪ ধাপে। প্রথম ধাপের ভোট হবে রাজশাহী, রংপুর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেট, কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৩৯টি উপজেলা পরিষদে।

এবার চার ধাপে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আয়োজন করছে নির্বাচন কমিশন। দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে ৪৮০টি উপজেলায় নির্বাচনের জন্য তফসিল ঘোষণা করেছে কমিশন।

উল্লেখ্য, ২১ মে দ্বিতীয় ধাপে ১৬০টি উপজেলায়, ২৯ মে তৃতীয় ধাপে ১১০ উপজেলায় এবং ৫ জুন চতুর্থ ধাপে ৫০টির বেশি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করা হবে।

প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় আজ ভোট
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে চলবে টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। উপজেলা নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।

ইসি সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলার মধ্যে ২২টিতে ইভিএম এবং বাকিগুলোতে ব্যালটে ভোট হবে। এই ধাপে মোট ১ হাজার ৬৩৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এরমধ্যে চেয়ারম্যান পদে ৫৭০, ভাইস চেয়ারম্যান ৬২৫ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৪০ জন প্রার্থী রয়েছেন। প্রথম ধাপে চেয়ারম্যান পদে ৮, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১০ জন করে মোট ২৮ জন প্রার্থী ইতোমধ্যে বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিজয়ী হয়েছেন।

ইসি জানায়, বিনা-প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পাঁচ উপজেলার তিন পদে সবাই নির্বাচিত হয়েছে। তাই ওই পাঁচ উপজেলায় নির্বাচনের প্রয়োজন হবে না। উপজেলাগুলো হলো- নোয়াখালী জেলার হাতিয়া, মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা ,বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলা, ফেনী জেলার পরশুরাম ও মাদারীপুর জেলার শিবচর। যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান থাকায় পার্বত্য জেলা বান্দরবনের তিনটি উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত রেখেছে ইসি।


ভোট কেন্দ্রের নিরাপত্তা

গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র ও সাধারণ কেন্দ্র বিবেচনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইসি। সেই হিসেবে সাধারণ কেন্দ্রে ১৭ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৮ বা ১৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া দুর্গম এলাকায় সাধারণ কেন্দ্রে ১৯ জন ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ২০ বা ২১ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। উপজেলার আয়তন, ভোটার সংখ্যা ও ভোটকেন্দ্রের গুরুত্ব বিবেচনায় প্রতি উপজেলায় ২ থেকে ৪ প্লাটুন বিজিবি দায়িত্ব পালন করবেন।

উপকূলীয় এলাকার দ্বীপাঞ্চলে কোস্টগার্ড মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। ভোটারদের নিরাপত্তায় পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি'র ভ্রাম্যমাণ ও স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে আনসার ব্যাটালিয়ন মোবাইল/স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোট গ্রহণের আগের দুই দিন, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরের দুইদিন মোট পাঁচদিন নিয়োজিত থাকবেন।

ইসি জানায়, ভোটারের নিরাপত্তায় মাঠে রয়েছে ১৪ হাজার ৬১০ জন বিজিবি সদস্য, ৪১ হাজার ৫৩০ জন পুলিশ এবং পুলিশের ১১ হাজার ৮৮৩ জন ভ্রাম্যমাণ টিম রয়েছে। এছাড়াও স্ট্রাইকিং ফোর্স ও অন্যান্য দায়িত্বে রয়েছে পুলিশের ২৯ হাজার ২২০ জন সদস্য। অন্যদিকে র‌্যাবের দুই হাজার ৬৪৮ জন ও আনসারের এক লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছেন।

এদিকে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে ৪০০ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছেন। আর বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন ১৩৯ জন।

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ব্যবস্থা

নির্বাচনের দিন ভোট হওয়া উপজেলাগুলোতে যান চলাচলে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই অনুযায়ী, আজ রাত ১২টা থেকে আগামীকাল বুধবার অর্থাৎ ভোট গ্রহণের দিন রাত ১২টা পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোটসহ অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এছাড়া ইতোমধ্যে মোটরসাইকেল চলাচল বন্ধ রয়েছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।

তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোট গ্রহণের তিন দিন পূর্ব পর্যন্ত আচরণ বিধি প্রতিপালন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও প্রতিরোধে প্রতি উপজেলায় একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোট গ্রহণের তিনদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত প্রতি তিন ইউনিয়নের জন্য একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া ভোট গ্রহণের দুইদিন পূর্ব থেকে ভোট গ্রহণের দুইদিন পর পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন।

মোট ভোট কেন্দ্র

প্রথম ধাপে ১১ হাজার ৫৫৬ কেন্দ্রের ৮১ হাজার ৮০৪ ভোট কক্ষে ৩ কোটি ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ১০২ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এরমধ্যে পুরুষ ১ কোটি ৬০ লাখ ২ হাজার ২২৪, নারী ১ কোটি ৫৪ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯০ এবং ১৮৮ জন হিজড়া ভোটার রয়েছেন।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল জানান, দলীয় প্রতীকে উপজেলা নির্বাচনের সুযোগ থাকলেও দলীয় মনোনয়ন না থাকায় স্বতন্ত্র হয়ে লড়ছেন প্রার্থীরা। এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। স্থানীয় সরকারের ভোট হওয়ায় মন্ত্রী-এমপিদের প্রভাব বিস্তার প্রতিরোধে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। প্রভাব বিস্তারের কারণে কিছু কিছু অ্যাকশন নিয়েছি।

সিইসি জানান, মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি প্রতিদিনই সব সময় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা হচ্ছে। এটা নিশ্চিত করতে হবে নির্বাচনটা যেন অবাধ, নিরপেক্ষ হয়। বিশেষ করে নির্বাচনের দিন কেউ যেনো ভোটকেন্দ্রে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এবং সেখানে যেন অনিয়ম না হয়-সে বার্তাটি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের দেওয়া হয়েছে।

দেশের ৪৯৫টি উপজেলার মধ্যে চার ধাপে ৪৭৬টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে কিছু উপজেলায় তফসিল ঘোষণার মামলা জটিলতা ও বৈধ প্রার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বাকি ১৯টি উপজেলা পরিষদে নির্বাচনের সময় হয়নি, পরবর্তীতে সে সব পরিষদে ভোট নেওয়া হবে জানিয়েছে সাংবিধানিক সংস্থাটি।

এদিকে ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ৮ মে ভোট অনুষ্ঠিত হবে, দ্বিতীয় ধাপে ১৬০ উপজেলায় ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২ উপজেলায় ২৯ মে ও চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ৫ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার। প্রথম ধাপে ২২টি, দ্বিতীয় ধাপে ২৪টি, তৃতীয় ধাপে ২১ ও চতুর্থ ধাপে দুটি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

;

ভোটার উপস্থিতি কম, অনেক কেন্দ্র ফাঁকা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাটে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে দুই উপজেলায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। তবে ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি তেমন নেই। ভোটকেন্দ্র একেবারেই ফাঁকা রয়েছে। 

বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টা থেকে হাতীবান্ধা ও পাটগ্রামে এ দুই উপজেলায় ১৪৮ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোট গ্রহণ চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।

বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় এ নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি সকাল আটটা থেকে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে কোনো ভোটারই ছিল না। তবে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তার ধারণা বেলা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।

নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, লালমনিরহাটের পাটগ্রামে উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছেন। প্রার্থীরা হলেন, রুহুল আমিন বাবুল (আনারস), রেজাউল করিম (টেলিফোন) ও ওয়াজেদুল ইসলাম শাহিন (ঘোড়া)। আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোফাজ্জল হোসেন লিপু (টিউবওয়েল), আব্দুল্লাহ আল মামুন শুভ (চশমা)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লতিফা আক্তার (কলস), রেজওয়ানা পারভীন সুমি (ফুটবল) ও মির্জা সাইরী তানিয়া (পদ্মফুল)। এই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ ৮১ হাজার ০৯৮ জন। এর মধ্যে পরুষ ভোটার ৯১ হাজার ৩৮২ জন ও মহিলা ভোটার ৮৯ হাজার ৭১৫জন। তাদের মধ্যে একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন। মোটর কেন্দ্র ৭৬টি।

আর হাতীবান্ধা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন। এর মধ্যে একজন নারী।, এই নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৬ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন ৩ জন প্রার্থী।

তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন বাচ্চু (কাপ-পিরিচ), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মশিউর রহমান মামুন (ঘোড়া), জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও পাটিকাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুল আলম শাহাদাতের স্ত্রী শাহানা ফেরদৌসী সীমা (আনারস) ও রেজাউল করিম সরকার (মোটরসাইকেল)।

এছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে আলা উদ্দিন মিয়া (মাইক), দুলাল চন্দ্র রায় (বৈদ্যুতিক বাল্ব) ও আনোয়ার হোসেনের (তালা), মোস্তাফিজুর রহমান মঞ্জু (চশমা), বাপ্পি শোয়েব আহমেদ (উড়ো জাহাজ), সাবেরুল ইসলাম চঞ্চল (টিয়া পাখি), জুয়েল ইসলাম (টিবয়েল)। আর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাকতুফা ওয়াসিম বেলী (ফুটবল), শারমিন সুলতানা সাথী (কলস), নাসরিন বেগম (পদ্মফুল)। হাতীবান্ধা উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ২ হাজার ২১৩টি। তার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ১ হাজার ৫৮৮ ও মহিলা ১ লক্ষ ৬২৫জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৭২টি। 

লালমনিরহাট রিটার্নিং কর্মকর্তা লৎফর কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, এসব ভোট কেন্দ্রে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি কড়া নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। কেন্দ্রের বাইরে স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল টিম ও স্পেশাল চেকপোস্ট। এছাড়া দুই উপজেলায় প্রায় ৫ হাজার পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।

;

তেঁতুলিয়ায় বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পঞ্চগড়
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

বুধবার (৮ মে) সকালে তেঁতুলিয়া উপজেলার খয়খাটপাড়া এলাকার সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ভারতীয় পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে গেছে।

নিহতরা হলেন- তেঁতুলিয়া উপজেলার মাগুড়া গ্রামের জুনু মিয়ার ছেলে জলিল (২৪) ও তিরনইহাট ব্রমতোল গ্রামের কেতাব আলীর ছেলে ইয়াসীন আলী (২৩)।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার।

তিনি বলেন, বিজিবি বিষয়টি অবগত করেছে। তবে প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, গরু চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ওই দুই যুবক।

;

রাজধানীর সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় ডিএমপি কমিশনারের বিশেষ উদ্যোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যানজট নিরসন করে সড়ক, মহাসড়কে নির্বিঘ্নে সুষ্ঠু নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিতে এক বিশেষ উদ্যোগ হাতে নিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান।

দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন ঢাকা মহানগরীর ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে, যা মহানগরবাসীর জন্য এক বড় আকাঙ্ক্ষা।

পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে ইতোমধ্যে মহানগরীর ট্রাফিক যানযট সহনীয় পর্যায়ে এসেছে এবং ট্রাফিক সার্কুলেশন পরিকল্পনায় নতুনত্ব এসেছে। স্বস্তিতে সবাই সহজে যাতায়াত করতে পারছেন বলে জানিয়েছে ডিএমপি।

বিশেষ করে গত রমজান মাসে ও ঈদুল ফিতরে ঢাকা মহানগরীর ৮টি ট্রাফিক বিভাগের সব রাস্তায় বিশেষ অভিযান ও কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন করে মহানগরীর যানযট সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছিল। সেসময় মহানগরবাসীর ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছিলেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।

রাজধানীর নিরাপদ যাতায়াত ও সার্বিক নিরাপত্তায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঈদুল ফিতরের পর থেকে বিশেষ চেকপোস্ট ও বিশেষ অভিযানের বিশেষ নির্দেশনা প্রদান করেন তিনি।

ডিএমপির ৮ ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতা

ঢাকার রাস্তার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ছবি- সংগৃহীত

ডিএমপির ৮টি ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনারদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে অপরাধীদের নিয়ন্ত্রণ করতে এবং আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে কেউ যেন ছদ্মবেশে পালিয়ে যেতে না পারেন, সেজন্য প্রতিনিয়ত অভিযান পরিচালনা করছে ট্রাফিক বিভাগ।

ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনায় অননুমোদিত স্টিকার সম্বলিত যানবাহন, অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যাপক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি ট্রাফিক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সের এবং মাঠ পর্যায়ের ট্রাফিক সদস্যরা প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন।

এতে করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অংশীজন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এছাড়াও ঢাকা মহানগরীতে রাতে যেসব কাগজপত্রবিহীন ট্রাক বালি, মাটি ও ইটসহ নানাবিধ মালামাল বহন করে, সেসব ট্রাকের বিরুদ্ধে প্রতিটি ট্রাফিক জোন ও বিভাগের সদস্যরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।

এবিষয়ে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-অ্যাডমিন অ্যান্ড রিসার্চ) ও প্রকল্প ম্যানেজার, ঢাকা রোড ট্রাফিক সেফটি প্রজেক্ট (ডিআরএসপি) মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. মুনিবুর রহমান ও যুগ্ম পুলিশ কমিশনারের (ট্রাফিক) সার্বিক সমন্বয় ও তত্ত্বাবধানে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনাগুলো যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে এবং প্রতিদিনের অভিযানের ফলাফল সংগ্রহ করে, তা বিশ্লেষণের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীর যানযট নিরসনে টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, এছাড়াও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে এবং জনসাধারণের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে যেসব হকার ও গাড়ির ভ্রাম্যমাণ কাউন্টার ফুটপাত ও রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছে, ডিএমপি কমিশনারের বিশেষ নির্দেশনায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাস্তা ও ফুটপাত যান চলাচল ও জনসাধারণের চলাচলের উপযোগী করা হচ্ছে।

অবৈধ যানবাহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এছাড়াও অবৈধ ব্যাটারিচালিত রিকশার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি মূলসড়কে যেন অযান্ত্রিক যান চলাচল না করতে পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।

তিনি জানান, ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের নির্দেশিত ছক অনুযায়ী ৮টি ট্রাফিক বিভাগ থেকে ব্যাটারিচালিত অবৈধ রিকশা, অবৈধ যানবাহন, মাটির ট্রাক ও হকারদের তালিকাও সংগ্রহ করা হচ্ছে পরবর্তী ব্যবস্থাপনা ও বিশ্লেষণের জন্য। নিরাপদ যাতায়াত ও জনসেবায় সব সময় কাজ করে যাচ্ছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।

;