থাই ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
থাই ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

থাই ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার থাইল্যান্ডে সরকারি সফর চলাকালে শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ব্যাংককের স্থানীয় একটি হোটেলে থাইল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত ব্যবসায়িক সভায় তিনি এই আহবান জানান।

বিশিষ্ট থাই ব্যবসায়ীবৃন্দ এবং অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, থাইল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুল হাই, বাংলাদেশে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

সভায় হাছান মাহমুদ বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি গত ১৫ বছরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সকল সূচকে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের সফল স্নাতক হওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেন।

ড. হাছান আসিয়ান অঞ্চলে বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার হিসেবে থাইল্যান্ডের তাৎপর্যও তুলে ধরেন। তিনি দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি শুরু করতে অভিপ্রায় পত্রে (এলওআই) সই করার কথাও উল্লেখ করেন। এছাড়া দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়ানো এবং বাণিজ্য ঘাটতি ভারসাম্যের জন্য এফটিএ দ্রুত শুরু করার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

   

শ্যামাসুন্দরী খাল একদিনে পরিস্কার করার উদ্যোগ রসিকের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রংপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঐতিহ্যবাহী শ্যামাসুন্দরী খাল পরিস্কার করাসহ দূষণ রোধে জনসচেতনতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে রংপুর সিটি কর্পোরেশন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে নগর ভবনের সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান।

আগামী ১১ মে শনিবার একযোগে খালের পাঁচ কিলোমিটার পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করার মধ্যদিয়ে শ্যামাসুন্দরী পুনরুজ্জীবন ও সচল রাখার কার্যক্রম শুরু হবে। এদিন সকাল ৯টা থেকে একযোগে ১৫টি পয়েন্টে স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন বিডি ক্লিনের ১ হাজার সদস্যসহ সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা শাখার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা খাল পরিস্কার কার্যক্রমে অংশ নিবেন।

শ্যামাসুন্দরী খাল রংপুর জেলা প্রশাসনের সম্পত্তি হওয়ায় এটি দখলমুক্ত করার কার্যক্রমসহ বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে নানান প্রতিবন্ধকতা রয়েছে উল্লেখ করে সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান বলেন, প্রায় ১৫ দশমিক ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং স্থানভেদে ২৩ থেকে ৯০ ফুট প্রশস্ত এই খাল সিটি এলাকার উত্তর পশ্চিমে কেল্লাবন্দস্থ ঘাঘট নদী থেকে শুরু হয়ে নগরীর সব পাড়া-মহল্লার বুক চিরে ধাপ পাশারিপাড়া, কেরানীপাড়া, মুন্সীপাড়া, ইঞ্জিনিয়ারপাড়া, গোমস্তাপাড়া, সেনপাড়া, মুলাটোল, তেঁতুলতলা শাপলা চত্বর, নূরপুর, বৈরাগিপাড়া হয়ে মাহিগঞ্জ সাতমাথা রেলগেট এলাকায় কেডি ক্যানেল স্পর্শ করে খোকসা ঘাঘট নদীতে মিশেছে।

এই খাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করাসহ দূষণমুক্ত রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ১১ মে শনিবার বিডি ক্লিন (স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন) এর মাধ্যমে শ্যামাসুন্দরী খাল একযোগে একদিনে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে।

পরিচ্ছন্নতার সুফল সম্পর্কে নগরবাসীকে বেশি করে সচেতন করতে সবাইকে যার যার জায়গা থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে মেয়র মোস্তফা বলেন, শ্যামাসুন্দরী খালের আশেপাশে বসবাসরত নগরবাসীকে সচেতন হবে। শনিবার (১১ মে) পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের পর শ্যামাসুন্দরী খালে নতুন করে ময়লা ফেলা এবং পয়ঃনিষ্কাশনের জন্য অবৈধ স্যুয়ারেজ সংযোগ প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে রংপুর
সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে তদারকি কার্যক্রম চলমান থাকবে। প্রয়োজনে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনাসহ অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এসময় আগামী তিন মাসের মধ্যে শ্যামাসুন্দরী খাল খনন ও সংস্কারসহ আধুনিকায়নে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রজেক্ট ডিজাইন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করার জন্য চেষ্টা চলছে বলেও জানান মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- প্যানেল মেয়র মাহাবুবার রহমান মঞ্জু, তৌহিদুল ইসলাম, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ফাতিমা, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (সিনিয়র সহকারী সচিব) মাহমুদ হাসান মৃধা, তত্বাবধায়ক প্রকোশলী (চ. দা.) মো. আজম আলী, নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আনিচুজ্জামান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ইবনে তাজসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, বিডি ক্লিনের প্রতিনিধি ও সিটির বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তাবৃন্দ।

;

কুড়িগ্রামে শিশুদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বংলাদেশ শিশু একাডেমি আয়োজিত ‘বাংলার বৈশাখ, বাংলার নাচ’ শীর্ষক লোকনৃত্যের আসরের স্কুল পর্যায়ের জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কুড়িগ্রামে।

শুক্রবার ও শনিবার (১০, ১১ মে) এই দুইদিন এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে।  শুক্রবার (১০ মে) চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা হওয়ার পর আগামী শনিবার (১১ মে) বিকেলে পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং জেলা প্রশাসন কুড়িগ্রামের সহযোগিতায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি বাংলা নববর্ষ ১৪৩১-এ বৈশাখী উৎসবের রং প্রাণে ছড়িয়ে দিতে এই আয়োজন কুড়িগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজির লিটন।

তিনি জানান, একই স্কুলের ৫ জন শিশু নৃত্যশিল্পীকে নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে। এবারের এই প্রতিযোগিতায় সারাদেশের ৩০৫টি স্কুলের শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিযোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৫২৫ জন। এদের মধ্যে মেয়েশিশু ১ হাজার ৩৭২ জন এবং ছেলেশিশু ১৫৩ জন।

আনজির লিটন বলেন, জেলা থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকারী বিজয়ী দুইটি দল বিভাগীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণ করে। বিভাগীয় পর্যায়ের বিজয়ী দুইটি দল চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের জন্য আজ কুড়িগ্রামে এসেছে। শুক্রবার (১০ মে) চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রতিযোগিতায় ৮টি বিভাগ থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল পর্যায়ের প্রথম স্থান অধিকারী বিজয়ীরা অংশগ্রহণ করছে। এখান থেকে প্রাথমিক পর্যায়ের ৩টি এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩টি বিজয়ী স্কুলদলকে পুরস্কৃত করা হবে।

শনিবার (১১ মে) বিকেল ৩ টায় শেখ রাসেল অডিটোরিয়াম, কুড়িগ্রামে পুরস্কার প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক এ আয়োজনের উদ্বোধন করবেন বলে জানিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কুড়িগ্রাম-২ আসনের সাংসদ হামিদুল হক খন্দকার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন ড. রওশন আরা বেগম, অতিরিক্ত সচিব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়; আল আসাদ মো: মাহফুজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার, কুড়িগ্রাম; মো: কাজিউল ইসলাম, মেয়র, কুড়িগ্রাম পৌরসভা; প্রফেসর মির্জা মো: নাসির উদ্দিন, অধ্যক্ষ, কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ; জনাব এস এম আব্রাহাম লিংকন, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত, আইনজীবী ও সমাজ গবেষক। এছাড়াও উপস্থিত থাকবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট নৃত্যশিল্পী শিবলী মোহাম্মদ এবং শামীম আরা নিপা। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ।

এর আগে ২০১৮ সালে এই প্রতিযোগিতা প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছিল চট্টগ্রামে। এরপর ২০১৯ সালে রাজশাহীতে ২য় বারের মতো এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ধাপ অনুষ্ঠিত হয়েছিল। করোনার প্রভাবে দীর্ঘ বিরতির পর এবছরের অনুষ্ঠান ৩য় বারের মতো কুড়িগ্রামে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

কুড়িগ্রাম জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা মো: মঞ্জুরুল কাদির বলেন, ইতোমধ্যে সব বিভাগ থেকে প্রতিযোগীরা আসতে শুরু করেছে। আমরা তাদের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করছি।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক সাইদুল আরিফ বলেন, অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করতে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়াও আগামী শনিবার (১১ মে) বিকেলের পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রামের সর্বস্তরের জনগণকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।

;

সাতক্ষীরার বাজারে গোপালভোগ, বোম্বাই, গোপালখাস আম



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় গাছ থেকে আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আমের গুণগত মান বজায় রেখে নিরাপদে আম বাজারজাত করতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া নির্ধারিত সময় অনুযায়ী জেলায় আম সংগ্রহ শুরু করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) সকালে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে আম সংগ্রহের কার্যকারিতা উদ্বোধন করেন জেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম। সদর উপজেলা কুখরালীর আমচাষি মোকছেদ মোড়লের আম বাগান থেকে এসব আম সংগ্রহ করা হয়।

এসময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়াইব আহমদের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপপরিচালক ইকবাল আহমেদ, সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনির হোসেন, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ইয়াসির আরাফাত প্রমুখ।

সাতক্ষীরার বাজারে গোপালভোগ, বোম্বাই, গোপালখাস আম, ছবি- বার্তা২৪.কম 

সাতক্ষীরা সদরের আমচাষি মোকছেদ আলীসহ অন্যরা জানান, মৌসুম শুরুর আগে বাজারে আম ওঠায় সাতক্ষীরার আমের চাহিদা একটু বেশি। তবে জেলা প্রশাসন ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, ২২ মে হিমসাগরসহ অন্যান্য আম সংগ্রহ করলে বাজারে সাতক্ষীরার আমের চাহিদা কমবে। অন্যদিকে, বৈরী আবহাওয়ায় আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কাও আছে।

এদিকে, সাতক্ষীরার আমের কদর রয়েছে বিশ্বজুড়ে। সে কারণে গুণগত মানের আম সরবরাহে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন বেঁধে দিয়েছে আম সংগ্রহের নির্ধারিত সময়। আমের জাত ভেদে আমগাছ থেকে সংগ্রহের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আম সংগ্রহ ও বাজার জাতকরণ ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে। তবে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এক সপ্তাহ এগিয়ে ৯ মে গোপালভোগ, বোম্বাই, গোপালখাস, বৈশাখীসহ স্থানীয় জাতের আম, ১১ মে গোবিন্দভোগ, ২২ মে হিমসাগর, ন্যাংড়া আম ২৯ মে, আম্রপালী আম ১০ জুন সংগ্রহের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

;

দেশে ৩৮ দিনে বজ্রপাতে ৭৪ জনের মৃত্যু, বেশিরভাগই কৃষক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে ৮ মে পর্যন্ত ৩৮ দিনে বজ্রপাতে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। মারা যাওয়াদের মধ্যে বেশিরভাগই কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ধান কাটায় ব্যস্ত কৃষকদের মধ্যে সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালনকালে স্বেচ্ছাসেবী সামাজিক সংগঠন সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টোর্ম অ্যাওয়ারনেস (এসএসটিএএফ) ফোরাম এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এপ্রিল মাসে বজ্রপাতে ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ২০ জন ও নারী ১১ জন। আর মে মাসের গত ৮ দিনে ৪৩ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে ৩৪ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৫ জনই কৃষক ছিলেন।

এ লক্ষ্যে গত শনিবার থেকে এসএসটিএএফের একাধিক প্রতিনিধিদল মানিকগঞ্জের সিংগাইর, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান এবং ঢাকার নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন মাঠে ধান কাটায় ব্যস্ত প্রায় ৫০০ কৃষককে বজ্রপাত থেকে নিজেদের জীবন রক্ষার কৌশল শেখান।

সচেতনতামূলক এ কার্যক্রম পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা, গবেষণা সেলের প্রধান আব্দুল আলিম, যুগ্ম সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ ও স্বেচ্ছাসেবী মো. শরিফুল ইসলাম। এসময় কৃষকদের মধ্যে কোমল পানি, শরবত ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

এসময় সেভ দ্য সোসাইটি অ্যান্ড থান্ডারস্টোর্ম অ্যাওয়ারনেস ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রাশিম মোল্লা সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে দ্রুত মাঠে মাঠে আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণের দাবি জানান। পাশাপাশি বছরের মার্চ থেকে জুন এই চার মাস কৃষকদের মধ্যে বজ্রপাত সচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনারও পরামর্শ দেন।

সংগঠনটি জীবন রক্ষায় মাঠে কাজ করা কৃষকদের তিনটি পরামর্শ পালনের আহ্বান জানিয়েছে। পাশাপাশি বজ্রপাত হলে কৃষকরা কীভাবে নিজেদের নিরাপদ রাখবেন সেই কৌশলও বলে দিয়েছেন সংগঠনটির সদস্যরা।

কৃষকদের যেসব পরামর্শ দেওয়া হয়েছে

১. খোলা আকাশের নিচে থাকলে আকাশে কালো মেঘ দেখার সঙ্গে সঙ্গে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে হবে।
২. বৃষ্টির সময়ে গাছের নিচে অবস্থান না করা। এবং
৩. খোলা আকাশের নিচে কাজ করার সময় পায়ে জুতা পরিধান করা এবং মাঠে থাকা অবস্থায় বজ্রপাত হলে শুয়ে পড়া।

এ সময় কৃষকদের মাঝে কোমল পানি, শরবত ও স্যালাইন বিতরণ করা হয়।

;