কাঠের গুদামে মিলল ৬০০ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁওয়ে একটি কাঠের গুদাম থেকে ৬০০ বস্তা অবৈধ ভারতীয় চিনি জব্দ করেছে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় গুদাম মালিককে তিন লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও কাট্টলী সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরাফাত সিদ্দিকীর নেতৃত্বে বহদ্দারহাট এলাকার এই গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা শাহ মো. মোর্শেদ কাদের এবং চান্দগাঁও থানার পুলিশের একটি দল ও ভূমি অফিসের কর্মচারীরা সহযোগিতা করেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আরাফাত সিদ্দিকী বার্তা২৪.কমকে বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে বহদ্দারহাট এলাকায় একটা কাঠের গোডাউন ও কারখানায় বেশ কিছু চিনি মজুদ করা হয়েছে। বিষয়টি চাঞ্চল্যকর ছিল- যেহেতু কাঠের গোডাউনে চিনি। এটি একটি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য। এর প্রেক্ষিতে চান্দগাঁও থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করি এবং ঘটনা সত্যতা পাই।

তিনি বলেন, গোডাউনে এসে দেখি ৬০০ বস্তা চিনি মজুদ করা হয়েছে। পরবর্তীতে কৃষি বিপণন অধিদফতরের সহযোগিতায় আমরা জানতে পারি, চিনিগুলো ফ্রেশ ব্রান্ডের মোড়কে থাকলেও এসব ভারতীয়। কাঠের গোডাউন থেকে তারা সরাসরি বাজারজাত করার পরিকল্পনা নিয়ে মজুত করেছিল। আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে একই তথ্য পেয়েছি। গুদাম মালিক দোষ স্বীকার করেছেন।

তিনি আরও বলেন, মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অপরাধ আমলে নিয়ে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর ৩৭ ধারা অনুযায়ী গুদাম মালিক মো. আব্দুর রব্বানিকে তিন লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

গুদাম মালিক আব্দুর রব্বানী বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‌গোডাউনটা আমার থেকে পাশের এক দোকানদার ভাড়া নিয়েছি। আমাকে বলেছিলেন কাঠ রাখবে। কিন্তু ঈদের পর থেকেই চিনি রাখছেন, এসব চিনি যে অবৈধ তা তিনি জানতাম না।

   

নওগাঁয় ছোট যমুনার বুকে ধান চাষ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁ শহরকে দুইভাগ করে বয়ে গেছে ছোট যমুনা নদী। এই নদীকে কেন্দ্র করে নওগাঁ শহরসহ নদীর পাড়ে গড়ে উঠেছে অনেক জনপদ ও হাট বাজার। নদীটিতে এক সময় ঢেউয়ের তালে চলাচল করতো অসংখ্য পালতোলা নৌকা।

ছোট যমুনা নামটা যেমন মধুর তেমনি জনপদের পর জনপদ গড়ে তুলেছে এই নদী। ভরা বর্ষায় নদী যখন যৌবন ফিরে পায় তেমনি খড়ায় নদীর পানি শুকিয়ে করুন অবস্থায় পরিণত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, চারদিকে শুধু ধান আর ধান। দেখে মনে হবে ধানের রাজ্যে দোল খাচ্ছে কৃষকের স্বপ্নের সোনার ফসল ধান। আর সেই ধান কাটছে বেশ কয়েকজন কৃষক। তারা নিজেরাই শ্রমিকের মতো ধান কাটছে। আবার কয়েজনকে গরু চড়াতেও দেখা যায়।

শুকিয়ে যাওয়ায় জেলার বদলগাছী উপজেলার তেজাপাড়া-কাদিবাড়ি পাশাপাশি দুটি এলাকায় ধান চাষ করেছেন শতাধিক কৃষক। সেই নদীর বুকে কয়েকজনকে ধান কাটতে দেখা যায়। আবার অনেক জায়গা থেকে ধান কেটে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে গিয়ে কথা হয় তসলিম, আফজাল, রফিকুল, শামিম ও মোস্তফার সাথে।

তারা জানান, আমরা ৫-৭ জন মিলে বেশ কিছু জায়গায় ধান চাষ করেছি। তাই নিজেরাই ধান কাটছি। এই ধান দিয়ে আমাদের সারা বছরের সংসার চলে। অবশ্য বৃষ্টির কারণে পানি জমতে শুরু করেছে। আর কয়েকদিন পর পানিতে ভরে যাবে নদীটি।

তারা আরও জানান, উত্তর দিকের তেজাপাড়া ব্রিজ থেকে দক্ষিণে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকায় বিভিন্ন লোকজন এই নদীর বুকে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। নদী শুকালে আমরা ধান চাষ করতে পারি। যা দিয়ে আমাদের সংসার চলে।

নদীর বুকে গরুকে ঘাস খাওয়াতে নিয়ে এসেছেন এক যুবক। তিনি জানান, প্রায় দেড় মাসে আগে এই নদী শুকিয়ে গেছে। তবে যেখানে যার মানানসই। নদীতে থাকবে পানি, আর মাঠে হবে ধান। এমন দৃশ্যই ভালো লাগবে সকলের। আর যে যার মতো সুবিধা খুঁজবে এটাই স্বাভাবিক।


নওগাঁর নদী, খাল-বিল দখল ও দূষণের প্রতিবাদে বিভিন্ন সময় রাস্তায় নামা সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের সভাপতি এ্যাড. ডিএম আব্দুল বারী বলেন, বিভিন্ন নদী, খাল-বিল, প্রাকৃতিক বনায়নে ভরপুর আমাদের মাতৃভূমি বাংলাদেশ। কিন্তু আমাদের বিরূপ আচরণের কারণে আমরা নিজেরাই প্রকৃতিকে বিভিন্নভাবে ধ্বংস করে ফেলছি। নওগাঁসহ সারাদেশের নদী, খাল-বিল দখল ও দূষণের জন্য সংশ্লিষ্টদের পাশাপাশি জনসচেতনতাও এর জন্য দায়ী। তবে নদী শুকিয়ে গেলে সেখানে ধান চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করা সেটা খারাপ কিছু না। সেক্ষেত্রে সংশ্লিষ্টদের অনুমতি নিয়ে চাষ করলে ভালো হয়। এতে অনেকে জীবিকা নির্বাহ করতে পারবে।

জানতে চাইলে বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবাব ফারহান বলেন, বোরো মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৭ শ' ৪০ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এছাড়া নদীর ধারে উল্লেখযোগ্য হারে ধান উৎপাদিত হয়েছে। কারণ নদীর পাশের জমিতে পলির আস্তরণ জমে এবং সেখানে জৈব পদার্থের পরিমাণ বেশি থাকে। তাই সেখানে ধান, সবজিসহ সব ধরণের ফসল ভালো উৎপাদিত হয়ে থাকে।

নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী ফয়জুর রহমান বলেন, ছোট যমুনা নদীসহ কয়েকটি নদী ও খাল পুন:খননের জন্য আবেদন দেওয়া আছে। অনুমোদন পেলে যেকোনো সময় কাজ শুরু হবে।

এদিকে নওগাঁ-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৌরেন্দ্র নাথ চক্রবর্ত্তী সৌরেনের চেষ্টায় বদলগাছী উপজেলায় ছোট যমুনা নদীর ৩৩ কিলোমিটার অংশের পুন:খনন কাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যেটা যেকোনো সময় বাস্তবায়ন হওয়ার পথে।

;

সাতক্ষীরায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় পানিতে ডুবে খাদিজা খাতুন নামের ৬ বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। নিহত খাদিজা খাতুন গদখালী গ্রামের ওয়াজেদ গাজীর কন্যা। সে কলারোয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশু শ্রেণীতে পড়তো।

শুক্রবার (১০ মে) কলারোয়া পৌর সদরের গদখালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

খাদিজার স্বজনরা জানান, শিশু খাদিজা খেলতে গিয়ে সবার আড়ালে বাড়ির পাশে কলারোয়া সরকারি কলেজের পুকুরের পানিতে পড়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে খুঁজে না পেলে স্বজনসহ এলাকাবাসী খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে পুকুরের পানি থেকে তাকে উদ্ধার করে। পরে তাকে কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক খাদিজা খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, শিশুটির মৃত্যুর খবর আমরা পেয়েছি। বাড়ির পাশের পুকুরপাড়ে খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে তার মৃত্যু হয়।

;

সরকারি হাসপাতালের অনুমোদনহীন ক্যান্টিন-ফার্মেসি বন্ধ হচ্ছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি হাসপাতালের ভেতরে অবৈধভাবে তৈরি করা অনুমোদনহীন ক্যান্টিন, মেয়াদোত্তীর্ণ প্রতিষ্ঠানের (ফার্মেসি) কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিকসমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনায় অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমের অনুমোদন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, দেশের সব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর, জেনারেল হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থিত অবৈধ, অনুমোদনহীন, ইজারা দেয়া মেয়াদোত্তীর্ণ ফার্মেসি, ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়ার কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠানের কাছে যদি সরকারি বকেয়া পাওনা থাকে তবে তা আদায় করে অপসারণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলো।

একই সঙ্গে হাসপাতালের ভেতরে নতুনভাবে কোনো ফার্মেসি, ক্যান্টিন বা ক্যাফেটেরিয়া স্থাপনের অনুমতি দেওয়া যাবে না। এ ছাড়া এরই মধ্যে স্থাপিত ফার্মেসি-ক্যান্টিনের অনুমোদন নবায়ন না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

;

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ২৬ জনের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের গৌরনদী উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হারিচুর রহমান হারিছসহ ২৬ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাইবার আইনে মামলা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) গৌরনদী উপজেলার বিল্বগ্রামের বাসিন্দা এইচএম তারেক বাদী হয়ে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে ওই মামলা করা হয়। বিচারক গোলাম ফারুক অভিযোগ তদন্ত করে গৌরনদী মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হারিচুর রহমান হারিছ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জুবায়েরুল ইসলাম সান্টু ভুইয়া, লুৎফুর রহমান দ্বীপ, ইমরান মিয়া, সোহেল সিকদার, মীর নাইয়ান, সাদ্দাম খান, কাজী সাইমুর রহমান, এনএইচ আজবি, শাকিল খান, পিয়াল সরদার, কেএম মিলন, এইচএম রাসেল, আবির আহম্মেদ, সজিবুর রহমান জিয়া, রাতুল শরীফ, শেখ রায়হান শাওন, তালুকদার মো. রবি, মেহেদি হাসান শাওন, শাহাদাত তালুকদার, দেলোয়ার হোসেন দিলু, জিএস জাহিদুল ইসলাম। তাদের বিরুদ্ধে ফেসবুক আইডিতে মানহানিকর ও বিভ্রান্তিকর অপরাধ পোষ্ট প্রদান করার অভিযোগ আনা হয়েছে।

নালিশীতে বাদী উল্লেখ করে মামলার ২৬ আসামী গৌরনদী উপজেলার চিহিৃত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও ধর্ষক। কিন্তু বিবাদীরা পরাস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মাহিলারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু, চেয়ারম্যান প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব, মিয়া মনির ও সৈয়দ মনিরুন্নাহার মেরিকে হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে আক্রমনাতক বক্তব্য, মিথ্যা তথ্য-উপাত্ত প্রকার, মানহানিকর তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও ডিজিটাল বিন্যাসের মাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করে স্থানীয় জনসাধারনের মাঝে শত্রুতা, ঘৃনা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা, অস্থিরতা ও বিশৃংখলা সৃষ্টি করে খুন জখমের পায়তারা সহ আইনশৃংখলা অবনতি ঘটানোর চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে বিবাদীরে বিরুদ্ধে।

;