কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি নিশ্চিতে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: রাষ্ট্রপতি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেছেন, শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকল্পে দেশীয় ও বৈশ্বিক শ্রমমান অনুযায়ী কর্মক্ষেত্রে স্বাস্থ্য ও সুরক্ষাবিধি অনুশীলনকে জাতীয় সংস্কৃতি হিসেবে গড়ে তোলাও অত্যন্ত জরুরি। এ লক্ষ্য অর্জনে তিনি সরকার, মালিক ও শ্রমিকসহ সকল উন্নয়ন অংশীজনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে প্রদত্ত শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বাণীতে আহ্বান জানান।

আগামীকাল রোববার (২৮ এপ্রিল) ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’। দেশব্যাপী পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এবছরও ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ পালিত হচ্ছে জেনে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

রাষ্ট্রপতি এ উপলক্ষ্যে বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য- ‘সুস্থ শ্রমিক, শোভন কর্মপরিবেশ: গড়ে তুলবে স্মার্ট বাংলাদেশ’ যথার্থ হয়েছে বলেও তিনি মনে করেন।

মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধি শেখ মুজিবুর রহমান আমৃত্যু মেহনতি, শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭২ সালে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা’র (আইএলও) সদস্যপদ লাভ করে। একই বছর তিনি (বঙ্গবন্ধু) শ্রমনীতি ঘোষণা করেন এবং আইএলও’র ৫টি মৌলিক কনভেনশনসহ মোট ২৯টি কনভেনশন অনুসমর্থন করেন।

রাষ্ট্রপতি জানান, কলকারখানার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা এবং শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত নিরাপত্তা ও আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের পাশাপাশি সকল শিল্প মালিকের নৈতিক দায়িত্ব। সরকার দেশের সকল খাতের শ্রমজীবী মানুষের পেশাগত স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নানাবিধ কল্যাণমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬’ এবং ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট ও উন্নত অর্থনীতির দেশে পরিণত হওয়ার লক্ষ্য অর্জনে সরকার ব্যাপক উন্নয়ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ সকল কল্যাণমুখী কর্মসূচির সফল বাস্তবায়ন ও শ্রমিকের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে শ্রমিক ভাই-বোনদের জন্য শোভন ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণের বিকল্প নেই। বিগত এক দশকে দেশে শিল্পকারখানার সংখ্যা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। আগামীর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে এবং ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সাথে অভিযোজন করার লক্ষ্যে সরকার-মালিক-শ্রমিকের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ করে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের উদ্যোগ নিতে হবে।

রাষ্ট্রপতি ‘জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে গৃহীত সকল সর্মসূচির সফলতা কামনা করেন।

   

মোটরসাইকেলে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু, তরুণী হাসপাতালে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর বন্দর থানাধীন বিশ্বরোড এলাকায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় রাহুল (২৮) নামে মোটরসাইকেল আরোহী এক যুবক নিহত হয়েছেন। মোটরসাইকেলের পেছনে বসা অর্পিতা নামে এক তরুণী আহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মে) রাত আটটার দিকে নিমতলা বিশ্বরোড সংলগ্ন ফায়ার সার্ভিস ক্যাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত রাহুল নগরীর চকবাজার চেরাগি পাহাড় রাজা পুকুর পাড় এলাকার বাসিন্দা। আহত অর্পিতা কোতোয়ালীর গোয়ালপাড়া এনায়েত বাজার রাজমহর সরকারের বাড়ির রিপন সরকারের মেয়ে। তারা সম্পর্কে প্রেমিক-প্রেমিকা বলে জানা গেছে।

ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান ফায়ার সার্ভিসের সদস্য মফিজুর রহমান।

তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, আমরা তখন ক্যাম্পে ছিলাম। হঠাৎ শব্দ শুনে গিয়ে দেখি রাস্তার মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় একটি মোটরসাইকেলসহ যুবক ও তরুণী পড়ে আছেন। একজন অন্যজনের হাত ধরা ছিল। প্রথমে আমরা ছেলেটি উদ্ধার করে গাড়িতে তুলি, তারপরও মেয়েটিকেসহ দুজনকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যায়। জরুরি বিভাগের নেওয়ার পর চিকিৎসক ছেলেটিতে মৃত ঘোষণা করেন এবং মেয়েটিতে ওয়ার্ডে ভর্তি দেন।

ছেলেটি মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন, মেয়েটি পেছনে বসা ছিল। ধারণা হচ্ছে, একটি দ্রুত গতির কাভার্ড ভ্যান মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। ছেলেটির কোমড়ে প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে। বাম পাও ভেঙে গেছে। মেয়েটিও পায়ের আঘাত পেয়েছে। ওদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে যতটুকু বুঝেছি, তারা স্বামী-স্ত্রী না। অনেকদিনের পরিচিত, অর্থাৎ প্রেমিক-প্রেমিকা বলে মনে হচ্ছে বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের এ সদস্য।

মৃত্যুর বিষয়টি বার্তা২৪.কম-কে নিশ্চিত করেছেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (উপপরিদর্শক) নুরুল আলম আশিক। 

তিনি বলেন, 'কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় মোটরসাইকেলের দুই আরোহীকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে রাহুল নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করে এবং অর্পিতাকে ২১ নাম্বার ওয়ার্ডে ভর্তি দেন।' 

;

পর্দা উঠলো ঐতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের বলীখেলার ৬৯তম আসরের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারে শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ডিসি সাহেবের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা। এটি এই খেলার ৬৯তম আসর। 

শুক্রবার (১০ মে) বিকেলে বেলুন উড়িয়ে কক্সবাজারের বীর শ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে খেলা ও মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। শনিবার (১১ মে) বিকেলে পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে বলী খেলা সমাপ্ত হবে।


জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন জানান, এবার দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৪০০ জন বলি খেলায় অংশ নিতে রেজিস্ট্রেশন করেছেন। এবছর বলি খেলার অন্যতম আকর্ষণ চট্টগ্রামের জব্বারের বলি খেলার চ্যাম্পিয়ন বলি বাঘা শরীফের অংশগ্রহণ। তিনি কুমিল্লার বাসিন্দা। এছাড়াও, বিগত আসরের চ্যাম্পিয়ান উখিয়ার নুর মোহাম্মদ বলি, শামসু বলি ও জীবন বলি খেলায় অংশ নিচ্ছেন।


এদিকে, বলি খেলার পাশাপাশি আয়োজিত বৈশাখী মেলায় রয়েছে- নাগরদোলা, হস্ত, কুটির, তাঁত শিল্পসহ নানা ধরনের পণ্যের স্টল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. জাহিদ ইকবাল, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. ইয়ামিন হোসেন ও জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট, বলী খেলা উপ-কমিটির সদস্য সচিব হেলাল উদ্দিন কবির প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, কক্সবাজারের ইতিহাস ও ঐতিহ্যের এক অনন্য অংশ ডিসি সাহেবের বলি খেলা। ১৯৫৬ সালে কক্সবাজার মহকুমা থাকাবস্থায় ‘এসডিও সাহেবের বলি খেলা’ নামে এ খেলার প্রবর্তন হয়। ১৯৮৪ সালে কক্সবাজার জেলায় রূপান্তর হওয়ার পর ‘এসডিও সাহেবের বলী খেলার’ নাম বদলে ‘ডিসি সাহেবের বলি খেলা’ করা হয়।

;

ময়লার ঝুড়িতে মিলল ৭০ লাখ টাকার সোনা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ময়লার ঝুড়িতে মিলল ৭০ লাখ টাকার সোনা

ময়লার ঝুড়িতে মিলল ৭০ লাখ টাকার সোনা

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের বাথরুমের কমোডের পাশের ঝুড়িতে মিলল ২৪ ক্যারেটের ৭টি সোনার বার। ৮১৬ গ্রামের ওই সোনার দাম প্রায় ৭০ লাখ টাকা।

শুক্রবার (১০ মে) রাত ৯টা ২০ মিনিটে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এনএসআই চট্টগ্রাম বিমানবন্দর টিম এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের যৌথ অভিযান চালিয়ে এসব সোনার বার উদ্ধার করে।

স্বর্ণগুলো এয়ার এরাবিয়া এয়ারলাইন্সের জি৯-৫২০ ফ্লাইটে আসা কোনো যাত্রী নিয়ে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে আটক করা যায়নি।

শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের একজন কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, বিমানবন্দরের আন্তর্জাতিক আগমনি ১ নম্বর কনভেয়ার বেল্টের পাশের ওয়াশরুমের ঝুড়িতে একটি সিগারেটের প্যাকেটে স্বর্ণগুলো ছিল। একটি সোনার বারের দাম প্রায় ১০ লাখ টাকা। সে হিসেবে ৭টি বারের দাম ৭০ লাখ টাকা।

;

পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বাড়াতে কৃষক সমাবেশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পার্বত্য চট্টগ্রামে তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পের আওতায় বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) দুপুর ২ টায় বান্দরবান তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে আলীকদম উপজেলার সদর ইউনিয়নের কলারঝিরি জবিরাম কারবারি পাড়া হলরুমে ১০০ জন কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এই সময় তুলা উন্নয়ন বোর্ডের বান্দরবান জোনের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলমগীর হোসেন মৃধা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রকল্পের তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা নুম্যামং মার্মা ও তুলা চাষিরা।

এই সময় প্রধান অতিথি তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আলমগীর হোসেন মৃধা বলেন, তুলা একটি অর্থকরী ফসল। পার্বত্যাঞ্চলের মাটি তুলার সঙ্গে মিশ্র চাষে উপযোগী। পাহাড়ের অনাবাদি ও জুমে মিশ্রচাষে সম্ভাবনার ফসল তুলা। এটি চাষ করে এখানকার চাষিরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হতে পারে। আলীকদম উপজেলা থেকে প্রায় বছরে ৩ টন তুলা উৎপাদন হচ্ছে। প্রতি কেজি ৯৫ টাকা বিক্রি করছেন চাষীরা। 

;