আম-রেশমের দেশে জারুলের মায়াবী ছোঁয়া



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর আমের মিষ্টতা ও রেশমের মৃদু ছোঁয়া ঐতিহ্যের সাথে মিশে আছে। সেখানে জারুল ফুল নতুন এক মায়াজাল রচনা করেছে। মুক্তাধারা খ্যাত এই শহরের বুকে এখন জারুলের নীলাভ আভা এক মনোমুগ্ধকর দৃশ্যের সৃষ্টি করেছে। পথে পথে, অলি-গলি জুড়ে, জারুলের ফুলের বিচিত্র নীল থেকে গাঢ় নীল রঙের খেলা রাজশাহীকে এক অন্যরকম সৌন্দর্যের আঁচলে মুড়ে দিয়েছে।

এই সৌন্দর্য কেবল চোখ ধাঁধানো নয়, মনের গভীরে এক স্নিগ্ধ আনন্দের স্পর্শ রেখে যায়। যেখানে আম ও রেশমের জন্য বিখ্যাত সেই রাজশাহী, এখন জারুলের নীলিমায় আচ্ছাদিত, এক নতুন আকর্ষণের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।

জারুল ফুল সৌন্দর্য ও সুগন্ধে মুগ্ধ করে রাখে প্রকৃতিপ্রেমীদের। বসন্তের শুরু থেকে গ্রীষ্মের প্রান্তে এই ফুল তার পূর্ণ যৌবনে পৌঁছায়।

রাজশাহীর বিভিন্ন পার্ক, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, রাস্তার ধারে এবং বাড়ির আঙিনায় জারুলের ছোঁয়া এখন এক স্বাভাবিক দৃশ্য। শহরের মানুষেরা জানায়, জারুলের এই স্নিগ্ধ উপস্থিতি তাদের মনে এক শান্তির অনুভূতি জাগায়, যা দৈনন্দিন হাসপাশের কোলাহল থেকে এক মুক্তির বাতাবরণ সৃষ্টি করে।

পরিবেশবিদ ও উদ্যানতত্ত্ববিদেরা মনে করেন, জারুলের এই ব্যাপক বিস্তার শহরের জলবায়ু ও বায়ুদূষণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এছাড়াও, এটি বায়োডাইভার্সিটি বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে।

রাজশাহী শহরের মানুষের জীবনে এক স্নিগ্ধ অধ্যায়ের সংযোজন করেছে জারুল ফুল

শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জারুলের অপরূপ দৃশ্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও সাংস্কৃতিক অধ্যায়ের এক নতুন অধ্যায় যোগ করেছে। ফটোগ্রাফার ও পর্যটকদের কাছে এখন এটি এক আকর্ষণের কেন্দ্র। তারা জানায়, জারুলের এই অপূর্ব সৌন্দর্য তাদের ক্যামেরার লেন্সে ধরা দেয় এক ভিন্ন মাত্রা।

রাজশাহী শহরের মানুষের জীবনে এক স্নিগ্ধ অধ্যায়ের সংযোজন করেছে এ ফুল। জারুলের মোহময় ছোঁয়া এখানকার পথে পথে বেড়ে উঠা সৌন্দর্যকে আরো বিশেষ করে তুলেছে, যা রাজশাহীর মুখ চেনায় নতুন এক পরিচয়ে। এই সমৃদ্ধ ভূমি এবার নতুন এক আকর্ষণে মোড়ানো— জারুলের ফুলের মায়াবী ছোঁয়া।

জারুলের নীল আভায় মুগ্ধ হয়ে কবি আহসান হাবীব তার "স্বদেশ" কবিতায় জারুলের প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন, মনের কোনায় খুশির আলো জ্বলে ওঠে, তখন এক অনন্য চিত্র আঁকি— এক পাশে বিশাল জারুল গাছ, তার ডালে দুটি হলুদ পাখি।

শুধু আহসান হাবীব নন, 'রূপসী বাংলার কবি' জীবনানন্দ দাশও তার কবিতায় জারুলের শিল্পময় রূপকে জীবন্ত করে তুলেছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘ভিজে হয়ে আসে মেঘে এ-দুপুর-চিল একা নদীটির পাশে, জারুল গাছের ডালে বসে বসে চেয়ে থাকে ওপারের দিকে।’ এই কবিতার বন্দনার মতোই জারুল ফুলের মায়াবী সৌন্দর্য রাজশাহীর পথে পথে, প্রান্তরে প্রান্তরে ছড়িয়ে পড়েছে, শহরটিকে এক নতুন রূপ দান করে।

নগরীর রেলগেট থেকে ঐতিহ্য চত্বর পর্যন্ত এবং বাইপাস সড়কের দ্বীপাংশে জারুল ফুলের শোভা চোখ ধাঁধানো। এ পথ দিয়ে যাতায়াতকারীরা এই মনোরম দৃশ্যের মোহে বিমোহিত, যা তাদের চোখে মুখে প্রকাশ পায়।

অফিস শেষে এই পথ দিয়ে বাড়ি ফিরছেলেন আলফাজ উদ্দিন। তিনি বলেন, প্রতিদিন এই পথে যাতায়াত করে আমি এক অনন্য সুখ অনুভব করি। অফিসের পরিশ্রম যেন এই পথের মায়াজালে মিলিয়ে যায়। জারুলের ফুলের সৌন্দর্য সত্যিই অনুপম। মনে হয়, এগুলো বাড়ি নিয়ে যাই।

এদিকে দেশসেরা রাজশাহী কলেজের সর্বত্র জারুল ফুলের আধিক্য দেখা যায়, যা শিক্ষার্থী এবং দর্শনার্থীদের চোখ জুড়ায়।

রাজশাহী কলেজের মনোবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ঐশি ইসলাম বলেন, রাজশাহী কলেজের ফুলের বাগানে জারুলের বিশেষ সমাহার অন্য এক প্রশান্তি এনে দেয়। বিশেষ করে নতুন লাগানো চারা গাছগুলোতে ফুটে ওঠা ফুল আমাদের হৃদয় স্পর্শ করে।

রাজশাহী কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সাবেক শিক্ষক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, জারুল ফুলের এই সৌন্দর্য শুধু চোখ ধাঁধানো নয়, এর মাধ্যমে রাজশাহী শহরের পরিবেশগত মান ও বৈচিত্র্যময়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জারুল ফুল পরিবেশ বান্ধব একটি উদ্ভিদ এবং এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নগরীর আবহাওয়া ও পরিবেশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এছাড়াও, জারুল ফুল বিভিন্ন প্রজাতির পাখি ও প্রজাপতিদের আকর্ষণ করে, যা পরিবেশগত বৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

তিনি আরও বলেন, রাজশাহীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পার্ক ও রাস্তাঘাটে জারুল ফুলের ব্যবহার শহরের সৌন্দর্য ও পরিবেশ সুরক্ষায় দ্বিগুণ ভূমিকা রাখছে। এটি শহরের বাসিন্দাদের মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার পাশাপাশি পরিবেশ সচেতনতা বাড়াতে সহায়তা করছে।

ড. মো. রেজাউল করিম আরও যোগ করেন, গ্রীষ্মের আগমনে জারুল ফুল তার বেগুনি রঙের প্রকোপ দেখায়, গ্রীষ্ম থেকে শরৎ পর্যন্ত তার সৌন্দর্য বিরাজ করে। এই মাঝারি উচ্চতার গাছের প্রতিটির বৈজ্ঞানিক নাম ও পরিচয় শিক্ষার্থীদের জানার সুযোগ করে দেয়। জারুলের বীজ, ছাল, এবং পাতা ডায়াবেটিস, জ্বর, অনিদ্রা, কাশি, ও অজীর্ণতায় কার্যকরী, যা একে শুধু সৌন্দর্যের প্রতীক নয়, বরং এক অমূল্য ঔষধি গাছে পরিণত করে।

 

   

চিকিৎসকের গাফিলতিতে হাসপাতাল কর্মচারীর মৃত্যুর অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসকের গাফিলতিতে ওই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার শহীদুল ইসলাম চৌধুরী ওরফে সৈকতকে ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে।

রোববার (১২ মে) সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. হানিফ (৫৫) ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন। তিনি নোয়াখালী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হরিনারায়ণপুর এলাকার মসজিদ বাড়ির মান্নাছ মিয়ার ছেলে।

জানা যায়, গত দুদিন ধরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী হানিফ। আজ রোববার সকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে তিনি বেশি অসুস্থতা বোধ করলে তাকে পুনরায় সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সিতে নিয়ে আসা হয়। তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক শহীদুল ইসলাম সৈকত ইমার্জেন্সিতে না থাকায় বিনা চিকিৎসায় মারা যান হানিফ। পরে অন্য আরেকজন ডাক্তার এসে তাকে মৃত ঘোষণা করে। তাৎক্ষণিক কর্তব্যরত চিকিৎসকের দায়িত্বে গাফিলতির অভিযোগ এনে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা আধা ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করে।

নিহতের মেয়ে ঝুমুর অভিযোগ করে বলেন, হাসপাতালে ডাক্তার না থাকায় উপযুক্ত চিকিৎসা না পেয়ে আমার বাবা মারা যান।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, সকালে হানিফকে ঢাকা নেওয়ার পথে তার অবস্থা খারাপ দেখে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তখন জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তার ছিল না। এরপর তাকে দ্রুত ওয়ার্ডে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, রোগীকে ঢাকা নেওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে তার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়।পরে তাকে ঢাকা না নিয়ে পুনরায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন ইমার্জেন্সিতে কর্তব্যরত ডাক্তার ছিলেন না।

তিনি আরও বলেন, চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর মৃত্যুর ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই সঙ্গে অভিযুক্ত ডাক্তারকে হাতিয়ার ২০ শয্যা বিশিষ্ট ভাসানচর হাসপাতালে বদলি করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

;

চুয়াডাঙ্গায় চালককে মারধর করে ভ্যান ছিনতাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় ইসরাফিল হোসেন (৩৫) নামের এক ভ্যানচালককে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে ও মারধর করে ভ্যান ছিনতাই করেছে যাত্রীবেশী এক দুর্বৃত্ত।

রোববার (১২ মে) সকালে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত ইসরাফিল হোসেন জীবননগর হাইস্কুল পাড়ার নুর মোহাম্মদের ছেলে। এর আগে শনিবার (১১ মে) রাত ৯টার দিকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার ধোপাখালি-সন্তোষপুর সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ইসরাফিলের বোন মধু বার্তা২৪.কমকে জানান, ‘শনিবার রাত ৮টার দিকে একজন দর্শনায় যাওয়ার জন্য আমার ভাইয়ের ভ্যান ভাড়া করে। ওই দিন রাতেই দর্শনা থেকে ফেরার সময় একটি দোকানে বসে ওই লোক কোকের ভেতরে ওষুধ মিশিয়ে আমার ভাইকে খাইয়ে দেন। পরে ধোপাখালী এসে তাকে মারধর করে পুকুরের মধ্যে ফেলে দিয়ে ভ্যান নিয়ে পালিয়ে যায়।’

মধু আরও জানান, স্থানীয় লোকজন আমার ভাইকে উদ্ধার করে একটি দোকানে শুইয়ে রেখেছিল। রোববার ভোরে খবর পেয়ে আমার মা ধোপাখালী থেকে ভাইকে নিয়ে জীবননগর হাসপাতালে ভর্তি করে।

ভুক্তভোগী ভ্যানচালক ইসরাফিল হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমাকে কোকের মধ্যে কিছু মিশিয়ে খাইয়ে দিয়েছিল বলে মনে হচ্ছে। কোক তেতো লাগছিল। পরে ধোপাখালী এসে আমাকে ধাক্কা মেরে পুকুরের মধ্যে ফেলে দেয়। আমি যতবার উঠতে যাচ্ছিলাম বারবার পড়ে যাচ্ছিলাম।’

এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ড. মোস্তাফিজুর রহমান সুজন বলেন, রোববার ভোরে ইসরাফিল নামের এক রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখেছি। তিনি সম্পূর্ণ শঙ্কামুক্ত।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান বলেন, যাত্রীবেশে একজন কোকের সাথে চেতনানাশক ও চালককে মারধর করে পাখিভ্যান ছিনিয়ে নিয়েছে বলে জেনেছি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা নুর মোহাম্মদ একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

এসএসসি পরীক্ষা: যশোর বোর্ডের রেজাল্টে শীর্ষ স্থানে সাতক্ষীরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হারে যশোর বোর্ডে শীর্ষ স্থান অর্জন করেছে সাতক্ষীরা জেলা। সাতক্ষীরা জেলার পাসের হার ৯৬ দশমিক ১২ শতাংশ। একইভাবে যশোর বোর্ডে পাসের হারে সর্বনিম্নে অবস্থান করছে মেহেরপুর জেলা। মেহেরপুরের পাসের হার ৮৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

রোববার (১২ মে) প্রকাশিত যশোর শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা জেলা থেকে ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় ১৭ হাজার ১১৬ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ১৬ হাজার ৪৫২ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ৯৬ দশমিক ১২ শতাংশ।

এছাড়া যশোর বোর্ডের আওতাধীন খুলনা জেলার পাসের হার ৯৪ দশমিক ৬০, বাগেরহাটের পাসের হার ৯১ দশমিক ২৭, কুষ্টিয়ার পাসের হার ৯১ দশমিক ৩৫, চুয়াডাঙ্গার পাসের হার ৯০ দশমিক ৮২, যশোরের পাসের হার ৯৪ দশমিক ২২, নড়াইলের পাসের হার ৯৩ দশমিক ২৪, ঝিনাইদহের পাশের হার ৮৯ দশমিক ৫৯ ও মাগুরার পাসের হার ৯১ দশমিক শূন্য ৯

যশোর বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বিশ্বাস শাহীন আহমেদ এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

;

কুষ্টিয়ায় সেরা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঐতিহ্যবাহী কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এবার এসএসসি পরীক্ষায় সেরা সাফল্য অর্জন করেছে।

এবার কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২২৮জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

শতভাগ উত্তীর্ণ হওয়া কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় যশোর শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে তৃতীয় স্থান লাভ করেছে। স্কুলের সেরা সাফল্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা খুবই আনন্দিত।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা আক্তার জাহান জানান, ২৫৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। এর মধ্য জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৮ জন।

কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সেরা সাফল্যে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।

এদিকে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার মধ্যে কুষ্টিয়া জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাদিরা খানম বলেন, আমরা শিক্ষকেরা সবসময় অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। সব মিলিয়ে আমাদের শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের অবদানের কারণে আজ আমরা সেরা হতে পেরেছি।

;