শেখ জামালের জন্মদিনে আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মেজ ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামালের ৭১তম জন্মদিন আজ। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টায় রাজধানীর বনানী কবরস্থানে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর নেতৃত্বে দলটির নেতারা শেখ জামালের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। এসময় শ্রদ্ধাঞ্জলি শেষে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। 

উল্লেখ্য, ১৯৫৪ সালের ২৮ এপ্রিল গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন শেখ জামাল। ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ঢাকা কলেজ থেকে। সংস্কৃতিপ্রেমী ও ক্রীড়াবিদ হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। 

১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শেখ জামালও গৃহবন্দি ছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে পালিয়ে মুক্তিযুদ্ধে সম্মুখভাগের নেতৃত্ব দেন তিনি। 

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ধানমন্ডি থেকে ভারতের আগরতলায় পৌঁছানোর পর সেখানে মুজিব বাহিনীতে (বাংলাদেশ লিবারেশন ফোর্সেস-বিএলএফ) যোগদান এবং প্রশিক্ষণ শেষে মুক্তিযুদ্ধের ৯ নম্বর সেক্টরে অংশ নেন শেখ জামাল। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে শহীদ হন তিনি।

   

নিখোঁজ যুবককে পাওয়া গেল মিল্টনের আশ্রমে, পেটে কাটা দাগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সেলিম মিয়া

সেলিম মিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রায় ছয় মাস ধরে নিখোঁজ ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মানসিক ভারসাম্যহীন সেলিম মিয়ার সন্ধান মিলেছে মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমে। উদ্ধার সেলিমের পেটে অস্ত্রোপচারের ক্ষতচিহ্ন দেখে পরিবারের সন্দেহ- তার শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হয়েছে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ছয় মাস আগে মানসিক ভারসাম্যহীন সেলিম বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পায়নি। এরই মাঝে মিল্টন সমাদ্দারের চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ার আশ্রমের খবর গণমাধ্যমে প্রচারিত হলে সেখানে সেলিমের ছবি দেখতে পান স্বজনরা। তারপর গত মঙ্গলবার সেলিমের মা রাবিয়া, চাচাতো ভাই গ্রাম পুলিশ আব্দুর রশিদ সেলিমের সন্ধানে ঢাকা চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এইজ কেয়ারে যান এবং তাকে শনাক্ত করেন। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় সেলিমকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় সেখান থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

দীর্ঘদিন পর সেলিমকে পেলেও ছেলের অসুস্থায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন মা রাবিয়া খাতুন। তিনি বলেন, আমার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন হলেও সুস্থ ছিল। এখন সে খুবই অসুস্থ। তার কিডনি নিয়ে গেছে আশ্রয়দাতারা। এ সময় তিনি সেলিমের পেটে অস্ত্রোপচারের ক্ষতচিহ্ন দেখান।

সেলিমের ছোট ভাই মাহিন মিয়া বলেন, আমার সুস্থ ভাইয়ের পেটের ডান পাশে অস্ত্রোপচারের বড় দাগ দেখে সন্দেহ, ভাইয়ের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গহানি হতে পারে। তিনি বলেন, আমরা হতদরিদ্র পরিবার। অর্থের অভাবে এখন ভাইয়ের অঙ্গহানি হয়েছে কি না, তা পরীক্ষা করতে চিকিৎসকের কাছে যেতে পারছেন না।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, পরিবারের লোকজনকে সেলিমের চিকিৎসা ও কিছু পরীক্ষা করার জন্য বলে দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার পর বোঝা যাবে কিডনি বিক্রি করা হয়েছে কি না।

;

সুন্দরবনে আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি পেল আরও ৭ দিন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
সুন্দরবনে আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি পেল আরও ৭ দিন

সুন্দরবনে আগুন লাগার কারণ জানতে তদন্ত কমিটি পেল আরও ৭ দিন

  • Font increase
  • Font Decrease

পুরোপুরি নিভে গেছে চাঁদপাই রেঞ্জের সুন্দরবনে লাগা আগুন। বনের কোথাও আগুন নেই। আগুন লাগার কারণ জানতে ৪ মে গঠিত হয়েছিল ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি। সাত কার্যদিবসের মধ্যে এই কমিটি প্রতিবেদন জমা দেবেন বলেও তখন জানানো হয়। তবে দুই কার্যদিবস হাতে রেখে আগুনের কারণ বের করতে আরও ৭ কার্যদিবসের সময় নিয়েছেন গঠিত তদন্ত কমিটি।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী নুরুল করিমের কাছ থেকে তদন্ত কমিটি এই সময় নেয়।

বন বিভাগ কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেব শনিবার (১১ মে) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, 'সুন্দরবনে আগুন লাগার ঘটনায় জীববৈচিত্র্যের ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয় করতে গঠিত বিশেষজ্ঞ আরেকটি টিমকে সহযোগিতা করতে হয়েছে। তাই আগের সাত কার্যদিবসের মধ্যে আগুন লাগার কারণ বের করতে বিলম্ব হয়েছে। এজন্য দুই কার্যদিবস হাতে রেখে আরও সাত কার্যদিবসের সময় নিয়েছি।'

এদিকে আগুন লাগার পরদিন রোববার (৫ মে) আগুনে সুন্দরবনে ক্ষতিগ্রস্ত জীববৈচিত্র্যের পরিমাণ নির্ণয়ে বিশেষজ্ঞ টিম গঠন করা হয়। সেসময় ওই টিমকে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন প্রধান বন সংরক্ষক আমির হোসাইন চৌধুরী।

এর আগে তিনি ওইদিন ঢাকা থেকে ছুটে এসে সরেজমিনে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এরপর সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান বন সংরক্ষক জানান, সুন্দরবনে বর্তমানে কোথাও আগুন নেই। পর্যবেক্ষণের জন্য কাজ করছে একটি টিম।

এর আগে পূর্ব সুন্দরবনে আগুন লাগার কারণ বের করতে ওই দিনই (৪ মে) তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী নুরুল করিম। পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) রানা দেবকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- চাঁদপাই রেঞ্জের জিউধার স্টেশন অফিসার মোঃ ওবায়দুর রহমান এবং ধানসাগর স্টেশন অফিসার মোঃ রবিউল ইসলাম।

উল্লেখ্য, গত শনিবার (৪ মে) দুপুরে সুন্দরবনের পূর্ব বন বিভাগের চাঁদপাই রেঞ্জের আমরবুনিয়া এলাকায় আগুন লাগে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে ২ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে। পরে ৪৩ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে বনরক্ষকী, ফায়ার সার্ভিস, নৌ বাহিনী ও স্থানীয়রা মিলে সেই আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আনে।

;

তিন মাসের মধ্যে ড্রায়ার মিলে ঝরনা লাগানোর নির্দেশ



ডিষ্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে অটো রাইসমিল ও চাতাল মিল থেকে নির্গত কালো ধোয়া, ছাই ও রাইস ব্রান বাতাসে ছড়িয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। মিল থেকে নির্গত রাইস ব্রান মানুষের চোখে পড়ে ক্ষতি হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের। এসব বিষয়ে বার বার মিল মালকদের সময় দেয়া হলেও তারা কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি।

অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার পরিবেশ ও প্রতিবেশ দূষণমুক্ত রাখার পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য ঝুঁকিমুক্ত রাখাসহ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত বিধি-বিধান মেনে অত্র উপজেলাধীন অটোরাইস মিল ও চাতাল কলসমূহের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে ও দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে করণীয় বিষয়ে চাতাল মালিক ব্যবসায়ীদের সাথে মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেখানে মিল মালিকদের তিন মাসের মধ্যে রাইস ব্রান, ছাই ও কালো ধোয়া বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

শনিবার (১১ মে) সকালে উপজেলা পরিষদের হলরুমে মিল মালিক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন। তিনি উপস্থিত থেকে অটো রাইসমিল ও চাতাল মিল থেকে নির্গত কাল ধোয়া, ছাই ও রাইস ব্রান বাতাসে যেন ছড়িয়ে না যায় সেজন্য কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে তিন মাসের সময় বেধে দেন। পাশাপাশি আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সমস্ত মিলগুলো থেকে যেন কালো ধোয়া ও রাইস ব্রান বাতাসে না মিশে এজন্য ব্যবস্থা নেয়ার চূড়ান্ত সময় বেধে দেয়া হয়।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বশাকের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাহিদ আহমেদ, জেলা চাতাল কল মালিক সমিতির সভাপতি হাজী জহিরুল ইসলাম জারু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ভূইয়া স্বপন, উপজেলা চাতালকল মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি জোবায়ের হায়দার বুলু, বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মোজাম্মেল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক শাহাদাত হোসেন ,শহর শিল্প ও বনিক সমিতির সভাপতি গোলাম হোসেন ইপটি, চাতাল ব্যবসায়ী মোবারক হোসেন, কামরুল ইসলাম, শাহ আলমসহ বিশেষ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র বসাক বলেন, আগামি অক্টোবর মাসের মধ্যে ঝরনা ও ডিসেম্বর মাসের মধ্যে সকল মিলে সকল কাজ শেষ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে যদি কেউ কাজ শেষ না করে তাহলে আমরা ব্যবস্থা নেব। এটা চূড়ান্ত সময়। আর কোন সময় দেয়া হবে না। এরপর আমরা আইনের প্র‍য়োগ করব।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মো. মঈন উদ্দিন মঈন বলেন, আশুগঞ্জে অটো রাইসমিল ও চাতাল মিল থেকে নির্গত কালো ধোয়া, ছাই ও রাইস ব্রান বাতাসে ছড়িয়ে পরিবেশের ক্ষতি করছে। মিল থেকে নির্গত রাইস ব্রান মানুষের চোখে পড়ে ক্ষতি হচ্ছে জনস্বাস্থ্যের।
আমরা ব্যবসা করব তবে জনসাধারণের ক্ষতি করে না। সমাজের সাধারণ মানুষের কাছে আমরা ওয়াদাবদ্ধ। তাই সবাই এক হয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে। বাতাসে যেন ছাই, ধোঁয়া ও রাইস ব্রান না ছড়ায় সেই জন্য সকলেই তিন মাসের মধ্যে ঝরনা লাগাতে হবে। আর তা না করলে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

;

ব্রি ১০২: পরীক্ষামূলক চাষেই সফল, খুশি কৃষক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
উচ্চ ফলনশীল ব্রি ১০২ ধানের সফলতায় খুশি কৃষক

উচ্চ ফলনশীল ব্রি ১০২ ধানের সফলতায় খুশি কৃষক

  • Font increase
  • Font Decrease

ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট সম্প্রতি উদ্ভাবন করেছে উচ্চ ফলনশীল, জিংক ও পুষ্টি সমৃদ্ধ ব্রি-১০২ জাতের ধান। নরসিংদীতে পরীক্ষামূলক এই ধান চাষে মিলেছে সফলতা। পরীক্ষামূলকভাবে স্বল্প খরচে ধান উৎপাদনে ফলন ভালো হওয়ায় খুশি কৃষক।

জানা যায়, পুষ্টি সমৃদ্ধ ব্রি-১০২ জাতের ধান অন্যান্য ধানের চেয়ে ফলনে বেশি, দেখতে লম্বা ও চিকন, ভাত ঝরঝরে, খেতে সুস্বাধু, পুষ্টিগুণ বেশি ও জিংক সমৃদ্ধ। রোগ বালাই কম। এ ধান হেক্টরে ৮ থেকে সাড়ে ৯ টন পর্যন্ত ফলন দিয়ে থাকে। তাই এ জাতের ধান দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে জাগিয়েছে নতুন সম্ভাবনা। পরীক্ষামূলকভাবে এবছর পলাশ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নে ৫ জন কৃষকের মাধ্যমে বোরো মৌসুমে প্রথমবারের মতো এর আবাদ করা হয়। প্রথমবারেই সর্বোচ্চ ফলন পেয়ে খুশি কৃষকরা। এটি এখন কৃষি ও কৃষকের জন্য সুসংবাদ।

অন্যান্য ধানের তুলনায় ফলন বেশি হওয়ায় পুরোনো জাত বাদ দিয়ে নতুন জাতের ধান ব্রি-১০২ চাষ করতে মাঠ দিবসের মাধ্যমে কাজ করছেন মাঠ পর্যায়ের কৃষি বিভাগের সদস্যরা। বঙ্গবন্ধু-১০০ এবং ব্রি-১০২ জাতের জিংক সমৃদ্ধ, শরীরের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করবে। এগুলো প্রিমিয়াম কোয়ালিটির ধান হওয়ায় বাজারমূল্যও অন্য ধানের তুলনায় বেশি বলে দাবি কৃষক ও কৃষি বিভাগের।

কর্তৃপক্ষ বলছে, এই ধানের চাল খেলে শরীরে পুষ্টি ও জিংকের চাহিদা পূরণ করবে। তাই সম্প্রসারণের কাজ চলছে।

পলাশ উপজেলার জয়পুরা এলাকার কৃষক মো: হেকিম মিয়া জানান, তিনি আগে বি ২৮ ও ব্রি ২৯ ধান করতেন। এবার তিনি তিন বিঘা জমিতে নতুন ব্রি ১০২ জাতের ধানের চাষ করেছেন। বীজ ও সব ধরনের সার কৃষি অফিস থেকেই দিয়েছেন এবং মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ নিয়মিত তদারকি করেছেন। যার ফলে এবছর আগের তুলনায় ধান বেশি পেয়েছেন এবং অন্যান্য কৃষকের আগেই ধান কাটতে সক্ষম হয়েছেন।

তার কথার সুরে সুর মিলিয়ে একই এলাকার কাদির সরকারও জানিয়েছেন একই কথা। তিনি বলেন, এই ধানে রোগ বালাই হয়না বললেই চলে। এছাড়া বাতাসে সহজে নুয়ে পরে না। ধানটি লম্বা ও চিকন। তাই মানুষের মুখে এখন আগামী দিনে এই ধান চাষের আগ্রহের কথা উঠে এসেছে।

পলাশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আয়েশা আক্তার জানান, মাঠ পর্যায়ের কৃষি বিভাগের কাজই হচ্ছে কৃষকদের নতুন নতুন তথ্য দেয়া। এরজন্য কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে নিয়মিত মাঠ দিবস করা হয়ে থাকে। এই মাঠ দিবসের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ের কৃষকদের বিভিন্ন ফসলের নতুন নতুন তথ্য দেয়া এবং সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়।

গাজীপুর ধান গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হাবিবুর রহমান মুকুল বলেন, আধুনিক জাতের ধানের মধ্যে সব বৈশিষ্ট্য এই জাতের মধ্যে বিদ্যমান। এই ধানের গাছ বেশি বড় না হওয়ায় বাতাসে সহজেই নুয়ে পরে না। এই জাতের ধানে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তাই শরীরের জন্য উপকারে আসে।

গাজীপুর ধান গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক (গবেষক) ড. মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান বলেন, সরকার উচ্চফলনশীল জাতের পাশাপাশি পুষ্টিসমৃদ্ধ ধান উৎপাদনে বিশেষ নজর দিয়েছে। বাংলাদেশর মানুষ ভাত খেতে অভ্যস্ত। তাই ভাতের মধ্যে পুষ্টিগুণ থাকলে সহজেই মানুষ পুষ্টি পাবে। এই ধানের চাষ ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে কৃষি বিভাগ।

ব্রি উদ্ভাবিত জিংক সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধু ধান-১০০ ও ব্রি ধান-১০২ জাতের ধানের চাষাবাদ সম্প্রসারণে কাজ করে যাচ্ছে ধান গবেষণা কেন্দ্র। এতে একদিকে যেমন কৃষক অধিক ফলনে লাভবান হবেন অন্যদিকে দেশের মানুষের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করবে। এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।

;