চট্টগ্রামে ধর্মঘটে চলছে না বাসের চাকা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ধর্মঘটের কারণে বাস না চলায় নগরীর চাক্তাই এলাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

ধর্মঘটের কারণে বাস না চলায় নগরীর চাক্তাই এলাকায় যাত্রীদের ভোগান্তি। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

  • Font increase
  • Font Decrease

বাসের ধাক্কায় চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) দুই শিক্ষার্থী নিহতের জেরে পরিবহন ভাঙচুর ও আগুন দেওয়ার ঘটনায় আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) ভোর ৬টা থেকে চট্টগ্রাম গণপরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকা ৪৮ ঘণ্টার পরিবহন ধর্মঘট চলছে। এই ধর্মঘটের কারণে শহর ছেড়ে যায়নি কোনো বাস। নগরীতেও ঘুরছে না বাসের চাকা। এই কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

দূরপাল্লার বাস না চলায় চাহিদা বেড়েছে প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার। আর এই সুযোগে চালকেরা দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করছেন। একইভাবে নগরীতেও বাস চলাচল না করায় টেম্পো ও রিকশা নিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। বাস না চলায় এসব গাড়ির চালকেরাও ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর সবচেয়ে বড় বাস টার্মিনাল বহদ্দারহাট বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে পড়ে রয়েছে শত শত গাড়ি। টিকিট কাউন্টারগুলোও তালা দেওয়া। চালক ও সহকারীরা বিভিন্ন দোকান ও গাড়িতে বসে খোশগল্প এবং মুঠোফোনে লুডু খেলায় ব্যস্ত সময় পার করছিলেন।

জানতে চাইলে চালকদের অনেকেই ধর্মঘট নিয়ে ক্ষোভের কথা জানান। তবে কেউই পরিবহন নেতাদের ভয়ে নাম প্রকাশ করতে চাননি।

চট্টগ্রাম-বাঁশখালী রুটে চলাচল করা সুপার সার্ভিসের দুজন চালক বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'ঘটনা ঘটেছে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে। পরিবহন নেতারা সেই সড়কে ধর্মঘটের ডাক দিতে পারতেন। কিন্তু ঢালাওভাবে পাঁচ জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়ে যাত্রীদের যেমন ভোগান্তিতে ফেলেছেন, তেমনি আমাদের পেটেও লাথি মেরেছেন। কেননা গাড়ি চললেই তো আমাদের পেটে খাবার পড়ে, না চললে কে দেবে খাবার? পরিবহন মালিকেরা তো তার খবর রাখেন না।'

চট্টগ্রামে ধর্মঘটে চলছে না বাসের চাকা, ভোগান্তিতে যাত্রীরা। ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

এই টার্মিনাল থেকে চট্টগ্রামের দক্ষিণের প্রায় সব জেলার পাশাপাশি উত্তরের কয়েকটি উপজেলায়ও গাড়ি যায়। প্রতিদিন অন্তত দশ হাজার যাত্রী এই টার্মিনাল হয়ে গন্তব্যে যান। কিন্তু গাড়ি না চলায় তারা পড়েছেন মহা ঝামেলায়।

এই টার্মিনাল থেকে আধা কিলোমিটার দূরে চান্দগাঁও থানা মোড় এলাকা থেকে কক্সবাজারে যাওয়ার বেশ কয়েকটি পরিবহনের কাউন্টার রয়েছে। সেখানে গিয়েও একই চিত্র দেখা গেছে। চলছে না কোনো বাসই, তালা ঝুলছে কাউন্টারে-কাউন্টারে।

জানতে চাইলে মারচা নামের একটি পরিবহনের একজন চালক বলেন, ধর্মঘটের কারণে সকাল থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে কোনো বাস ছেড়ে যায়নি। যাত্রীরা এসে তাই ফিরে যাচ্ছেন।

কক্সবাজারে যেতে এই স্টেশনে এসেছিলেন একটি বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থার (এনজিও) কর্মী শাহাদাত হোসেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, কর্মস্থলে যোগ দিতে কক্সবাজার যেতে বাসা থেকে বেরিয়েছিলাম। কিন্তু স্টেশনে এসে দেখি কোনো গাড়িই চলছে না। বাধ্য হয়ে প্রাইভেটকারে দ্বিগুণ ভাড়ায় কক্সবাজার যেতে হচ্ছে।

দক্ষিণ চট্টগ্রাম থেকে শহরে ঢোকার প্রধান প্রবেশমুখ চাক্তাইয়ের নতুন ব্রিজ এলাকা। বেলা সাড়ে ১১টায় সেখানে গিয়ে দেখা যায় মানুষদের প্রচুর ভিড়। বাস না চলায় কোনো প্রাইভেটকার আসলেই সেটি ঘিরে ধরছেন যাত্রীরা। সেই সুযোগে যেখানে আগে ১০০ টাকায় পটিয়া-চন্দনাইশের গন্তব্যে যাওয়া যেত সেই ভাড়া এখন দাবি করা হচ্ছে ২০০ টাকা।

কেন বেশি ভাড়া দাবি করছেন সেটি জানতে চাইলে মোহাম্মদ রশিদ নামের একজন প্রাইভেটকার চালক বার্তা২৪.কমকে বলেন, 'ধর্মঘটে ঝুঁকি নিয়ে সড়কে বেরিয়েছি। ধর্মঘটে গাড়ি চালানোর জন্য যে কোনো সময় হামলার শিকার হতে পারি। সেজন্য যাত্রীদের কাছ থেকে চেয়ে কিছু ভাড়া বেশি নিচ্ছি।'

বাস না চলায় কেউ কেউ ট্রাকে-পিক আপে চড়েও ঝুঁকি নিয়ে গন্তব্যে ফিরছিলেন।

পরিবার নিয়ে চন্দনাইশে ফিরতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েন রানী দাশ। তিনি বলেন, জরুরি বাড়ি যেতে হচ্ছিল। কিন্তু বাস না চলায় বিপদে পড়েছি। এখন বাধ্য হয়ে দ্বিগুণ ভাড়ায় প্রাইভেটকারে যেতে হচ্ছে। আমাদের অপরাধটা কোথায় বুঝতেছি না।

একইভাবে উত্তর চট্টগ্রাম থেকে নগরীতে প্রবেশের তিন মুখ একেখান, অক্সিজেন ও কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায়ও যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। এই তিন স্টেশনেও দূরপাল্লার বাসের সব কাউন্টার বন্ধ। প্রাইভেটকার, অটোরিকশা, ট্রাক-মানুষ যে যেভাবেই পারছে গন্তব্যে ফিরছে।

গত শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে চট্টগ্রামের পাঁচ জেলায় ৪৮ ঘণ্টার ধর্মঘটের এই ঘোষণা দেওয়া হয়। পরে অবশ্য তিনটি পরিবহন সংগঠন ধর্মঘট প্রত্যাখানের ঘোষণা দেয়। কিন্তু এই সংগঠগুলো টেম্পোজাতীয় পরিবহন সংশ্লিষ্ট। ফলে তাদের প্রত্যাখানে তেমন একটা প্রভাব পড়ছে না।

গত সোমবার (২২ এপ্রিল) চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই চুয়েট শিক্ষার্থী নিহত হয়। এর জের ধরে ওইদিন থেকেই শিক্ষার্থীরা ১০ দফা দাবিতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিলেন। গত ২৪ এপ্রিল ঘাতক বাসের চালককে পুলিশ গ্রেফতার করে। এরপরও ছাত্র আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থামাতে ২৫ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করলে ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা গণ পরিবহনে আগুন ধরিয়ে দেয়। এর প্রতিবাদে পরিবহন ধর্মঘটের ঘোষণা দেওয়া হয়।

   

রাজশাহীর আমের ফলন মন্দা হলেও আকারে ঝলক!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
রাজশাহীর আমের ফলনে মন্দা হলেও আকারে ঝলক!

রাজশাহীর আমের ফলনে মন্দা হলেও আকারে ঝলক!

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহীর বিখ্যাত আমে এ বছর ফলন যতটা কম, আকার ততটাই বড়। এ বছর আমের ফলন কম হলেও আকারে বড় আমের দেখা মিলেছে। এখনো গাছ থেকে আম নামানো হয়নি এবং নামতে আরও প্রায় ১০ দিন সময় লাগবে, তবে গাছে বড় বড় আম দেখে চাষিরা আশাবাদী।

চাষিরা জানান, এ বছর আবহাওয়ার পরিবর্তন এবং অনাবৃষ্টির কারণে ফলনে ঘাটতি দেখা গিয়েছে। তবে যে আম গাছে ধরেছে তার আকার অনেক বড় এবং গুণগত মানও উন্নত। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আমের আকার বড় হওয়ার পেছনে বৃষ্টিপাতের হার ও তাপমাত্রার একটি নির্দিষ্ট ভারসাম্য অন্যতম কারণ।

ব্যবসায়ীরা জানান, আকারে বড় এই আমগুলো বাজারে বেশি দামে বিক্রি হবে, তাই কম ফলন হলেও ক্ষতি কিছুটা পূরণ করবে। প্রতি বছর একই রকম ফলনের প্রত্যাশা থাকে, কিন্তু প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে কৃষি কাজ করতে হয়। এ বছর ফলন কম হলেও আকারে বড় আম পেয়ে খুশি চাষি ও ব্যবসায়ীরা।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিগ্রাম এলাকার আম বাগানের মালিক আব্দুল জব্বার বলেন, এ বছর আম নিয়ে বিশেষ আশাবাদী হতে পারিনি। কারণ মুকুলের সংখ্যা কম, তেমনি গুটিও কম। এখন যদি আমগুলো ঝরে পড়ে, তাহলে আশা করার কি আছে? প্রকৃতি যদি অনুকূল থাকে, তাহলে হয়তো হতাশা কাটবে, এমনটাই প্রত্যাশা ছিল। তবে শেষ মুহূর্তে এসে আমের আকার কিছুটা ভরসা জোগাচ্ছে।


গোদাগাড়ী উপজেলার আম চাষি আব্দুল হান্নান বলেন, এই বছর তাপমাত্রা অনেক বেশি। আমের বাগানে ফলনে খুব খারাপ প্রভাব ফেলেছে। ফুল ঝরে গেছে তবে ফলের আকার গতবারের চেয়ে একটু বড় হয়েছে।

নগরীর খড়খড়ির আম চাষি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, তীব্র খরায় আমের বোঁটার রস শুকিয়ে হলুদ আকার ধারণ করে ঝরে পড়ছিল। সেটা নিয়ে চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু আশের আকার দেখে একটু ্স্বস্থি দিচ্ছে।

আম নিয়ে বাগানী, চাষী, ব্যবসায়ী কেউই এবার হিসাবের সমীকরণ ঠিকমতো মেলাতে পারেননি। একারণে লাভের প্রত্যাশা নিয়েও ছিল নানা গুঞ্জন। কারণ প্রতিকূল আবহওয়ার কারণে এবার আমের মুকুল, গুটি নিয়ে ছিল শঙ্কা। ফলন নিয়েও নানা শঙ্কা এখনো আছে। তবে এবার গাছে গাছে আমের সংখ্যাগত পরিমাণ কম থাকলেও আকার বড় হওয়ায় শেষ সময়ে লাভের আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে কৃষি গবেষণা বিভাগ জানিয়েছে, তারা এই ধরনের পরিস্থিতি সামাল দিতে আরো বেশি গবেষণা এবং উন্নত কৃষি প্রযুক্তির দিকে নজর দিচ্ছে। তারা আম চাষিদের নিয়মিত পরামর্শ দিচ্ছে যাতে আগামী বছর ফলন বাড়ানো সম্ভব হয়।

বাগান মালিক ও কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানান, প্রাকৃতিক অবস্থার পরিবর্তনের প্রভাবে এমন ঘটনা ঘটেছে। এ বছর আমের আকার বড় হলেও মোট ফলনে অনেকটাই ঘাটতি দেখা দিয়েছে। ফলে, বাজারে আমের দাম বেশি থাকলেও ক্রেতাদের মধ্যে সন্তুষ্টির হাসি।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, গত বছর আমের অন ইয়ার থাকলেও এবার অফ ইয়ার। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আমের ফলন কমবে। তবে প্রতিকূল আবহাওয়ায় কাঙিক্ষত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ব্যাহত হবে। আর তাপমাত্রার এই বৃদ্ধি যে কেবল ফলনের ক্ষতি করছে তা নয়, বরং কৃষকদের আয়ের উপরেও বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। অনেক কৃষকের জীবনযাত্রা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এই পরিবর্তনের কারণে বিপদের মুখে পড়ছে।

রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুসারে, রাজশাহীতে ১৯ হাজার ৬০২ হেক্টর জমিতে আম চাষ করা হয়েছে। এসব গাছ থেকে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার ১৬৪ মেট্রিক টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে। যদিও এ বছর এই লক্ষ্য পূরণ হবে কিনা তা নিয়ে চাষিদের মধ্যে শঙ্কা প্রকাশ পাওয়া যাচ্ছে। গত বছর আম বিক্রি থেকে রাজশাহীর চাষিদের আয় ছিল প্রায় ১,৫২৮ কোটি টাকা। এ বছর তারা এই আয়ের সম্ভাব্যতা নিয়ে মন্তব্য করতে নারাজ সংশ্লিষ্টরা।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রাজশাহী অঞ্চলের উপ-পরিচালক ড. মোতালেব হোসেন বলেন, আম চাষে অফ ইয়ার ও অন ইয়ার নামে একটি প্রবাদ আছে। বড় গাছগুলোতে এই প্রভাব বেশি লক্ষণীয়। গত বছর যেহেতু ফলন অধিক হয়েছিল, সে কারণে এই গাছগুলোতে এ বছর আমের পরিমাণ কম। অন্যদিকে, ছোট গাছগুলোতে আমের পরিমাণ সন্তোষজনক। গত বছরের তুলনায় এবার উৎপাদনে বড় কোনো হ্রাস হবে বলে মনে হচ্ছে না। আমাদের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আমের ভালো উৎপাদনের সম্ভাবনা প্রকাশ পাচ্ছে। তবে এখনই কোনো অগ্রিম মন্তব্য করা উচিত হবে না।

;

চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাতে আহম্মেদ মল্লিক (৬০) নামের এক বৃদ্ধ কৃষক নিহত হয়েছেন। নিহত আহম্মেদ মল্লিক পাটাচোরা গ্রামের মৃত খেদের মল্লিকের ছেলে।

শনিবার (১১ মে) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার পাটাচোরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে নিজের জমিতে কাজ করতে ছেলের সাথে মাঠে যান বৃদ্ধ আহম্মেদ মল্লিক। সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে বাবাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন তার ছেলে। বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে তিনি নিহত হন। বজ্রপাতের শব্দে তার ছেলে দ্রুত গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তার বাবাকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ড. হেলেনা আক্তার নিপা বলেন, সকাল ৯টা ১০ মিনিটের দিকে আহম্মেদ মল্লিক নামের একজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আমরা তাকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি।

;

সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা ৩০ হাজার টাকাসহ ৬ দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪. কম
সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা ৩০ হাজার টাকাসহ ৬ দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের

সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা ৩০ হাজার টাকাসহ ৬ দফা দাবি সরকারি কর্মচারীদের

  • Font increase
  • Font Decrease

 

নবম জাতীয় পে-স্কেল ঘোষণা, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বেতন ভাতা বাড়াতে বাজেটে অর্থের সংস্থান রাখা এবং সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা ত্রিশ হাজার টাকা করাসহ ৬ দফা দাবি জানিয়েছে সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন।

শনিবার (১১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা মোহাম্মদ আকরম খাঁ হলে দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন সংগঠনটির নেতারা।

সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যের মাধ্যমে ৬ দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান ভূঁঞা।

তিনি বলেন, বর্তমানে অনিয়ন্ত্রিত বাজার ব্যবস্থা ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সীমিত আয়ের কর্মচারীরা সংসারের ন্যূনতম ব্যয় বহন করতে পারছে না। এ অবস্থা থেকে তাদের উত্তরণের কোন পদক্ষেপ লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। ১ম থেকে ১০ম গ্রেড এবং ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারীদের পে স্কেলে অনেক বৈষম্য।

১১-২০ গ্রেডভুক্ত কর্মচারীদের আর্থিক দুর্দশা লাঘবে বেতন বৃদ্ধি সহ যাবতীয় বৈষম্য দূরীকরণের জন্য আমরা সরকারের কাছে ৬ দফা দাবি রাখছি।

১. ১৯৭৩ সনের জাতীয় বেতন স্কেলের অনুরূপ ১০ (দশ) ধাপ বিশিষ্ট বেতন স্কেল নির্ধারণ-পূর্বক ০৬ (ছয়) সদস্য বিশিষ্ট পরিবারের ব্যয় বিবেচনায় সর্বনিম্ন বেতন-ভাতা ৩০ হাজার টাকা করতে হবে।

২.  প্রজাতন্ত্রের সকল কর্মচারীদের পদ-পদবি ও গ্রেড পরিবর্তন সহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন করতে হবে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সীমা ৩৫ ও অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর করতে হবে। শতভাগ পেনশন প্রদান, স্বেচ্ছায় অবসর ২০ বছর নির্ধারণ এবং আনুতেষিক প্রতি ১টাকায় ৩০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।

৩. ব্লক পদ প্রথা প্রত্যাহার, পদোন্নতিযোগ্য পদ শূন্য না থাকলেও নির্ধারিত সময়ের পর উচ্চতর পদের বেতন স্কেল প্রদান, ঝুঁকিপূর্ণ কর্মে নিয়োজিত কর্মচারীদেরকে যৌক্তিকভাবে ঝুঁকিভাতা প্রদান করতে হবে এবং সকল শূন্য পদে দ্রুত নিয়োগ প্রদান করত আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রথা বিলুপ্ত করতে হবে;

৪. প্রজাতন্ত্রের ১১-২০ গ্রেডভূক্ত কর্মচারীদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধির হার ৫% এর পরিবর্তে ২০% এ উন্নীত করতে হবে।

৫. প্রজাতন্ত্রের ১১-২০তম গ্রেডভূক্ত কর্মচারীদের জন্য সকল নিয়োগে ৩০% পোষ্য কোটা সংরক্ষণ করতে হবে।

৬. প্রধানমন্ত্রীর সাথে কর্মচারী প্রতিনিধিদের সরাসরি সাক্ষাৎ ও আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার ২০২৪ এ দ্রব্যমল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণ করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ৬ দফা সম্বলিত স্মারকলিপি আগামী ১৫ মে প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রদান করা হবে। দাবি বাস্তবায়নে সরকারের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া না পেলে পরবর্তীতে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি মোঃ মহসিন ভূইয়া, মোঃ সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ঢাকা মহানগর নির্বাহী পরিষদের সভাপতি মোঃ বাহার উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নজির আহমেদ ভূইয়া, মাহবুব আলম, জহুরুল হক, মোঃ আব্দুল করিম, মোঃ আশিকুর রহমান প্রমুখ।

;

নরসিংদীতে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত ২, আহত ৩



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদীর পাঁচদোনার চৈতাব এলাকায় যাত্রীবাহী বাস এবং মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালকসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের আরও ৩ যাত্রী আহত হয়েছেন।

শনিবার (১১ মে) ভোর পৌনে ৬টার দিকে মহাসড়কের চৈতাব এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, মাইক্রো বাস চালক আ. সালাম (৪৩) এবং যাত্রী আহসান তানভীর পিয়াল (২৬)। পিয়াল ‘ওড সিগনেচার’ নামক একটি মিউজিক ব্যান্ডের সদস্য ছিলেন।

পুলিশ এবং স্থানীয়রা জানায়, ভোরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা একটি মাইক্রোবাস সিলেটের দিকে যাচ্ছিলো। ভোর পৌনে ৬টার দিকে নরসিংদীর পাঁচদোনার চৈতাব এলাকা পৌঁছালে ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস অন্য আরেকটি গাড়িকে ওভারটেক করতে যায়। এসময় মাইক্রোবাসটির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

এতে ঘটনাস্থলেই মাইক্রোবাসের চালক ও এক যাত্রীর মৃত্যু হয়। এতে আহত হয় মাইক্রোবাসে থাকা আরও ৩ যাত্রী। দুর্ঘটনার পর যাত্রীবাহী বাসটি পালিয়ে যাওয়ার সময় ভুলতা থেকে আটক করে হাইওয়ে থানা পুলিশ।

ইটাখোলা হাইওয়ে থানার ওসি ইলিয়াছ আহমেদ জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যায়।

;