আইনি সহায়তা পাওয়া করুণা নয়, এটা তার অধিকার: আনিসুল হক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আইনগত সহায়তা পাওয়া কারো প্রতি করুণা নয় বরং এটা তার অধিকার। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, সামাজিক সুবিচার ও বিচার প্রক্রিয়ায় ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার সমান অধিকারের কথা সন্নিবেশ করে গেছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস’ উপলক্ষে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, দুঃখজক হলেও সত্য বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর আর্থিকভাবে অসচ্ছল মানুষগুলোর আইনগত সহায়তা পাবার অধিকারের প্রতি কেউ দৃষ্টি দেয়নি। প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা প্রথমবার সরকার গঠন করে ২০০০ সালে আইনগত সহায়তা প্রদান আইন প্রণয়ন করেন। ফলে বাংলাদেশে প্রথম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় অসচ্ছল সহায়সম্বলহীন নাগরিকদের আইনগত অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত হয়।

কিন্তু ২০০১ সালের মাঝামাঝি থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সাড়ে সাত বছর শেখ হাসিনা সরকারে না থাকায় নাগরিকদের এই অধিকার অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়, বলেন তিনি।

এরপর ২০০৯ সালে শেখ হাসিনার সরকার দ্বিতীয়বার দায়িত্বে এলে আবারও আইনি সহায়তা কার্যক্রম আলোর মুখ দেখে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এই অভিযাত্রায় তার সরকার আইনগত সহায়তা কার্যক্রম রাজধানী থেকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে যুগান্তকারী বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। যার মধ্যে অন্যতম হলো ঢাকায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার প্রধান কার্যালয় স্থাপনসহ ৬৪ জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, এর ধারাবাহিকতায় আমরা প্রত্যেকটি উপজেলা ও ইউনিয়নে লিগ্যাল এইড কমিটি এবং চৌকি আদালত ও শ্রম আদালতে বিশেষ লিগ্যাল এইড কমিটি গঠন করি। শ্রম আদালতে শ্রমিক আইনি সহায়তা সেল আমরা চালু করি। আমরা দরিদ্র অসহায় মানুষ যেনো দেশের সর্বোচ্চ আদালতে এসে ন্যায় বিচার পান। সেজন্য ২০১৫ সালে সুপ্রিম কোর্টে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রম শুরু করি।

আনিসুল হক বলেন, সরকারি আইনি সহায়তা আরও সহজ করার লক্ষ্যে ২০১৬ সালে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার প্রধান কার্যালয়ে টোল ফ্রি জাতীয় হেল্প লাইন ১৬৪৩০ সার্ভিস চালু করেছি।

মন্ত্রী বলেন, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে জুলাই ২০১৫ সাল থেকে মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত ১ লাখ ১০ হাজার ৪৩৬টি বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ সবক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এইবারের প্রতিপাদ্য ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

তিনি বলেন, সকলের প্রচেষ্টায় আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।

   

আদালতে এসে ঢলে পড়লেন বাবুল আক্তার, হয়নি সাক্ষ্যগ্রহণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম আদালতে আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় হাজিরা দিতে এসে আসামির কাঠগড়ায় বেঞ্চে বসা অবস্থাতেই অসুস্থায় ঢলে পড়েন সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারকে। কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন তিনি। কারাগারে ফেরার জন্য তিনি প্রিজন ভ্যানে উঠতে অস্বীকৃতি জানান। পরে অবশ্য তাকে প্রিজন ভ্যানেই ফেনী কারাগারে পাঠানো হয়। এদিন মিতু হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ হওয়ার কথা থাকলেও সেটা আর হয়নি।

সোমবার (১৩ মে) বেলা ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মহানগর তৃতীয় অতিরিক্ত দায়রা জজ জসিম উদ্দিনের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য বাবুল আক্তারকে সকাল ১০টার দিকে ফেনী কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। আসামির কাঠগড়ায় তিনি যে বেঞ্চে বসা ছিলেন, সেখানে ঢলে পড়েন। সেখানে পুলিশ ও স্বজনেরা তাকে প্রাথমিক সেবা দেন। কিছুক্ষণ পর তিনি সুস্থ বোধ করেন। বাবুল আক্তার কয়েক দিন ধরে জ্বরে ভুগছেন বলে জানান।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহমেদ জানান, সাক্ষী হাজির না হওয়ায় রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। আদালত আগামী বুধবার শুনানির জন্য পরবর্তী দিন ধার্য করেন। সাক্ষ্যগ্রহণ না হওয়ায় তাকে যখন কারাগারে নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিল পুলিশ, তিনি প্রিজন ভ্যানে যেতে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি মাইক্রোবাসে করে তাকে কারাগারে নেয়ার দাবি করেন। পরে তাকে প্রিজন ভ্যানে করে ফেনী কারাগারে নেয়া হয়েছে।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) এস এম হুমায়ুন কবীর জানান, বাবুল আক্তার হঠাৎ আদালতে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিলেন বলে জেনেছি। অসুস্থ হওয়ার পর তিনি নাপা খেতে চেয়েছিলেন। পরে আমরা বিষয়টি আদালতকে অবহিত করে চট্টগ্রাম কারা কর্তৃপক্ষকে জানাই। পরে সুস্থ বোধ করায় তাকে আবার ফেনী কারাগারে নেওয়া হয়।

বাবুল ক্তারের আইনজীবী মামুনুল হক চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, জ্বর থাকায় বাবুল আক্তারকে ফেনী কারাগারে না নিয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখার আবেদন করা হলেও আদালত তা নামঞ্জুর করেন।

;

২৫৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, লালমনিরহাট
২৫৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি আটক

২৫৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক কারবারি আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধায় ২৫৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। আটক ব্যক্তির নাম সুশান্ত চন্দ্র।

সোমবার (১৩ মে) সকাল সাতটার দিকে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা থানার ১০ নং ভেলগুড়ি ইউনিয়নের অন্তর্গত উত্তর জাওরানি (মাঝিপাড়া) বড়দল ব্রিজের পশ্চিম পার্শ্বে অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব–১৩ এর একটি ইউনিট। এসময় ২৫৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ সুশান্ত চন্দ্রকে আটক করা হয়।

র‌্যাব আরও জানায়, মাদক কারবারি সুশান্ত চন্দ্র দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক কারবারির সাথে সম্পৃক্ত এবং বহুদিন ধরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে মাদকের বড় বড় চালান পার্শ্ববর্তী দেশ হতে পাচার করে রংপুর এবং লালমনিরহাট জেলাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে আসছে।

র‌্যাব-১৩ গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পরে আসামিকে হাতীবান্ধা থানায় হস্তান্তরসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মাদক মামলা দায়ের করা হয়েছে।

;

এসএসসিতে জিপিএ-৫ পেল জমজ দুই বোন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে জমজ দুই বোন। জিপিএ-৫ প্রাপ্তরা হলেন- অর্পিতা সাহা অর্পা ও অর্মিতা সাহা অর্ণা। অর্পার প্রাপ্ত নম্বর-১১২৩ আর অর্ণার প্রাপ্ত নম্বর-১১১৪। জমজ দুই বোন বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী।

এসএসসিতে ভালো ফলাফল করার পর ভবিষ্যতে তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক ও অপরজন প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

অর্পা ও অর্ণা পৌর শহরের ওয়ালটন প্লাজার সিনিয়র এস্টিকিউটিভ ম্যানেজার অনুপ কুমার সাহা ও গৃহিনী সুম্মিতা ঘোষ দম্পতির জমজ দুই কন্যা সন্তান। তারা পৌর শহরের সাবালিয়া এলাকার বাসিন্দা।

অর্পিতা সাহা অর্পা জানান, ভবিষ্যতে সে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন চিকিৎসক হতে চায়। দেশ ও জাতির সেবায় নিয়োজিত থাকার স্বপ্ন দেখছে সে। তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলের আর্শিবাদ কামনা করেছে সে।

অর্মিতা সাহা অর্ণা জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন প্রকৌশলী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে সে। স্বপ্ন পূরণে সকলের আর্শিবাদ কামনা করেছে অর্ণা।

জমজ দুই কন্যার বাবা অনুপ কুমার সাহা বলেন, আমি চাই আমার মেয়েরা মানুষের মত মানুষ যেন হয়। তাদের স্বপ্ন ও আশা পূরণে আমি সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। তারা যেন দেশ ও জাতির কল্যাণে নিজেদের নিয়োজিত রাখতে পারে এটিই আমার প্রত্যাশা।

;

২৭ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পটুয়াখালী
২৭ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

২৭ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

  • Font increase
  • Font Decrease

২৭ বছর আত্মগোপনে থাকার পর র‍্যাবের হাতে গ্রেফতার হলেন হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আনোয়ার হোসেন খাঁন।

সোমবার (১৩ মে) বিকেলে র‌্যাব-৮ (পটুয়াখালী ক্যাম্প) এর একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে পটুয়াখালীর প্রত্যন্ত দ্বীপ রাঙ্গাবালী উপজেলার বড় বাইশদা ইউনিয়ন থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি মো. আনোয়ার হোসেন খাঁনকে গ্রেফতার করেন। তিনি বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার কৃষ্ণকাঠি গ্রামের গিয়াস খানের ছেলে।

র‍্যাব সূত্রে জানা যায় আসামি মো. আনোয়ার হোসেন খাঁন দীর্ঘ ২৭ বছর ধরে আত্মগোপনে ছিলেন। তিনি ১৯৯৭ সালের অক্টোবর মাসে তার প্রতিবেশী আসমান খাঁন কে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। তারপর থেকেই তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। পরবর্তীতে ২০০১ সালে ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে আদালত বাংলাদেশ দণ্ডবিধি ৩০২ ধারায় পলাতক অবস্থায় আসামির বিরুদ্ধে যাবজ্জীবন সাজাসহ ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা, অনাদায়ে আরও ০১ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। আদালতের রায় ঘোষণার পর থেকে ২৩ বছর অতিক্রান্ত হলেও আসামি পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার বড় বাইশদা ইউনিয়নে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় সংসার করে আসছিলেন।

র‍্যাব-৮, সিপিসি-১ (পটুয়াখালী ক্যাম্প) এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর সোহেল রানা বলেন, আমাদের কাছে বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশ কর্তৃক একটি অধিযাচনপত্র আসে আসামিকে গ্রেফতারের জন্য। বিষয়টিকে অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে আমাদের একটি চৌকস টিম তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় পটুয়াখালীর প্রত্যন্ত দ্বীপ উপজেলা রাঙাবালীর বড় বাইশদা এলাকা থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত এই আসামিকে গ্রেফতার করে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ এর পর আসামিকে বাকেরগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে।

;