কক্সবাজারে অস্ত্র ও গুলিসহ ৫ রোহিঙ্গা আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দেশী-বিদেশি অস্ত্র ও গুলিসহ পাঁচ রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকালে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানান ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক অতিরিক্ত উপ-মহাপরিদর্শক (এডিআইজি) মোহাম্মদ ইকবাল।

আটককৃতরা হলো, উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের মৃত কবির আহম্মদের ছেলে মোহাম্মদ জোবায়ের (২২) এবং একই ক্যাম্পের সি-২ ব্লকের মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে দিল মোহাম্মদ (৩৫), সি-৭ ব্লকের আব্দুস সালামের ছেলে মোহাম্মদ খলিল (৩৪), সি-২ ব্লকের মতিউর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিছ (২৮) ও এ-৬ ব্লকের মৃত সাব্বির আহাম্মদের ছেলে মোহাম্মদুল্লাহ (২৫)।

এপিবিএন পুলিশ জানিয়েছে, অস্ত্রসহ আটক হওয়া সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য।

মোহাম্মদ ইকবাল আরও বলেন, রোববার সকালে উখিয়া উপজেলার কুতুপালং ২-ওয়েস্ট নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি-৯ ব্লকের জনৈক ব্যক্তির বসত ঘরে কতিপয় লোকজন অপরাধ সংঘটনের উদ্দেশ্যে সশস্ত্র অবস্থায় অবস্থান করছে খবরে এপিবিএন পুলিশের একটি দল অভিযান চালায়। এতে সন্দেহজনক বসত ঘরটি ঘিরে ফেললে ১০ থেকে ১২ জন লোক পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা চালায়। এসময় ধাওয়া দিয়ে ৫ জনকে আটক করা সম্ভব হলেও অন্যরা পালিয়ে যায়।

পরে তাদের শরীর এবং বসত ঘরটি তল্লাশি করে পাওয়া যায় বিদেশি ৫ টি পিস্তল, দেশীয় তৈরি ২ টি বন্দুক ও ১৮ টি গুলি।

এপিবিএন পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, আটক হওয়া সবাই রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী সংগঠনের সক্রিয় সদস্য। তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। 

তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।

   

ডেঙ্গু প্রতিরোধে মাসে কাউন্সিলরদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে: মেয়র আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতি মাসে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (১৩ মে) সকালে রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে নগর ভবনে ডিএনসিসি’র চার বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে ডিএনসিসির ৭২টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। কাউন্সিলররা এই টাকা ওয়ার্ডে সাধারণ জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি, র‍্যালি, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান ও অংশীজনদের সঙ্গে মতবিনিময় করার জন্য ব্যয় করবেন।

এ ছাড়াও ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রতিটি ওয়ার্ডে যেসব বর্জ্য-পানি জমে এডিস মশার লার্ভা জন্মে, ওইসব পণ্য কেনার জন্য কাউন্সিলদের আলাদা করে এ টাকা দেওয়া হচ্ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রধান ওষুধ বিটিআই সরাসরি সিটি কর্পোরেশন আমদানি করবে।

ডেঙ্গুর ভয়াবহতা তুলে ধরে মেয়র আতিক বলেন, ডেঙ্গু ভয়াবহতায় ২০২৩ সাল অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। মোট ১ হাজার ৬শ ৯৭ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মশার ওষুধ ছিটানো এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মত নানান পদক্ষেপ নেওয়ার কথা থাকলেও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আসছে না। ফলে, প্রতি বছরই মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলছে।

;

চার বছরে ডিএনসিসির অগ্রগতির সার্বিক চিত্র তুলে ধরবেন আতিক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) দায়িত্ব গ্রহণের পর চার বছরের সার্বিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরবেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

সোমবার (১৩ মে) সকালে চার বছর পূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর গুলশান-২ নগর ভবনের হল রুমে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ডিএনসিসি। সেখানে তিনি তার দায়িত্বগ্রহণের পাশাপাশি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, প্রতিশ্রুতি পূরণে তাদের চেষ্টার কমতি ছিল না। কিন্তু করোনার অভিঘাত ছাড়াও নানারকম সীমাবদ্ধতার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও অনেক কিছুই বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি।

এদিকে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রাধান্য পেয়েছিল সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকা।

দায়িত্ব গ্রহণের চার বছরে এসে দেখা যাচ্ছে, 'সচল ঢাকা' চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আলোর মুখ দেখা যায়নি। সচল ঢাকা করতে গেলে ঢাকায় যানজট নিরসনে বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও তা আলোর মুখ দেখেনি নগর বাসী।

ডিএনসিসি জানায়, ২০২০ সালের ১৩ মে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মো. আতিকুল ইসলাম। ওইদিন প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা তার কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন।

এর আগে ২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে উত্তর সিটি কর্পোরেশনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন আতিকুল ইসলাম। সেখানে নির্বাচিত হয়ে ডিএনসিসির মেয়র হন তিনি। পরে ওই বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন আতিকুল ইসলাম। পরবর্তীতে একই বছরের ১৩ মে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলররাসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

কটিয়াদীতে তীব্র গরমের মধ্যেও কুয়াশা



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বৈশাখের তীব্র গরমের মধ্যেও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে ভোরে প্রচণ্ড কুয়াশা পড়েছে। ঘাসের ডগায় জমেছে শিশির বিন্দু। এতে বিস্মিত হয়েছেন অনেকে। 

সোমবার (১৩ মে) কটিয়াদী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কুয়াশা দেখা যায়। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধীরে ধীরে কুয়াশা কেটে যায় এবং প্রচণ্ড গরম পড়ে।

অনেকেই বলছেন, গ্রীষ্মে প্রকৃতির এমন দৃশ্য বিরল। নানা কারণে প্রকৃতি বিরূপ আকার ধারণ করেছে। 


পথচারী আবুল কাশেম বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই এমন ঘটেছে বলে মনে হয়। ফজরের নামাজ পড়ে বের হয়েই দেখি চারদিকে কুয়াশা৷ এসময়ে কিছুটা ঠান্ডাও অনুভূত হয়।’

জালালপুর ইউনিয়নের চর ঝাকালিয়া এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রকৃতি আর আগের মতো নেই৷ সবকিছু উল্টাপাল্টা হয়ে যাচ্ছে। এগুলো ভবিষ্যৎ এর জন্য ভালো লক্ষ্মণ নয় বলে মনে করেন তিনি৷’

;

৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পাস করলেন পুলিশ কনস্টেবল সামাদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম,বগুড়া
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে পাশ করেছেন পুলিশ কনস্টেবল আব্দুস সামাদ। তিনি বর্তমানে বগুড়া সদর ট্রাফিকে কর্মরত রয়েছেন। এই চাকুরী থেকে অবসর নেওয়ার পর হোমিও চিকিৎসক হবেন এই ইচ্ছা থেকেই এস এস সি পরীক্ষা দেন তিনি।

তিনি ২০২৪ সালে নাটোর জেলার মহরকয়া নতুনপাড়া কারিগরি ইনস্টিটিউট থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৪ দশমিক ২৫ পেয়েছেন।

৩৭ বছরের চাকরি জীবনে কর্মস্থলের বাস্তবতা, কঠোর পরিশ্রম, শত অপ্রাপ্তির মধ্যেও অদম্য ইচ্ছা শক্তির মধ্য দিয়ে লেখাপড়া করে এসএসসি পাশ করায় জেলা পুলিশ তাকে সংবর্ধনা দিয়েছেন।

পুলিশ কনস্টেবল আব্দুস সামাদ জানান, ১৯৬৮ সালে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার আশরাফপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৮৭ সালে ৮ম শ্রেণি পাস করে বাংলাদেশ পুলিশে কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। ব্যক্তিগত জীবনে দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক তিনি। মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে বিয়ে দিয়েছেন। বড় ছেলে এইচএসসি পাশ করে ঢাকায় একটি বেসরকারি চাকরি করেন। ছোট ছেলে পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশোনা করে।

আব্দুস সামাদ বলেন, তার পরিবারে দুইজন হোমিও চিকিৎসক রয়েছেন। চাকরির ফাঁকে তিনি নিজেও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার বই পড়াশোনা করেন দীর্ঘদিন ধরে। অবসর জীবনে সময় কাটানোর চিন্তা ভাবনা থেকে তিনি হোমিও চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন দেখেন দীর্ঘদিন ধরে। হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কোর্সে ভর্তি হতে যে শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন তা ছিল না তার। একারণে ২০২২ সালে তিনি নাটোর মহরকয়া নতুনপাড়া কারিগরি ইনস্টিটিউটে নবম শ্রেণিতে ভর্তি হন।

২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পাশ করার পর তিনি এখন ডিএইচএমএস কোর্সে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন। অবসরে যাওয়ার পর হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসার মাধ্যমে মানুষের সেবা করতে চান আব্দুস সামাদ।

তিনি আরও বলেন, এ বয়সে লেখাপড়া করার জন্য আমার পরিবার ও পুলিশ বিভাগ উৎসাহ দেয়ার পাশাপাশি সহযোগিতা করেছে। ফলাফল প্রকাশের পর আমার পরিবার যেমন খুশি হয়েছে তেমনি জেলা পুলিশও অভিনন্দন জানিয়েছে, দিয়েছেন সংবর্ধনা।

বগুড়ার পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী বলেন, ৫৭ বছর বয়সে এসএসসি বিজয়ী জীবন যুদ্ধে পিছিয়ে পড়াদের অনন্য অনুপ্রেরনা ট্রাফিক পুলিশের কনস্টেবল আব্দুস সামাদ। যা জেলা পুলিশের জন্য আনন্দের উৎস।

;