জলঢাকায় সাবেক মেয়রের ছেলে মেয়র হলেন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার উপ-নির্বাচনে সাবেক মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলুর বড় ছেলে নাসিব সাদিক হোসেন নোভা বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি পেয়েছেন, ১২ হাজার ৫শ ৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরী পেয়েছেন ৮ হাজার ৭শ ৬৭ ভোট।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ১৮টি ভোটকেন্দ্রে ১শ ১৭টি বুথে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিন প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে মোট ৬৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ ভোটার ভোট প্রদান করেন।

নির্বাচনে তিনজন মেয়র প্রার্থী উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন, প্রয়াত সাবেক পৌর মেয়র উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বাবুলের ছেলে নাসিব সাদিক হোসেন নোভা (নারিকেল গাছ)। জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট (রেল ইঞ্জিন) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জলঢাকা উপজেলা শাখার আমির ও বর্তমান জেলা কমিটির সুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য প্রভাষক সাদের হোসেন (মোবাইল ফোন)।

প্রসঙ্গত, জলঢাকা পৌরসভার মোট ভোটার সংখা ৩৭ হাজার একশ ৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৮ হাজার ৭শ ৭৪ জন এবং নারী ভোটার ১৮ হাজার ৪শ ১৭ জন।

গত ১৯ জানুয়ারি জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলুর মৃত্যুতে মেয়র পদটি শূন্য হয়।

 

   

সাতক্ষীরায় আমে আমে সয়লাব, বাজার সিন্ডিকেটের দখলে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, গোলাপখাসসহ বিভিন্ন জাতের আম বাজারে উঠতে শুরু করেছে। আমে আমে সয়লাব বাজার। যেদিকে তাকায় সেদিকে আম আর আম। ভৌগোলিক অবস্থার কারণে আগে ভাগে বাজারে আসে সাতক্ষীরার আম। গত বছরের তুলনায় এবার ফলন ভালো হলেও সঠিক দাম পাচ্ছে না বলে অভিযোগ অনেকের। এদিকে অনেকেই বাজারে আম নিয়ে এসে ভোগান্তিতে পড়ছেন বিক্রি হচ্ছে না বলে। সঠিক দাম ও ক্রেতা না থাকায় দুশ্চিন্তায় চাষিরা।

সোমবার (১৩ মে) সাতক্ষীরা বড়বাজারে গেলে দেখা যায়, আমের বাজারে ক্রেতা বিক্রেতার মধ্যে দরকষাকষি করছে অনেকেই। গোবিন্দভোগ ২০০০ থেকে ২৫০০ টাকা মণ, গোপালভোগ ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকা মণ বিক্রি হচ্ছে। তবে অনেকেই বলছেন আমের সাইজ অনুযায়ী দামদর করা হচ্ছে। যাদের আমের সাইজ অনেক ভালো তাদের দরও বেশি হচ্ছে। আবার অনেকেই অভিযোগ করে বলছেন বাজার সিন্ডিকেটের জন্য আমের সঠিক মূল্য পাচ্ছি না এবং তাদের কারণে বাইরের কোনো ব্যবসায়ী বাজারে ঢুকতে পারছে না। যার কারণে আমের সঠিক মূল্যও আমাদের দিচ্ছে না।

আম বিক্রি করতে আসা মহিদুল ইসলাম বার্তা২৪.কম’কে বলেন, এবার ১০ লক্ষ টাকার বাগান কিনেছি। আশা করছি আগের বারের তুলনায় এবার অনেক লাভবান হতে পারবো। কারণ এবার আমের ফলন অনেক ভালো। যার কারণে গাছে প্রায় দেড় হাজার মণ আম হবে বলে তিনি আশাবাদী।


আম বিক্রি করতে আসা সামাদ সদ্দার বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ফলন কম হওয়ায় দাম ভালো পাচ্ছি তবে ক্রেতা নেই। বাজার সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে ক্রেতা সংকট। তাদের কারণে বাজারে বাইরে থেকে ক্রেতা ঢুকতে পারছে না।

ফলন কম হওয়ার কারণে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবছর প্রচুর গরম পড়েছে যার কারণে আম গাছ থেকে ঝড়ে গেছে। মুকুল আসা থেতে শুরু করে আম পাড়া পর্যন্ত এবার খুব গরম ছিল যার কারণে ফলন এবার অনেকটাই কম।

আম বিক্রি করতে আসা জাকির আক্ষেপ করে বলেন, সকাল ৬টায় আম নিয়ে আসছি বাজারে তবে এখনও কেউ দাম করেনি। বাজারে সিন্ডিকেট ঢুকে গেছে কিন্তু দেখার কেউ নেই। আমের সাইজ ভালো, আমও ভালো কিন্তু কেনার মানুষ নেই। এই কষ্ট করে ভ্যান ভাড়া করে নিয়ে এসেছি এখন যদি ফিরে নিয়ে যেতে হয় তাহলে আবার বাড়তি খরচ। আমার মতো অনেক আমচাষি ফিরে যাচ্ছে আম বিক্রি না হওয়ার কারণে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এদিকে একটু খেয়াল রাখবেন।

সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, জেলায় এবার আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ হাজার মেট্রিক টন। এরমধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ২৩৫ হেক্টর, কলারোয়ায় ৬৫৮ হেক্টর, তালায় ৭১৫ হেক্টর, দেবহাটায় ৩৮০ হেক্টর, কালিগঞ্জে ৮২৫ হেক্টর, আশাশুনিতে ১৪৫ হেক্টর ও শ্যামনগরের ১৬০ হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। জেলায় সরকারি তালিকাভুক্ত ৫ হাজার ২৯৯টি আমবাগান ও ১৩ হাজার ১০০ জন চাষি রয়েছেন। সবমিলে ৪ হাজার ১১৮ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সাতক্ষীরার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সাইফুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় কয়েকটি জাতের আম দিয়ে ৯ তারিখ থেকে সাতক্ষীরায় আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে ২২ মে হিমসাগর, ২৯ মে ল্যাংড়া ও ১০ জুন আম্রপালি আম সংগ্রহ হবে। মনে রাখতে হবে গাছের সব আম একসাথে পাকে না। সুতরাং আমের রং আসার আগে না পাড়ার অনুরোধ জানান তিনি।

;

চালককে গলা কেটে হত্যা, ইজিবাইক ছিনতাই



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে সাফিয়ার রহমান (৫৫) নামে এক চালককে গলা কেটে ইজিবাইক নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।

রোববার (১২ মে) রাত ১২টার দিকে নীলফামারী পৌর শহরের কুখাপাড়া তিস্তা সেচ ক্যানেল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সাফিয়ার রহমান নীলফামারী সদর উপজেলার ইটাখোলা ইউনিয়নের সিংদই ময়দানের পাড়া এলাকার মৃত. আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীবেশে ইজিবাইকে ওঠেন দুর্বৃত্তরা। এরপর জনশুন্য রাস্তায় নিয়ে গিয়ে ইজিবাইকটি ছিনতাইয়ের জন্য চেষ্টা করেন তারা। এ সময় চালক সাফিয়ার তাদের বাধা দেয়। বাধা দেওয়ায় তাকে পাশের একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে তার ইজিবাইকটি নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে তার গোঙানির শব্দে আশেপাশের বাড়ির লোকজন টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে পাঠান। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অ্যাম্বুলেন্স যোগে রংপুর যাওয়ার পথিমধ্যে রাত ১টা ৩০ মিনিটের দিকে মারা যান তিনি।

নীলফামারী সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) তানভীরুল ইসলাম বলেন, চালককে গলা কেটে ইজিবাইক ছিনতাই করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অ্যাম্বুলেন্স যোগে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

;

চামড়া সংরক্ষণে ঢাকার বাইরে হবে অস্থায়ী শেড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কোরবানির ঈদের সময় চামড়ার দর পতন ও পাচার রোধে ঢাকার বাইরে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণে অস্থায়ীভাবে ‘শেড’ নির্মাণ করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেবে শিল্প মন্ত্রণালয়।

মতিঝিলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রবিবার (১২ মে) ‘চামড়া শিল্পখাতের উন্নয়নে সুপারিশ প্রদান ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত টাস্কফোর্স’ এর সপ্তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষে এ কাজ তদারকি করবে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন- বিসিক। স্থানীয়ভাবে চামড়া সংগ্রহ ও পর্যাপ্ত লবণ দিয়ে সংরক্ষণের জন্য কৌশলগত স্থানে অস্থায়ী সংরক্ষণাগর নির্মাণ করতে জেলা প্রশাসকদের ডিও (আধা সরকারি পত্র) লেটার দেওয়া হবে।

সভা শেষে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন সাংবাদিকদের বলেন, ‘চামড়া শিল্প খাতে সংরক্ষণ সুবিধা বাড়াতে হবে, যাতে চামড়া নষ্ট না হয়। চামড়া ব্যবসায়ী/পাইকাররা যাতে পুঁজির সমস্যায় না পড়েন ও সহজ শর্তে ঋণ পান, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

প্রতি বছর শুধু সংরক্ষণের অভাবে কোটি টাকার কাঁচা চামড়া নষ্ট হয়। এই সুযোগে ঈদের সময়ে ট্যানারি ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা চামড়ার দর কমিয়ে দেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

অস্থায়ীভাবে চামড়া সংরক্ষণ হলে ঢাকায় সরবরাহ একসঙ্গে বাড়বে না। ট্যানারি ও আড়ৎদারদেরও অর্থ সংকট হবে না বলে মনে করছে টাস্কফোর্স।

কয়েক বছর কোরবানীর সময়ে কাঁচা চামড়ার দর পতনের পর গত বছর চামড়ার দর নিয়ে অসন্তোষ ছিল না ক্রেতা ও বিক্রেতা পর্যায়ে।

গতবছর কোরবানির ঈদে রাজধানীতে কাঁচা চামড়ার সবচেয়ে বড় আড়ত পোস্তায় চামড়ার দর খুচরা পর্যায়ে উঠেছিল প্রতিটি ১০৫০ টাকায়, আগের বছরে সেই আকৃতির চামড়ার দর ছিল ৮০০ টাকা। খুচরা পর্যায় আড়তদারদের হাতবদল হয়ে পোস্তার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ট্যানারিতে বিক্রি হয় চামড়া।

গত বছর ট্যানারি ব্যবসায়ীদের জন্য ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম ৫০ থেকে ৫৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সরকার, আগের বছর দাম ছিল ৪৭ থেকে ৫২ টাকা।

এছাড়া ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়ার দাম নির্ধারিত ছিল ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা, আগের বছর যা ৪০ থেকে ৪৪ টাকা ছিল।

এছাড়া সারা দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া আগের মত গতবারও প্রতি বর্গফুট ১৮ থেকে ২০ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করেছিল সরকার।

আগামী কোরবানির ঈদে সারা দেশে বিক্রির জন্য এক কোটি ৩০ লাখ পশু সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এই সংখ্যা ছিল এক কোটি ২৫ লাখ, যার মধ্যে বিভিন্ন হাটে ১৯ লাখ পশু অবিক্রিত অবস্থায় ফেরত যায়।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘শিল্প মন্ত্রণালয় চামড়া খাতের ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করে যাবে। অর্থাভাব যেন না হয়, এজন্য তাদের সহযোগিতা দরকার, আমরা তা করে যাবে।’

কোরবানির ঈদে কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে আগের অবস্থা আর নেই। এক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে জানিয়ে নুরুল মজিদ বলেন, ‘চামড়া শিল্পখাতের উন্নয়নে স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদি করণীয় নির্ধারণ করা হয়েছে। বিসিক ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নীতিগত সহযোগিতাসহ এসব করণীয় বাস্তবায়নে সব ধরনের সহায়তা প্রদান করা হবে।’

সভার সূচিতে কোরবানির চামড়ার মূল্য নির্ধারণ এবং চামড়া সঠিকভাবে ছাড়ানো, সংগ্রহ ও সংরক্ষণের জন্য বিজ্ঞাপন, স্থানীয়ভাবে চামড়া সংগ্রহ এবং পর্যাপ্ত লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য কৌশলগত স্থানে অস্থায়ী সংরক্ষণাগার নির্মাণ, কোরবানির পশুর চামড়ার পাচার রোধ ও চামড়া সংগ্রহের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মত বিষয়গুলো ছিল।

চামড়া নিয়ে সোশাল মিডিয়াসহ গণমাধ্যমে যেন কোনো গুজব না ছড়ায়, বিদেশ থেকে অবৈধপথে পশু যাতে দেশে না আসে, সেসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দায়িত্ব দেওয়া হয় সভায়।

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএ) সভাপতি শাহিন আহমেদ সভা শেষে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার কথা বলেছি। সিইটিপি পুরোপুরো ঠিক হলে আমাদের অনেক প্রতিষ্ঠানের আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চামড়া রপ্তানিতে দর পাওয়া যবে। অনেক প্রতিষ্ঠানই ইতোমধ্যে অন্যান্য সব কমপ্লায়েন্স অর্জন করতে পেরেছে।’

সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কোরবানির চামড়া সংরক্ষণে এতিমখানাগুলোতে বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ করবে বিসিক। অতীতের মত এবারও কোরবানি ঈদের পরের সাত দিন রাজধানীর বাইরের চামড়া ঢাকায় প্রবেশ করবে না।

হাজারীবাগের ট্যানারি শিল্পের অব্যবহৃত জায়গায় ভবন নির্মাণ করতে দ্রুত নকশা অনুমোদন দিতে রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষকে (রাজউক) নির্দেশনা দেওয়া হয়।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানাসহ টাস্কফোর্সের সদস্যরা সভায় অংশ নেন।

;

রাঙামাটির চার উপজেলায় বাতিল হয়েছে ৮৭৬৩ ভোট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম রাঙামাটি
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে পার্বত্য রাঙামাটি জেলার চার উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে সর্বমোট প্রাপ্ত ভোট থেকে ৮৭৬৩ ভোট বাতিল হয়েছে বলে জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে।

গত ৮ই মে অনুষ্ঠিত এই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন পরবর্তী উপজেলা নির্বাচনী অফিসগুলো থেকে রাঙামাটি জেলা নির্বাচন অফিস বরাবর প্রেরিত চূড়ান্ত শীটে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

রাঙামাটি জেলা নির্বাচন অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে চার উপজেলায় সর্বমোট ভোটের সংখ্যা হলো ২১১০০৬ জন। অনুষ্ঠিত নির্বাচনে রাঙামাটি সদরে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সর্বমোট বাতিল হয়েছে ৩৭৩০ ভোট।

বরকল উপজেলায় উপরোক্ত তিনটি পদে ২৮৮৫ ভোট, কাউখালী উপজেলায় ১৪৪৫ ভোট ও জুরাছড়ি উপজেলায় বাতিল হয়েছে ৭০৩ ভোট।

নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গননা শেষে উপজেলা নির্বাচন অফিসারের স্বাক্ষরিত চূড়ান্ত শীট থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে রাঙামাটি সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৩১৯০১ তার মধ্যে বৈধ ভোট ৩০৮৪২ এবং বাতিল হয়েছে ১০৫৯। শতকরা ভোট পরেছে ৩১.৫৭ শতাংশ।

এই উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট পড়েছে ৩১৮৮৩ ভোট। তার মধ্যে বৈধ ভোট ৩০৫৩৪ এবং বাতিল হয়েছে ১৩৪৯টি। শতকরা ভোট পরেছে ৩১.৫৫ শতাংশ।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৩১৯৪৫। তার মধ্যে বৈধ ভোট ৩০৬২৩ এবং বাতিল হয়েছে ১৩২২টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৩১.৬১ শতাংশ।

রাঙামাটির বরকল উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১৮৫৫৪। তার মধ্যে বৈধ ভোট ১৮০০৫ এবং বাতিল হয়েছে ৫৪৯টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৪৭.৩৫ শতাংশ।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১৮৫৫৭। তার মধ্যে বৈধ ভোট ১৭২২৪ এবং বাতিল হয়েছে ১৩৩৩টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৪৭.৩৬ শতাংশ।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১৮৫৪২। তার মধ্যে বৈধ ভোট ১৭৫৩৯ এবং বাতিল হয়েছে ১০০৩ টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৪৭.৩২ শতাংশ।

কাউখালি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৩৫৭৮৩। তার মধ্যে ৩৫২৭০ বৈধ ভোট এবং বাতিল হয়েছে ৫১৩ টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৭০.৫৩ শতাংশ।

এই উপজেলায় পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছে।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ৩৫৭৮৩। তার মধ্যে বৈধ ভোট ৩৪৮৫১ এবং বাতিল হয়েছে ৯৩২টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৭০.৫৩%।

জুরাছড়ি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১১০০৪। তার মধ্যে বৈধ ভোট ১০৭৯০ এবং বাতিল হয়েছে ২১৪টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৫৫.২১ শতাংশ।

পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১১০০৪। তার মধ্যে বৈধ ভোট ১০৭০৮ এবং বাতিল হয়েছে ২৯৬ টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৫৫.২৯ শতাংশ।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ভোট পড়েছে ১১০০৪। তার মধ্যে বৈধ ভোট ১০৮১১ এবং বাতিল হয়েছে ১৯৩ টি। শতকরা ভোট পড়েছে ৫৫.২৯ শতাংশ।

;