ফেনীর ট্রাংক রোড; যেখানে ভোরবেলা চলে শ্রমিক বিকিকিনি



মোস্তাফিজ মুরাদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,ফেনী
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশব্যাপী চলছে তীব্র তাপদাহ। এর মধ্যে কাক ডাকা ভোরে বাঁশের ঝাকা আর কোঁদাল হাতে ফেনীর ট্রাংক রোডে শ্রম বিক্রির হাটে হাজির দেশের দূর-দূরান্তের প্রায় ৭ শতাধিক খেটে খাওয়া মানুষ। কাজের আশায় শ্রম বিক্রি করতে এ বাজারে ওঠেন তারা। তীব্র গরমে যখন মানুষের হাসফাঁস অবস্থা ঠিক ওই সময় ক্ষুধা আর দারিদ্রের কষাঘাতে নিম্ন আয়ের মানুষগুলো দুবেলা দু’ মুঠো অন্নের জন্য শ্রমিক হিসেবে নিজেকে বিক্রি করেন ফেনীর এই শ্রম বিক্রির হাটে।

প্রত্যেকদিন ভোরে রাজমিস্ত্রী, কাঠমিস্ত্রী, রংমিস্ত্রী ও দিনমজুরসহ বিভিন্ন পেশার শ্রমজীবী মানুষের সরগম হয়ে ওঠে এ হাট। শ্রমিক কিনতে আসেন অনেক প্রতিষ্ঠানের ঠিকাদার ও মালিকরা। শ্রমের হাটে আসা অনেকে বিক্রি হলেও কিছু থেকে যান অবিক্রিত। দামদর শেষে যারা বিক্রি হন তারা রওনা হন মালিকের গন্তব্যে। অবিক্রিতদের দিনব্যাপী কাটাতে হয় অলস সময়। কাজ না পেলে নিজের গন্তব্যে ফিরে যান তারা।

জানা গেছে, প্রায় তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে ফেনী শহরের জিরো পয়েন্টে, বরিশাল, রংপুর,কুড়িগ্রাম, রামগতি, লক্ষীপুর, নেত্রকোনা, খুলনা, বাগেরহাট, সিলেট, ময়মংসিংসহ নানান জেলার শ্রমজীবী মানুষ আসে এ শ্রম হাটে। নিয়মিত হাট বসলেও এ হাটে নেই কোনো খাজনা বা হাট কমিটির ঝামেলা। আপন গতিতেই চলছে এই হাট, এদিক থেকে কিছুটা শান্তিতে থাকলেও কাজের নিশ্চয়তা ও জীবনের নিরাপত্তা একদম অনিশ্চিত।

শ্রমজীবীরা জানান, মাঝে মাঝে কাজ পেলেও বেশির ভাগ সময় নিজেকে বিক্রি করতে পারেন না। কাজভেদে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা মজুরিতে জেলার বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে যান তারা। কাজ না পেলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে দিন কাটাতে হয় তাদের। রোদ, বৃষ্টি কিংবা ঝড় সবসময় এ হাটে বিক্রির আশায় উপস্থিত হন বলে জানান তারা।

দ্রব্যমূল্যর ঊর্ধ্বগতির বর্তমান বাজারে শ্রমের পর্যাপ্ত মূল্যে পাওয়া যায়না উল্লেখ করে তারা বলেন, সবকিছুর যে দাম। যত টাকা পাই তা দিয়ে একদিন চলাও কষ্টের। দূর থেকে আসি স্টেশন কিংবা ফুটপাতে রাত কাটাই। সকালে কাজ পেলে সন্ধায় আবার কোথাও মাথা গোজার ঠাঁই খুঁজি। এরমধ্যে তীব্র গরমে কাজ করতে হয়, আমাদের দুঃখ দুর্দশা দেখার যেন কেউ নেই।


বরিশালের আবু মিয়া। বিগত ১০ বছর ধরে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন ফেনীতে। আগে সারাদিনের জন্য নিজেকে ৪০০-৫০০ টাকায় বিক্রি করতেন যেকোনো কাজের জন্য। তবে এখন তা বেড়ে ৭০০-৮০০ টাকা হলেও বাজারদর অনুযায়ী চলতে কষ্ট হয় বল জানান তিনি। তিনি বলেন, কাজ পেলে মুখে হাসি ফুটে আমাদের, না পেলে মলিন মুখে পরদিনের জন্য অপেক্ষা করি। তবে ফেনীর মানুষ ভালো, পেট ভরে খাবার দেয়, আবার কাজ শেষে বকশিস দেয়।

লক্ষীপুরের নূরে আলম। যিনি নদী ভাঙ্গনে সব হারিয়ে ফেনীতে দিনমজুরের কাজ করতে আসেন। নিজের দুঃখের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতিদিন সকালে বাজারে উঠে বিক্রি হই। ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা বিনিময়ে আমরা কাজে যাই। বৃষ্টি হলে আবার কাজ নেই তখন কপালে ভাত জোটেনা। কেউ আমাদের কাজে নিলে গৃহস্থ ভালো হলে একটু আপ্যায়ন পাই। আর খারাপ হলে আমাদের উপর নির্মম কাজের অত্যাচার চলে।

তিনি বলেন, কেউ ৩ বেলার খাবার এক বেলায় দেয় অনেকে আবার দেয় না। যে টাকা পাই সেটা দিয়ে খেলে আর কিছুই বাকি থাকেনা। কষ্ট করে চলতে হয় আমাদের। আমরা গরীব মানুষ, আমাদের কথার গুরুত্ব নেই। পেটের দায়ে নিজের শ্রম বিক্রি করে খেতে নিজ জেলা থেকে এখানে এসেছি।

সিলেটের মোবারক আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ফেনীর এ হাটে ভালো কাজ পাওয়া যায়। যার জন্য বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ আসে কাজের খোঁজে। আমরা এখানে কৃষিকাজ, রাজমিস্ত্রীর কাজ করি। ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার বিনিময়ে কাজ করি। এ টাকা দিয়ে সংসার চালানো যায়না। যে শ্রম দিই সে অনুযায়ী টাকা পাইনা। কর্ম করায় আমাদের দিয়ে কিন্তু সে অনুপাতে টাকা দেয় না। আমাদের এসব বিষয়ে যদি সবাই খেয়াল রাখে আমরা আরও বেশি ভালো থাকতে পারব।

চাঁদপুরের আবুল হোসেন বলেন, ফেনীতে কাজ ভালো পাওয়া যায় বিধায় আমরা ফেনীতে আসি। টাকা খারাপ পাইনা তবে কাজের তুলনায় তা অনেক কম।আমরা পারিশ্রমিক অনুযায়ী আরও বেশি টাকা পেতে পারি। তারপরও পরিবারের জন্য কাজ করতে হয়। যা আয় হয় তা দিয়ে সংসার চালাই। সরকার যদি আমাদের জন্য কিছু সহযোগীতা করে আমরা আরও ভালো থাকতে পারব।

হাটে শ্রমিক নিতে আসা ফেনীর মো. হানিফ জানান, এখানে আসা শ্রমিকরা খুব ভালো । কথাও শুনে তারা। বাড়ির কাজের জন্য তিন জন শ্রমিক নিয়ে যাচ্ছি। তবে আগের তুলনায় কিছুটা দাম বেড়েছে। শ্রমিকদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, মানুষগুলো বেশ কাজের। তাদের কাজের বরকত বেশি। ফেনীতে তাদের বেশ সুনাম রয়েছে।

রফিকুল হায়দার নামে এক ঠিকাদার বলেন, ঠিকাদারি কাজ করি। লোক প্রয়োজন হয়। ফেনীর এ হাটে এসে লোক নিয়ে যাই। আগে ৬০০ টাকা দিয়ে নিয়ে লোক পাওয়া যেত। এখন ১ হাজার টাকার নিচে পাওয়া যায়না। মাটি কাটার জন্য আরও বেশি চায়। গরমের কারণে লোকবলের সংকট পাশাপাশি ধান কাটার মৌসুম হওয়াতে পর্যাপ্ত লোক নেই। ফলে দিনমজুরদের বাড়তি টাকার নিতে হচ্ছে। এদের বেশিরভাগ বাইরের জেলা থেকে আসে। ফেনীর লোকরা গ্রাম অঞ্চলে কাজ করে। টাউনে যারা থাকে সবাই বাইরের।

তবে এসকল শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দেয়াসহ এ রোদের মৌসুমে রোদে বেশিক্ষণ কাজ না করানোর জন্য মালিকদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন ফেনীর সচেতন মানুষরা।

নূর করিম মুন্না নামে ফেনীর এক সংগঠক বলেন, রোজ সকালে এ মানুষগুলোকে ট্রাংক রোড় এ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি। রোদ কিংবা বৃষ্টি অথবা তীব্র শীত। কাজের জন্য তারা সবসময় এখানে আসেন। তাদের শ্রমের যোগ্য মূল্যায়ন হওয়া উচিত। প্রশাসন কিংবা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উচিত তাদের খোঁজ নেয়া, তাদের শ্রমের সঠিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা করা। এ যে এখন তীব্র তাপদাহ এর মধ্যে তাদের হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা রয়েছে। শ্রমিক দিবসের আন্দোলন শ্রমিক ন্যায্য অধিকারের আদায়ের জন্য। এসব বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকা উচিত।

মঞ্জিলা মিমি নামে ফেনীর আরেকজন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক বলেন, শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে সবার ভূমিকা রাখতে হবে। শুধুমাত্র দিনমজুর নয়, ফেনীতে অনেক শ্রমিক আছে যারা অনেক কষ্টে দিন যাপন করে। শ্রমিক দিবসে দায়িত্বশীলদের তাদের বিষয়ে আরও যত্নবান হতে হবে তবেই শ্রম যোগ্য মূল্যায়ন পাবে।

   

সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের ওপর হামলা: তিন ডিপোতে কর্মবিরতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের ওপর হামলায় তিন ডিপোতে কর্মবিরতি

সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের ওপর হামলায় তিন ডিপোতে কর্মবিরতি

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের (এসএপিএল) ডিপোতে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ডিপোতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়ন। এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল থেকে এই কোম্পানির মালিকানাধীন এসএপিএল, ইস্পাহানি ও ওসিএল ডিপোতে কাজ বন্ধ রেখেছেন সিঅ্যান্ডএফের কর্মচারীরা। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন সিআন্ডএফ কর্মচারী ইউনিয়নের (সিডিএ) সভাপতি কাজী খায়রুল বাশার মিল্টন।

সোমবার (২০ মে) রাত ১২টার দিকে এসএপিএল ডিপো কর্তৃপক্ষের লোকজনের সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফের কর্মচারীদের মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় কয়েকজন সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারী আহত হন। এই ঘটনায় নগরীর পতেঙ্গা থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে।

কর্মবিরতির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু।

তিনি বলেন, ‘ডিপোগুলোতে কাজের পরিবেশ নেই। আমাদের কর্মচারীদের বসার জন্য কোনো জায়গা নেই। কাজ করতে গেলে ডিপোর লোকজন তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। সোমবার রাতে এসব বিষয় নিয়ে আমাদের কর্মচারীদের সঙ্গে ডিপো কর্তৃপক্ষের লোকজনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ডিপোর লোকজন আমাদের কর্মচারীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে মারধর করেন। এতে অন্তত চারজন কর্মচারী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় কর্মচারীদের পক্ষ থেকে পতেঙ্গা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। ডিপো মালিকদের পক্ষ থেকেও থানায় পাল্টা অভিযোগ করা হয়েছে। আমরা দু’পক্ষকে সংযত থেকে বিষয়টি সমাধান করার জন্য বলেছি।’ কাজের পরিবেশ তৈরি না হলে অন্য কন্টেইনার ডিপোগুলোও বন্ধ রাখা হবে বলে জানিয়েছেন কাজী মাহমুদ ইমাম বিলু।

বাংলাদেশ ইংল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোর্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিকডা) সচিব রুহুল আমিন সিকদার বলেন, ‘কাস্টমস সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে এসএপিএল ডিপোতে সিএন্ডএফ কর্মচারীদের সঙ্গে ডিপো কর্তৃপক্ষের ঝামেলা হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ এটি আমাদের বিষয়টি জানায়নি। শুনেছি এই ঘটনায় এসএপিএলসহ তিনটি ডিপোতে কাজ বন্ধ রেখেছেন সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীরা। যেহেতু এখনও কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে আমাদের অবহিত করেনি, তাই এ বিষয়ে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’ তবে ঘটনার বিষয়ে এসএসিএল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

;

কৃষিখাতে ফলন বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার প্রযুক্তি সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিখাতে প্রযুক্তিগত দক্ষতা থাকায় কৃষি উৎপাদন বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, আমাদের উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ আমাদের জমি কমছে, আর মানুষ বাড়ছে। অস্ট্রেলিয়া এ ব্যাপারে আমাদের সাহায্য করতে পারে, কারণ অস্ট্রেলিয়া কৃষি প্রযুক্তিতে অনেক উন্নত।

মঙ্গলবার (২১ মে) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিনেটর পেনি ওং সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ কৃষি উৎপাদনে সফল হয়েছে, কারণ গত ১৫ বছরে কৃষি উৎপাদন বহুগুণ বেড়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে উৎপাদন আরও বাড়াতে সাহায্য করতে পারে।

বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

;

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো উদ্যোক্তা মেলা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো উদ্যোক্তা মেলা

সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো উদ্যোক্তা মেলা

  • Font increase
  • Font Decrease

ই—বিজনেস এ ধারণাকে সামনে রেখে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হলো উদ্যোক্তা উন্নয়ন মেলা—২০২৪। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে অ্যাকাডেমিক কোর্সের অংশ হিসেবে সোমবার (২১ মে) ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ আরেফিন নগরে এই মেলার আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান এবং বিচারক ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মঞ্জুরুল হক, ফাউন্ডার, বারকোড রেস্টুরেন্ট গ্রুপ, তানভীর শাহরিয়ার রিমন, সিইও রেনকম রিয়েল—এস্টেট এন্ড সি ফিশিং।

আরও উপস্থিত ছিলেন- ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান শাকিনা সুলতানা পমি, মেলার সমন্বয়কারী ও সহকারী অধ্যাপক রেহনুমা সুলতানা খান এবং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সকালে মেলার উদ্বোধন করেন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শরীফুজ্জামান এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অধ্যাপক ড. ইসরাত জাহান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) ড. শরীফ আশরাফউজ্জামান বলেন, ছাত্রজীবন থেকে উদ্যোক্তা হওয়ার যে মানসিকতা তোমাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে, তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। তোমাদের উদ্যোগ, আমি মনে করি তা অন্য শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণা যোগাবে। আমার বিশ্বাস সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা এ উদ্যোগে সফল হবে।

মূলত ব্যবসার প্রসার ও তরুণ উদ্যোক্তা তৈরির লক্ষ্যে সাউদার্ন ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগ সেমিস্টার ভিত্তিক এ মেলার আয়োজন করে থাকে। এবার সেরা স্টলের পুরস্কার অর্জন করে এসেন্সিয়াল হেভেন। যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে জুসবার ও অথেনটিক মি।

;

ফেনীতে নসিমন উল্টে নিহত ১, আহত ৮



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ফেনীতে নসিমন উল্টে নিহত ১, আহত ৮

ফেনীতে নসিমন উল্টে নিহত ১, আহত ৮

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীতে নসিমন উল্টে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন।

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামপুর রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শ্রমিকের নাম জাকির হোসেন (৩০)। সে দিনাজপুর জেলার চিরিরবন্দর উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। এঘটনায় আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর ও রশিদ নামে দু’জনকে গুরতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে নসিমনটি পল্লী বিদ্যুতের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের নিয়ে সদর উপজেলার লেমুয়া থেকে শহরে ফিরছিলেন। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের রামপুর রাস্তার মাথা এলাকায় পৌঁছালে নসিমনের চাকা বিস্ফোরণ হয়। পরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নসিমন উল্টে যায়। ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক জাকিরকে মৃত ঘোষণা করেন।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক রুহুল মহসিন সুজন জানান, আহতদের মধ্যে তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। জাহাঙ্গীর ও রশিদ নামের দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য তিনজন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় ফিরেছেন।

মহিপাল হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. শিপন জানান, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হবে।

;