শ্রমিক দিবস কী, জানেন না শ্রমিকরা

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’


রুহুল আমিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শ্রমিক দিবস কী, জানেন না শ্রমিকরা

শ্রমিক দিবস কী, জানেন না শ্রমিকরা

  • Font increase
  • Font Decrease

পহেলা মে আন্তর্জাতিকভাবে মহান শ্রমিক দিবস হিসেবে পালিত হয়। শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের দিন হিসেবে বিশ্বব্যাপী দিবসটিকে পালন করা হয়। গত ১৩৮ বছর ধরে দিবসটি পালন হয়ে আসলেও এনিয়ে কতটা জানেন শ্রমিকেরা, নিজেদের অধিকার নিয়েই বা কতটা সচেতন তারা?

রাজধানীর মিরপুরে রিকশা চালান ইলিয়াস মিয়া। এক ছেলে, এক মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে থাকেন বাগানবাড়ি বস্তিতে। রিকশা চালিয়ে যা আয় হয়, তা দিয়ে কোন রকম ডাল-ভাত খেয়ে বাঁচতে পারলেও ছেলে-মেয়েদের পড়ালেখা করানোর সামর্থ্য নেই। তাই ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও বাড়তি খরচের লাগাম টানতে বন্ধ করেছেন ছেলের স্কুল। বয়স কম হলেও মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন।


মে দিবস কী জানেন না ইলিয়াস। এদিন নিয়ে জানতে চাইলে তার সরল উত্তর—'এইসব দিবস-টিবস দিয়া কী হইবো মামা। কাম করি, এতে যা টাহা পাই, এই দিয়া কোন রহম চলি। আজকে কামে না নামলে খাইতে পারুম না। আমাগো আর কি এসব দিয়া কোন কাম আছে? নিজের পেট, নিজের পরিবার নিজেরেই পালন লাগবো। কাম না করলে তো আর কেউ টাহা দিবো না, খাওন দিবো না।'

রিকশা চালানোও একটি কর্ম, সে ক্ষেত্রে আপনি আপনার কাজের মাধ্যমে কি সঠিক মূল্যায়ন পান এমন প্রশ্নের জবাবে বার্তা২৪.কমের এ প্রতিবেদককে ইলিয়াস বলেন, 'আমাগো লগে তো কেউ ভালা কইরা কথাও কয় না। এই যে গরমের মধ্যে রিকশা চালাই তাতেও কেউ বাড়তি টাহা দিবো না। ছোড-বড় সবাই তুই-তোহারি করে। কিন্তু পরিবার আছে, খাওন লাগবো এইজন্য কামও করা লাগবো। যে যা ব্যবহার করুক, কাম করা ছাড়া তো উপায় নাই।'

মিরপুর শাহ আলী প্লাজার সামনে জুতা সেলাইয়ের কাজ করেন শ্যামল দাস। আগে অন্য কাজ করলেও জুতা সেলাইয়ের কাজে আসছেন ছয় মাস আগে। জুতা সেলাইয়ের কাজে কেমন যাচ্ছে জীবন জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, 'সারা দিনে কাম যা অয় তাতে কোন রকম চলে যায়। আয় খারাপ না, কিন্তু জিনিসপত্রের দামও সব বাড়তাছে। এই জন্য একটু তো সমস্যা অয়, তারপরেও ভগবানের দয়ায় ভালই আছি।

মে দিবস সম্পর্কে কোন কিছু জানেন কিনা জানতে চাইলে মাথা নাড়িয়ে 'না' সূচক উত্তর দেন। জুতা সেলাইয়ের কাজ করে নিজের প্রাপ্য মর্যাদা পান কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে চেহারায় নেমে আসে এক রহস্যময় নীরবতা, মুখে যেন বিদ্রূপের হাসি। সে হাসিই যেন বলে দিচ্ছে কতটা সম্মান প্রাপ্য আর কতটা তিনি পান।


দেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এমন অগ্নিতাপে হাঁসফাঁস অবস্থা জনজীবনের। তবে এই শ্রমিকদের একটু থেমে স্বস্তিবোধের সময়টুকুও যেন নেই। তাই হিট অ্যালার্টকে এক পাশে সরিয়ে রেখে প্রতিদিন কর্মের তাগিদে বেরুচ্ছেন রাস্তায়। পরের দিনের আহার জোগাড়ে নামছেন কাজে। এর অন্যথা হলে যে পরের বেলা অনাহারে কাটবে পরিবারের।

শেওড়াপাড়ায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন সুফিয়া খাতুন। বাবা-মার আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় বিয়ে দিয়েছেন অল্প বয়সে। বিয়ের পর গার্মেন্টসকর্মী স্বামীর একা আয়ে সংসার না চলায় কাজে যোগ দিয়েছেন নিজেও। দুজনের আয়ে কোনোরকমে সংসার চলে।

সুফিয়া খাতুনের কাছে মে দিবস সম্পর্কে জানতে চাইলে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, হ্যাঁ, আজকে শ্রম দিবস শুনছি। এই জন্য আজকে কারখানা ছুটি। এই দিবস নিয়ে কিছু জানেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর বেশি কিছু জানি না।

গার্মেন্টসকর্মী হিসেবে আপনার কাজের যথাযথ মূল্যায়ন কি হচ্ছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পেট চালাইতে হলে কাজ করতে হবে। এছাড়া তো আর কোন উপায় নাই। কেউ তো আর বাসায় এনে খাবার দিয়ে যাবে না। তবে যে পরিশ্রম সে তুলনায় টাকা পাই না। যদি ঠিকমতো বাসা ভাড়া দিয়ে খেয়ে থাকতে না পারি, তাহলে প্রাপ্য মজুরি হলো কি করে? এর আগে আরেকটা গার্মেন্টসে কাজ করতাম হঠাৎ করে কোন বেতন না দিয়েই বন্ধ হয়ে গেছে। এখন আবার এখানে ঢুকছি। এইভাবেই কোন রকম চলতেছে।

রাজধানীজুড়ে এমন প্রায় ১৮-২০ জন শ্রমিকের সাথে কথা বলেন বার্তা২৪.কমের এ প্রতিবেদক। তবে তাদের অধিকাংশই বলতে পারেননি শ্রম দিবস কী, এই দিনটি কেন পালন করা হয়। তবে কেউ কেউ শ্রম দিবসের কথা শুনলেও এর চেয়ে বেশি কিছু জানেন না বলে জানান।

মে দিবসে এই দিনেও তপ্ত রোদ মাথায় নিয়ে এই শহরের শ্রমজীবী মানুষ বের হয়েছেন কাজে। কাজ শেষে সন্ধ্যা বা রাতে সওদা নিয়ে বাসায় ফিরলে তবেই জ্বলবে চুলায় আগুন। তাই তাদের কাছে কোন দিবস নয়, বরং মাথার উপর টিনের চালা আর পেটে ভাত এই যেন প্রতিদিনের, প্রতিবেলার কামনা। তাই তো শীত, গ্রীষ্ম বা বর্ষা যাই হোক, কখনোই থামে না তাদের ছুটে চলা।

   

রেস্তোরাঁয় নেই রান্নাঘর, চলে অসামাজিক কাজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর শিক্ষাপাড়া খ্যাত চকবাজার থানার অদূরে গুলজার মোড়ে অবস্থিত 'কফি ম্যাক্স' রেস্তোরাঁ। নামে রেস্তোরাঁ হলেও তার আসল কর্মকাণ্ড ধরা পড়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের একটি অভিযানে। এসময় ওই রেস্তোরাঁ রান্নার কোনো আলামত না পেলেও পাওয়া যায় অসামাজিক কাজে বেশকিছু উপকরণ। পরে এই রেস্তোরাঁকে সার্বিক বিষয় বিবেচনায় সিলগালাসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেয় আভিযানিক দল।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে চকবাজার এলাকায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন সংস্থাটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ। এরপর পৃথক একটি অভিযানে একই থানার কেয়ারি মোড়ে অবস্থিত দাবা রোস্তারাঁকে অস্বাস্থ্যকর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উৎপাদন এবং পরিবেশনের দায়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়।

এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ, সহকারী পরিচালক মোহাম্মাদ আনিছুর রহমানসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সহযোগিতা করেন।

ভোক্তা অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মোহাম্মাদ ফয়েজ উল্লাহ জানান, কফি ম্যাক্স রোস্তোরাঁয় অভিযানের সময় আমরা বেশ কিছু অসামাজিক কার্যকলাপের আলামত ও উপকরণ পাই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে বন্ধের আদেশসহ সিলগালা করা হয়েছে। এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক জনাব নজরুল ইসলাম নামক ব্যক্তি। কিন্তু অভিযান পরিচালনার সময় প্রতিষ্ঠানটির কর্তব্যরত কর্মচারী প্রতিষ্ঠানের মালিকের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করতে পারেনি।

তিনি আরও জানান, অন্যদিকে দাবা নামক ফাস্টফুড আন রেস্টুরেন্টে খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং নোংরা পরিবেশে খাবার উৎপাদন ও পরিবেশন করা হচ্ছে। যেখানে পূর্বের দিনের নষ্ট খাবার গুলোও নতুন করে পরিবেশন করার প্রমাণ পাওয়া গেছে। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। যিনি মেসার্স কফি ম্যাক্স নামক প্রতিষ্ঠানটিরও স্বত্বাধিকারী। দাবা নামক রেস্টুরেন্টে সার্বিক পরিবেশ ও পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধের নোটিশ প্রদানসহ সিলগালা করা হয়েছে।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

যাত্রী সংকটে বরিশাল-ঢাকা রুটে চলছে একটি লঞ্চ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রী সংকট চরম আকার ধারন করেছে। এ কারণে জনপ্রিয় এই রুটে এখন একটিমাত্র লঞ্চ চলাচল করছে। মঙ্গলবার বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে মাত্র একটি লঞ্চ। বুধবার (১৫ মে) ছেড়ে গেছে দুইটি। যা সাধারণ মানুষের কাছে বিস্ময় হিসেবে দেখা দিয়েছে।

পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে বরিশাল-ঢাকা নৌ-পথে যাত্রী সংকট শুরু হয়। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পূর্বে প্রতিদিন উভয় রুটে ৭ থেকে ৮ টি লঞ্চ চলাচল করতো। সেখান থেকে কমে অর্ধেকে নেমে আসে। এখন তা একটিতে নেমে এসেছে।

বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া এমভি পারাবত-১২ লঞ্চের যাত্রী মো. লোকমান হোসেন বলেন, বরিশাল নৌ-বন্দর থেকে মাত্র একটি লঞ্চ চলবে তা আমরা কখনো কল্পনাও করিনি। এ বিষয়ে বরিশাল নৌ-বন্দর কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে একটি করে লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রী সংকটের ফলে মালিক পক্ষের রোটেশনের কারনে একটি করে লঞ্চ চালানো হচ্ছে। কিন্তু দুইটি করে লঞ্চ চালানোর কথা ছিল।

তিনি জানান, বর্তমানে প্রতিদিন ৫/৭ শ’র বেশি যাত্রী হয় না। একটি লঞ্চ দিয়ে তা পরিবহন সম্ভব। তাই হয়তো মালিকরা মিলে একটি করে লঞ্চ চালাচ্ছে।

একটি করে লঞ্চ চালানোর জন্য যাত্রী ভোগান্তি হয় বলে মন্তব্য করেছেন বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের সদ্য অবসরে যাওয়া পরিদর্শক মো. কবির হোসেন। তিনি বলেন, বরিশাল-ঢাকা রুটে চলাচলের জন্য ২০ টি লঞ্চ রয়েছে। 

প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৬/৭টি এবং একইভাবে বরিশাল থেকে ৬/৭টি ছেড়ে যেতো। ঈদ ও কোরবানির সময় একেকদিন ২০/২৫ টি লঞ্চও চলাচল করেছে। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যাত্রী সংকট শুরু হয়। বর্তমানে যে যাত্রী রয়েছে তাতে দুইটি লঞ্চ ঠিক ছিল। কিন্তু একটি লঞ্চ চলাচল যাত্রীদের ভোগান্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে। একটি লঞ্চ চালানোর কারণে কেবিন নিয়ে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ নয়-ছয় করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, একটি লঞ্চে ঠাসা যাত্রী। তবে সেটি ধারণ ক্ষমতার বেশি নয়। লঞ্চের নিচতলা ও দুই তলার ডেকে যাত্রী ভর্তি। লঞ্চ যাত্রীরা জানিয়েছেন, দুইটি লঞ্চ থাকলে তারা স্বাচ্ছন্দে যেতে পারতেন। কিন্তু একটি লঞ্চ হওয়ায় গাদাগাদি করে যেতে হচ্ছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, যত যাত্রী রয়েছে তা নিয়ে দুইটি লঞ্চ চললে আর্থিক ক্ষতি হয়। তাই একটি লঞ্চ চালানো হচ্ছে। তারা স্বীকার করেছেন, একটি লঞ্চ চলাচল করায় যাত্রীরা একটু গাদাগাদি হয়।

দেশের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় নৌ-রুট বরিশাল-ঢাকা। লিফটসহ নানা অত্যাধুনিক সুবিধার লঞ্চগুলোতে এক সময় যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় থাকত। ভিভিআইপি, ভিআইপি, সেমি ভিআইপি,  প্রথম শ্রেণির এক শয্যা ও দুই শয্যার কেবিন, সোফা পেতে হেনস্তা হতে হতো। কিন্তু পদ্মা সেতু পাল্টে দেয় সেই চিত্র। যাত্রী সংকটের কারণে লঞ্চের সংখ্যা কমতে শুরু করে।

অভিযোগ রয়েছে, যাত্রী সংকটের অজুহাত দিয়ে বরিশাল-ঢাকা রুটের লঞ্চ মালিকরা সিন্ডিকেট করে। তারা রোটেশনের মাধ্যমে লঞ্চের সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এখনো যত সংখ্যক যাত্রী রয়েছে তাতে প্রতিদিন দুই থেকে তিনটি লঞ্চ প্রয়োজন। কিন্তু মালিকরা বিআইডব্লিউটিএ ও যাত্রীদের জিম্মি করে একটি/দুইটি লঞ্চ চালায়। এতে ভোগান্তিতে যাত্রীরা।

তবে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, যাত্রী সংকটে লঞ্চ এখন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। প্রত্যেক লঞ্চ মালিক কম বেশি ঋন নিয়েছেন। তারা এখন ঠিকমতো ঋনের টাকা পরিশোধ করতে পারেন না। একটি লঞ্চ ব্যাংক নিয়ে গিয়ে কেটে বিক্রি করছে। এক স্বনামধন্য কোম্পানীর একটি লঞ্চ বিক্রি করে দেয়া হয়েছে।

শুধু ঢাকা বরিশাল নয়, দক্ষিনাঞ্চলের সকল রুটে যাত্রী নেই জানিয়ে সুন্দরবন নেভিগেশনের মালিক রিন্টু বলেন, এ ব্যবসাকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এজন্য সরকারকে পরিকল্পনা নিতে হবে।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

মিতু হত্যা মামলায় ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
মিতু হত্যা মামলায় শেষ হল ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

মিতু হত্যা মামলায় শেষ হল ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ

  • Font increase
  • Font Decrease

আলোচিত মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন সাবেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

বুধবার (১৫ মে) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ। তিনি জানান, মিতু হত্যা মামলার সাক্ষী হিসেবে সাবেক চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শফি উদ্দীন স্যারের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। এ নিয়ে মামলায় মোট ৫০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ১ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার ও আর নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে বাসার অদূরে গুলি ও ছুরিকাঘাত করে খুন করা হয় মাহমুদা খানম মিতুকে। স্ত্রীকে খুনের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তৎকালীন পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তার বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। এতে মামলার বাদি বাবুল আক্তারকেই প্রধান আসামি করা হয়।

অভিযোগপত্রে আরও যাদের আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা, এহতেশামুল হক প্রকাশ হানিফুল হক প্রকাশ ভোলাইয়া, মো. মোতালেব মিয়া ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম কালু এবং শাহজাহান মিয়া। আসামিদের মধ্যে শুধু মুসা পলাতক আছেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে।

ওই বছরের ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন। ২০২৩ সালের ১৩ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। ওই বছরের ৯ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রথম সাক্ষী হিসেবে মিতুর বাবা মোশাররফ হোসেন সাক্ষ্য দেন। এ পর্যন্ত ৫০ জনের সাক্ষ্য সম্পন্ন হয়েছে।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;

ব্রহ্মপুত্রে মাছ ধরতে নেমে পানিতে ডুবে জেলের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease
ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্রে মাছ ধরতে নেমে নদ খননের গর্তের পানিতে ডুবে আলমগীর মিয়া (৩৫) নামে এক জেলের মৃত্যু হয়েছে।

নিহত আলমগীর মিয়া সদর উপজেলার  চর ঈশ্বরদিয়া ইউনিয়নের মধ্যপাড়া এলাকার আসাদুল্লাহ'র ছেলে।
বুধবার (১৫ মে) বিকেলে নগরীর চরকালীবাড়ি পাওয়ার হাউজ সংলগ্ন ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে এই জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ময়মনসিংহ জেলা ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মো. মাসুদ রানা বলেন, নদে জাল নিয়ে মাছ ধরতে নেমেছিল জেলে। এসময় শুকনো নদের একটি অংশে নদ খননের গভীর গর্তের পানিতে তলিয়ে যায় ওই জেলে। পরে ঘটনাটি স্থানীয়রা দেখে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিলে ডুবুরি দল ঘটনাস্থল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
কোতোয়ালি মডেল থানার ইনচার্জ  (ওসি) মো. মাঈন উদ্দিন বলেন, জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

  ‘শ্রমিকের জয়গান কান পেতে শোন ঐ’

;