সাংবাদিকদের উপর মামলা-হামলার প্রতিবাদে বিডিজেএ'র সমাবেশ 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় সংবাদ প্রকাশের কারণে আলাদাভাবে ৭ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে একাধিক মামলা ও পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় নাগরিক টেলিভিশনের প্রতিনিধির ওপর হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বরিশাল ডিভিশনাল জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (বিডিজেএ)।

শনিবার (৪ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক কর্মসূচীতে সংগঠনের নেতাকর্মীরা বক্তব্য রাখেন। 

এসময় বক্তরা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় সাংবাদিক নির্যাতনের সঙ্গে যারা জড়িত দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচারের আহ্বান জানান। পাশাপাশি বরগুনায় সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনের মামলা অবিলম্বের প্রত্যাহার করার দাবি করেন সাংবাদিক নেতারা। অন্যথায় সাংবাদিক সংগঠনগুলো মিলে বৃহত্তর কর্মসূচি দেয়ারও ঘোষণা করেন বক্তারা।

সভায় ঢাকা সংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি শহিদুল ইসলাম বলেন, গতকাল একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা যায় মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে দুই ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ । টানা ১৫ বছর এই সরকার ক্ষমতায় আছে । শুধুমাত্র বিচারহীনতায় এই সময়ের মধ্যে সারাদেশে ৫৯ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

তিনি বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মঠবাড়িয়ার সাবেক এমপির মদদে নাগরিক টেলিভিশনের প্রতিনিধির ওপর হামলা হয়েছে। হামলাকারী যে হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

অপরাংশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু বলেন, আমরা মুক্ত গণমাধ্যম দিবস পালন করছি। এরমধ্যে সারাদেশে সাংবাদিক নির্যাতন হচ্ছে। আমাদেরকে রাস্তায় দাড়াতে হচ্ছে। এতে কি প্রমাণ হয়। এদেশের গণমাধ্যম স্বাধীন নয়। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না।

তিনি বলেন, শীর্ষ সাংবাদিক সংগঠনের এক নেতা বলেছেন, নির্যাতিত ওই সাংবাদিকদের নিয়োগপত্র আছে কিনা। আমি বলতে চাই তাদের নিয়োগপত্র আছে কিনা তা কি আপনার দেখার দায়িত্ব নেই। বাংলাদেশে যেখানেই সাংবাদিকদের ওপরে হামলা, মামলা হয় এর পেছনে পুলিশের ইন্ধন থাকে । এই হামলার বিচার না হওয়াতে বার বার সাংবাদিকরা নির্যাতনের শিকার হন।

তিনি আরও বলেন, কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে হলে স্বধীন সাংবাদিকতার কোন বিকল্প নেই।

এ সময় সভাপতি তারিকুল ইসলাম মাসুমের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহবুব সৈকতে সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, ডিইউজেএ’র সাবেক সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, ঢাকা রিপোর্টার ইউনিটির সাবেক সহ-সভাপতি আজমল হক হেলাল, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, ডিইউজেএ’রসাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খান, ডিআরইউ’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জামাল, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (টিসিএ) এর সভাপতি ফারুক হোসেন তানভীর, বিডিজের যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক সানবীর রূপল ও রাজু হামিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব জুয়েল, দফতর ও প্রচার সম্পাদক ফাহিম মোনায়েম, সদস্য ইউসুফ আলী বাচ্চু, সংহতি প্রকাশ করেন রংপুর বিভাগীয় সাংবাদিক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাউসুল আজম বিপু, ডিআরইউ’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঈনুল আহসান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাজেদা হক, ডিআরইউ নির্বাহী সদস্য মহিবুর রহমান, ঢাকাস্থ বরগুনা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক লাভলু, বঙ্গবন্ধু সাংবাদিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ প্রমুখ।

এ ছাড়া ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি তারিকুল ইসলাম রাকিব।

   

সমবায়ভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থা জোরদারে এগিয়ে আসতে হবে: সমবায় প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
সমবায়ভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থা জোরদারে এগিয়ে আসতে হবে: সমবায় প্রতিমন্ত্রী

সমবায়ভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থা জোরদারে এগিয়ে আসতে হবে: সমবায় প্রতিমন্ত্রী

  • Font increase
  • Font Decrease

পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো: আব্দুল ওয়াদুদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে একটি সমবায়ভিত্তিক দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। বাংলাদেশের কৃষি ব্যবস্থাকে সামগ্রিকভাবে উন্নত করতে হলে সমবায়ভিত্তিক কৃষি ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।

শনিবার (১৮ মে) রাজশাহী আঞ্চলিক লোক-প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প-৩য় পর্যায়ের কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে পান চাষি ও কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের কর্মদক্ষতা ও কর্মস্পৃহা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পান জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে যেটা সরকারের অনেক বড় একটি অর্জন।

পান চাষিদের ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তির বিষয়ে আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, আপনারা সঠিকভাবে চাষ করেন, নায্য মূল্য পেতে যেসকল সমস্যা আছে তা নিয়ে প্রশাসন তথা সংশ্লিষ্ট দপ্তর কাজ করবে। আপনাদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

এ সময় তিনি চাকুরির পেছনে না ছুটে উদোক্তা হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

বিআরডিবির মহাপরিচালক আব্দুল গাফ্ফার খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: ময়নুল হাসান, বিআরডিবির পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প-৩য় পর্যায়ের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আলাউদ্দিন সরকারসহ সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পান চাষিরা।

অনুষ্ঠান শেষে পান চাষিদের হাতে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র তুলে দেওয়া হয়। এদিন দুর্গাপুরের ৪০ এবং মোহনপুর ও বাগমারা ১০ করে মোট ৬০ পান চাষিদের নিয়ে ৯ দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।

;

‘অচিরেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে বরিশাল স্টেডিয়ামে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশাল শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম অচিরেই শেষ হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আসর বসবে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম।

শনিবার (১৮ মে) সকালে বরিশাল স্টেডিয়ামের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম ও স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক মানের পিচ নির্মাণের কার্যক্রম পরিদর্শনকালে এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

পরিদর্শনকালে মাঠের নানা বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম। এ সময় বরিশাল বিভাগীয় ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্টেডিয়ামের চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম প্রায় শেষ। আন্তর্জাতিক মানের মাঠ তৈরির লক্ষ্যে ঘাস লাগানো হয়েছে। কিন্তু নিয়মিত ও পর্যাপ্ত পানি দিতে না পাড়ায় ঘাস মরে যাচ্ছে। এ সময় মাঠে নিয়মিত পানি দিতে দ্রুত সময়ের মধ্যে পানির ব্যবস্থা করাসহ মাঠ ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্টদের নানা নির্দেশনা দেন তিনি।

পরিদর্শন শেষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বরিশাল স্টেডিয়ামকে একটি আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়ামে পরিণত করার কার্যক্রম চলছে। এই কার্যক্রমের অগ্রগতি পরিদর্শন এবং আধুনিকমানের ক্রিকেট পিচ নির্মাণের লক্ষ্যে একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ চলমান রয়েছে। পিচ নির্মাণসহ আধুনিকায়ন কাজ শেষ হলে বরিশাল স্টেডিয়াম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার উপযোগী হবে।

এ সময় বিভাগীয় ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজ্জামান খসরু, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য সচিব মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস, বিসিবি’র কাউন্সিলর প্রদীপ কুমার গাঙ্গুলী, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রকল্প প্রকৌশলী শিবু লাল খাসকেল,শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেন সহ ক্রীড়া সংগঠককরা উপস্থিত ছিলেন।

;

আশুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনায় বন্ধুর হাতে যুবক খুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাভারের আশুলিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্ধুর হাতে মঞ্জুরুল ইসলাম (২২) নামের এক যুবক খুন হয়েছেন। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মানিককে (২০) আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ মে) বিকেলে আশুলিয়ার হাবিব হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

এর আগে, দুপুরে আশুলিয়ার বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এলাকায় হানি পরিবহন নামক বাস কাউন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মঞ্জুরুল ইসলাম দিনাজপুর জেলার উলিপুর থানার মো. মমিনুল ইসলামের ছেলে। তিনি ভাদাইল এলাকায় ভাড়া থেকে বাইপাইল হানি এন্টারপ্রাইজ নামের পরিবহন কাউন্টারে বাসে যাত্রী উঠানোর কাজ করতেন।

আটক মানিক নওগাঁ জেলার বদলগাছি থানার আক্কেলপুর গ্রামের বিদ্যুৎ মিয়ার ছেলে। তারা দুজনে একই কাউন্টারে বাসে যাত্রী উঠানোর কাজ করতেন।

পুলিশ জানায়, দুপুরে দুজনের মধ্যে বাসে যাত্রী উঠানো নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় মানিক মঞ্জুরুলকে মারধর করে। এতে মাটিতে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যায় মঞ্জুরুল। পরে অভিযুক্ত মানিকসহ উপস্থিত অন্যরা তাকে আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের স্ত্রী পোশাক শ্রমিক মৌসুমি বলেন, কারখানায় দুপুরের খাবার বিরতিতে স্বামীর কাছে টাকা নিতে এসে দেখি আহত অবস্থায় পড়ে আছে, সবাই তার মাথায় পানি দিচ্ছে। পরে আশেপাশের লোকজনসহ তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার আমার স্বামীকে মৃত ঘোষণা করেন।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, খবর পেয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত মানিককে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রীয়াধীন।

;

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক দেখে বিএনপির মাথায় হাত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে দেখে বিএনপির মাথায় হাত বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়া বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এসেছিলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাবার জন্যই তিনি এই সফরে এসেছিলেন। আমার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে কিভাবে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাব, সেটি নিয়ে কথা বলেছেন। এমনকি আমরা যদি কোন কোন ক্ষেত্রে কিছু রিফর্ম করি তাহলে আমাদেরকে জিএসপি সুবিধাও ফিরিয়ে দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দা থেকে কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে তাদের একটি বিশেষ তহবিল আছে। সেখান থেকে আমাদের সাহায্য করার কথাও বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। আমরা সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যেই কাজ করছি। এজন্যই বিএনপির মাথাটা বেশি খারাপ।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়িস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

বিএনপি একটা জালিয়ত রাজনৈতিক দল উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আপনাদের মনে আছে গত বছর ২৮ অক্টোবর জো বাইডেনের ভুয়া উপদেষ্টাকে বিএনপি হাজির করেছিল। ভুয়া উপদেষ্টা যখন বিএনপি কার্যালয়ে, তখন দেখি শুধু ইংরেজি বলে। পুলিশ যখন ধরে নিয়ে গেল তখন দেখি গড়গড়াইয়া বাংলা বলে।

তিনি বলেন, বিএনপি মার্কিন কংগ্রেসম্যানদের সই জাল করেছিল। সেই সময়ে বলেছিল ভারতের অমিত শাহ ফোন করেছিল। অমিত শাহ’র অফিস থেকে বলা হলো তিনি কাউকে ফোন করেননি, যে আওয়াজ ছাড়া হয়েছিল সেটা অমিত শাহ’র নয়। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতি দেখে বিএনপি ও তাদের দোসরদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাঝেমধ্যে দেখি জিএম কাদেরেরও মাথা খারাপ হয়ে যায়।

মন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা দেখেছি বিএনপি প্রতিদিন বিভিন্ন এম্বাসিতে ঘুরে বেড়াত। আর দেন দরবার করত, নির্বাচনটা যাতে বন্ধ করা যায়, কোন লাভ হয় নাই। নির্বাচন হয়েছে, ৪২ শতাংশ মানুষ ভোট দিয়েছে। যদি নির্বাচনের দিন কুয়াশা এবং প্রচন্ড ঠান্ডা না থাকত তাহলে আরও বেশি মানুষ ভোট পরতো।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে অত্যন্ত চমৎকার নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন যদি চমৎকার না হত তাহলে পৃথিবীর ৮০টা দেশের সরকার কিংবা রাষ্ট্রপ্রধান আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট চিঠি লিখে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের সাথে সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই। সর্বশেষ দুদিন আগে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীও আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে। এজন্য বিএনপির মাথা খারাপ। সম্ভবত সেজন্য বিএনপি নেতা ড. মঈন খান জ্যোতিষীর মতো কথা বলছেন।

বয়সে সিনিয়র বিএনপি নেতা ড. মঈন খানের প্রতি সম্মান রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি রাজনীতির বাইরে এখন জ্যোতিষীর দায়িত্বও পালন করা শুরু করেছেন। বঙ্গবন্ধু যখন দেশ পরিচালনা করছিলেন তখন মঈন খানের বাবা আবদুল মোমেন খান খাদ্য সচিব ছিলেন। খাদ্যবাহী জাহাজ ভারত মহাসাগর থেকে ফেরত যাবার পেছনে তার বাবার কারসাজি ছিল, যাতে দেশে খাদ্য সংকট তৈরি হয়। খাদ্য সংকট তৈরি করে বঙ্গবন্ধুকে অজনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে আবদুল মোমেন খানের ভূমিকা ছিল। যার পুরস্কার স্বরূপ জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করার পর আবদুল মোমেন খানকে মন্ত্রীর মর্যাদায় খাদ্য উপদেষ্টা বানিয়েছিলেন। ৭৯ সালের নির্বাচনের পর আবদুল মোমেন খান সংসদে খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে বক্তব্যে বলেছিল খাদ্যের জন্য দরকার হলে দেশ বিক্রি করে দিব। ওনারই সন্তান মঈন খান।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হলে, বাংলাদেশের মানুষের স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটাতে হলে, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনা, এই দেশে আর কোন বিকল্প নাই। তিনি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ডিজিটাল বাংলাদেশের। সেই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটেছে। ২০১৮ সালে আমাদের স্লোগান ছিল আমার গ্রাম আমার শহর। আজকে গ্রামগুলো শহরের মতো হয়ে গেছে, গ্রাম আর শহরের মধ্যে কোন পার্থক্য নাই।

তিনি বলেন, এবার আমরা স্লোগান দিয়েছি ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। স্মার্ট বাংলাদেশ বলতে, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নেন্স এবং স্মার্ট পিপলস। এই চারটি অনুসঙ্গকে আমরা সাথে নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ রচনা করতে চাই। ইনশাল্লাহ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা এই অভিযাত্রায়ও বিজয়ী হব। কিন্তু আমাদের অভিযাত্রাকে আটকে দিতে চান বিএনপি এবং তাদের দোসররা। সেই কারণেই নানা ষড়যন্ত্র।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু , সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য শফিক আদনান, শফিকুল ইসলাম ফারুক, এডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান প্রমুখ।

;