‘বে-টার্মিনালসহ বাংলাদেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চায় সিঙ্গাপুর’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লোহে বলেছেন, বে-টার্মিনালসহ বাংলাদেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে চায় সিঙ্গাপুর। বিশেষ করে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের ভৌগোলিক মিল থাকায় চট্টগ্রাম সিঙ্গাপুরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে খাদ্য আমদানির পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে সহায়তা করতে চায় সিঙ্গাপুর। 

রোববার (৫ মে) সকালে টাইগারপাসস্থ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে মেয়রে সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ কথা জানান। 

মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র বলেন, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নাগরিক সেবার জন্য ৮২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ৫৬ টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিচালনা করছে। সিঙ্গাপুর এ প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কারিগরি সহায়তা, প্রশিক্ষণ ও প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে চট্টগ্রামবাসীর পাশে দাঁড়াতে পারে। এছাড়া, নদী-সমুদ্র-পাহাড়বেষ্টিত চট্টগ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে পর্যটন সম্ভাবনার বিকাশে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগ করতে পারে।

জবাবে সিঙ্গাপুরের হাই কমিশনার ডেরেক লোহে বলেন, বাংলাদেশের ব্যাপারে সিঙ্গাপুরের সফট স্পট রয়েছে। বাংলাদেশের কর্মীরা কঠোর পরিশ্রমী এবং সৎ বিধায় সিঙ্গাপুর বিভিন্ন খাতে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশিকে নিয়োগ দিয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরও দিবে। বিভিন্ন দেশে সিঙ্গাপুর যে কো-অপারেশন প্রোগ্রাম চালায় তার আওতায় চট্টগ্রামের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পর্যটন খাতের প্রসারে কীভাবে সহায়তা করা যায় তা বিবেচনা করবে সিঙ্গাপুর।

এসময় চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-পরিচালক মিচেল লি, সিঙ্গাপুর হাই কমিশনের চার্জ ডি' অ্যাফেয়ার্স শিলা পিল্লাইসহ সিঙ্গাপুরের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেয়।

 

   

বিদ্রোহী কবি নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্রোহ, প্রেম ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিন আজ। দিনটি উপলক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।

বাংলা ১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জ্যৈষ্ঠ বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম নিয়েছিলেন তিনি। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মা জাহেদা খাতুন।

কাজী নজরুল ইসলাম মূলত বিদ্রোহী কবি হলেও কিন্তু তার প্রেমিক রূপটিও প্রবাদপ্রতিম। চির প্রেমের এ কবি প্রেম নিয়েছিলেন, প্রেম চেয়েছিলেন।

অসাম্প্রদায়িক চেতনা ছিল তার সাহিত্যের আরেকটি উল্লেখযোগ্য উপজীব্য। আর তাই ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নজরুল’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জাতীয় কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হচ্ছে এবার। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেছেন, ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন, উনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে নজরুলের কবিতা ও গান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কবি নজরুল তার প্রত্যয়ী ও বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রাণিত ও উদ্দীপ্ত করেছেন। নজরুল সাহিত্যের বিচিত্রমুখী সৃষ্টিশীলতা আমাদের জাতীয় জীবনে এখনো প্রাসঙ্গিক।’

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত তিন দিনব্যাপী (২৫ থেকে ২৭ মে) অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জাতীয় সংসদের সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী। শনিবার বিকেল ৪টায় রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হবে। এছাড়া সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজহার খানের নেতৃত্বে আজ সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কবির সমাধিতে অর্পণ করা হবে পুষ্পস্তবক।

এছাড়া ময়মনসিংহ ও জাতীয় কবির স্মৃতি বিজড়িত কুমিল্লার দৌলতপুরসহ বিভিন্ন স্থানে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হবে। এ উপলক্ষ্যে আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

জাতীয় পর্যায়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানমালা বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি বেতার ও টেলিভিশন চ্যানেলসমূহ সম্প্রচার করবে। কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হবে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে।

শনিবার (২৫ মে) সকাল ৮টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে। এছাড়া বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে স্থাপিত নজরুল প্রতিকৃতিতেও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে।

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে কবির মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠান।

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ সকাল সোয়া ৬টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে সমবেত হয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা শোভাযাত্রা নিয়ে সকাল সাড়ে ৬টায় কবির সমাধিতে যাবেন। পরে তারা জাতীয় কবির মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন ও রুহের মাগফেরাত কামনায় ফাতেহা পাঠ করবেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাপতিত্বে কবির সমাধি প্রাঙ্গণে আলোচনা সভা ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও কাজী নজরুল ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগৎকে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করেছেন তিনি। তার কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছিল। তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক। জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে তার লেখনী। তার কবিতা ও গান যুগ যুগ ধরে শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে চলছে মানুষকে।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর পরই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দিয়ে বাংলাদেশে তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বাড়িও দেন কবির জন্য। 

;

নরসিংদীতে প্রার্থী হত্যার ঘটনায় আল্টিমেটাম, হত্যাকারীকে ধরিয়ে দিতে পুরস্কারের ঘোষণা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নরসিংদী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীর রায়পুরায় উপজেলা নির্বাচনী প্রচারণাকালে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়ার হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে। এছাড়া হত্যাকারী রুবেলকে ধরিয়ে দেওয়ার জন্য এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু।

রায়পুরা উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী সুমন মিয়ার জানাজা শেষে সংসদ সদস্য রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজু জানাজায় আগতদের সামনে এসব কথা বলেন।

প্রার্থী সুমন মিয়াকে হত্যার ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে দুইজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার। এদিকে প্রার্থী নিহতের ঘটনায় স্থগিত করা হয়েছে এ উপজেলার সকল পদের নির্বাচন।

প্রার্থী সুমনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়ে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন দলীয় কর্মী ও স্বজনেরা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হামলায় অভিযুক্ত আবিদ হাসান রুবেলসহ জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য। এতে ব্যর্থ হলে সড়ক ও রেলপথ অবরোধের হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

এসময় এমপি রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু আরও বলেন, 'গুলশানের একটি বাসায় দুইদিন বসে এই হামলার ঘটনার পূর্ব পরিকল্পনা করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী আবিদ হাসান রুবেল একটি বাজে ছেলে, সন্ত্রাসী, ভূমিদস্যু, ইয়াবা ব্যবসায়ী। তার বাবাও খুনি, আর খুনির ছেলে খুনিই হয়। রুবেল প্রকাশ্যে বলেছিল সুমনকে ছাড়া যাবে না, যেভাবেই হউক সুমন যেন ফিরে যেতে না পারে। আজকে কোথায় সে(রুবেল)? লেজ গুটাইয়া পালিয়েছে। যে রুবেলকে ধরিয়ে দিতে পারবে তার ১ লাখ টাকার পুরস্কার ঘোষণা করছি। বিনা চিকিৎসায় সুমন মারা গেছে, এর বিচার চাই আমি।'

এমপি আরও বলেন, তিনি ৫৩ বছর রায়পুরায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন, কোনোদিন সন্ত্রাসী লালন করেননি। তিনি কাউকে ভয় করেন না। রায়পুরায় কোনো সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ীর স্থান হবে না। এমপি রাজিউদ্দিন প্রশাসনকে লক্ষ করে বলেন, তিনি আন্দোলনে যেতেন। খবর পাওয়া গেছে রুবেল মালয়েশিয়া পালানোর চেষ্টা করছে। কোনোদিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে যাননি তিনি, প্রশাসনকে দ্রুত অ্যাকশনে যাওয়ার নির্দেশনা দেন, নতুবা রায়পুরাকে শান্ত করা যাবে না বলে জানান। কিন্তু ৭২ ঘণ্টার সময় দিয়েছেন, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের ধরতে না পারলে জেলা উত্তাল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ঘোষণা করেন। 

;

বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়েছিল বড় ভাই, বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল ছোট ভাইয়েরও



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। 

শুক্রবার (২৪ মে) রাত ১০টার দিকে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বর্মতোল গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটনা ঘটে। মৃত দুই ভাই তমিজ উদ্দিন (৫০) ও রবিউল ইসলাম (৪৫) ওই গ্রামের দবিজ উদ্দিনের ছেলে। 

ভানোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, দিনভর ভুট্টা ভাঙার কাজ শেষে রাতে নিজ বাড়িতে তমিজ উদ্দিন ফ্যানের বৈদ্যুতিক তারের লিকেজ পলিথিন দিয়ে বাঁধছিলেন। এ সময় ফ্যান ঝুলিয়ে রাখা রডের সাথে বৈদ্যুতিক তারের স্পর্শ হলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় বড় ভাই। তাকে বাঁচাতে গিয়ে ছোট ভাই রবিউল ইসলামও বিদ্যুতায়িত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। 

ভানোর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মামুন জানান, ৫ ভাইয়ের মধ্যে এক ভাই তিন বছর আগে মারা গেছে। দুই ভাই ঢাকায় চাকরি করেন, দুই ভাই এলাকায় কৃষি কাজ করেন জীবিকা নির্বাহ করেন। মারা যাওয়া দু'ভাইয়ের সাত সন্তান থাকলেও সকলেই নাবালক। দুই ভাইয়ের মর্মান্তিক মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। 

বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবির বলেন, বৈদ্যুতিক তারের সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আপন দুই ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। সকলকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। 

;

ময়মনসিংহে পূর্ব শত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে যুবক খুন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহ নগরীতে পূর্ব শত্রুতার জেরে ছুরিকাঘাতে হাসান (২৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন আরও দু'জন। 

শুক্রবার (২৪ মে) রাতে নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড় বিহারি ক্যাম্প এলাকার হাজী কাশেম আলী কলেজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, নগরীর পাটগুদাম বিহারী ক্যাম্পের বাসিন্দা প্রয়াত মাসুদ মিয়ার ছেলে মো. হাসান। তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট সে। নগরীর স্টেশন রোড এলাকায় তালা-চাবির কাজ করতেন তিনি। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বিহারী ক্যাম্পের সামনে হাজী কাশেম আলী কলেজের পাশে আড্ডা দিচ্ছিল হাসান ও তার বন্ধুরা। রাত ১০টার দিকে হঠাৎ ৩০-৪০ জনের একদল যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে উপর্যুপরি হামলা করে। এতে হাসান, তার বন্ধু রোহিত আহমেদ ও মো. রাজাকে আহত অবস্থায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন৷ আহত রহিত ও রাজাকে সার্জারি বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তাদের অবস্থা শঙ্কামুক্ত। 

নিহতের বাড় ভাই মো. মুরাদ বলেন, বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার ভাইকে হত্যা করা হয়। তার সঙ্গে কারও কোনো বিরোধ ছিল না। অহেতুক হত্যা করা হয়েছে। 

কোতোয়ালি মডেল থানার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাইন উদ্দিন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণ করা হচ্ছে, খেলা নিয়ে বিরোধে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে। আসামি গ্রেফতারের পর প্রকৃত ঘটনা বলা যাবে। 

;